আন্তর্জাতিক বাজারের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে দেশের বাজারেও স্বর্ণের দাম অতীতের সব রেকর্ড ছাড়াল। বৃহস্পতিবার, (১৭ এপ্রিল) থেকে সবচেয়ে ভালো মানের (২২ ক্যারেট) প্রতিভরি স্বর্ণ ১ লাখ ৬৫ হাজার ২০৯ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। ভরিতে বেড়েছে ৩ হাজার ৩৩ টাকা। অন্যান্য মানের স্বর্ণের দরও প্রায় একই হারে কমানোর ঘোষণা দিয়েছে দেশের স্বর্ণ ব্যবসায়ীদের সংগঠন বাংলাদেশ জুয়েলার্স সমিতি (বাজুস)।
বিশ্ব বাজারেও স্বর্ণের দর অতীতের সব রেকর্ড ছাড়িয়েছে। আউন্স ৩ হাজার ৩০০ ডলারের মাইলফলক অতিক্রম করেছে
সবশেষ গত ১৩ এপ্রিল (রোববার) ২২ ক্যারেট মানের স্বর্ণের দাম ভরিতে ১ হাজার ৩৮ টাকা কমানো হয়েছিল। ভরি নেমেছিল ১ লাখ ৬২ হাজার ১৭৬ টাকায়। ১৪ এপ্রিল (সোমবার) থেকে এই দরে বিক্রি হচ্ছিল। তার আগে ভরিতে ৪ হাজার ১৮৭ টাকা বাড়ানোয় এই মানের স্বর্ণের ভরি ১ লাখ ৬৩ হাজার ২১৪ টাকায় উঠেছিল যা ছিল এতদিন সর্বোচ্চ।
ঈদের আগে কয়েক দফা বাড়ায় ২২ ক্যারেট মানের স্বর্ণের ভরি ১ লাখ ৫৭ হাজার ৮৭২ টাকায় ওঠে। যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের শুল্কের ধাক্কায় বিশ্ব বাজারে স্বর্ণের দরপতন হয়। তার সঙ্গে সমন্বয় করে গত ৮ এপ্রিল দেশের বাজারেও সব মানের স্বর্ণের দাম কমানো হয়। ওই দিন ২২ ক্যারেট স্বর্ণের দর ভরিতে ১ হাজার ২৪৮ টাকা কমানো হয়। ভরি নামে ১ লাখ ৫৬ হাজার ৬২৪ টাকায়। ৯ এপ্রিল (বুধবার) থেকে কার্যকর হয় ওই দর।
১০ এপ্রিল ডোনাল্ড ট্রাম্প চীন ছাড়া অন্য সব দেশের পাল্টা শুল্ক ৯০ দিন স্থগিতের ঘোষণা দেওয়ার পর বিশ্ববাজারে ফের চড়তে থাকে স্বর্ণের দর। অতীতের সব রেকর্ড ছাড়িয়ে প্রতি আউন্স (৩১.১০৩৪৭৬৮ গ্রাম) স্বর্ণের দর ৩ হাজার ২০০ ডলার ছাড়িয়ে যায়। এর আগে কখনই আন্তর্জাতিক বাজারে স্বর্ণের দর ৩ হাজার ২০০ ডলার ছাড়ায়নি। বুধবার সেই মাইলফলকও অতিক্রম করেছে, ছাড়িয়েছে ৩ হাজার ৩০০ ডলার। বিশ্ববাজারের সঙ্গে সমন্বয় করে দেশের বাজারেও স্বর্ণের দাম বাড়িয়েছে বাজুস।
ঈদের দুই দিন আগে ২৯ মার্চ ২২ ক্যারেট মানের স্বর্ণের দাম ভরিতে ১ হাজার ৭৭৩ টাকা বাড়ানো হয়েছিল। তার তিন দিন আগে ২৬ মার্চ বাড়ানো হয় ভরিতে ১ হাজার ১৫৫ টাকা। চড়তে চড়তে গত ২১ ফেব্রুয়ারি ২২ ক্যারেট মানের স্বর্ণের ভরি ১ লাখ ৫৪ হাজার ৫২৫ টাকায় উঠেছিল। পরে অবশ্য কয়েক দফায় কমে ভরি দেড় লাখ টাকার নিচে নেমে এসেছিল।
