পোশাক খাতের বিকল্প হতে পারে লাইট ইঞ্জিনিয়ারিং খাত। এ শিল্পের জন্য আলাদা জোন বা বিকল্প জমির ব্যবস্থা করার চিন্তা করছে সরকার। সম্প্রতি রাজধানীর মিন্টু রোডে শহীদ আবু সায়ীদ আন্তর্জাতিক কনভেনশন সেন্টারে বাংলাদেশ লাইট ইঞ্জিনিয়ারিং এক্সপোর উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে বাণিজ্য সচিব মাহবুবুর রহমান এসব কথা বলেন।
বাংলাদেশ ইঞ্জিনিয়ারিং শিল্প মালিক সমিতি (বাইশিমাস), বাণিজ্য মন্ত্রণালয় ও এক্সপোর্ট কম্পিটিটিভনেস ফর জবস প্রকল্প যৌথভাবে এই এক্সপোর আয়োজন করেছে। এক্সপোতে অংশ নিয়েছে দেশীয় ২৭ টি প্রতিষ্ঠানের ৩৭ টি স্টল।
মাহবুবুর রহমান বলেন, ‘এই সেক্টরের উদ্যোক্তাদের নিয়ে আমরা একাধিকবার বসতে চাই। ছোট ছোট পরিবর্তন এ খাতের উন্নয়ন করতে পারে। খাতের উদ্যোক্তারা জানিয়েছেন তারা পৃথক শিল্পপার্ক চান। আবার সেখানে কোটি কোটি টাকা বিনিয়োগ করা কঠিন। এই শিল্পের জন্য জমি বরাদ্দ দেওয়া যায় কি না সেটা আমরা দেখবো।’
এ সময় লাইট ইঞ্জিনিয়ারিং শিল্পের গুরুত্ব অনেক বেশি বলে উল্লেখ করেন তিনি। তার মতে এ খাতে আমাদের প্রবৃদ্ধি থাকলে বৈদেশিক পণ্যের ওপর নির্ভরতা কমে যাবে।
বাণিজ্য সচিব বলেন, ‘আমেরিকা আমাদের রেসিপ্রোকাল ট্যারিফ আরোপ করেছে। মাত্র ৬ বিলিয়ন ডলার বাণিজ্য ঘাটতি, তবুও আমরা তা সামাল দিতে পারছি না। লাইট ইঞ্জিনিয়ারিং খাতের সম্ভাবনা উন্মুক্ত করতে হলে নীতি সহায়তার দরকার আছে। লাইট ইঞ্জিনিয়ারিংয়ের জন্য আলাদা জোন হতেই পারে।’
অনুষ্ঠানে বাংলাদেশ ইঞ্জিনিয়ারিং শিল্প মালিক সমিতির (বাইশিমাস) সভাপতি মো. আব্দুর রাজ্জাক, এফবিসিসিআই এর প্রশাসক হাফিজুর রহমান, এক্সপোর্ট কম্পিটিটিভনেস ফর জবস প্রকল্পের পরিচালক মো. আবদুর রহমান প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
মো. আব্দুর রাজ্জাক বলেন, ‘এই খাতে অনেক সম্ভাবনা আছে। সেই সম্ভাবনা কাজে লাগাতে চামড়ার মতো আলাদা শিল্পপার্ক প্রয়োজন। পাশাপাশি নীতি সহায়তা দরকার। আমাদের কাঁচামাল আমদানিতে কর ও শুল্ক ছাড়ের ব্যবস্থা করতে হবে।’
আবদুর রহমান বলেন, ‘রপ্তানি খাতের বিবর্তন শুরু হয় পোষাকের মাধ্যমে। শেষ হয় গাড়ি উৎপাদনের মাধ্যমে। আমরা সম্ভাবনাময় এই খাতকে অগ্রগতির সুযোগ দিতে পারিনি। এই খাতে নীতি সহায়তা অনেক বেশি প্রয়োজন। শুল্কহারে সংস্কার না আনলে এ খাতের বিকাশ হবে না।’
এফবিসিসিআই এর প্রশাসক হাফিজুর রহমান বলেন, ‘এই খাত গেম চেঞ্জার হতে পারে। তবুও দীর্ঘদিন ধরে লাইট ইঞ্জিনিয়ারিং এর রপ্তানি এক জায়গায় আটকে আছে। এ খাতের উদ্যোক্তাদের পুজিঁর সংকট আছে। আন্তর্জাতিক বাজারের সঙ্গে এ খাতের উদ্যোক্তাদের যোগাযোগ কম। বিডার রোডম্যাপ অনুযায়ী এ খাতের সম্ভাবনা সবচেয়ে বেশি। এজন্য শুল্ক ও করের বিষয়টি সরকারের বিবেচনা করা উচিত।’
