জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের (জবি) গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. শাহ নিস্তার জাহান কবিরকে প্রকাশ্যে দেখে নেয়ার হুমকি দিয়েছে জবি ছাত্রলীগ কর্মী সাইদুর ইসলাম সাইদ। হুমকিদাতা সাইদুর ইসলাম বর্তমানে ডিবেটিং সোসাইটির সভাপতি এবং জবি ছাত্রলীগ সভাপতি মো. ইব্রাহীম ফরাজীর অনুসারী।
মঙ্গলবার (২৯ আগস্ট) অধ্যাপক ড. শাহ নিস্তার জাহান কবীর বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেন, সোমবার বিকাল ৪টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের শান্ত চত্বরে এ ঘটনা ঘটে।
জানা যায়, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের ডিবেটিং সোসাইটিতে ৩৬টি বিভাগ ও ২টি ইনস্টিটিউট থেকে ২ জন করে ভোটার নির্বাচিত হন। যাদের ভোটে পরবর্তীতে ডিবেটিং সোসাইটির কমিটি গঠন করা হয়। সাংবাদিকতা বিভাগ থেকে সাইদ তার পছন্দের ২ জনকে ভোটার করার জন্য অধ্যাপক শাহ নিস্তারকে অনুরোধ করেন। এ সময় অধ্যাপক নিস্তার বলেন, প্রতিনিধি মনোনয়নের জন্য আলাদা শিক্ষক রয়েছেন। তারা বাছাই করে তা নির্ধারণ করেন।
এ নিয়ে অধ্যাপক নিস্তারের সাথে তর্কে জড়ান অভিযুক্ত সাইদ। এক পর্যায়ে সাইদ ওই শিক্ষককে হুমকি দিয়ে বলেন, আপনার বিরুদ্ধে অনেক অভিযোগ রয়েছে। আপনাকে আমি দেখে নিব।
এ সময় সাঈদের কথার প্রতিবাদ করেন একই বিভাগের সহকারী অধ্যাপক ইব্রাহীম বিন হারুন। তিনি বলেন, আমি তাকে বললাম যে আপনি এভাবে কথা বলতে পারেন না। তখন সাইদ পাল্টা প্রশ্ন করেন, তাকে বললে আপনার গায়ে লাগে কেন? আমি বললাম, অবশ্যই আমার গায়ে লাগে। আমার সিনিয়র স্যারের সাথে এভাবে কথা বললে কেন আমার গায়ে লাগবে না? আপনার যদি তার সাথে ব্যক্তিগত কথা থেকে থাকে আপনি তাকে পার্সোনালি বলেন, আপনি তাকে এভাবে জুনিয়র শিক্ষকদের সামনে বলতে পারেন না। পরে সাইদ আমাকেও দেখে নেওয়ার হুমকি দেন।
এ বিষয়ে ভুক্তভোগী অধ্যাপক ড. শাজ নিস্তার জাহান কবীর বলেন, সাইদ তার পছন্দের লোককে অবৈধভাবে ডিবেটিং সোসাইটির নির্বাচনে প্রতিনিধি নিয়োগ দেওয়ার জন্য বলেছিল। কিন্তু আমি তার অন্যায় দাবি মেনে নেই নি। পরবর্তীতে তিনি আমাকে প্রকাশ্যে দেখে নেওয়ার হুমকি দেন। বিষয়টি নিয়ে আমি বিব্রত।
অভিযুক্ত সাইদুল ইসলাম সাইদ বলেন, আমি কাল গিয়ে ‘সরি’ বলে আসবো। এটা নিয়ে আপাতত কিছু করার দরকার নেই।
এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর ড. মো. মোস্তফা কামাল বলেন, একজন শিক্ষককে লাঞ্ছিত করা খুবই অন্যায়। কিন্তু আমরা এখনও শিক্ষকের পক্ষ থেকে কোন ধরনের লিখিত অভিযোগ পাই নি। অভিযোগ পেলে আমরা অবশ্যই ব্যবস্থা গ্রহণ করব। সে যেই হোক না কেন, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের ইতিহাসে যেই এমন করেছে তার শাস্তি হয়েছে। আপনারা হয়তো লোক প্রশাসন বিভাগের শিক্ষক লাঞ্ছিত হওয়ার ঘটনা জানেন। তা ছাড়া একজনের অভিযোগের ভিত্তিতে ছাত্রত্বও বাতিল হয়েছিল।
উল্লেখ্য, গত বছর জুলাইতে সাইদের বিরুদ্ধে প্রকাশ্যে ডায়াগনস্টিক সেন্টার থেকে চাঁদাবাজির অভিযোগ রয়েছে। যা সিসিটিভি ফুটেজে দেখা যায়। এতে একাধিক জাতীয় গণমাধ্যমে সংবাদ প্রকাশ করা হয়। পরে ছাত্রলীগের সভাপতির কাছে বিচার দিলেও তারা কোনো ব্যবস্থা নেননি। এ ছাড়া চলতি বছরের ৪ মার্চে সাইদের হাতে মারধরের শিকার হন ডিবেটিং সোসাইটির সাংগঠনিক সম্পাদক তৌফিকুল হাসান হৃদয়। হৃদয়কে তিনি ৫ মিনিটের মধ্যে ক্যাম্পাস ত্যাগ করার হুমকি দেন।