গত ১৬ মার্চ ২২ ক্যারেট স্বর্ণের দাম ভরিতে ২ হাজার ৬১৩ টাকা বাড়ানো হয়েছিল, ভরি ওঠেছিল ১ লাখ ৫৩ হাজার ৪৭৫ টাকায়। ১৭ মার্চ থেকে কার্যকর হয়েছিল ওই দর। তার আগে তিন দফায় ৬ হাজার ১৮২ টাকা কমানোর পর গত ৪ মার্চ এক দিনেই ২২ ক্যারেট মানের স্বর্ণের দাম ভরিতে ৩ হাজার ৫৫৮ টাকা বাড়ানোর ঘোষণা দেয় বাজুস। ৫ মার্চ থেকে ওই দর কার্যকর হয়।
তিন দিনের ব্যবধানে ৮ মার্চ প্রতিভরি স্বর্ণের দাম ১ হাজার ৩৮ টাকা কমানো হয়। ৯ মার্চ থেকে ওই দর কার্যকর হয়। ভরি নেমেছিল ১ লাখ ৫০ হাজার ৮৬২ টাকায়। ১ মার্চ ২ হাজার ৬২৪ টাকা কমানোয় ভরি দেড় লাখ টাকার নিচে ১ লাখ ৪৮ হাজার ৩৪৩ টাকায় নেমেছিল।
বিশ্ব বাজারের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে ওই সময় দেশের বাজারেও স্বর্ণের দাম লাফিয়ে লাফিয়ে বেড়েছিল। রেকর্ডের পর রেকর্ড গড়েছিল। টানা আট দফায় প্রতিভরি ২২ ক্যারেট স্বর্ণের দাম বেড়েছিল ১৬ হাজার ২৩৬ টাকা। এর পর ছয় দিনের ব্যবধানে তিন দফায় ৬ হাজার ১৮২ টাকা কমে সেই স্বর্ণের ভরি দেড় লাখ টাকার নিচে নেমে এসেছিল।
বাজুসের নতুন ঘোষণা অনুযায়ী, সোমবার থেকে দেশের বাজারে হলমার্ক করা এক গ্রাম ২২ ক্যারেট সোনা কিনতে ১৪ হাজার ১৬৪ টাকা লাগবে। ১১ দশমিক ৬৬৪ গ্রামে এক ভরি হিসাবে প্রতিভরিতে খরচ হবে ১ লাখ ৬৫ হাজার ২০৯ টাকা। ২১ ক্যারেটের প্রতিভরি স্বর্ণ কিনতে লাগবে ১ লাখ ৫৭ হাজার ৬৯৭ টাকা। ১৮ ক্যারেটে লাগবে ১ লাখ ৩৫ হাজার ১৭৪ টাকা। আর সনাতন পদ্ধতির এক ভরি স্বর্ণ বিক্রি হবে ১ লাখ ১১ হাজার ৬৫৯ টাকায়।
বুধবার পর্যন্ত এক গ্রাম ২২ ক্যারেট স্বর্ণ কিনতে ১৩ হাজার ৯০৪ টাকা লেগেছে। প্রতিভরিতে খরচ হয়েছে ১ লাখ ৬২ হাজার ৫৯৬ টাকা। ২১ ক্যারেটের প্রতিভরি স্বর্ণ কিনতে লেগেছে ১ লাখ ৫৭ হাজার ৬৯৭ টাকা। ১৮ ক্যারেটে লেগেছে ১ লাখ ৩৫ হাজার ১৭৪ টাকা। আর সনাতন পদ্ধতির এক ভরি স্বর্ণ বিক্রি হয়েছে ১ লাখ ১১ হাজার ৬৫৯ টাকা।
হিসাব বলছে, তিন দিনের ব্যবধানে প্রতিভরি ২২ ক্যারেট স্বর্ণের দাম বেড়েছে ৩ হাজার ৩৩ টাকা। ২১ ক্যারেটের দাম বেড়েছে ২ হাজার ৮৯৩ টাকা। ১৮ ক্যারেটের বেড়েছে ২ হাজার ৪৮৪ টাকা।
