১৫০ টাকা পর্যন্ত দামের প্লাস্টিক ও রাবারের তৈরি হাওয়াই চপ্পল (স্যান্ডেল) ও জুতার ওপর বিদ্যমান ১৫ শতাংশ ভ্যাট প্রত্যাহারের দাবি জানিয়েছেন জুতা উৎপাদনকারী ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীরা। তাঁরা বলছেন, চলতি অর্থবছর থেকে চালু হওয়া এই ভ্যাটের কারণে নিম্ন আয়ের মানুষের ব্যবহারের কম দামি এই জুতার দাম বাড়ছে।
জুতা উৎপাদকদের অভিযোগ, ১৫০ টাকা পর্যন্ত দামের প্লাস্টিকের চপ্পল ও স্যান্ডেলে ভ্যাট আরোপের ফলে বন্ধ হয়ে যাচ্ছে ছোট ছোট কারখানা। ব্যবসা চলে যাচ্ছে বিদেশিদের হাতে। এ অবস্থায় প্রতি জোড়া ১৫০ টাকা মূল্যসীমা পর্যন্ত প্লাস্টিক ও রাবারের তৈরি হাওয়াই চপ্পল ও প্লাস্টিকের জুতা উৎপাদন ও সরবরাহপর্যায়ে মূসক বা ভ্যাট অব্যাহতি সুবিধা পুনর্বহালের দাবি জানিয়েছেন ব্যবসায়ীরা।
মঙ্গলবার,(১৭ জুন ২০২৫) রাজধানীর সেগুনবাগিচায় অবস্থিত ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির (ডিআরইউ) মিলনায়তনে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এসব দাবি জানান বাংলাদেশ পাদুকা প্রস্তুতকারক সমিতির নেতারা। সংবাদ সম্মেলন শেষে ডিআরইউর সামনের সড়কে মানববন্ধনও করেন তাঁরা।
সংবাদ সম্মেলনে বক্তারা বলেন, স্থানীয় শিল্পের প্রসার ও ভোক্তাদের অর্থনৈতিক বাস্তবতা বিবেচনায় নিয়ে ২০১৬ সাল থেকে প্লাস্টিক ও রাবারের তৈরি জুতায় মূল্য সংযোজন কর বা মূসক অব্যাহতি সুবিধা দিয়ে আসছে সরকার। কিন্তু ২০২৪-২৫ অর্থবছরের মাঝপথে এসে গত ৯ জানুয়ারি এসআরও জারি করে বিদ্যমান মূসক অব্যাহতি সুবিধা প্রত্যাহার করে নেয় জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর)। এর ধারাবাহিকতায় ২০২৫-২৬ অর্থবছরের প্রস্তাবিত বাজেটেও মূসক আরোপ করা হয়েছে।
জুতা ব্যবসায়ীরা জানান, ১৫ শতাংশ ভ্যাট আরোপের ফলে বিদেশি পণ্য (সমজাতীয় চপ্পল ও জুতা) আমদানি বাড়ছে। এতে একদিকে বৈদেশিক মুদ্রার অপচয় হচ্ছে, অন্যদিকে দেশের ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র বিনিয়োগকারীদের মাধ্যমে গড়ে ওঠা ক্রমবিকাশমান এই শিল্প হুমকির মুখে পড়েছে।
সমিতির নেতারা জানান, ভ্যাট বাড়ানোর ফলে কমদামি এসব পণ্যের উৎপাদন খরচ বেড়েছে। ফলে কমেছে উৎপাদন ও বিক্রি। নেতিবাচক প্রভাব পড়েছে কর্মসংস্থানেও। নেতারা জানান, দেশে প্লাস্টিকের চপ্পল উৎপাদন কমে যাওয়ায় পরিবেশেও নেতিবাচক প্রভাব পড়ছে। পুরোনো জুতা-স্যান্ডেল গলিয়ে এসব চপ্পল উৎপাদন করা হয়। সার্বিক পরিস্থিতি বিবেচনায় এই খাতে আবারও ভ্যাট অব্যাহতি সুবিধা বহাল রাখার দাবি জানিয়েছেন ব্যবসায়ীরা।
সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ পাদুকা প্রস্তুতকারক সমিতির সভাপতি হাজী মোহাম্মদ ফজলু, সহসভাপতি আশরাফ উদ্দিন, সচিব ইমরুল কায়েস ও সদস্য জাহেরুল ইসলাম। অনুষ্ঠানে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন বাংলাদেশ পাদুকা প্রস্তুতকারক সমিতির আইন উপদেষ্টা ব্যারিস্টার মো. তাইফুল সিরাজ। তিনি বলেন, প্লাস্টিক ও রাবারের তৈরি হাওয়াই চপ্পল ও পাদুকার ওপর ১৫ শতাংশ ভ্যাট আরোপ করার প্রস্তাব অযৌক্তিক। এটি কার্যকর হলে এই সাশ্রয়ী পণ্য সাধারণ জনগণের ক্রয়ক্ষমতার বাইরে চলে যাবে।
