উপাচার্য আমার জন্য চেয়ারে বসেছে, সেটা সে ভুলে গেছে - একটি ফাঁস হওয়া অডিও বার্তায় এমন মন্তব্য করেছেন যৌন নিপীড়নের দায়ে অভিযুক্ত জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের (জাবি) পাবলিক হেলথ অ্যান্ড ইনফরমেটিক্স বিভাগের সহকারী অধ্যাপক মাহমুদুর রহমান জনি। এছাড়া ওই অডিও বার্তায় বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক মো. নূরুল আলমকে অশ্রাব্য ভাষায় গালিগালাজ করা হয়।
সোমবার (১৮ সেপ্টেম্বর) কুরিয়ারের মাধ্যমে একটি খাম সাংবাদিকদের পাঠানো হয়। সেখানে উপাচার্যকে গালিগালাজ করার অডিও ক্লিপ সম্বলিত ডিভিডি, বেনামি চিঠি ও দায়মুক্তি প্রত্যাহার পত্র পাওয়া যায়। প্রেরকের পরিচয় না থাকলেও ‘প্রক্টরিয়াল বডির একজন সদস্য’ লেখা রয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয়ের সংশ্লিষ্টদের কথা বলে অডিও ক্লিপটি জনির বলে নিশ্চিত হওয়া গেছে। তিনি ২০১২ সালে জাবি ছাত্রলীগের সভাপতি ছিলেন। তার বিরুদ্ধে একাধিক নারীর সঙ্গে ‘অনৈতিক’ সম্পর্ক স্থাপনের অভিযোগ রয়েছে।
৫২ সেকেন্ডের অডিও ক্লিপে মাহমুদুর রহমান জনিকে বলতে শোনা যায়, ‘বাট ইউ ফরগেট, আই ওয়াজ ওয়ান্স আপন এ টাইম, আই ওয়াজ দ্য এক্স প্রেসিডেন্ট অফ বিএসএল-জেইউ। আমি হয়তো ধরা খাব, ধরা খাব না এমন বলছি না। কিন্তু ধরা খাওয়ার আগে আমি চার-পাঁচটা মুখ শেষ করে দিব। অ্যান্ড ভিসিকে আমি একজনকে দিয়ে রিচ করেছিলাম, ভিসি বলছে, আমি ওকে বহিষ্কার করে দিচ্ছি, সাসপেন্ড করে দিচ্ছি। ওকে আইনের আশ্রয় নিতে বলো।’
এ ছাড়া অডিও ক্লিপের ৩২ সেকেন্ডের পর মাহমুদুর রহমান জনি উপাচার্যকে নিয়ে লেখার অযোগ্য ভাষায় গালাগাল করতে থাকে। তিনি বলতে থাকেন, ‘যেহেতু আমাকে আইনের আশ্রয় নিতে বলছে, আমাকে নাকি বহিষ্কার করে দিচ্ছে, ইউনিভার্সিটি থেকে। তাই আমাকে বলা হয়েছে আইনের আশ্রয় নিতে। উপাচার্য যে আমার জন্য চেয়ারে বসেছে, সেটা সে ভুলে গেছে।’ ৫২ সেকেন্ডের এ অডিও ক্লিপে শিক্ষক জনিকে মদ্যপ অবস্থায় কথা বলতে শোনা যায়।
এর আগে মাহমুদুর রহমান জনির বিরুদ্ধে চাকরির প্রলোভনে একাধিক ছাত্রীর সঙ্গে ‘অনৈতিক’ সম্পর্ক স্থাপনের অভিযোগ রয়েছে। গত বছরের ২১ নভেম্বর মাহমুদুর রহমান জনি ও একই বিভাগের প্রভাষক আনিকা বুশরা বৈচির একটি অন্তরঙ্গ ছবি (সেলফি) বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন স্থানে পোস্টারিং করা হয়। তার প্রেক্ষিতে জনির বিচারের দাবিতে আন্দোলন করেন শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের একাংশ। পরে ৮ ডিসেম্বর একাধিক ছাত্রীর সাথে নৈতিক স্খলনের অভিযোগে জনির বিরুদ্ধে প্রাথমিক তদন্ত কমিটি গঠিত হয়। চলতি বছরের ৩১ জানুয়ারির মধ্যে তদন্ত প্রতিবেদন জমা দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়। সে সময় বিশ্ববিদ্যালয়ের সহকারী প্রক্টরের পদ থেকে পদত্যাগ করেন জনি।
এ বিষয়ে জানতে উপাচার্য অধ্যাপক মো. নূরুল আলমকে একাধিকবার যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও তিনি ফোন রিসিভ করেননি।
এ ব্যাপারে অভিযুক্ত শিক্ষক মাহমুদুর রহমান জনি বলেন, এ ধরণের কোন কথা আমি বলিনি। অডিও ক্লিপ সম্পর্কে আমি জানিও না। উপাচার্যকে ক্ষমতায় বসানোর আমি কে? উপাচার্য একজন সজ্জন ব্যক্তি। মহামান্য রাষ্ট্রপতি তাকে নিয়োগ দিয়েছেন। আর আমি যতটুকু জানি এ ঘটনায় কোন দায়মুক্তি পত্র দেয়া হয় নাই। যে ঘটনায় আমার সংশ্লিষ্টতা নেই, সেখানে আমি কেন দায়মুক্তি পত্র লেখাবো। এটা আমার বিরুদ্ধে দীর্ঘদিন যাবৎ চলা ষড়যন্ত্রের অংশ।