সনাতন পদ্ধতির প্রতিভরির দাম বেড়েছে ২ হাজার ১২৩ টাকা। গত বছরের ৩০ ডিসেম্বর ২২ ক্যারেট মানের স্বর্ণের দাম ভরিতে ১ হাজার ৫০ টাকা কমানো হয়েছিল। ২৩ ডিসেম্বর কমানো হয় ১ হাজার ২৪৮ টাকা। ১৯ ডিসেম্বর ২ হাজার ৮৮ টাকা বাড়ানো হয়েছিল; ১৫ ডিসেম্বর ১ হাজার ৭৭৩ টাকা কমানো হয়েছিল। ১২ ডিসেম্বর বাড়ানো হয় ১ হাজার ৮৭৮ টাকা। এভাবে উঠানামার মধ্যে দিয়েই শেষ হয়েছিল ২০২৪ সাল। গত বছরে মূল্যবান এই ধাতুর দর ৩৫ বার বেড়েছিল; কমেছিল ২৭ বার।
তবে ২০২৫ সালের শুরুতে স্বর্ণের দাম টানা বাড়ছিল। প্রথম বাড়ে ১৫ জানুয়ারি, এরপর টানা আট দফা বাড়ে। এরমধ্যে ২০২৫ সালের প্রথম মাস জানুয়ারিতে বেড়েছিল তিন বার। আর ফেব্রুয়ারি মাসের ২০ তারিখ পর্যন্ত বাড়ে পাঁচ বার। এর পর বিশ্ব বাজারের সঙ্গে দেশের বাজারেও স্বর্ণের দর নিম্মমূখী হয়। ২৪ ফেব্রুয়ারি ২২ ক্যারেটের দাম কমে ভরিতে ১ হাজার ১৫৫ টাকা। ২৭ ফেব্রুয়ারি ভরিতে ২ হাজার ৪০৩ টাকা কমানো হয়। গত মার্চ মাসে দেশের বাজারে স্বর্ণের দাম দুই দফা কমেছে; বেড়েছে পাঁচ বার। আর চলতি এপ্রিল মাসে এ পর্যন্ত তিন দফা বাড়ল; কমেছে দুই বার।
বুধবার রাতে বাজুসের মূল্য নির্ধারণ ও মূল্য পর্যবেক্ষণ স্থায়ী কমিটির চেয়ারম্যান মাসুদুর রহমানের সই করা সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে স্বর্ণের দাম বাড়ানোর ঘোষণা দিয়ে বলা হয়, স্থানীয় বাজারে তেজাবি স্বর্ণের (পিওর গোল্ড) মূল্য বৃদ্ধি পেয়েছে। সার্বিক পরিস্থিতি বিবেচনায় নিয়ে স্বর্ণের নতুন দাম নির্ধারণ করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার,(১৭ এপ্রিল) থেকে নতুন দর কার্যকর হয়েছে।
বিশ্ব বাজারেও স্বর্ণের দর অতীতের সব রেকর্ড ছাড়িয়েছে। আউন্স ৩ হাজার ৩০০ ডলারের মাইলফলক অতিক্রম করেছে।
গত ২ এপ্রিল ট্রাম্পের শুল্ক আরোপের ঘোষণার আগে এক সপ্তাহের মধ্যে প্রতি আউন্স স্বর্ণের দাম ৩ হাজার ৩৭ ডলার থেকে বেড়ে ৩ হাজার ১৬২ ডলারে উঠে গিয়েছিল। পরে সেই স্বর্ণের দর ৩ হাজার ডলারে নেমে আসে। গত কয়েক দিনে তা ফের বেড়ে অতীতের সব রেকর্ড ছাড়িয়েছে।
বুধবার রাত ৯টায় বিশ্ব বাজারে প্রতি আউন্স স্বর্ণের দাম ৯০ ডলার ৪৮ সেন্ট বেড়ে ৩ হাজার ৩১২ ডলার ৭৫ সেন্টে উঠেছে। শতাংশ হিসাবে বেড়েছে ২ দশমিক ৮১ শতাংশ। গত ১৩ এপ্রিল রাতে বাজুস যখন দেশের বাজারে স্বর্ণের দাম বাড়ানোর ঘোষণা দেয় তখন বিশ্ব বাজারে প্রতি আউন্স স্বর্ণের দর ছিল ৩ হাজার ২৩৮ ডলার ৮২ সেন্ট।