তাইফুল সিরাজ বলেন, ২০১৬ সাল থেকে ভ্যাট অব্যাহতির ফলে সরাসরি পণ্যের উৎপাদন খরচ উল্ল্যেখযোগ্য হারে কমে গিয়েছিল। ভোক্তারা সরাসরি এই সুবিধা পেয়েছেন। বিশেষ করে সাশ্রয়ী ও সহজলভ্য এসব জুতা দরিদ্র জনগোষ্ঠীর জন্য অত্যাবশ্যকীয়। পার্শ্ববর্তী দেশ ভারতে এসব জুতার ক্ষেত্রে ৫০০ টাকা পর্যন্ত মূসক অব্যাহতি সুবিধা দেওয়া আছে। এসব দিক বিবেচনায় নিয়ে সরকারের কাছে ভ্যাট অব্যাহতি সুবিধা পুনর্বহালের জোর দাবি জানান তারা।
বাংলাদেশ পাদুকা প্রস্তুতকারক সমিতির সভাপতি হাজী মোহাম্মদ ফজলু বলেন, হাওয়াই চপ্পল ও জুতার মূল কাঁচামাল মূলত পরিত্যক্ত রাবার, প্লাস্টিক ও পলিথিনজাতীয় অপচনশীল দ্রব্য। এগুলো রিসাইকেল (পুনর্ব্যবহার উপযোগী) করে জুতা তৈরি করা হয়। কিন্তু ভ্যাটের কারণে এই জুতা উৎপাদন প্রক্রিয়ায় নেতিবাচক প্রভাব পড়ছে। উৎপাদন ব্যয় অনেক বেড়ে গেছে।
হাজী মোহাম্মদ ফজলু আরও বলেন, হাওয়াই চপ্পল ও জুতার গ্রাহক মূলত শ্রমজীবী, হকার, দিনমজুর, কৃষক, রিকশা-ভ্যানচালক ও প্রান্তিক মানুষেরা। ভ্যাটের কারণে জুতার দাম বাড়ায় এসব মানুষের জীবনযাত্রায় বিরূপ প্রভাব পড়ছে। সে জন্য সরকারের কাছে ১৫ শতাংশ ভ্যাট প্রত্যাহারের জন্য অনুরোধ জানান তিনি।
মঙ্গলবার, ১৭ জুন ২০২৫
১৫০ টাকা পর্যন্ত দামের প্লাস্টিক ও রাবারের তৈরি হাওয়াই চপ্পল (স্যান্ডেল) ও জুতার ওপর বিদ্যমান ১৫ শতাংশ ভ্যাট প্রত্যাহারের দাবি জানিয়েছেন জুতা উৎপাদনকারী ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীরা। তাঁরা বলছেন, চলতি অর্থবছর থেকে চালু হওয়া এই ভ্যাটের কারণে নিম্ন আয়ের মানুষের ব্যবহারের কম দামি এই জুতার দাম বাড়ছে।
জুতা উৎপাদকদের অভিযোগ, ১৫০ টাকা পর্যন্ত দামের প্লাস্টিকের চপ্পল ও স্যান্ডেলে ভ্যাট আরোপের ফলে বন্ধ হয়ে যাচ্ছে ছোট ছোট কারখানা। ব্যবসা চলে যাচ্ছে বিদেশিদের হাতে। এ অবস্থায় প্রতি জোড়া ১৫০ টাকা মূল্যসীমা পর্যন্ত প্লাস্টিক ও রাবারের তৈরি হাওয়াই চপ্পল ও প্লাস্টিকের জুতা উৎপাদন ও সরবরাহপর্যায়ে মূসক বা ভ্যাট অব্যাহতি সুবিধা পুনর্বহালের দাবি জানিয়েছেন ব্যবসায়ীরা।
মঙ্গলবার,(১৭ জুন ২০২৫) রাজধানীর সেগুনবাগিচায় অবস্থিত ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির (ডিআরইউ) মিলনায়তনে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এসব দাবি জানান বাংলাদেশ পাদুকা প্রস্তুতকারক সমিতির নেতারা। সংবাদ সম্মেলন শেষে ডিআরইউর সামনের সড়কে মানববন্ধনও করেন তাঁরা।
