সপ্তাহের শেষ কার্যদিবসে বৃহস্পতিবার প্রধান শেয়ারবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) দাম কমার তালিকায় বেশি প্রতিষ্ঠান থাকলেও বেড়েছে সবকটি মূল্যসূচক। সেই সঙ্গে বেড়েছে লেনদেনের পরিমাণ। অন্য শেয়ারবাজার চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে (সিএসই) দাম বাড়ার তালিকায় বেশি সংখ্যক প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিট থাকলেও মূল্য সূচক কমেছে। সেই সঙ্গে কমেছে লেনদেনের পরিমাণ।
এদিন ডিএসইতে লেনদেনে শুরু হয় বেশিরভাগ প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিটের দাম বাড়ার মাধ্যমে। ফলে লেনদেনের শুরুতে সূচকের বড় উত্থান দেখা যায়। তবে লেনদেনের শেষদিকে বিক্রির চাপ বাড়লে দাম বাড়ার তালিকা থেকে বেশকিছু প্রতিষ্ঠান দাম কমার তালিকায় চলে আসে। এতে দাম কমার তালিকায় বেশি প্রতিষ্ঠান থেকেই দিনের লেনদেন শেষ হয়। দিনের লেনদেন শেষে সব খাত মিলে ডিএসইতে ১৪৯টি কোম্পানির শেয়ার ও ইউনিট দাম বাড়ার তালিকায় নাম লেখাতে পেরেছে। বিপরীতে দাম কমেছে ১৬৮টির। আর ৭৮টির দাম অপরিবর্তিত রয়েছে।
দাম কমার তালিকায় বেশি প্রতিষ্ঠান থাকলেও বেশি সংখ্যক মিউচুয়াল ফান্ডের দাম বেড়েছে। ডিএসইতে ১৩টি মিউচুয়াল ফান্ডের দাম বাড়ার তালিকায় স্থান হয়েছে। বিপরীতে দাম কমেছে ৭টির। আর ১৬টির দাম অপরিবর্তিত রয়েছে। মিউচুয়াল ফান্ডের ক্ষেত্রে দাম বাড়ার তালিকা বড় হলেও তালিকাভুক্ত ভালো ও মাঝারি মানের সব খাতের বেশি সংখ্যক প্রতিষ্ঠানের শেয়ার দাম কমেছে। ভালো কোম্পানি বা ১০ শতাংশ অথবা তার বেশি লভ্যাংশ দেওয়া প্রতিষ্ঠানগুলোর মধ্যে ৮২টির শেয়ার দাম বেড়েছে এবং ১০১টির দাম কমেছে। আর ৩৪টির দাম অপরিবর্তিত রয়েছে।
মাঝারি মানের বা ১০ শতাংশের কম লভ্যাংশ দেওয়া ২৯টি কোম্পানির শেয়ার দাম বাড়ার বিপরীতে ৪১টির দাম কমেছে এবং ১৩টির দাম অপরিবর্তিত রয়েছে। এছাড়া বিনিয়োগকারীদের লভ্যাংশ না দেওয়ার কারণে পঁচা ‘জেড’ গ্রুপে স্থান হওয়া কোম্পানিগুলোর মধ্যে ৩৮টির শেয়ার দাম বেড়েছে। বিপরীতে দাম কমেছে ২৬টির এবং ৩১টির দাম অপরিবর্তিত রয়েছে। সার্বিকভাবে দাম কামার তালিকায় বেশি প্রতিষ্ঠান থাকার পরও ডিএসইর প্রধান মূল্যসূচক ডিএসইএক্স আগের দিনের তুলনায় ৯ পয়েন্ট বেড়ে ৫ হাজার ২০৫ পয়েন্টে দাঁড়িয়েছে। অন্য দুই সূচকের মধ্যে ডিএসই শরিয়াহ সূচক আগের দিনের তুলনায় ৩ পয়েন্ট বেড়ে ১ হাজার ১৭২ পয়েন্টে উঠে এসেছে। আর বাছাই করা ভালো ৩০ কোম্পানি নিয়েগঠিত ডিএসই-৩০ সূচক আগের দিনের তুলনায় ৫ পয়েন্ট কমে ১ হাজার ৯২৭ পয়েন্টে অবস্থান করছে।