বৃহস্পতিবার, ১৭ এপ্রিল ২০২৫
আন্তর্জাতিক বাজারের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে দেশের বাজারেও স্বর্ণের দাম অতীতের সব রেকর্ড ছাড়াল। বৃহস্পতিবার, (১৭ এপ্রিল) থেকে সবচেয়ে ভালো মানের (২২ ক্যারেট) প্রতিভরি স্বর্ণ ১ লাখ ৬৫ হাজার ২০৯ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। ভরিতে বেড়েছে ৩ হাজার ৩৩ টাকা। অন্যান্য মানের স্বর্ণের দরও প্রায় একই হারে কমানোর ঘোষণা দিয়েছে দেশের স্বর্ণ ব্যবসায়ীদের সংগঠন বাংলাদেশ জুয়েলার্স সমিতি (বাজুস)।
বিশ্ব বাজারেও স্বর্ণের দর অতীতের সব রেকর্ড ছাড়িয়েছে। আউন্স ৩ হাজার ৩০০ ডলারের মাইলফলক অতিক্রম করেছে
সবশেষ গত ১৩ এপ্রিল (রোববার) ২২ ক্যারেট মানের স্বর্ণের দাম ভরিতে ১ হাজার ৩৮ টাকা কমানো হয়েছিল। ভরি নেমেছিল ১ লাখ ৬২ হাজার ১৭৬ টাকায়। ১৪ এপ্রিল (সোমবার) থেকে এই দরে বিক্রি হচ্ছিল। তার আগে ভরিতে ৪ হাজার ১৮৭ টাকা বাড়ানোয় এই মানের স্বর্ণের ভরি ১ লাখ ৬৩ হাজার ২১৪ টাকায় উঠেছিল যা ছিল এতদিন সর্বোচ্চ।
ঈদের আগে কয়েক দফা বাড়ায় ২২ ক্যারেট মানের স্বর্ণের ভরি ১ লাখ ৫৭ হাজার ৮৭২ টাকায় ওঠে। যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের শুল্কের ধাক্কায় বিশ্ব বাজারে স্বর্ণের দরপতন হয়। তার সঙ্গে সমন্বয় করে গত ৮ এপ্রিল দেশের বাজারেও সব মানের স্বর্ণের দাম কমানো হয়। ওই দিন ২২ ক্যারেট স্বর্ণের দর ভরিতে ১ হাজার ২৪৮ টাকা কমানো হয়। ভরি নামে ১ লাখ ৫৬ হাজার ৬২৪ টাকায়। ৯ এপ্রিল (বুধবার) থেকে কার্যকর হয় ওই দর।
১০ এপ্রিল ডোনাল্ড ট্রাম্প চীন ছাড়া অন্য সব দেশের পাল্টা শুল্ক ৯০ দিন স্থগিতের ঘোষণা দেওয়ার পর বিশ্ববাজারে ফের চড়তে থাকে স্বর্ণের দর। অতীতের সব রেকর্ড ছাড়িয়ে প্রতি আউন্স (৩১.১০৩৪৭৬৮ গ্রাম) স্বর্ণের দর ৩ হাজার ২০০ ডলার ছাড়িয়ে যায়। এর আগে কখনই আন্তর্জাতিক বাজারে স্বর্ণের দর ৩ হাজার ২০০ ডলার ছাড়ায়নি। বুধবার সেই মাইলফলকও অতিক্রম করেছে, ছাড়িয়েছে ৩ হাজার ৩০০ ডলার। বিশ্ববাজারের সঙ্গে সমন্বয় করে দেশের বাজারেও স্বর্ণের দাম বাড়িয়েছে বাজুস।
ঈদের দুই দিন আগে ২৯ মার্চ ২২ ক্যারেট মানের স্বর্ণের দাম ভরিতে ১ হাজার ৭৭৩ টাকা বাড়ানো হয়েছিল। তার তিন দিন আগে ২৬ মার্চ বাড়ানো হয় ভরিতে ১ হাজার ১৫৫ টাকা। চড়তে চড়তে গত ২১ ফেব্রুয়ারি ২২ ক্যারেট মানের স্বর্ণের ভরি ১ লাখ ৫৪ হাজার ৫২৫ টাকায় উঠেছিল। পরে অবশ্য কয়েক দফায় কমে ভরি দেড় লাখ টাকার নিচে নেমে এসেছিল।
