এবারের বিনিয়োগ সম্মেলনে তাৎক্ষণিক বিনিয়োগের প্রতিশ্রুতির চাইতে বিদেশি বিনিয়োগের দীর্ঘমেয়াদী পাইপলাইন তৈরির মাধ্যমে সেগুলোকে দেশে নিয়ে আসায় বেশি গুরুত্ব দিচ্ছে বাংলাদেশ বিনিয়োগ উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (বিডা)। বৃহস্পতিবার ইন্টারকন্টিনেন্টাল হোটেল ঢাকায় বাংলাদেশ ইনভেস্টমেন্ট সামিট-২০২৫ এর শেষ দিনে সংবাদ সম্মেলনে এ কথা বলেন সংস্থাটির নির্বাহী সদস্য শাহ মোহাম্মদ মাহবুব।
তবে এবারের সম্মেলন থেকে কী পরিমাণ বিদেশি বিনিয়োগের প্রতিশ্রুতি পাওয়া গেছে তা এখনই তুলে ধরেননি তিনি। অংশ নেওয়া কোম্পানির সংখ্যাসহ সেই তথ্য পরে আরেকটি সংবাদ সম্মেলনে দেওয়ার কথা বলেছেন তিনি।
বিডার নির্বাহী সদস্য মাহবুব বলেন, ‘এর আগের বার সামিটেও আমরা বেশ বড় অঙ্কের একটা ফিগারের কথা জানিয়েছিলাম, যে গত সামিটে কত কমিটমেন্ট এসেছিল। কিন্তু শেষ পর্যন্ত সেটা কিন্তু ইমপ্লিমেন্টেড হয়নি। ফলে কমিটমেন্ট করে যাওয়া এবং সেটা বাস্তবায়ন করার মধ্যে পার্থক্য আছে। পাইপলাইন তৈরি করা এবং সেটাকে ভালোভাবে ট্র্যাক করার ক্ষেত্রেই আমরা বরং নজরটা দিই।’
সম্মেলনে বিদেশি উদ্যোক্তা ও প্রতিষ্ঠানের কাছ থেকে পাওয়া প্রতিশ্রুতিগুলো পরে বাস্তবায়নে আনতে নিয়মিত যোগাযোগের মধ্যে রাখতে এখন থেকে বিডা কাজ করবে বলে তুলে ধরেন তিনি। তিনি বলেন, ‘ভবিষ্যতে তাদের কাছ থেকে ফিডব্যাক নিব, কীভাবে আমরা তাদের হেল্প করতে পারব। পাইপলাইন একটা তৈরি করা গেছে। সেখানে অনেকেই আছে। সংশ্লিষ্ট সরকারি সব সংস্থা নিলে যে উদ্যোগগুলো তৈরি হয়েছে, এগুলো আমরা সফল করতে পারব বলে ধারণা করছি।’
সংবাদ সম্মেলনে একইরকম কথা বলেছেন বিডার হেড অব বিজনেস ডেভেলপমেন্ট নাহিয়ান রহমান। তিনি বলেন, ‘ব্রেক আউট সেশনগুলো থেকে আমরা মোটা দাগে বিদেশি বিনিয়োগকারীদের তিনটি জিনিস বোঝাতে চেয়েছি। একটা হচ্ছে- আমাদের সাব সেগমেন্ট বা এই খাতগুলোতে কী কী সুযোগ আছে, কী কী সম্ভাব্যতা আছে বিনিয়োগের। দ্বিতীয়ত, আমাদের লোকাল ইনভেস্টমেন্ট ইকোসিস্টেমে যারা আছেন, ওদের সাথে আসলে বিদেশিদের কানেকশন বা ম্যাচমেকিং করিয়ে দেওয়া। বিদেশি বিনিয়োগকারীদের সাথে দেশি প্রতিষ্ঠানগুলোর সংযোগ করিয়ে দেওয়া। তিন নম্বর হচ্ছে, আজকে কানেকশনের পরে এর পরের পদক্ষেপগুলো নিয়ে ‘মিট টু লং টার্মের’ একটা রোডম্যাপ তৈরি করা।’
সম্মেলনে অংশগ্রহণকারী বিদেশি প্রতিনিধিদের সঙ্গে অধিবেশনগুলোর ফলাফলের বিষয়ে নির্বাহী সদস্য মাহবুব বলেন, ব্যাংকিং খাতে ‘ডিজিটালাইজেশন’ বাড়ানো, ডিজাইনের পর্ব পেরিয়ে সেমিকন্ডাক্টর খাতের পরের পর্বে উত্তরণ, বস্ত্র খাতে বিনিয়োগ নিয়ে গুরুত্বপূর্ণ আলোচনা হয়েছে। অংশগ্রহণকারীরা পণ্য আমদানি-রপ্তানিতে বন্দরে শুল্ক ও বাধার বিষয়গুলো সহজ করার মাধ্যমে ব্যবসার প্রতিবন্ধকতা কমানোর ওপর জোর দিয়েছেন।