শুক্রবার, ৩০ মে ২০২৫
পোশাক খাতের বিকল্প হতে পারে লাইট ইঞ্জিনিয়ারিং খাত। এ শিল্পের জন্য আলাদা জোন বা বিকল্প জমির ব্যবস্থা করার চিন্তা করছে সরকার। সম্প্রতি রাজধানীর মিন্টু রোডে শহীদ আবু সায়ীদ আন্তর্জাতিক কনভেনশন সেন্টারে বাংলাদেশ লাইট ইঞ্জিনিয়ারিং এক্সপোর উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে বাণিজ্য সচিব মাহবুবুর রহমান এসব কথা বলেন।
বাংলাদেশ ইঞ্জিনিয়ারিং শিল্প মালিক সমিতি (বাইশিমাস), বাণিজ্য মন্ত্রণালয় ও এক্সপোর্ট কম্পিটিটিভনেস ফর জবস প্রকল্প যৌথভাবে এই এক্সপোর আয়োজন করেছে। এক্সপোতে অংশ নিয়েছে দেশীয় ২৭ টি প্রতিষ্ঠানের ৩৭ টি স্টল।
মাহবুবুর রহমান বলেন, ‘এই সেক্টরের উদ্যোক্তাদের নিয়ে আমরা একাধিকবার বসতে চাই। ছোট ছোট পরিবর্তন এ খাতের উন্নয়ন করতে পারে। খাতের উদ্যোক্তারা জানিয়েছেন তারা পৃথক শিল্পপার্ক চান। আবার সেখানে কোটি কোটি টাকা বিনিয়োগ করা কঠিন। এই শিল্পের জন্য জমি বরাদ্দ দেওয়া যায় কি না সেটা আমরা দেখবো।’
এ সময় লাইট ইঞ্জিনিয়ারিং শিল্পের গুরুত্ব অনেক বেশি বলে উল্লেখ করেন তিনি। তার মতে এ খাতে আমাদের প্রবৃদ্ধি থাকলে বৈদেশিক পণ্যের ওপর নির্ভরতা কমে যাবে।
বাণিজ্য সচিব বলেন, ‘আমেরিকা আমাদের রেসিপ্রোকাল ট্যারিফ আরোপ করেছে। মাত্র ৬ বিলিয়ন ডলার বাণিজ্য ঘাটতি, তবুও আমরা তা সামাল দিতে পারছি না। লাইট ইঞ্জিনিয়ারিং খাতের সম্ভাবনা উন্মুক্ত করতে হলে নীতি সহায়তার দরকার আছে। লাইট ইঞ্জিনিয়ারিংয়ের জন্য আলাদা জোন হতেই পারে।’
অনুষ্ঠানে বাংলাদেশ ইঞ্জিনিয়ারিং শিল্প মালিক সমিতির (বাইশিমাস) সভাপতি মো. আব্দুর রাজ্জাক, এফবিসিসিআই এর প্রশাসক হাফিজুর রহমান, এক্সপোর্ট কম্পিটিটিভনেস ফর জবস প্রকল্পের পরিচালক মো. আবদুর রহমান প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
মো. আব্দুর রাজ্জাক বলেন, ‘এই খাতে অনেক সম্ভাবনা আছে। সেই সম্ভাবনা কাজে লাগাতে চামড়ার মতো আলাদা শিল্পপার্ক প্রয়োজন। পাশাপাশি নীতি সহায়তা দরকার। আমাদের কাঁচামাল আমদানিতে কর ও শুল্ক ছাড়ের ব্যবস্থা করতে হবে।’
আবদুর রহমান বলেন, ‘রপ্তানি খাতের বিবর্তন শুরু হয় পোষাকের মাধ্যমে। শেষ হয় গাড়ি উৎপাদনের মাধ্যমে। আমরা সম্ভাবনাময় এই খাতকে অগ্রগতির সুযোগ দিতে পারিনি। এই খাতে নীতি সহায়তা অনেক বেশি প্রয়োজন। শুল্কহারে সংস্কার না আনলে এ খাতের বিকাশ হবে না।’
এফবিসিসিআই এর প্রশাসক হাফিজুর রহমান বলেন, ‘এই খাত গেম চেঞ্জার হতে পারে। তবুও দীর্ঘদিন ধরে লাইট ইঞ্জিনিয়ারিং এর রপ্তানি এক জায়গায় আটকে আছে। এ খাতের উদ্যোক্তাদের পুজিঁর সংকট আছে। আন্তর্জাতিক বাজারের সঙ্গে এ খাতের উদ্যোক্তাদের যোগাযোগ কম। বিডার রোডম্যাপ অনুযায়ী এ খাতের সম্ভাবনা সবচেয়ে বেশি। এজন্য শুল্ক ও করের বিষয়টি সরকারের বিবেচনা করা উচিত।’