চেক প্রতারণার অভিযোগে বসুন্ধরা গ্রুপের চেয়ারম্যান ও ব্যবস্থাপনা পরিচালক, দৈনিক কালের কণ্ঠের সম্পাদক ও প্রকাশকসহ ছয়জনের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেছেন আদালত।
বৃহস্পতিবার দুপুরে সিলেটের অতিরিক্ত মুখ্য মহানগর হাকিম আদালতের বিচারক মোহাম্মদ হারুন-অর-রশিদ এ আদেশ দেন বলে জানিয়েছেন বাদী পক্ষের আইনজীবী এমাদ উল্লাহ শহিদুল ইসলাম।
দৈনিক কালের কণ্ঠের সিলেটের সাবেক ব্যুরো প্রধান আহমেদ নূরের দায়ের করা মামলার সমন জারির পরও আদালতে হাজির না হওয়ায় এই গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করা হয়।
গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি হওয়া ব্যক্তিরা হলেন– বসুন্ধরা গ্রুপের চেয়ারম্যান আহমেদ আকবর সোবহান, তার ছেলে ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) সায়েম সোবহান আনভীর, কালের কণ্ঠের প্রকাশক ময়নাল হোসেন চৌধুরী, বর্তমান সম্পাদক হাসান হাফিজ, চেক স্বাক্ষরকারী সাবেক সম্পাদক শাহেদ মুহাম্মদ আলী ও বাংলাদেশ প্রতিদিনের সাবেক সম্পাদক নঈম নিজাম।
‘নেগোশিয়েবল ইন্সট্রুমেন্ট অ্যাক্টের’ ১৩৮/১৪০ ও অন্যান্য ধারা অনুযায়ী মামলাটি করা হয়েছিল ২০২৩ সালের ৫ ডিসেম্বর। আদালত সেদিন ছয় আসামিকে হাজির হওয়ার জন্য সমন জারি করেছিলেন।
আইনজীবী এমাদ উল্লাহ বলেন, মামলার বাদী আহমেদ নূর সিলেটের একজন জ্যেষ্ঠ সাংবাদিক ও সিলেট প্রেস ক্লাবের সাবেক সভাপতি। তাকে পারিশ্রমিকের টাকার চেক দিয়ে পরিশোধ না করাকে প্রতারণা হিসেবে উল্লেখ করেন তিনি।
বাদী আহমেদ নূর বলেন, “যে প্রতিষ্ঠানটিতে প্রতিষ্ঠালগ্ন থেকে কাজ করেছি তার বিরুদ্ধে ন্যায্য পাওনা আদায়ের জন্য মামলা করতে হয়েছে, এটা দুঃখজনক। রাজধানীর বাইরে সাংবাদিকরা কীভাবে শোষণ ও প্রতারণার শিকার হচ্ছেন এটি তার একটি বড় প্রমাণ। কাউকে না কাউকে তো প্রতিবাদ করতে হবে, এগিয়ে আসতে হবে। আমি সেটিই করেছি এবং আইনি লড়াই অব্যাহত রাখব।”
মামলার অভিযোগে বলা হয়েছে, বাদী দৈনিক কালের কণ্ঠ পত্রিকার প্রতিষ্ঠালগ্ন থেকে ২০২১ সালের সেপ্টেম্বর পর্যন্ত সাড়ে ১২ বছর ব্যুরো প্রধান হিসেবে কর্মরত ছিলেন। তবে সংবাদপত্র ওয়েজ বোর্ড অনুযায়ী তার সার্ভিস বেনিফিট পরিশোধে কর্তৃপক্ষ গড়িমসি করে।
