বড় উত্থানের পর দেশের শেয়ারবাজারে আবার বড় দরপতন হয়েছে। মঙ্গলবার,(১৭ জুন ২০২৫) প্রধান শেয়ারবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) এবং অপর শেয়ারবাজার চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে (সিএসই) অধিকাংশ প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিটের দাম কমেছে। এতে ডিএসইতে কমেছে সবকটি মূল্যসূচক। একই সঙ্গে কমেছে লেনদেনের গতি। তবে ডিএসইতে সূচকের সঙ্গে লেনদেনের পরিমাণ বেড়েছে।
এর আগে ঈদের পর প্রথম কার্যদিবস রোববার শেয়ারবাজারে মূল্যসূচকের মিশ্র প্রবণতা দেখা যায়। তবে দ্বিতীয় কার্যদিবস সোমবার বড় উত্থান হয়। একই সঙ্গে বাড়ে লেনদেনের গতি। ডিএসইতে ২৩ কার্যদিবস পর ৪০০ কোটি টাকার বেশি লেনদেনের দেখা মিলে।
এমন উত্থানের পর মঙ্গলবার শেয়ারবাজারে লেনদেন শুরু হয় বেশিরভাগ প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিটের দাম বাড়ার মাধ্যমে। ফলে লেনদেনের শুরুর দিকে ডিএসইতে সবকটি মূল্যসূচক বাড়ে। কিন্তু দুপুর ১২টার থেকে বাজারে চিত্র বদলে যায়। দাম বাড়ার তালিকা থেকে অধিকাংশ প্রতিষ্ঠান দাম কমার তালিকায় চলে আসে। লেনদেনের শেষ পর্যন্ত এ ধারা অব্যাহত থাকে।
ফলে দিনের লেনদেন শেষে ডিএসইতে দাম বাড়ার তালিকায় নাম লিখিয়েছে মাত্র ৬৭টি প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিট। বিপরীতে দাম কমেছে ২৭৬টির। আর ৫৪টির দাম অপরিবর্তিত রয়েছে। এতে ডিএসইর প্রধান মূল্যসূচক ডিএসইএক্স আগের দিনের তুলনায় ৪৩ পয়েন্ট কমে চার হাজার ৭৩৯ পয়েন্টে দাঁড়িয়েছে।
অন্য দুই সূচকের মধ্যে ডিএসই শরিয়াহ সূচক আগের দিনের তুলনায় ১১ পয়েন্ট কমে ১ হাজার ৩৩ পয়েন্টে অবস্থান করছে। আর বাছাই করা ভালো ৩০ কোম্পানি নিয়ে গঠিত ডিএসই-৩০ সূচক আগের দিনের তুলনায় ১৭ পয়েন্ট কমে ১ হাজার ৭৭০ পয়েন্টে দাঁড়িয়েছে।
সবকটি মূল্যসূচক কমার পাশাপাশি ডিএসইতে লেনদেনের পরিমাণও কমেছে। বাজারটিতে ৩১৩ কোটি ৬২ লাখ টাকার লেনদেন হয়েছে। আগের কার্যদিবসে লেনদেন হয় ৪১৭ কোটি ৩৭ লাখ টাকা। এ হিসেবে আগের কার্যদিবসের তুলনায় লেনদেন কমেছে ১০৩ কোটি ৭৫ লাখ টাকা।
এই লেনদেনে সব থেকে বড় ভূমিকা রেখেছে লাভেলো আইসক্রিম। কোম্পানিটির ২০ কোটি ৫৮ লাখ টাকার শেয়ার লেনদেন হয়েছে। দ্বিতীয় স্থানে থাকা বিচ হ্যাচারির শেয়ার লেনদেন হয়েছে ১১ কোটি ১০ লাখ টাকার। ৮ কোটি ৩১ লাখ টাকার শেয়ার লেনদেনের মাধ্যমে তৃতীয় স্থানে রয়েছে অগ্নি সিস্টেম।
এছাড়া ডিএসইতে লেনদেনের দিক থেকে শীর্ষ ১০ প্রতিষ্ঠানের তালিকায় রয়েছে- বারাকা পতেঙ্গা পাওয়ার, ব্র্যাক ব্যাংক, বাংলাদেশ শিপিং করপোরেশন, স্কয়ার ফার্মাসিটিক্যালস, সি পার্ল বিচ রিপোর্ট, ইস্টার্ন লুব্রিকেন্ট এবং সিলকো ফার্মা।
অন্য শেয়ারবাজার সিএসইর সার্বিক মূল্যসূচক সিএএসপিআই বেড়েছে দশমিক শূন্য ৯ পয়েন্ট। বাজারটিতে লেনদেনে অংশ নেওয়া ১৮৯ প্রতিষ্ঠানের মধ্যে ৬৭টির দাম বেড়েছে। বিপরীতে দাম কমেছে ৯৬টির এবং ২৬টির দাম অপরিবর্তিত রয়েছে। লেনদেন হয়েছে ১১ কোটি ১৭ লাখ টাকা। আগের কার্যদিবসে লেনদেন হয় ৯ কোটি ৮২ লাখ টাকা।