মূল্যসূচক বাড়ার পাশাপাশি ডিএসইতে লেনদেনের পরিমাণ বেড়েছে। দিনভর বাজারটিতে লেনদেন হয়েছে ৫৪০ কোটি ১৬ লাখ টাকা। আগের কার্যদিবসে লেনদেন হয় ৫২৭ কোটি ১৮ লাখ টাকা। সে হিসাবে আগের কার্যদিবসের তুলনায় লেনদেন বেড়েছে ১২ কোটি ৯৮ লাখ টাকা। এ লেনদেনে সবচেয়ে বড় ভূমিকা রেখেছে বাংলাদেশ শিপিং করপোরেশনের শেয়ার। টাকার অঙ্কে কোম্পানিটির ৩৮ কোটি ৩৩ লাখ টাকার শেয়ার লেনদেন হয়েছে। দ্বিতীয় স্থানে থাকা বিচ হ্যাচারির শেয়ার লেনদেন হয়েছে ২১ কোটি ৯০ লাখ টাকার। ১৭ কোটি ৪১ লাখ টাকার শেয়ার লেনদেনের মাধ্যমে তৃতীয় স্থানে রয়েছে বেক্সিমকো ফার্মা।
এছাড়া ডিএসইতে লেনদেনের দিক থেকে শীর্ষ ১০ প্রতিষ্ঠানের তালিকায় রয়েছে- সানলাইফ ইন্স্যুরেন্স, ওরিয়ন ইনফিউশন, এবি ব্যাংক ফার্স্ট মিউচুয়াল ফান্ড, শাহিনপুকুর সিরামিক, লাফার্জহোলসিম, জিপিএইচ ইস্পাত এবং নাভানা ফার্মাসিউটিক্যালস।
অন্য শেয়ারবাজার সিএসইর সার্বিক মূল্যসূচক সিএএসপিআই কমেছে ২০ পয়েন্ট। বাজারটিতে লেনদেনে অংশ নেওয়া ২১৬ প্রতিষ্ঠানের মধ্যে ৯৭টির দাম বেড়েছে। বিপরীতে দাম কমেছে ৮৬টির এবং ৩৩টির দাম অপরিবর্তিত রয়েছে। লেনদেন হয়েছে ৬ কোটি ৪৮ লাখ টাকা। আগের কার্যদিবসে লেনদেন হয় ৯ কোটি ৮২ লাখ টাকা।
বৃহস্পতিবার, ১০ এপ্রিল ২০২৫
সপ্তাহের শেষ কার্যদিবসে বৃহস্পতিবার প্রধান শেয়ারবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) দাম কমার তালিকায় বেশি প্রতিষ্ঠান থাকলেও বেড়েছে সবকটি মূল্যসূচক। সেই সঙ্গে বেড়েছে লেনদেনের পরিমাণ। অন্য শেয়ারবাজার চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে (সিএসই) দাম বাড়ার তালিকায় বেশি সংখ্যক প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিট থাকলেও মূল্য সূচক কমেছে। সেই সঙ্গে কমেছে লেনদেনের পরিমাণ।
এদিন ডিএসইতে লেনদেনে শুরু হয় বেশিরভাগ প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিটের দাম বাড়ার মাধ্যমে। ফলে লেনদেনের শুরুতে সূচকের বড় উত্থান দেখা যায়। তবে লেনদেনের শেষদিকে বিক্রির চাপ বাড়লে দাম বাড়ার তালিকা থেকে বেশকিছু প্রতিষ্ঠান দাম কমার তালিকায় চলে আসে। এতে দাম কমার তালিকায় বেশি প্রতিষ্ঠান থেকেই দিনের লেনদেন শেষ হয়। দিনের লেনদেন শেষে সব খাত মিলে ডিএসইতে ১৪৯টি কোম্পানির শেয়ার ও ইউনিট দাম বাড়ার তালিকায় নাম লেখাতে পেরেছে। বিপরীতে দাম কমেছে ১৬৮টির। আর ৭৮টির দাম অপরিবর্তিত রয়েছে।
