জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ে (জবি) আন্তর্জাতিক নিষিদ্ধ সংগঠন বাংলাদেশ হিযবুত তাহরীরের এক সদস্যকে আটক করা হয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে শিক্ষকদের রুমে লুকিয়ে চিঠি বিতরণের সময় এক শিক্ষকের সাথে ধস্তাধস্তির এক পর্যায়ে তাকে আটক করা হয়। আটককৃত শিক্ষার্থী ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের স্নাতকোত্তর শিক্ষার্থী।
আজ বৃহস্পতিবার সকাল ৮টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের ম্যানেজমেন্ট স্টাডিজ বিভাগে তাকে আটক করা হয়। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ জাহাঙ্গীর হোসেন।
আটক ওই সদস্যের নাম অনিক খন্দকার। তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের মৃত্তিকা, পানি ও পরিবেশ বিজ্ঞান বিভাগের ২০১৮-১৯ সেশনের শিক্ষার্থী। তিনি ফজলুল হক মুসলিম হলের আবাসিক শিক্ষার্থী।
শিক্ষকের অফিসে চিঠি দেয়ার সময় হাতেনাতে ধরা হয়েছে বলে জানিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক জাহাঙ্গীর হোসেন বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের ম্যানেজমেন্ট স্টাডিজ বিভাগে লিফলেট বিতরণের সময় তাকে আটক করা হয়েছে। এ ব্যাপারে মামলা প্রক্রিয়াধীন। বিশ্ববিদ্যালয়ের নিরাপত্তা কর্মকর্তা বাদী হয়ে এ মামলা করবেন। এ ধরনের কর্মকাণ্ড জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ে কোনোভাবেই গ্রহণযোগ্য নয় বলে জানিয়েছেন তিনি।
ঘটনার বিস্তারিত জানাতে বিশ্ববিদ্যালয়ের সহকারী প্রক্টর খালেদ সাইফুল্লাহ বলেন, ম্যানেজমেন্ট স্টাডিজ বিভাগের শিক্ষকদের রুমে দরজার নিচে দিয়ে কিছু ছেলে চিঠি দিচ্ছিলো। এটা দেখতে পারেন বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ড. মো. মিরাজ হোসেন হোসেন। এসময় তিনি কথা বলতে গেলে তারা পালিয়ে যেতে ধরলে ওই শিক্ষকের সাথে তাদের ধস্তাধস্তি হয়। পরে একজনকে আটক করা হয়।
তিনি জানান, আটক শিক্ষার্থীর কাছ থেকে সরকার বিরোধী লিফলেট, তাদের সংগঠনের বিভিন্ন বক্তব্য সম্বলিত চিঠি, একটি মোবাইল, ট্রান্সজেন্ডার ও সমকামীতা নিয়ে লেখা একটি ডায়েরী পাওয়া গেছে।
হিজবুল তাহরীর সদস্যকে আটক করা শিক্ষক সমিতির কোষাধ্যক্ষ ও ম্যানেজমেন্ট স্টাডিজ বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ড. মো. মিরাজ হোসেন জানান, সকালে আমার অফিসের দরজার নীচ দিয়ে চিঠি দেয়ার সময় সন্দেহের বশে আমি দরজা খুলে তিনজনকে দেখতে পাই। এর মধ্যে আমি একজনকে হাতেনাতে ধরি। আর বাকি দুই জন পালিয়ে যায়। পরবর্তীতে আমি তাকে প্রক্টরিয়াল বডির হাতে তুলে দেই।
প্রক্টরিয়াল বডি ওই সদস্যকে পুলিশের হাতে তুলে দিয়েছেন বলে জানান বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর জাহাঙ্গীর হোসেন। তিনি বলেন, আটক সদস্যকে পুলিশের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে এবং মামলা করা হয়েছে। পুলিশ তাকে থানায় নিয়ে গেছে। এছাড়া যে প্রক্রিয়া আছে সেটি অনুসরণ করেছি।
কোতোয়ালি থানাধীন জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় পুলিশ ফাড়ির ইনচার্জ এস আই হাসান মাতুব্বর জানান, পালিয়ে যাওয়া হিজবুত তাহরীর অপর দুই সদস্য মুসাইব ও সিফাত ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ফার্মেসী বিভাগের ২০১৮-১৯ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী। আটক অনিক খন্দকারকে কোতোয়ালি থানায় পাঠানো হয়েছে।