গত ১৬ মার্চ ২২ ক্যারেট স্বর্ণের দাম ভরিতে ২ হাজার ৬১৩ টাকা বাড়ানো হয়েছিল, ভরি ওঠেছিল ১ লাখ ৫৩ হাজার ৪৭৫ টাকায়। ১৭ মার্চ থেকে কার্যকর হয়েছিল ওই দর। তার আগে তিন দফায় ৬ হাজার ১৮২ টাকা কমানোর পর গত ৪ মার্চ এক দিনেই ২২ ক্যারেট মানের স্বর্ণের দাম ভরিতে ৩ হাজার ৫৫৮ টাকা বাড়ানোর ঘোষণা দেয় বাজুস। ৫ মার্চ থেকে ওই দর কার্যকর হয়।
তিন দিনের ব্যবধানে ৮ মার্চ প্রতিভরি স্বর্ণের দাম ১ হাজার ৩৮ টাকা কমানো হয়। ৯ মার্চ থেকে ওই দর কার্যকর হয়। ভরি নেমেছিল ১ লাখ ৫০ হাজার ৮৬২ টাকায়। ১ মার্চ ২ হাজার ৬২৪ টাকা কমানোয় ভরি দেড় লাখ টাকার নিচে ১ লাখ ৪৮ হাজার ৩৪৩ টাকায় নেমেছিল।
বিশ্ব বাজারের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে ওই সময় দেশের বাজারেও স্বর্ণের দাম লাফিয়ে লাফিয়ে বেড়েছিল। রেকর্ডের পর রেকর্ড গড়েছিল। টানা আট দফায় প্রতিভরি ২২ ক্যারেট স্বর্ণের দাম বেড়েছিল ১৬ হাজার ২৩৬ টাকা। এর পর ছয় দিনের ব্যবধানে তিন দফায় ৬ হাজার ১৮২ টাকা কমে সেই স্বর্ণের ভরি দেড় লাখ টাকার নিচে নেমে এসেছিল।
বাজুসের নতুন ঘোষণা অনুযায়ী, সোমবার থেকে দেশের বাজারে হলমার্ক করা এক গ্রাম ২২ ক্যারেট সোনা কিনতে ১৪ হাজার ১৬৪ টাকা লাগবে। ১১ দশমিক ৬৬৪ গ্রামে এক ভরি হিসাবে প্রতিভরিতে খরচ হবে ১ লাখ ৬৫ হাজার ২০৯ টাকা। ২১ ক্যারেটের প্রতিভরি স্বর্ণ কিনতে লাগবে ১ লাখ ৫৭ হাজার ৬৯৭ টাকা। ১৮ ক্যারেটে লাগবে ১ লাখ ৩৫ হাজার ১৭৪ টাকা। আর সনাতন পদ্ধতির এক ভরি স্বর্ণ বিক্রি হবে ১ লাখ ১১ হাজার ৬৫৯ টাকায়।
বুধবার পর্যন্ত এক গ্রাম ২২ ক্যারেট স্বর্ণ কিনতে ১৩ হাজার ৯০৪ টাকা লেগেছে। প্রতিভরিতে খরচ হয়েছে ১ লাখ ৬২ হাজার ৫৯৬ টাকা। ২১ ক্যারেটের প্রতিভরি স্বর্ণ কিনতে লেগেছে ১ লাখ ৫৭ হাজার ৬৯৭ টাকা। ১৮ ক্যারেটে লেগেছে ১ লাখ ৩৫ হাজার ১৭৪ টাকা। আর সনাতন পদ্ধতির এক ভরি স্বর্ণ বিক্রি হয়েছে ১ লাখ ১১ হাজার ৬৫৯ টাকা।
হিসাব বলছে, তিন দিনের ব্যবধানে প্রতিভরি ২২ ক্যারেট স্বর্ণের দাম বেড়েছে ৩ হাজার ৩৩ টাকা। ২১ ক্যারেটের দাম বেড়েছে ২ হাজার ৮৯৩ টাকা। ১৮ ক্যারেটের বেড়েছে ২ হাজার ৪৮৪ টাকা।