এবারের সম্মেলনের নতুনত্বের বিষয়ে তিনি বলেন, ‘এবারের সামিটে নতুন যেটি হয়েছে, সরকারি যে সমস্ত সংস্থা ছিল, বিডা, বেজা, বিদ্যুৎ বিভাগ, পরিবেশ বিভাগ, এনবিআর বাংলাদেশ ব্যাংক প্রত্যেকের জন্য আলাদা করে একটি কক্ষ ছিল এবং বিনিয়োগকারীদের যারা এসেছে, তাদের যাদের ওই বিষয়ে আলাপ করার ছিল, তারা সরাসরি এই রুমে এসে কথা বলতে পেরেছেন। অন্যান্যবার যেটা হয়, তারা সামিটে আসেন, কিন্তু কথা বলার লোক পান না, এবার এটা আমরা খুব ভালোভাবে ম্যানেজ করতে পেরেছি।’
বিনিয়োগকারীরা এবার বিনিয়োগ পরিবেশ নিয়ে কোনো সমস্যার কথা বলেছেন কি না এমন প্রশ্নে নাহিয়ান বলেন, ‘এবার সে ধরনের সুযোগ ছিল না। আগে ৬০/৬৫ জন মন্ত্রী-প্রতিমন্ত্রী ছিলেন। বিনিয়োগ সম্পর্কিত কাজগুলো সম্পাদন করতে তাদের দপ্তরে দীর্ঘ সময় ঘুরতে হত। এখন সেসব সমস্যা নেই, দ্রুততম সময়ের মধ্যে বিনিয়োগের যাবতীয় কাজ সম্পন্ন হবে।’
সংবাদ সম্মেলনে প্রধান উপদেষ্টার উপ প্রেস সচিব আবুল কালাম আজাদ মজুমদার, বাংলাদেশ অর্থনৈতিক অঞ্চল কর্তৃপক্ষের (বেজা) মহাপরিচালক দয়ানন্দ দেবনাথ উপস্থিত ছিলেন।
শুক্রবার, ১১ এপ্রিল ২০২৫
এবারের বিনিয়োগ সম্মেলনে তাৎক্ষণিক বিনিয়োগের প্রতিশ্রুতির চাইতে বিদেশি বিনিয়োগের দীর্ঘমেয়াদী পাইপলাইন তৈরির মাধ্যমে সেগুলোকে দেশে নিয়ে আসায় বেশি গুরুত্ব দিচ্ছে বাংলাদেশ বিনিয়োগ উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (বিডা)। বৃহস্পতিবার ইন্টারকন্টিনেন্টাল হোটেল ঢাকায় বাংলাদেশ ইনভেস্টমেন্ট সামিট-২০২৫ এর শেষ দিনে সংবাদ সম্মেলনে এ কথা বলেন সংস্থাটির নির্বাহী সদস্য শাহ মোহাম্মদ মাহবুব।
তবে এবারের সম্মেলন থেকে কী পরিমাণ বিদেশি বিনিয়োগের প্রতিশ্রুতি পাওয়া গেছে তা এখনই তুলে ধরেননি তিনি। অংশ নেওয়া কোম্পানির সংখ্যাসহ সেই তথ্য পরে আরেকটি সংবাদ সম্মেলনে দেওয়ার কথা বলেছেন তিনি।
বিডার নির্বাহী সদস্য মাহবুব বলেন, ‘এর আগের বার সামিটেও আমরা বেশ বড় অঙ্কের একটা ফিগারের কথা জানিয়েছিলাম, যে গত সামিটে কত কমিটমেন্ট এসেছিল। কিন্তু শেষ পর্যন্ত সেটা কিন্তু ইমপ্লিমেন্টেড হয়নি। ফলে কমিটমেন্ট করে যাওয়া এবং সেটা বাস্তবায়ন করার মধ্যে পার্থক্য আছে। পাইপলাইন তৈরি করা এবং সেটাকে ভালোভাবে ট্র্যাক করার ক্ষেত্রেই আমরা বরং নজরটা দিই।’