বৃহস্পতিবার, ২২ ফেব্রুয়ারী ২০২৪
জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ে (জবি) আন্তর্জাতিক নিষিদ্ধ সংগঠন বাংলাদেশ হিযবুত তাহরীরের এক সদস্যকে আটক করা হয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে শিক্ষকদের রুমে লুকিয়ে চিঠি বিতরণের সময় এক শিক্ষকের সাথে ধস্তাধস্তির এক পর্যায়ে তাকে আটক করা হয়। আটককৃত শিক্ষার্থী ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের স্নাতকোত্তর শিক্ষার্থী।
আজ বৃহস্পতিবার সকাল ৮টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের ম্যানেজমেন্ট স্টাডিজ বিভাগে তাকে আটক করা হয়। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ জাহাঙ্গীর হোসেন।
আটক ওই সদস্যের নাম অনিক খন্দকার। তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের মৃত্তিকা, পানি ও পরিবেশ বিজ্ঞান বিভাগের ২০১৮-১৯ সেশনের শিক্ষার্থী। তিনি ফজলুল হক মুসলিম হলের আবাসিক শিক্ষার্থী।
শিক্ষকের অফিসে চিঠি দেয়ার সময় হাতেনাতে ধরা হয়েছে বলে জানিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক জাহাঙ্গীর হোসেন বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের ম্যানেজমেন্ট স্টাডিজ বিভাগে লিফলেট বিতরণের সময় তাকে আটক করা হয়েছে। এ ব্যাপারে মামলা প্রক্রিয়াধীন। বিশ্ববিদ্যালয়ের নিরাপত্তা কর্মকর্তা বাদী হয়ে এ মামলা করবেন। এ ধরনের কর্মকাণ্ড জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ে কোনোভাবেই গ্রহণযোগ্য নয় বলে জানিয়েছেন তিনি।
ঘটনার বিস্তারিত জানাতে বিশ্ববিদ্যালয়ের সহকারী প্রক্টর খালেদ সাইফুল্লাহ বলেন, ম্যানেজমেন্ট স্টাডিজ বিভাগের শিক্ষকদের রুমে দরজার নিচে দিয়ে কিছু ছেলে চিঠি দিচ্ছিলো। এটা দেখতে পারেন বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ড. মো. মিরাজ হোসেন হোসেন। এসময় তিনি কথা বলতে গেলে তারা পালিয়ে যেতে ধরলে ওই শিক্ষকের সাথে তাদের ধস্তাধস্তি হয়। পরে একজনকে আটক করা হয়।
তিনি জানান, আটক শিক্ষার্থীর কাছ থেকে সরকার বিরোধী লিফলেট, তাদের সংগঠনের বিভিন্ন বক্তব্য সম্বলিত চিঠি, একটি মোবাইল, ট্রান্সজেন্ডার ও সমকামীতা নিয়ে লেখা একটি ডায়েরী পাওয়া গেছে।
হিজবুল তাহরীর সদস্যকে আটক করা শিক্ষক সমিতির কোষাধ্যক্ষ ও ম্যানেজমেন্ট স্টাডিজ বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ড. মো. মিরাজ হোসেন জানান, সকালে আমার অফিসের দরজার নীচ দিয়ে চিঠি দেয়ার সময় সন্দেহের বশে আমি দরজা খুলে তিনজনকে দেখতে পাই। এর মধ্যে আমি একজনকে হাতেনাতে ধরি। আর বাকি দুই জন পালিয়ে যায়। পরবর্তীতে আমি তাকে প্রক্টরিয়াল বডির হাতে তুলে দেই।
প্রক্টরিয়াল বডি ওই সদস্যকে পুলিশের হাতে তুলে দিয়েছেন বলে জানান বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর জাহাঙ্গীর হোসেন। তিনি বলেন, আটক সদস্যকে পুলিশের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে এবং মামলা করা হয়েছে। পুলিশ তাকে থানায় নিয়ে গেছে। এছাড়া যে প্রক্রিয়া আছে সেটি অনুসরণ করেছি।
কোতোয়ালি থানাধীন জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় পুলিশ ফাড়ির ইনচার্জ এস আই হাসান মাতুব্বর জানান, পালিয়ে যাওয়া হিজবুত তাহরীর অপর দুই সদস্য মুসাইব ও সিফাত ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ফার্মেসী বিভাগের ২০১৮-১৯ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী। আটক অনিক খন্দকারকে কোতোয়ালি থানায় পাঠানো হয়েছে।