সনাতন পদ্ধতির প্রতিভরির দাম বেড়েছে ২ হাজার ১২৩ টাকা। গত বছরের ৩০ ডিসেম্বর ২২ ক্যারেট মানের স্বর্ণের দাম ভরিতে ১ হাজার ৫০ টাকা কমানো হয়েছিল। ২৩ ডিসেম্বর কমানো হয় ১ হাজার ২৪৮ টাকা। ১৯ ডিসেম্বর ২ হাজার ৮৮ টাকা বাড়ানো হয়েছিল; ১৫ ডিসেম্বর ১ হাজার ৭৭৩ টাকা কমানো হয়েছিল। ১২ ডিসেম্বর বাড়ানো হয় ১ হাজার ৮৭৮ টাকা। এভাবে উঠানামার মধ্যে দিয়েই শেষ হয়েছিল ২০২৪ সাল। গত বছরে মূল্যবান এই ধাতুর দর ৩৫ বার বেড়েছিল; কমেছিল ২৭ বার।
তবে ২০২৫ সালের শুরুতে স্বর্ণের দাম টানা বাড়ছিল। প্রথম বাড়ে ১৫ জানুয়ারি, এরপর টানা আট দফা বাড়ে। এরমধ্যে ২০২৫ সালের প্রথম মাস জানুয়ারিতে বেড়েছিল তিন বার। আর ফেব্রুয়ারি মাসের ২০ তারিখ পর্যন্ত বাড়ে পাঁচ বার। এর পর বিশ্ব বাজারের সঙ্গে দেশের বাজারেও স্বর্ণের দর নিম্মমূখী হয়। ২৪ ফেব্রুয়ারি ২২ ক্যারেটের দাম কমে ভরিতে ১ হাজার ১৫৫ টাকা। ২৭ ফেব্রুয়ারি ভরিতে ২ হাজার ৪০৩ টাকা কমানো হয়। গত মার্চ মাসে দেশের বাজারে স্বর্ণের দাম দুই দফা কমেছে; বেড়েছে পাঁচ বার। আর চলতি এপ্রিল মাসে এ পর্যন্ত তিন দফা বাড়ল; কমেছে দুই বার।
বুধবার রাতে বাজুসের মূল্য নির্ধারণ ও মূল্য পর্যবেক্ষণ স্থায়ী কমিটির চেয়ারম্যান মাসুদুর রহমানের সই করা সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে স্বর্ণের দাম বাড়ানোর ঘোষণা দিয়ে বলা হয়, স্থানীয় বাজারে তেজাবি স্বর্ণের (পিওর গোল্ড) মূল্য বৃদ্ধি পেয়েছে। সার্বিক পরিস্থিতি বিবেচনায় নিয়ে স্বর্ণের নতুন দাম নির্ধারণ করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার,(১৭ এপ্রিল) থেকে নতুন দর কার্যকর হয়েছে।
বিশ্ব বাজারেও স্বর্ণের দর অতীতের সব রেকর্ড ছাড়িয়েছে। আউন্স ৩ হাজার ৩০০ ডলারের মাইলফলক অতিক্রম করেছে।
গত ২ এপ্রিল ট্রাম্পের শুল্ক আরোপের ঘোষণার আগে এক সপ্তাহের মধ্যে প্রতি আউন্স স্বর্ণের দাম ৩ হাজার ৩৭ ডলার থেকে বেড়ে ৩ হাজার ১৬২ ডলারে উঠে গিয়েছিল। পরে সেই স্বর্ণের দর ৩ হাজার ডলারে নেমে আসে। গত কয়েক দিনে তা ফের বেড়ে অতীতের সব রেকর্ড ছাড়িয়েছে।
বুধবার রাত ৯টায় বিশ্ব বাজারে প্রতি আউন্স স্বর্ণের দাম ৯০ ডলার ৪৮ সেন্ট বেড়ে ৩ হাজার ৩১২ ডলার ৭৫ সেন্টে উঠেছে। শতাংশ হিসাবে বেড়েছে ২ দশমিক ৮১ শতাংশ। গত ১৩ এপ্রিল রাতে বাজুস যখন দেশের বাজারে স্বর্ণের দাম বাড়ানোর ঘোষণা দেয় তখন বিশ্ব বাজারে প্রতি আউন্স স্বর্ণের দর ছিল ৩ হাজার ২৩৮ ডলার ৮২ সেন্ট।