আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলোর আমানত ও আগাম ঋণের সুদহারের তথ্য এখন থেকে প্রতিমাসের ১০ তারিখের মধ্যে কেন্দ্রীয় ব্যাংককে জানাতে হবে। আগাম ঋণের সুদহার সংক্রান্ত তথ্য সাতটি কোডের মাধ্যমে বাংলাদেশ ব্যাংকের ওয়েব পোর্টালে আপলোড করতে হবে। এ সংক্রান্ত নির্দেশনা দিয়েছে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের পরিসংখ্যান বিভাগ।
কেন্দ্রীয় ব্যাংক জানায়, আগাম ঋণের সুদহার সংক্রান্ত তথ্য বিদ্যমান সাতটি কোডের পাশাপাশি শেয়ার ব্যবসা, পাইকারি ও খুচরা ব্যবসা, খুচরা বা পাইকারি ব্যবসার জন্য ঋণ, লিজ ফাইন্যান্সিং, অন্যান্য বাণিজ্যিক ঋণ ইত্যাদি উদ্দেশ্যে বিতরণকৃত সব আগাম ঋণের পরিমাণ এবং সুদহার ট্রেড অ্যান্ড কমার্স নামক নতুন একটি কোডের (২৪৭০০) মাধ্যমে দাখিল করতে হবে। এছাড়া সব পণ্যের ধরনের তালিকা সংযোজনী ক-তে সংযুক্ত করা হয়েছে। সংযোজনী-ক অনুযায়ী রিপোটিং মাসের নতুন সংগৃহীত আমানত ও বিতরণকৃত আগাম তথ্য বা উপাত্ত এক্সেল ওয়ার্কশিটের মাধ্যমে পৃথকভাবে দাখিল করতে হবে। এ নির্দেশনা চলতি মাস এপ্রিল থেকে কার্যকর হবে।
এর আগে ২০১৮ সালের ৫ আগস্ট এক নির্দেশনায় কেন্দ্রীয় ব্যাংক জানিয়েছিল, ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলোর আমানত ও ঋণের সুদহারের তথ্য এখন থেকে প্রতিমাসের ১০ তারিখের মধ্যে দিতে হবে। যা তার আগে প্রতিমাসের ১৫ তারিখের মধ্যে জানানোর বাধ্যবাধকতা ছিল। বাংলাদেশ ব্যাংক এসব তথ্য-উপাত্তের ভিত্তিতে ব্যাংক ও আর্থিক খাতের একটি অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ সূচক স্প্রেড হিসাবায়ন করে থাকে যা আমানত ও আগাম ঋণের ভারিত গড় সুদ হারের ব্যবধান যৌক্তিকীকরণসহ আর্থিক নীতি নির্ধারনে ব্যবহৃত হয়ে থাকে।
মূলত কেন্দ্রীয় ব্যাংকের ওয়েবসাইটে দেশের সব ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানের সব ধরনের আমানত ও ঋণের সুদহারের তথ্য থাকে যা ঋণ, আমানতের সুদ ব্যাংক ও আর্থিক খাতের গুরুত্বপূর্ণ সূচক। এ দুইয়ের পার্থক্য থেকে আরও একটি গুরুত্বপূর্ণ সূচক (স্পেড) বের করা হয়ে থাকে।
স্বল্পমেয়াদি ঋণ নিয়ে বাংলাদেশের সঙ্গে আলোচনা চালিয়ে যাওয়ার ঘোষণা দিয়েছে আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিল (আইএমএফ)। শিগগির এ বিষয়ে একটি চুক্তিতে পৌঁছানোর জন্য বাংলাদেশের সঙ্গে বসবে সংস্থাটি। যুক্তরাষ্ট্রের ওয়াশিংটনে আইএমএফ কার্যালয়ে বিশ্বব্যাংক ও আইএমএপের বসন্তকালীন বৈঠক শুরু হবে আগামী ২১ এপ্রিল। বৈঠকে এ বিষয়ে আলোচনা হতে পারে।
বৈঠকে বাংলাদেশসহ বিশ্বের ১৯০ দেশের গভর্নর, ব্যাংকার, অর্থনীতিবিদ ও বিশ্লেষকরা যোগ দেবেন। বৈশ্বিক অর্থনৈতিক অবস্থা, উন্নয়ন, নীতিমালা সংস্করণ, সমসাময়িক ও ভবিষ্যৎ অর্থনৈতিক পরিকল্পনা গ্রহণ ও বাস্তবায়নে গুরুত্ব দিয়ে প্রতি বছর এ বৈঠকের আয়োজন করে সংস্থাটি।
