বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর আহসান এইচ মনসুর জানিয়েছেন, বিদেশে পাচার হওয়া সম্পদের একটি বড় অংশ আগামী ছয় মাসের মধ্যে জব্দ করা হবে। এ লক্ষ্যে বিভিন্ন দেশ ও আন্তর্জাতিক আইনি সংস্থার সঙ্গে যোগাযোগ করা হচ্ছে। চিঠি দেওয়া হচ্ছে সংশ্লিষ্ট সংস্থাগুলোকে। ইতিমধ্যে কয়েকটি আন্তর্জাতিক সম্পদ যাচাইকারী প্রতিষ্ঠানের সহায়তা পাওয়া যাচ্ছে বলেও জানান তিনি।
শুক্রবার বাংলাদেশ ব্যাংকের চট্টগ্রাম কার্যালয়ে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা বলেন গভর্নর। “মানি লন্ডারিং প্রতিরোধ কার্যক্রম ও সমসাময়িক ব্যাংকিং” বিষয়ে এই সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করা হয়।
গভর্নর বলেন, “এই উদ্যোগ একেবারেই নতুন। বিদেশি আইনের সঙ্গে সমন্বয় করে এ প্রক্রিয়া সম্পন্ন করতে হবে। কোন দেশে, কোথায় কী পরিমাণ সম্পদ আছে, তা চিহ্নিত করেই জব্দের প্রক্রিয়া শুরু হবে। এরপর আদালতের মাধ্যমে পরবর্তী পদক্ষেপ নেওয়া হবে।”
সংবাদ সম্মেলনে গভর্নর জানান, আগে দেশে প্রকৃত মুদ্রাস্ফীতি আড়াল করা হতো। খাদ্য মুদ্রাস্ফীতি ৯-১০ শতাংশ দেখানো হলেও প্রকৃত হার ছিল ১৩-১৪ শতাংশ। তবে গত মাসে এটি ৮-৯ শতাংশে নেমে এসেছে। আগামী বছর তা ৫ শতাংশ বা তার নিচে নামিয়ে আনার সম্ভাবনা রয়েছে বলেও আশা প্রকাশ করেন তিনি।
দেশ থেকে কত পরিমাণ অর্থ পাচার হয়েছে— জানতে চাইলে গভর্নর বলেন, “আমার ধারণা, আড়াই থেকে তিন লাখ কোটি টাকা পাচার হয়েছে। এর মধ্যে চট্টগ্রামের কয়েকটি বড় শিল্পগোষ্ঠী ও তাদের পরিবার রয়েছে। শুধু বেক্সিমকোরই প্রায় ৫০ হাজার কোটি টাকার মতো পাচার হয়েছে। এগুলো বড় গ্রুপের তথ্য; ছোট গ্রুপগুলোর তথ্য এখনো বিশ্লেষণে আসেনি।”
অর্থ পাচারে বাংলাদেশ ব্যাংকের কোনো কর্মকর্তার সম্পৃক্ততা আছে কি না— জানতে চাইলে তিনি বলেন, “সুনির্দিষ্ট প্রমাণ ছাড়া কাউকে চাকরি থেকে বরখাস্ত করা হবে না। যদি দুদক বা গোয়েন্দা সংস্থাগুলো তথ্য দেয়, তাহলে অবশ্যই ব্যবস্থা নেওয়া হবে। ইতিমধ্যে যাদের বিরুদ্ধে তথ্য রয়েছে, তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।”
সংবাদ সম্মেলনে উপপরিচালক মো. জোবাইর হোসেনের সঞ্চালনায় আরও উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ ব্যাংকের নির্বাহী পরিচালক মো. জামাল উদ্দিন, বিএফআইইউর পরিচালক মো. আনিসুর রহমান, চট্টগ্রাম কার্যালয়ের পরিচালক মো. সালাহ উদ্দীন, মো. আরিফুজ্জামান, মো. আশিকুর রহমান ও স্বরুপ কুমার চৌধুরী।
