কারাগারে আটক জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের (জবি) শিক্ষার্থী খাদিজাতুল কুবরার মুক্তির দাবিতে বিক্ষোভ মিছিল করেছে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের (জাবি) প্রগতিশীল শিক্ষার্থীরা।
রোববার (২৭ আগস্ট) দুপুর দেড়টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের মুরাদ চত্বর থেকে মিছিলটি বের হয়।
বিশ্ববিদ্যালয়ের মুরাদ চত্বর থেকে শুরু হওয়া বিক্ষোভে অন্তত ৩০ জন শিক্ষার্থী যোগ দেন। তারা অবিলম্বে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের বাতিলসহ আরও কিছু স্লোগান নিয়ে মিছিল বের করেন। মিছিলটি বিশ্ববিদ্যালয়ের গুরুত্বপূর্ণ রাস্তা ঘুরে বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিবহন চত্বরে এসে সংক্ষিপ্ত সমাবেশের মাধ্যমে শেষ হয়।
সমাবেশে বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থনীতি বিভাগের ৪৭তম ব্যাচের শিক্ষার্থী তাপসী দে প্রাপ্তি বলেন, ‘ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের মামলায় জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী খাদিজাতুল কুবরাকে দীর্ঘ ৩৬৫ দিন কারাগারে আটকে রাখা হয়েছে। তিনি কিডনি সমস্যায় ভুগছেন। ছয়বার তার জামিন আবেদন করেও তার জামিন নাকোচ করা হয়েছে। কারণ ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের ধারাসমূহ জামিন অযোগ্য। বিভিন্ন পরিসংখ্যানে বিষয়টি স্পষ্ট, এই মামলাটি রাজনৈতিক কারণে ব্যবহার ও ভিন্ন মত দমনে ক্ষমতাসীনদের একটি হাতিয়ারে পরিণত হয়েছে। আমরা অতি দ্রুত খাদিজার মু্ক্তি চাই।
তিনি আরও বলেন, ডিজিটাল সিকিউরিটি অ্যাক্টকে মডিফাই করে বাক স্বাধীনতাকে রুখে দেওয়ার জন্য নতুন রূপে সাইবার সিকিউরিটি অ্যাক্ট আনা হয়েছে। আমরা সংস্কার নয়, আমরা বাকস্বাধীনতা রক্ষায় এসব আইনের বাতিল চাই।
এ সময় জাহাঙ্গীরনগর সাংস্কৃতিক জোটের সাধারণ সম্পাদক সুমাইয়া জাহান বলেন, যে আইন আমাদের ভোগান্তির কারণ হয়, সে আইনের প্রয়োজন নেই। ডিজিটাল সিকিউরিটি অ্যাক্ট আসলে ক্ষমতাসীনদের জন্য। এর ব্যবহারও ক্ষমতাসীনদের হাতে৷
ছাত্র ইউনিয়নের সহ সাধারণ সম্পাদক হৃদ্য অনিন্দ্য গাঙ্গুলি বলেন, ‘ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের আওতায় সরকারের বিরুদ্ধে যারাই কলম ধরছে ও রাজপথে আন্দোলন করছে তাদের জেলে দেওয়া হয়েছে। লেখক মুশতাক সহ আরও অনেককে নির্যাতন করে হত্যা করেছে এই সরকার। তাদের বিরুদ্ধে দেয়া সাজানো মামলা প্রত্যাহার করতে হবে। ডিজিটাল সিকিউরিটি আইন বাতিল করে এর অধীনে আটককৃত সবাইকে মুক্তি দিতে হবে। গণতন্ত্রের মানষকণ্যাকে স্বৈরাচারের রানী বলতেও এ দেশের জনগণ দ্বিধা করবে না।’
তিনি আরও বলেন, সরকারের গদি যখন টলমল করে ওঠে তখনই সরকারের জুলুম নির্যাতনের মাত্রা বেড়ে যায়। এই সরকারের সময়ও শেষ হয়ে এসেছে। পৃথিবীর ইতিহাসে কোনো স্বৈরশাসকই টিকতে পারে নি। তাই আমি বলতে চাই, ‘হিটলার,এরশাদ,আইয়ুব গেছে যেই পথে, হাসিনা যাবে সেই পথে।
উল্লেখ্য, গত বছরের ২৭ আগস্ট জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের (জবি) রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষার্থী খাদিজাতুল কুবরাকে গ্রেপ্তার করা হয়। তার নামে ২০২০ সালে যখন ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে মামলা হয়, তখন বয়স ছিল ১৭ বছর। অথচ তাকে প্রাপ্তবয়স্ক দেখিয়ে মামলাটি করা হয়। কিডনির সমস্যায় ভুগলেও ঢাকার একটি আদালতে খাদিজাতুল কুবরার জামিন আবেদন কয়েক দফায় নাকচ হয়েছে।