বৃহস্পতিবার এক বিবৃতিতে সংস্থাটি জানায়, এ ধরনের চুক্তি তার বর্ধিত ঋণসুবিধা, বর্ধিত তহবিল সুবিধা, টেকসই এবং স্থায়িত্ব সুবিধা বাড়াবে। এই চ্যালেঞ্জিং সময়ে বাংলাদেশ ও এর জনগণকে সমর্থনের প্রতিশ্রুতি পুনর্ব্যক্ত করেছে আইএমএফ।
আইএমএফের একটি মিশন দেশের অর্থনৈতিক ও আর্থিক নীতি পর্যালোচনা করতে ৬ থেকে ১৭ এপ্রিল ঢাকা সফর করে। মিশনটি পর্যবেক্ষণ করেছে যে, বিশ্বব্যাপী অনিশ্চয়তার মধ্যে বাংলাদেশের অর্থনীতি চাপের মধ্যে রয়েছে, অর্থবছরের প্রথমার্ধে জিডিপি প্রবৃদ্ধি ৩ দশমিক ৩ শতাংশে নেমে এসেছে, যা এক বছর আগের একই সময়ের ৫ দশমিক ১ শতাংশ থেকে কমেছে। জুলাই-আগস্টের গণঅভ্যুত্থান, কঠোর নীতি এবং বিনিয়োগকারীদের আস্থা দুর্বল হওয়ার কারণে এই মন্দা দেখা দিয়েছে বলে জানিয়েছে সংস্থাটি।
২০২৪ সালের জুলাই মাসে এক দশকের সর্বোচ্চ ১১ দশমিক ৭ শতাংশে পৌঁছেছিল মূল্যস্ফীতি, ২০২৫ সালের মার্চ মাসে ৯ দশমিক ৪ শতাংশে নেমে এসেছে। তবে বাংলাদেশ ব্যাংকের ৫ থেকে ৬ শতাংশ লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে অনেক বেশি। অর্থনীতিকে স্থিতিশীল করার জন্য আইএমএফ রাজস্ব একত্রকরণ, আরও নমনীয় বিনিময় হার, উন্নত কর সম্মতি এবং প্রাতিষ্ঠানিক সংস্কারের সুপারিশ করেছে।
আইএমএফ ২০২৩ সালে বাংলাদেশের জন্য ৪ দশমিক ৭ বিলিয়ন ডলার ঋণ অনুমোদন করেছিল, যার বিপরীতে তিন কিস্তিতে বাংলাদেশ ইতিমধ্যেই ২ দশমিক ৩ বিলিয়ন ডলার পেয়েছে।
শনিবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৫
আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলোর আমানত ও আগাম ঋণের সুদহারের তথ্য এখন থেকে প্রতিমাসের ১০ তারিখের মধ্যে কেন্দ্রীয় ব্যাংককে জানাতে হবে। আগাম ঋণের সুদহার সংক্রান্ত তথ্য সাতটি কোডের মাধ্যমে বাংলাদেশ ব্যাংকের ওয়েব পোর্টালে আপলোড করতে হবে। এ সংক্রান্ত নির্দেশনা দিয়েছে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের পরিসংখ্যান বিভাগ।
কেন্দ্রীয় ব্যাংক জানায়, আগাম ঋণের সুদহার সংক্রান্ত তথ্য বিদ্যমান সাতটি কোডের পাশাপাশি শেয়ার ব্যবসা, পাইকারি ও খুচরা ব্যবসা, খুচরা বা পাইকারি ব্যবসার জন্য ঋণ, লিজ ফাইন্যান্সিং, অন্যান্য বাণিজ্যিক ঋণ ইত্যাদি উদ্দেশ্যে বিতরণকৃত সব আগাম ঋণের পরিমাণ এবং সুদহার ট্রেড অ্যান্ড কমার্স নামক নতুন একটি কোডের (২৪৭০০) মাধ্যমে দাখিল করতে হবে। এছাড়া সব পণ্যের ধরনের তালিকা সংযোজনী ক-তে সংযুক্ত করা হয়েছে। সংযোজনী-ক অনুযায়ী রিপোটিং মাসের নতুন সংগৃহীত আমানত ও বিতরণকৃত আগাম তথ্য বা উপাত্ত এক্সেল ওয়ার্কশিটের মাধ্যমে পৃথকভাবে দাখিল করতে হবে। এ নির্দেশনা চলতি মাস এপ্রিল থেকে কার্যকর হবে।
