দেশ ও বিদেশে বাংলাদেশি ক্রেডিট কার্ড ব্যবহার কমেছে ফেব্রুয়ারিতে। বাংলাদেশ ব্যাংকের সর্বশেষ পরিসংখ্যান অনুযায়ী, জানুয়ারির তুলনায় ফেব্রুয়ারিতে অভ্যন্তরীণ খরচ কমেছে ১৬ কোটি টাকা (প্রায় ৫ শতাংশ) এবং বিদেশে খরচ কমেছে ৬২ কোটি টাকা (১৬ শতাংশের বেশি)। তবে একই সময়ে বাংলাদেশে অবস্থানকারী বিদেশিদের খরচ কিছুটা বেড়েছে।
বাংলাদেশ ব্যাংকের ফেব্রুয়ারির প্রতিবেদন বলছে, গত ফেব্রুয়ারিতে দেশে ক্রেডিট কার্ডে খরচ হয়েছে ২৯৭ কোটি টাকা, যা জানুয়ারিতে ছিল ৩১৩ কোটি। ফেব্রুয়ারিতে বিদেশে খরচ কমে ৩৮৪ কোটি টাকায় দাঁড়িয়েছে, যা জানুয়ারিতে ছিল ৪৪৬ কোটি।
অন্যদিকে, বাংলাদেশে অবস্থানরত বিদেশিরা ফেব্রুয়ারিতে ক্রেডিট কার্ডে খরচ করেছেন ২৬৮ কোটি টাকা, জানুয়ারিতে যা ছিল ২৫৩ কোটি। অর্থাৎ, এক মাসের ব্যবধানে ১৫ কোটি টাকার প্রবৃদ্ধি দেখা গেছে।
পরিসংখ্যান বিশ্লেষণে দেখা যায়, রাজনৈতিক পটপরিবর্তনের পর গত আগস্ট থেকে ক্রেডিট কার্ড ব্যবহারে প্রবণতা বদলেছে। আগের মতো ভারতে নয়, এখন বাংলাদেশিরা সবচেয়ে বেশি খরচ করছেন যুক্তরাষ্ট্রে। ফেব্রুয়ারিতে যুক্তরাষ্ট্রে খরচ হয়েছে ৫২ কোটি টাকা, যেখানে জুন ২০২৪-এ ভারতে খরচ হয়েছিল ৯২ কোটি এবং যুক্তরাষ্ট্রে ৭৭ কোটি।
এখন ভারতে খরচ কমে দাঁড়িয়েছে মাত্র ২৯ কোটি টাকায়, জানুয়ারিতে যা ছিল প্রায় ৩৩ কোটি। ফলে ভারত ক্রেডিট কার্ড ব্যবহারের তালিকায় এক নম্বর স্থান থেকে নেমে এসেছে ষষ্ঠ স্থানে। বিশ্লেষকদের মতে, ভারতের ভিসা নীতিতে কড়াকড়ির কারণেই এই পতন।
ভারতের বিকল্প হিসেবে বাংলাদেশিদের মধ্যে থাইল্যান্ড ও মালয়েশিয়ার জনপ্রিয়তা বেড়েছে। ফেব্রুয়ারিতে থাইল্যান্ডে খরচ হয়েছে ৪৭ কোটি টাকা (জানুয়ারিতে ছিল ৬৪ কোটি)। সিঙ্গাপুরে খরচ হয়েছে ৩৯ কোটি, জানুয়ারিতে যা ছিল ৩৮ কোটি।
ব্যাংকারদের মতে, ফেব্রুয়ারি মাসটি ২৮ দিনের হওয়ায় সার্বিক খরচ কিছুটা কমে গেছে। এছাড়া ক্রেডিট কার্ডের সুদহার বাড়ায় ব্যবহারকারীরা খরচে কিছুটা সংযম দেখাচ্ছেন।
শনিবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৫
দেশ ও বিদেশে বাংলাদেশি ক্রেডিট কার্ড ব্যবহার কমেছে ফেব্রুয়ারিতে। বাংলাদেশ ব্যাংকের সর্বশেষ পরিসংখ্যান অনুযায়ী, জানুয়ারির তুলনায় ফেব্রুয়ারিতে অভ্যন্তরীণ খরচ কমেছে ১৬ কোটি টাকা (প্রায় ৫ শতাংশ) এবং বিদেশে খরচ কমেছে ৬২ কোটি টাকা (১৬ শতাংশের বেশি)। তবে একই সময়ে বাংলাদেশে অবস্থানকারী বিদেশিদের খরচ কিছুটা বেড়েছে।
বাংলাদেশ ব্যাংকের ফেব্রুয়ারির প্রতিবেদন বলছে, গত ফেব্রুয়ারিতে দেশে ক্রেডিট কার্ডে খরচ হয়েছে ২৯৭ কোটি টাকা, যা জানুয়ারিতে ছিল ৩১৩ কোটি। ফেব্রুয়ারিতে বিদেশে খরচ কমে ৩৮৪ কোটি টাকায় দাঁড়িয়েছে, যা জানুয়ারিতে ছিল ৪৪৬ কোটি।
অন্যদিকে, বাংলাদেশে অবস্থানরত বিদেশিরা ফেব্রুয়ারিতে ক্রেডিট কার্ডে খরচ করেছেন ২৬৮ কোটি টাকা, জানুয়ারিতে যা ছিল ২৫৩ কোটি। অর্থাৎ, এক মাসের ব্যবধানে ১৫ কোটি টাকার প্রবৃদ্ধি দেখা গেছে।
পরিসংখ্যান বিশ্লেষণে দেখা যায়, রাজনৈতিক পটপরিবর্তনের পর গত আগস্ট থেকে ক্রেডিট কার্ড ব্যবহারে প্রবণতা বদলেছে। আগের মতো ভারতে নয়, এখন বাংলাদেশিরা সবচেয়ে বেশি খরচ করছেন যুক্তরাষ্ট্রে। ফেব্রুয়ারিতে যুক্তরাষ্ট্রে খরচ হয়েছে ৫২ কোটি টাকা, যেখানে জুন ২০২৪-এ ভারতে খরচ হয়েছিল ৯২ কোটি এবং যুক্তরাষ্ট্রে ৭৭ কোটি।
এখন ভারতে খরচ কমে দাঁড়িয়েছে মাত্র ২৯ কোটি টাকায়, জানুয়ারিতে যা ছিল প্রায় ৩৩ কোটি। ফলে ভারত ক্রেডিট কার্ড ব্যবহারের তালিকায় এক নম্বর স্থান থেকে নেমে এসেছে ষষ্ঠ স্থানে। বিশ্লেষকদের মতে, ভারতের ভিসা নীতিতে কড়াকড়ির কারণেই এই পতন।
ভারতের বিকল্প হিসেবে বাংলাদেশিদের মধ্যে থাইল্যান্ড ও মালয়েশিয়ার জনপ্রিয়তা বেড়েছে। ফেব্রুয়ারিতে থাইল্যান্ডে খরচ হয়েছে ৪৭ কোটি টাকা (জানুয়ারিতে ছিল ৬৪ কোটি)। সিঙ্গাপুরে খরচ হয়েছে ৩৯ কোটি, জানুয়ারিতে যা ছিল ৩৮ কোটি।
ব্যাংকারদের মতে, ফেব্রুয়ারি মাসটি ২৮ দিনের হওয়ায় সার্বিক খরচ কিছুটা কমে গেছে। এছাড়া ক্রেডিট কার্ডের সুদহার বাড়ায় ব্যবহারকারীরা খরচে কিছুটা সংযম দেখাচ্ছেন।