বুধবার, ৩০ আগস্ট ২০২৩
জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের (জবি) গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. শাহ নিস্তার জাহান কবিরকে প্রকাশ্যে দেখে নেয়ার হুমকি দিয়েছে জবি ছাত্রলীগ কর্মী সাইদুর ইসলাম সাইদ। হুমকিদাতা সাইদুর ইসলাম বর্তমানে ডিবেটিং সোসাইটির সভাপতি এবং জবি ছাত্রলীগ সভাপতি মো. ইব্রাহীম ফরাজীর অনুসারী।
মঙ্গলবার (২৯ আগস্ট) অধ্যাপক ড. শাহ নিস্তার জাহান কবীর বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেন, সোমবার বিকাল ৪টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের শান্ত চত্বরে এ ঘটনা ঘটে।
জানা যায়, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের ডিবেটিং সোসাইটিতে ৩৬টি বিভাগ ও ২টি ইনস্টিটিউট থেকে ২ জন করে ভোটার নির্বাচিত হন। যাদের ভোটে পরবর্তীতে ডিবেটিং সোসাইটির কমিটি গঠন করা হয়। সাংবাদিকতা বিভাগ থেকে সাইদ তার পছন্দের ২ জনকে ভোটার করার জন্য অধ্যাপক শাহ নিস্তারকে অনুরোধ করেন। এ সময় অধ্যাপক নিস্তার বলেন, প্রতিনিধি মনোনয়নের জন্য আলাদা শিক্ষক রয়েছেন। তারা বাছাই করে তা নির্ধারণ করেন।
এ নিয়ে অধ্যাপক নিস্তারের সাথে তর্কে জড়ান অভিযুক্ত সাইদ। এক পর্যায়ে সাইদ ওই শিক্ষককে হুমকি দিয়ে বলেন, আপনার বিরুদ্ধে অনেক অভিযোগ রয়েছে। আপনাকে আমি দেখে নিব।
এ সময় সাঈদের কথার প্রতিবাদ করেন একই বিভাগের সহকারী অধ্যাপক ইব্রাহীম বিন হারুন। তিনি বলেন, আমি তাকে বললাম যে আপনি এভাবে কথা বলতে পারেন না। তখন সাইদ পাল্টা প্রশ্ন করেন, তাকে বললে আপনার গায়ে লাগে কেন? আমি বললাম, অবশ্যই আমার গায়ে লাগে। আমার সিনিয়র স্যারের সাথে এভাবে কথা বললে কেন আমার গায়ে লাগবে না? আপনার যদি তার সাথে ব্যক্তিগত কথা থেকে থাকে আপনি তাকে পার্সোনালি বলেন, আপনি তাকে এভাবে জুনিয়র শিক্ষকদের সামনে বলতে পারেন না। পরে সাইদ আমাকেও দেখে নেওয়ার হুমকি দেন।
এ বিষয়ে ভুক্তভোগী অধ্যাপক ড. শাজ নিস্তার জাহান কবীর বলেন, সাইদ তার পছন্দের লোককে অবৈধভাবে ডিবেটিং সোসাইটির নির্বাচনে প্রতিনিধি নিয়োগ দেওয়ার জন্য বলেছিল। কিন্তু আমি তার অন্যায় দাবি মেনে নেই নি। পরবর্তীতে তিনি আমাকে প্রকাশ্যে দেখে নেওয়ার হুমকি দেন। বিষয়টি নিয়ে আমি বিব্রত।
অভিযুক্ত সাইদুল ইসলাম সাইদ বলেন, আমি কাল গিয়ে ‘সরি’ বলে আসবো। এটা নিয়ে আপাতত কিছু করার দরকার নেই।
এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর ড. মো. মোস্তফা কামাল বলেন, একজন শিক্ষককে লাঞ্ছিত করা খুবই অন্যায়। কিন্তু আমরা এখনও শিক্ষকের পক্ষ থেকে কোন ধরনের লিখিত অভিযোগ পাই নি। অভিযোগ পেলে আমরা অবশ্যই ব্যবস্থা গ্রহণ করব। সে যেই হোক না কেন, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের ইতিহাসে যেই এমন করেছে তার শাস্তি হয়েছে। আপনারা হয়তো লোক প্রশাসন বিভাগের শিক্ষক লাঞ্ছিত হওয়ার ঘটনা জানেন। তা ছাড়া একজনের অভিযোগের ভিত্তিতে ছাত্রত্বও বাতিল হয়েছিল।
উল্লেখ্য, গত বছর জুলাইতে সাইদের বিরুদ্ধে প্রকাশ্যে ডায়াগনস্টিক সেন্টার থেকে চাঁদাবাজির অভিযোগ রয়েছে। যা সিসিটিভি ফুটেজে দেখা যায়। এতে একাধিক জাতীয় গণমাধ্যমে সংবাদ প্রকাশ করা হয়। পরে ছাত্রলীগের সভাপতির কাছে বিচার দিলেও তারা কোনো ব্যবস্থা নেননি। এ ছাড়া চলতি বছরের ৪ মার্চে সাইদের হাতে মারধরের শিকার হন ডিবেটিং সোসাইটির সাংগঠনিক সম্পাদক তৌফিকুল হাসান হৃদয়। হৃদয়কে তিনি ৫ মিনিটের মধ্যে ক্যাম্পাস ত্যাগ করার হুমকি দেন।