সংবাদ সম্মেলনে বক্তারা বলেন, স্থানীয় শিল্পের প্রসার ও ভোক্তাদের অর্থনৈতিক বাস্তবতা বিবেচনায় নিয়ে ২০১৬ সাল থেকে প্লাস্টিক ও রাবারের তৈরি জুতায় মূল্য সংযোজন কর বা মূসক অব্যাহতি সুবিধা দিয়ে আসছে সরকার। কিন্তু ২০২৪-২৫ অর্থবছরের মাঝপথে এসে গত ৯ জানুয়ারি এসআরও জারি করে বিদ্যমান মূসক অব্যাহতি সুবিধা প্রত্যাহার করে নেয় জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর)। এর ধারাবাহিকতায় ২০২৫-২৬ অর্থবছরের প্রস্তাবিত বাজেটেও মূসক আরোপ করা হয়েছে।
জুতা ব্যবসায়ীরা জানান, ১৫ শতাংশ ভ্যাট আরোপের ফলে বিদেশি পণ্য (সমজাতীয় চপ্পল ও জুতা) আমদানি বাড়ছে। এতে একদিকে বৈদেশিক মুদ্রার অপচয় হচ্ছে, অন্যদিকে দেশের ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র বিনিয়োগকারীদের মাধ্যমে গড়ে ওঠা ক্রমবিকাশমান এই শিল্প হুমকির মুখে পড়েছে।
সমিতির নেতারা জানান, ভ্যাট বাড়ানোর ফলে কমদামি এসব পণ্যের উৎপাদন খরচ বেড়েছে। ফলে কমেছে উৎপাদন ও বিক্রি। নেতিবাচক প্রভাব পড়েছে কর্মসংস্থানেও। নেতারা জানান, দেশে প্লাস্টিকের চপ্পল উৎপাদন কমে যাওয়ায় পরিবেশেও নেতিবাচক প্রভাব পড়ছে। পুরোনো জুতা-স্যান্ডেল গলিয়ে এসব চপ্পল উৎপাদন করা হয়। সার্বিক পরিস্থিতি বিবেচনায় এই খাতে আবারও ভ্যাট অব্যাহতি সুবিধা বহাল রাখার দাবি জানিয়েছেন ব্যবসায়ীরা।
সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ পাদুকা প্রস্তুতকারক সমিতির সভাপতি হাজী মোহাম্মদ ফজলু, সহসভাপতি আশরাফ উদ্দিন, সচিব ইমরুল কায়েস ও সদস্য জাহেরুল ইসলাম। অনুষ্ঠানে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন বাংলাদেশ পাদুকা প্রস্তুতকারক সমিতির আইন উপদেষ্টা ব্যারিস্টার মো. তাইফুল সিরাজ। তিনি বলেন, প্লাস্টিক ও রাবারের তৈরি হাওয়াই চপ্পল ও পাদুকার ওপর ১৫ শতাংশ ভ্যাট আরোপ করার প্রস্তাব অযৌক্তিক। এটি কার্যকর হলে এই সাশ্রয়ী পণ্য সাধারণ জনগণের ক্রয়ক্ষমতার বাইরে চলে যাবে।
তাইফুল সিরাজ বলেন, ২০১৬ সাল থেকে ভ্যাট অব্যাহতির ফলে সরাসরি পণ্যের উৎপাদন খরচ উল্ল্যেখযোগ্য হারে কমে গিয়েছিল। ভোক্তারা সরাসরি এই সুবিধা পেয়েছেন। বিশেষ করে সাশ্রয়ী ও সহজলভ্য এসব জুতা দরিদ্র জনগোষ্ঠীর জন্য অত্যাবশ্যকীয়। পার্শ্ববর্তী দেশ ভারতে এসব জুতার ক্ষেত্রে ৫০০ টাকা পর্যন্ত মূসক অব্যাহতি সুবিধা দেওয়া আছে। এসব দিক বিবেচনায় নিয়ে সরকারের কাছে ভ্যাট অব্যাহতি সুবিধা পুনর্বহালের জোর দাবি জানান তারা।
বাংলাদেশ পাদুকা প্রস্তুতকারক সমিতির সভাপতি হাজী মোহাম্মদ ফজলু বলেন, হাওয়াই চপ্পল ও জুতার মূল কাঁচামাল মূলত পরিত্যক্ত রাবার, প্লাস্টিক ও পলিথিনজাতীয় অপচনশীল দ্রব্য। এগুলো রিসাইকেল (পুনর্ব্যবহার উপযোগী) করে জুতা তৈরি করা হয়। কিন্তু ভ্যাটের কারণে এই জুতা উৎপাদন প্রক্রিয়ায় নেতিবাচক প্রভাব পড়ছে। উৎপাদন ব্যয় অনেক বেড়ে গেছে।
হাজী মোহাম্মদ ফজলু আরও বলেন, হাওয়াই চপ্পল ও জুতার গ্রাহক মূলত শ্রমজীবী, হকার, দিনমজুর, কৃষক, রিকশা-ভ্যানচালক ও প্রান্তিক মানুষেরা। ভ্যাটের কারণে জুতার দাম বাড়ায় এসব মানুষের জীবনযাত্রায় বিরূপ প্রভাব পড়ছে। সে জন্য সরকারের কাছে ১৫ শতাংশ ভ্যাট প্রত্যাহারের জন্য অনুরোধ জানান তিনি।