এর আগে ২০১৮ সালের ৫ আগস্ট এক নির্দেশনায় কেন্দ্রীয় ব্যাংক জানিয়েছিল, ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলোর আমানত ও ঋণের সুদহারের তথ্য এখন থেকে প্রতিমাসের ১০ তারিখের মধ্যে দিতে হবে। যা তার আগে প্রতিমাসের ১৫ তারিখের মধ্যে জানানোর বাধ্যবাধকতা ছিল। বাংলাদেশ ব্যাংক এসব তথ্য-উপাত্তের ভিত্তিতে ব্যাংক ও আর্থিক খাতের একটি অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ সূচক স্প্রেড হিসাবায়ন করে থাকে যা আমানত ও আগাম ঋণের ভারিত গড় সুদ হারের ব্যবধান যৌক্তিকীকরণসহ আর্থিক নীতি নির্ধারনে ব্যবহৃত হয়ে থাকে।
মূলত কেন্দ্রীয় ব্যাংকের ওয়েবসাইটে দেশের সব ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানের সব ধরনের আমানত ও ঋণের সুদহারের তথ্য থাকে যা ঋণ, আমানতের সুদ ব্যাংক ও আর্থিক খাতের গুরুত্বপূর্ণ সূচক। এ দুইয়ের পার্থক্য থেকে আরও একটি গুরুত্বপূর্ণ সূচক (স্পেড) বের করা হয়ে থাকে।
স্বল্পমেয়াদি ঋণ নিয়ে বাংলাদেশের সঙ্গে আলোচনা চালিয়ে যাওয়ার ঘোষণা দিয়েছে আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিল (আইএমএফ)। শিগগির এ বিষয়ে একটি চুক্তিতে পৌঁছানোর জন্য বাংলাদেশের সঙ্গে বসবে সংস্থাটি। যুক্তরাষ্ট্রের ওয়াশিংটনে আইএমএফ কার্যালয়ে বিশ্বব্যাংক ও আইএমএপের বসন্তকালীন বৈঠক শুরু হবে আগামী ২১ এপ্রিল। বৈঠকে এ বিষয়ে আলোচনা হতে পারে।
বৈঠকে বাংলাদেশসহ বিশ্বের ১৯০ দেশের গভর্নর, ব্যাংকার, অর্থনীতিবিদ ও বিশ্লেষকরা যোগ দেবেন। বৈশ্বিক অর্থনৈতিক অবস্থা, উন্নয়ন, নীতিমালা সংস্করণ, সমসাময়িক ও ভবিষ্যৎ অর্থনৈতিক পরিকল্পনা গ্রহণ ও বাস্তবায়নে গুরুত্ব দিয়ে প্রতি বছর এ বৈঠকের আয়োজন করে সংস্থাটি।
বৃহস্পতিবার এক বিবৃতিতে সংস্থাটি জানায়, এ ধরনের চুক্তি তার বর্ধিত ঋণসুবিধা, বর্ধিত তহবিল সুবিধা, টেকসই এবং স্থায়িত্ব সুবিধা বাড়াবে। এই চ্যালেঞ্জিং সময়ে বাংলাদেশ ও এর জনগণকে সমর্থনের প্রতিশ্রুতি পুনর্ব্যক্ত করেছে আইএমএফ।
আইএমএফের একটি মিশন দেশের অর্থনৈতিক ও আর্থিক নীতি পর্যালোচনা করতে ৬ থেকে ১৭ এপ্রিল ঢাকা সফর করে। মিশনটি পর্যবেক্ষণ করেছে যে, বিশ্বব্যাপী অনিশ্চয়তার মধ্যে বাংলাদেশের অর্থনীতি চাপের মধ্যে রয়েছে, অর্থবছরের প্রথমার্ধে জিডিপি প্রবৃদ্ধি ৩ দশমিক ৩ শতাংশে নেমে এসেছে, যা এক বছর আগের একই সময়ের ৫ দশমিক ১ শতাংশ থেকে কমেছে। জুলাই-আগস্টের গণঅভ্যুত্থান, কঠোর নীতি এবং বিনিয়োগকারীদের আস্থা দুর্বল হওয়ার কারণে এই মন্দা দেখা দিয়েছে বলে জানিয়েছে সংস্থাটি।
২০২৪ সালের জুলাই মাসে এক দশকের সর্বোচ্চ ১১ দশমিক ৭ শতাংশে পৌঁছেছিল মূল্যস্ফীতি, ২০২৫ সালের মার্চ মাসে ৯ দশমিক ৪ শতাংশে নেমে এসেছে। তবে বাংলাদেশ ব্যাংকের ৫ থেকে ৬ শতাংশ লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে অনেক বেশি। অর্থনীতিকে স্থিতিশীল করার জন্য আইএমএফ রাজস্ব একত্রকরণ, আরও নমনীয় বিনিময় হার, উন্নত কর সম্মতি এবং প্রাতিষ্ঠানিক সংস্কারের সুপারিশ করেছে।
আইএমএফ ২০২৩ সালে বাংলাদেশের জন্য ৪ দশমিক ৭ বিলিয়ন ডলার ঋণ অনুমোদন করেছিল, যার বিপরীতে তিন কিস্তিতে বাংলাদেশ ইতিমধ্যেই ২ দশমিক ৩ বিলিয়ন ডলার পেয়েছে।