শনিবার, ১২ এপ্রিল ২০২৫
বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর আহসান এইচ মনসুর জানিয়েছেন, বিদেশে পাচার হওয়া সম্পদের একটি বড় অংশ আগামী ছয় মাসের মধ্যে জব্দ করা হবে। এ লক্ষ্যে বিভিন্ন দেশ ও আন্তর্জাতিক আইনি সংস্থার সঙ্গে যোগাযোগ করা হচ্ছে। চিঠি দেওয়া হচ্ছে সংশ্লিষ্ট সংস্থাগুলোকে। ইতিমধ্যে কয়েকটি আন্তর্জাতিক সম্পদ যাচাইকারী প্রতিষ্ঠানের সহায়তা পাওয়া যাচ্ছে বলেও জানান তিনি।
শুক্রবার বাংলাদেশ ব্যাংকের চট্টগ্রাম কার্যালয়ে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা বলেন গভর্নর। “মানি লন্ডারিং প্রতিরোধ কার্যক্রম ও সমসাময়িক ব্যাংকিং” বিষয়ে এই সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করা হয়।
গভর্নর বলেন, “এই উদ্যোগ একেবারেই নতুন। বিদেশি আইনের সঙ্গে সমন্বয় করে এ প্রক্রিয়া সম্পন্ন করতে হবে। কোন দেশে, কোথায় কী পরিমাণ সম্পদ আছে, তা চিহ্নিত করেই জব্দের প্রক্রিয়া শুরু হবে। এরপর আদালতের মাধ্যমে পরবর্তী পদক্ষেপ নেওয়া হবে।”
সংবাদ সম্মেলনে গভর্নর জানান, আগে দেশে প্রকৃত মুদ্রাস্ফীতি আড়াল করা হতো। খাদ্য মুদ্রাস্ফীতি ৯-১০ শতাংশ দেখানো হলেও প্রকৃত হার ছিল ১৩-১৪ শতাংশ। তবে গত মাসে এটি ৮-৯ শতাংশে নেমে এসেছে। আগামী বছর তা ৫ শতাংশ বা তার নিচে নামিয়ে আনার সম্ভাবনা রয়েছে বলেও আশা প্রকাশ করেন তিনি।
দেশ থেকে কত পরিমাণ অর্থ পাচার হয়েছে— জানতে চাইলে গভর্নর বলেন, “আমার ধারণা, আড়াই থেকে তিন লাখ কোটি টাকা পাচার হয়েছে। এর মধ্যে চট্টগ্রামের কয়েকটি বড় শিল্পগোষ্ঠী ও তাদের পরিবার রয়েছে। শুধু বেক্সিমকোরই প্রায় ৫০ হাজার কোটি টাকার মতো পাচার হয়েছে। এগুলো বড় গ্রুপের তথ্য; ছোট গ্রুপগুলোর তথ্য এখনো বিশ্লেষণে আসেনি।”
অর্থ পাচারে বাংলাদেশ ব্যাংকের কোনো কর্মকর্তার সম্পৃক্ততা আছে কি না— জানতে চাইলে তিনি বলেন, “সুনির্দিষ্ট প্রমাণ ছাড়া কাউকে চাকরি থেকে বরখাস্ত করা হবে না। যদি দুদক বা গোয়েন্দা সংস্থাগুলো তথ্য দেয়, তাহলে অবশ্যই ব্যবস্থা নেওয়া হবে। ইতিমধ্যে যাদের বিরুদ্ধে তথ্য রয়েছে, তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।”
সংবাদ সম্মেলনে উপপরিচালক মো. জোবাইর হোসেনের সঞ্চালনায় আরও উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ ব্যাংকের নির্বাহী পরিচালক মো. জামাল উদ্দিন, বিএফআইইউর পরিচালক মো. আনিসুর রহমান, চট্টগ্রাম কার্যালয়ের পরিচালক মো. সালাহ উদ্দীন, মো. আরিফুজ্জামান, মো. আশিকুর রহমান ও স্বরুপ কুমার চৌধুরী।