মঙ্গলবার, ১৯ সেপ্টেম্বর ২০২৩
উপাচার্য আমার জন্য চেয়ারে বসেছে, সেটা সে ভুলে গেছে - একটি ফাঁস হওয়া অডিও বার্তায় এমন মন্তব্য করেছেন যৌন নিপীড়নের দায়ে অভিযুক্ত জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের (জাবি) পাবলিক হেলথ অ্যান্ড ইনফরমেটিক্স বিভাগের সহকারী অধ্যাপক মাহমুদুর রহমান জনি। এছাড়া ওই অডিও বার্তায় বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক মো. নূরুল আলমকে অশ্রাব্য ভাষায় গালিগালাজ করা হয়।
সোমবার (১৮ সেপ্টেম্বর) কুরিয়ারের মাধ্যমে একটি খাম সাংবাদিকদের পাঠানো হয়। সেখানে উপাচার্যকে গালিগালাজ করার অডিও ক্লিপ সম্বলিত ডিভিডি, বেনামি চিঠি ও দায়মুক্তি প্রত্যাহার পত্র পাওয়া যায়। প্রেরকের পরিচয় না থাকলেও ‘প্রক্টরিয়াল বডির একজন সদস্য’ লেখা রয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয়ের সংশ্লিষ্টদের কথা বলে অডিও ক্লিপটি জনির বলে নিশ্চিত হওয়া গেছে। তিনি ২০১২ সালে জাবি ছাত্রলীগের সভাপতি ছিলেন। তার বিরুদ্ধে একাধিক নারীর সঙ্গে ‘অনৈতিক’ সম্পর্ক স্থাপনের অভিযোগ রয়েছে।
৫২ সেকেন্ডের অডিও ক্লিপে মাহমুদুর রহমান জনিকে বলতে শোনা যায়, ‘বাট ইউ ফরগেট, আই ওয়াজ ওয়ান্স আপন এ টাইম, আই ওয়াজ দ্য এক্স প্রেসিডেন্ট অফ বিএসএল-জেইউ। আমি হয়তো ধরা খাব, ধরা খাব না এমন বলছি না। কিন্তু ধরা খাওয়ার আগে আমি চার-পাঁচটা মুখ শেষ করে দিব। অ্যান্ড ভিসিকে আমি একজনকে দিয়ে রিচ করেছিলাম, ভিসি বলছে, আমি ওকে বহিষ্কার করে দিচ্ছি, সাসপেন্ড করে দিচ্ছি। ওকে আইনের আশ্রয় নিতে বলো।’
এ ছাড়া অডিও ক্লিপের ৩২ সেকেন্ডের পর মাহমুদুর রহমান জনি উপাচার্যকে নিয়ে লেখার অযোগ্য ভাষায় গালাগাল করতে থাকে। তিনি বলতে থাকেন, ‘যেহেতু আমাকে আইনের আশ্রয় নিতে বলছে, আমাকে নাকি বহিষ্কার করে দিচ্ছে, ইউনিভার্সিটি থেকে। তাই আমাকে বলা হয়েছে আইনের আশ্রয় নিতে। উপাচার্য যে আমার জন্য চেয়ারে বসেছে, সেটা সে ভুলে গেছে।’ ৫২ সেকেন্ডের এ অডিও ক্লিপে শিক্ষক জনিকে মদ্যপ অবস্থায় কথা বলতে শোনা যায়।
এর আগে মাহমুদুর রহমান জনির বিরুদ্ধে চাকরির প্রলোভনে একাধিক ছাত্রীর সঙ্গে ‘অনৈতিক’ সম্পর্ক স্থাপনের অভিযোগ রয়েছে। গত বছরের ২১ নভেম্বর মাহমুদুর রহমান জনি ও একই বিভাগের প্রভাষক আনিকা বুশরা বৈচির একটি অন্তরঙ্গ ছবি (সেলফি) বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন স্থানে পোস্টারিং করা হয়। তার প্রেক্ষিতে জনির বিচারের দাবিতে আন্দোলন করেন শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের একাংশ। পরে ৮ ডিসেম্বর একাধিক ছাত্রীর সাথে নৈতিক স্খলনের অভিযোগে জনির বিরুদ্ধে প্রাথমিক তদন্ত কমিটি গঠিত হয়। চলতি বছরের ৩১ জানুয়ারির মধ্যে তদন্ত প্রতিবেদন জমা দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়। সে সময় বিশ্ববিদ্যালয়ের সহকারী প্রক্টরের পদ থেকে পদত্যাগ করেন জনি।
এ বিষয়ে জানতে উপাচার্য অধ্যাপক মো. নূরুল আলমকে একাধিকবার যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও তিনি ফোন রিসিভ করেননি।
এ ব্যাপারে অভিযুক্ত শিক্ষক মাহমুদুর রহমান জনি বলেন, এ ধরণের কোন কথা আমি বলিনি। অডিও ক্লিপ সম্পর্কে আমি জানিও না। উপাচার্যকে ক্ষমতায় বসানোর আমি কে? উপাচার্য একজন সজ্জন ব্যক্তি। মহামান্য রাষ্ট্রপতি তাকে নিয়োগ দিয়েছেন। আর আমি যতটুকু জানি এ ঘটনায় কোন দায়মুক্তি পত্র দেয়া হয় নাই। যে ঘটনায় আমার সংশ্লিষ্টতা নেই, সেখানে আমি কেন দায়মুক্তি পত্র লেখাবো। এটা আমার বিরুদ্ধে দীর্ঘদিন যাবৎ চলা ষড়যন্ত্রের অংশ।