পরবর্তীতে কিছু টাকা পরিশোধ করে এবং জানুয়ারি মাসে প্রতি মাসে একটি করে চেক নগদায়নের শর্তে ১০টি চেক প্রদান করে। এরমধ্যে দুটি চেক অনার হলেও আটটি চেক ডিজঅনার হয়, যার মোট পরিমাণ ছয় লাখ এক হাজার ৮২৪ টাকা।
উকিল নোটিস পাঠানোর পরও টাকা পরিশোধের কোনো পদক্ষেপ না নেওয়ায় ২০২৩ সালের ৫ ডিসেম্বর একটি এবং ৩১ ডিসেম্বর অপর সাতটি চেক নিয়ে পৃথক দুটি মামলা দায়ের করা হয়।
এর মধ্যে বৃহস্পতিবার ৫ ডিসেম্বরের মামলায় গ্রেপ্তারি পরোয়ানার আদেশ দেন আদালত।
এদিকে মামলার বিষয়ে বসুন্ধরা গ্রুপের প্রেস অ্যান্ড মিডিয়া উপদেষ্টা মোহাম্মদ আবু তৈয়ব বলেছিলেন, “আমাদের সংবাদমাধ্যম থেকে যারা চাকরি ছেড়ে দিয়েছেন বা চাকরিচ্যুত হয়েছেন, তাদের পাওনা পরিশোধ প্রক্রিয়াধীন। আমরা কয়েকটি কিস্তিতে পরিশোধের উদ্যোগ নিয়েছিলাম, তবে অর্থনৈতিক মন্দার কারণে তা বাধাগ্রস্ত হয়েছে।”
তিনি আরও বলেন, “১০টি কিস্তির মধ্যে দুটি কিস্তি পরিশোধ হয়েছে। তৃতীয় কিস্তির টাকা দ্রুত ছাড় হবে বলে আশা করি। যাদের চেক মেয়াদোত্তীর্ণ হয়েছে, তাদের বলা হয়েছে সময় বাড়িয়ে নিতে। যারা অসুস্থ বা মৃত্যুবরণ করেছেন, তাদের পাওনাও পরিশোধ করা হয়েছে।”
বৃহস্পতিবার, ১৯ জুন ২০২৫
চেক প্রতারণার অভিযোগে বসুন্ধরা গ্রুপের চেয়ারম্যান ও ব্যবস্থাপনা পরিচালক, দৈনিক কালের কণ্ঠের সম্পাদক ও প্রকাশকসহ ছয়জনের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেছেন আদালত।
বৃহস্পতিবার দুপুরে সিলেটের অতিরিক্ত মুখ্য মহানগর হাকিম আদালতের বিচারক মোহাম্মদ হারুন-অর-রশিদ এ আদেশ দেন বলে জানিয়েছেন বাদী পক্ষের আইনজীবী এমাদ উল্লাহ শহিদুল ইসলাম।
দৈনিক কালের কণ্ঠের সিলেটের সাবেক ব্যুরো প্রধান আহমেদ নূরের দায়ের করা মামলার সমন জারির পরও আদালতে হাজির না হওয়ায় এই গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করা হয়।
গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি হওয়া ব্যক্তিরা হলেন– বসুন্ধরা গ্রুপের চেয়ারম্যান আহমেদ আকবর সোবহান, তার ছেলে ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) সায়েম সোবহান আনভীর, কালের কণ্ঠের প্রকাশক ময়নাল হোসেন চৌধুরী, বর্তমান সম্পাদক হাসান হাফিজ, চেক স্বাক্ষরকারী সাবেক সম্পাদক শাহেদ মুহাম্মদ আলী ও বাংলাদেশ প্রতিদিনের সাবেক সম্পাদক নঈম নিজাম।