দাম কমার তালিকায় বেশি প্রতিষ্ঠান থাকলেও বেশি সংখ্যক মিউচুয়াল ফান্ডের দাম বেড়েছে। ডিএসইতে ১৩টি মিউচুয়াল ফান্ডের দাম বাড়ার তালিকায় স্থান হয়েছে। বিপরীতে দাম কমেছে ৭টির। আর ১৬টির দাম অপরিবর্তিত রয়েছে। মিউচুয়াল ফান্ডের ক্ষেত্রে দাম বাড়ার তালিকা বড় হলেও তালিকাভুক্ত ভালো ও মাঝারি মানের সব খাতের বেশি সংখ্যক প্রতিষ্ঠানের শেয়ার দাম কমেছে। ভালো কোম্পানি বা ১০ শতাংশ অথবা তার বেশি লভ্যাংশ দেওয়া প্রতিষ্ঠানগুলোর মধ্যে ৮২টির শেয়ার দাম বেড়েছে এবং ১০১টির দাম কমেছে। আর ৩৪টির দাম অপরিবর্তিত রয়েছে।
মাঝারি মানের বা ১০ শতাংশের কম লভ্যাংশ দেওয়া ২৯টি কোম্পানির শেয়ার দাম বাড়ার বিপরীতে ৪১টির দাম কমেছে এবং ১৩টির দাম অপরিবর্তিত রয়েছে। এছাড়া বিনিয়োগকারীদের লভ্যাংশ না দেওয়ার কারণে পঁচা ‘জেড’ গ্রুপে স্থান হওয়া কোম্পানিগুলোর মধ্যে ৩৮টির শেয়ার দাম বেড়েছে। বিপরীতে দাম কমেছে ২৬টির এবং ৩১টির দাম অপরিবর্তিত রয়েছে। সার্বিকভাবে দাম কামার তালিকায় বেশি প্রতিষ্ঠান থাকার পরও ডিএসইর প্রধান মূল্যসূচক ডিএসইএক্স আগের দিনের তুলনায় ৯ পয়েন্ট বেড়ে ৫ হাজার ২০৫ পয়েন্টে দাঁড়িয়েছে। অন্য দুই সূচকের মধ্যে ডিএসই শরিয়াহ সূচক আগের দিনের তুলনায় ৩ পয়েন্ট বেড়ে ১ হাজার ১৭২ পয়েন্টে উঠে এসেছে। আর বাছাই করা ভালো ৩০ কোম্পানি নিয়েগঠিত ডিএসই-৩০ সূচক আগের দিনের তুলনায় ৫ পয়েন্ট কমে ১ হাজার ৯২৭ পয়েন্টে অবস্থান করছে।
মূল্যসূচক বাড়ার পাশাপাশি ডিএসইতে লেনদেনের পরিমাণ বেড়েছে। দিনভর বাজারটিতে লেনদেন হয়েছে ৫৪০ কোটি ১৬ লাখ টাকা। আগের কার্যদিবসে লেনদেন হয় ৫২৭ কোটি ১৮ লাখ টাকা। সে হিসাবে আগের কার্যদিবসের তুলনায় লেনদেন বেড়েছে ১২ কোটি ৯৮ লাখ টাকা। এ লেনদেনে সবচেয়ে বড় ভূমিকা রেখেছে বাংলাদেশ শিপিং করপোরেশনের শেয়ার। টাকার অঙ্কে কোম্পানিটির ৩৮ কোটি ৩৩ লাখ টাকার শেয়ার লেনদেন হয়েছে। দ্বিতীয় স্থানে থাকা বিচ হ্যাচারির শেয়ার লেনদেন হয়েছে ২১ কোটি ৯০ লাখ টাকার। ১৭ কোটি ৪১ লাখ টাকার শেয়ার লেনদেনের মাধ্যমে তৃতীয় স্থানে রয়েছে বেক্সিমকো ফার্মা।
এছাড়া ডিএসইতে লেনদেনের দিক থেকে শীর্ষ ১০ প্রতিষ্ঠানের তালিকায় রয়েছে- সানলাইফ ইন্স্যুরেন্স, ওরিয়ন ইনফিউশন, এবি ব্যাংক ফার্স্ট মিউচুয়াল ফান্ড, শাহিনপুকুর সিরামিক, লাফার্জহোলসিম, জিপিএইচ ইস্পাত এবং নাভানা ফার্মাসিউটিক্যালস।
অন্য শেয়ারবাজার সিএসইর সার্বিক মূল্যসূচক সিএএসপিআই কমেছে ২০ পয়েন্ট। বাজারটিতে লেনদেনে অংশ নেওয়া ২১৬ প্রতিষ্ঠানের মধ্যে ৯৭টির দাম বেড়েছে। বিপরীতে দাম কমেছে ৮৬টির এবং ৩৩টির দাম অপরিবর্তিত রয়েছে। লেনদেন হয়েছে ৬ কোটি ৪৮ লাখ টাকা। আগের কার্যদিবসে লেনদেন হয় ৯ কোটি ৮২ লাখ টাকা।