সম্মেলনে বিদেশি উদ্যোক্তা ও প্রতিষ্ঠানের কাছ থেকে পাওয়া প্রতিশ্রুতিগুলো পরে বাস্তবায়নে আনতে নিয়মিত যোগাযোগের মধ্যে রাখতে এখন থেকে বিডা কাজ করবে বলে তুলে ধরেন তিনি। তিনি বলেন, ‘ভবিষ্যতে তাদের কাছ থেকে ফিডব্যাক নিব, কীভাবে আমরা তাদের হেল্প করতে পারব। পাইপলাইন একটা তৈরি করা গেছে। সেখানে অনেকেই আছে। সংশ্লিষ্ট সরকারি সব সংস্থা নিলে যে উদ্যোগগুলো তৈরি হয়েছে, এগুলো আমরা সফল করতে পারব বলে ধারণা করছি।’
সংবাদ সম্মেলনে একইরকম কথা বলেছেন বিডার হেড অব বিজনেস ডেভেলপমেন্ট নাহিয়ান রহমান। তিনি বলেন, ‘ব্রেক আউট সেশনগুলো থেকে আমরা মোটা দাগে বিদেশি বিনিয়োগকারীদের তিনটি জিনিস বোঝাতে চেয়েছি। একটা হচ্ছে- আমাদের সাব সেগমেন্ট বা এই খাতগুলোতে কী কী সুযোগ আছে, কী কী সম্ভাব্যতা আছে বিনিয়োগের। দ্বিতীয়ত, আমাদের লোকাল ইনভেস্টমেন্ট ইকোসিস্টেমে যারা আছেন, ওদের সাথে আসলে বিদেশিদের কানেকশন বা ম্যাচমেকিং করিয়ে দেওয়া। বিদেশি বিনিয়োগকারীদের সাথে দেশি প্রতিষ্ঠানগুলোর সংযোগ করিয়ে দেওয়া। তিন নম্বর হচ্ছে, আজকে কানেকশনের পরে এর পরের পদক্ষেপগুলো নিয়ে ‘মিট টু লং টার্মের’ একটা রোডম্যাপ তৈরি করা।’
সম্মেলনে অংশগ্রহণকারী বিদেশি প্রতিনিধিদের সঙ্গে অধিবেশনগুলোর ফলাফলের বিষয়ে নির্বাহী সদস্য মাহবুব বলেন, ব্যাংকিং খাতে ‘ডিজিটালাইজেশন’ বাড়ানো, ডিজাইনের পর্ব পেরিয়ে সেমিকন্ডাক্টর খাতের পরের পর্বে উত্তরণ, বস্ত্র খাতে বিনিয়োগ নিয়ে গুরুত্বপূর্ণ আলোচনা হয়েছে। অংশগ্রহণকারীরা পণ্য আমদানি-রপ্তানিতে বন্দরে শুল্ক ও বাধার বিষয়গুলো সহজ করার মাধ্যমে ব্যবসার প্রতিবন্ধকতা কমানোর ওপর জোর দিয়েছেন।
এবারের সম্মেলনের নতুনত্বের বিষয়ে তিনি বলেন, ‘এবারের সামিটে নতুন যেটি হয়েছে, সরকারি যে সমস্ত সংস্থা ছিল, বিডা, বেজা, বিদ্যুৎ বিভাগ, পরিবেশ বিভাগ, এনবিআর বাংলাদেশ ব্যাংক প্রত্যেকের জন্য আলাদা করে একটি কক্ষ ছিল এবং বিনিয়োগকারীদের যারা এসেছে, তাদের যাদের ওই বিষয়ে আলাপ করার ছিল, তারা সরাসরি এই রুমে এসে কথা বলতে পেরেছেন। অন্যান্যবার যেটা হয়, তারা সামিটে আসেন, কিন্তু কথা বলার লোক পান না, এবার এটা আমরা খুব ভালোভাবে ম্যানেজ করতে পেরেছি।’
বিনিয়োগকারীরা এবার বিনিয়োগ পরিবেশ নিয়ে কোনো সমস্যার কথা বলেছেন কি না এমন প্রশ্নে নাহিয়ান বলেন, ‘এবার সে ধরনের সুযোগ ছিল না। আগে ৬০/৬৫ জন মন্ত্রী-প্রতিমন্ত্রী ছিলেন। বিনিয়োগ সম্পর্কিত কাজগুলো সম্পাদন করতে তাদের দপ্তরে দীর্ঘ সময় ঘুরতে হত। এখন সেসব সমস্যা নেই, দ্রুততম সময়ের মধ্যে বিনিয়োগের যাবতীয় কাজ সম্পন্ন হবে।’
সংবাদ সম্মেলনে প্রধান উপদেষ্টার উপ প্রেস সচিব আবুল কালাম আজাদ মজুমদার, বাংলাদেশ অর্থনৈতিক অঞ্চল কর্তৃপক্ষের (বেজা) মহাপরিচালক দয়ানন্দ দেবনাথ উপস্থিত ছিলেন।