মঙ্গলবার, ১৭ জুন ২০২৫
বড় উত্থানের পর দেশের শেয়ারবাজারে আবার বড় দরপতন হয়েছে। মঙ্গলবার,(১৭ জুন ২০২৫) প্রধান শেয়ারবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) এবং অপর শেয়ারবাজার চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে (সিএসই) অধিকাংশ প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিটের দাম কমেছে। এতে ডিএসইতে কমেছে সবকটি মূল্যসূচক। একই সঙ্গে কমেছে লেনদেনের গতি। তবে ডিএসইতে সূচকের সঙ্গে লেনদেনের পরিমাণ বেড়েছে।
এর আগে ঈদের পর প্রথম কার্যদিবস রোববার শেয়ারবাজারে মূল্যসূচকের মিশ্র প্রবণতা দেখা যায়। তবে দ্বিতীয় কার্যদিবস সোমবার বড় উত্থান হয়। একই সঙ্গে বাড়ে লেনদেনের গতি। ডিএসইতে ২৩ কার্যদিবস পর ৪০০ কোটি টাকার বেশি লেনদেনের দেখা মিলে।
এমন উত্থানের পর মঙ্গলবার শেয়ারবাজারে লেনদেন শুরু হয় বেশিরভাগ প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিটের দাম বাড়ার মাধ্যমে। ফলে লেনদেনের শুরুর দিকে ডিএসইতে সবকটি মূল্যসূচক বাড়ে। কিন্তু দুপুর ১২টার থেকে বাজারে চিত্র বদলে যায়। দাম বাড়ার তালিকা থেকে অধিকাংশ প্রতিষ্ঠান দাম কমার তালিকায় চলে আসে। লেনদেনের শেষ পর্যন্ত এ ধারা অব্যাহত থাকে।
ফলে দিনের লেনদেন শেষে ডিএসইতে দাম বাড়ার তালিকায় নাম লিখিয়েছে মাত্র ৬৭টি প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিট। বিপরীতে দাম কমেছে ২৭৬টির। আর ৫৪টির দাম অপরিবর্তিত রয়েছে। এতে ডিএসইর প্রধান মূল্যসূচক ডিএসইএক্স আগের দিনের তুলনায় ৪৩ পয়েন্ট কমে চার হাজার ৭৩৯ পয়েন্টে দাঁড়িয়েছে।
অন্য দুই সূচকের মধ্যে ডিএসই শরিয়াহ সূচক আগের দিনের তুলনায় ১১ পয়েন্ট কমে ১ হাজার ৩৩ পয়েন্টে অবস্থান করছে। আর বাছাই করা ভালো ৩০ কোম্পানি নিয়ে গঠিত ডিএসই-৩০ সূচক আগের দিনের তুলনায় ১৭ পয়েন্ট কমে ১ হাজার ৭৭০ পয়েন্টে দাঁড়িয়েছে।
সবকটি মূল্যসূচক কমার পাশাপাশি ডিএসইতে লেনদেনের পরিমাণও কমেছে। বাজারটিতে ৩১৩ কোটি ৬২ লাখ টাকার লেনদেন হয়েছে। আগের কার্যদিবসে লেনদেন হয় ৪১৭ কোটি ৩৭ লাখ টাকা। এ হিসেবে আগের কার্যদিবসের তুলনায় লেনদেন কমেছে ১০৩ কোটি ৭৫ লাখ টাকা।
এই লেনদেনে সব থেকে বড় ভূমিকা রেখেছে লাভেলো আইসক্রিম। কোম্পানিটির ২০ কোটি ৫৮ লাখ টাকার শেয়ার লেনদেন হয়েছে। দ্বিতীয় স্থানে থাকা বিচ হ্যাচারির শেয়ার লেনদেন হয়েছে ১১ কোটি ১০ লাখ টাকার। ৮ কোটি ৩১ লাখ টাকার শেয়ার লেনদেনের মাধ্যমে তৃতীয় স্থানে রয়েছে অগ্নি সিস্টেম।
এছাড়া ডিএসইতে লেনদেনের দিক থেকে শীর্ষ ১০ প্রতিষ্ঠানের তালিকায় রয়েছে- বারাকা পতেঙ্গা পাওয়ার, ব্র্যাক ব্যাংক, বাংলাদেশ শিপিং করপোরেশন, স্কয়ার ফার্মাসিটিক্যালস, সি পার্ল বিচ রিপোর্ট, ইস্টার্ন লুব্রিকেন্ট এবং সিলকো ফার্মা।
অন্য শেয়ারবাজার সিএসইর সার্বিক মূল্যসূচক সিএএসপিআই বেড়েছে দশমিক শূন্য ৯ পয়েন্ট। বাজারটিতে লেনদেনে অংশ নেওয়া ১৮৯ প্রতিষ্ঠানের মধ্যে ৬৭টির দাম বেড়েছে। বিপরীতে দাম কমেছে ৯৬টির এবং ২৬টির দাম অপরিবর্তিত রয়েছে। লেনদেন হয়েছে ১১ কোটি ১৭ লাখ টাকা। আগের কার্যদিবসে লেনদেন হয় ৯ কোটি ৮২ লাখ টাকা।