রোববার, ২৭ আগস্ট ২০২৩
কারাগারে আটক জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের (জবি) শিক্ষার্থী খাদিজাতুল কুবরার মুক্তির দাবিতে বিক্ষোভ মিছিল করেছে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের (জাবি) প্রগতিশীল শিক্ষার্থীরা।
রোববার (২৭ আগস্ট) দুপুর দেড়টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের মুরাদ চত্বর থেকে মিছিলটি বের হয়।
বিশ্ববিদ্যালয়ের মুরাদ চত্বর থেকে শুরু হওয়া বিক্ষোভে অন্তত ৩০ জন শিক্ষার্থী যোগ দেন। তারা অবিলম্বে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের বাতিলসহ আরও কিছু স্লোগান নিয়ে মিছিল বের করেন। মিছিলটি বিশ্ববিদ্যালয়ের গুরুত্বপূর্ণ রাস্তা ঘুরে বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিবহন চত্বরে এসে সংক্ষিপ্ত সমাবেশের মাধ্যমে শেষ হয়।
সমাবেশে বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থনীতি বিভাগের ৪৭তম ব্যাচের শিক্ষার্থী তাপসী দে প্রাপ্তি বলেন, ‘ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের মামলায় জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী খাদিজাতুল কুবরাকে দীর্ঘ ৩৬৫ দিন কারাগারে আটকে রাখা হয়েছে। তিনি কিডনি সমস্যায় ভুগছেন। ছয়বার তার জামিন আবেদন করেও তার জামিন নাকোচ করা হয়েছে। কারণ ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের ধারাসমূহ জামিন অযোগ্য। বিভিন্ন পরিসংখ্যানে বিষয়টি স্পষ্ট, এই মামলাটি রাজনৈতিক কারণে ব্যবহার ও ভিন্ন মত দমনে ক্ষমতাসীনদের একটি হাতিয়ারে পরিণত হয়েছে। আমরা অতি দ্রুত খাদিজার মু্ক্তি চাই।
তিনি আরও বলেন, ডিজিটাল সিকিউরিটি অ্যাক্টকে মডিফাই করে বাক স্বাধীনতাকে রুখে দেওয়ার জন্য নতুন রূপে সাইবার সিকিউরিটি অ্যাক্ট আনা হয়েছে। আমরা সংস্কার নয়, আমরা বাকস্বাধীনতা রক্ষায় এসব আইনের বাতিল চাই।
এ সময় জাহাঙ্গীরনগর সাংস্কৃতিক জোটের সাধারণ সম্পাদক সুমাইয়া জাহান বলেন, যে আইন আমাদের ভোগান্তির কারণ হয়, সে আইনের প্রয়োজন নেই। ডিজিটাল সিকিউরিটি অ্যাক্ট আসলে ক্ষমতাসীনদের জন্য। এর ব্যবহারও ক্ষমতাসীনদের হাতে৷
ছাত্র ইউনিয়নের সহ সাধারণ সম্পাদক হৃদ্য অনিন্দ্য গাঙ্গুলি বলেন, ‘ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের আওতায় সরকারের বিরুদ্ধে যারাই কলম ধরছে ও রাজপথে আন্দোলন করছে তাদের জেলে দেওয়া হয়েছে। লেখক মুশতাক সহ আরও অনেককে নির্যাতন করে হত্যা করেছে এই সরকার। তাদের বিরুদ্ধে দেয়া সাজানো মামলা প্রত্যাহার করতে হবে। ডিজিটাল সিকিউরিটি আইন বাতিল করে এর অধীনে আটককৃত সবাইকে মুক্তি দিতে হবে। গণতন্ত্রের মানষকণ্যাকে স্বৈরাচারের রানী বলতেও এ দেশের জনগণ দ্বিধা করবে না।’
তিনি আরও বলেন, সরকারের গদি যখন টলমল করে ওঠে তখনই সরকারের জুলুম নির্যাতনের মাত্রা বেড়ে যায়। এই সরকারের সময়ও শেষ হয়ে এসেছে। পৃথিবীর ইতিহাসে কোনো স্বৈরশাসকই টিকতে পারে নি। তাই আমি বলতে চাই, ‘হিটলার,এরশাদ,আইয়ুব গেছে যেই পথে, হাসিনা যাবে সেই পথে।
উল্লেখ্য, গত বছরের ২৭ আগস্ট জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের (জবি) রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষার্থী খাদিজাতুল কুবরাকে গ্রেপ্তার করা হয়। তার নামে ২০২০ সালে যখন ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে মামলা হয়, তখন বয়স ছিল ১৭ বছর। অথচ তাকে প্রাপ্তবয়স্ক দেখিয়ে মামলাটি করা হয়। কিডনির সমস্যায় ভুগলেও ঢাকার একটি আদালতে খাদিজাতুল কুবরার জামিন আবেদন কয়েক দফায় নাকচ হয়েছে।