‘নেগোশিয়েবল ইন্সট্রুমেন্ট অ্যাক্টের’ ১৩৮/১৪০ ও অন্যান্য ধারা অনুযায়ী মামলাটি করা হয়েছিল ২০২৩ সালের ৫ ডিসেম্বর। আদালত সেদিন ছয় আসামিকে হাজির হওয়ার জন্য সমন জারি করেছিলেন।
আইনজীবী এমাদ উল্লাহ বলেন, মামলার বাদী আহমেদ নূর সিলেটের একজন জ্যেষ্ঠ সাংবাদিক ও সিলেট প্রেস ক্লাবের সাবেক সভাপতি। তাকে পারিশ্রমিকের টাকার চেক দিয়ে পরিশোধ না করাকে প্রতারণা হিসেবে উল্লেখ করেন তিনি।
বাদী আহমেদ নূর বলেন, “যে প্রতিষ্ঠানটিতে প্রতিষ্ঠালগ্ন থেকে কাজ করেছি তার বিরুদ্ধে ন্যায্য পাওনা আদায়ের জন্য মামলা করতে হয়েছে, এটা দুঃখজনক। রাজধানীর বাইরে সাংবাদিকরা কীভাবে শোষণ ও প্রতারণার শিকার হচ্ছেন এটি তার একটি বড় প্রমাণ। কাউকে না কাউকে তো প্রতিবাদ করতে হবে, এগিয়ে আসতে হবে। আমি সেটিই করেছি এবং আইনি লড়াই অব্যাহত রাখব।”
মামলার অভিযোগে বলা হয়েছে, বাদী দৈনিক কালের কণ্ঠ পত্রিকার প্রতিষ্ঠালগ্ন থেকে ২০২১ সালের সেপ্টেম্বর পর্যন্ত সাড়ে ১২ বছর ব্যুরো প্রধান হিসেবে কর্মরত ছিলেন। তবে সংবাদপত্র ওয়েজ বোর্ড অনুযায়ী তার সার্ভিস বেনিফিট পরিশোধে কর্তৃপক্ষ গড়িমসি করে।
পরবর্তীতে কিছু টাকা পরিশোধ করে এবং জানুয়ারি মাসে প্রতি মাসে একটি করে চেক নগদায়নের শর্তে ১০টি চেক প্রদান করে। এরমধ্যে দুটি চেক অনার হলেও আটটি চেক ডিজঅনার হয়, যার মোট পরিমাণ ছয় লাখ এক হাজার ৮২৪ টাকা।
উকিল নোটিস পাঠানোর পরও টাকা পরিশোধের কোনো পদক্ষেপ না নেওয়ায় ২০২৩ সালের ৫ ডিসেম্বর একটি এবং ৩১ ডিসেম্বর অপর সাতটি চেক নিয়ে পৃথক দুটি মামলা দায়ের করা হয়।
এর মধ্যে বৃহস্পতিবার ৫ ডিসেম্বরের মামলায় গ্রেপ্তারি পরোয়ানার আদেশ দেন আদালত।
এদিকে মামলার বিষয়ে বসুন্ধরা গ্রুপের প্রেস অ্যান্ড মিডিয়া উপদেষ্টা মোহাম্মদ আবু তৈয়ব বলেছিলেন, “আমাদের সংবাদমাধ্যম থেকে যারা চাকরি ছেড়ে দিয়েছেন বা চাকরিচ্যুত হয়েছেন, তাদের পাওনা পরিশোধ প্রক্রিয়াধীন। আমরা কয়েকটি কিস্তিতে পরিশোধের উদ্যোগ নিয়েছিলাম, তবে অর্থনৈতিক মন্দার কারণে তা বাধাগ্রস্ত হয়েছে।”
তিনি আরও বলেন, “১০টি কিস্তির মধ্যে দুটি কিস্তি পরিশোধ হয়েছে। তৃতীয় কিস্তির টাকা দ্রুত ছাড় হবে বলে আশা করি। যাদের চেক মেয়াদোত্তীর্ণ হয়েছে, তাদের বলা হয়েছে সময় বাড়িয়ে নিতে। যারা অসুস্থ বা মৃত্যুবরণ করেছেন, তাদের পাওনাও পরিশোধ করা হয়েছে।”