alt

ক্যাম্পাস

ফিলিস্তিনের প্রতি সংহতি জানিয়ে ঢাবিতে সংহতি সমাবেশ

প্রতিনিধি, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় : সোমবার, ০৯ অক্টোবর ২০২৩

ইসরায়েল ও ফিলিস্তিনের মধ্যকার চলমান সংঘর্ষে ফিলিস্তিনের প্রতি সংহতি জানিয়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে (ঢাবি) সংহতি সমাবেশ ও মিছিল করেছে বিশ্ববিদ্যালয়ের একদল শিক্ষার্থী।

সোমবার ( ৯ অক্টোবর) দুপুর ২টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের রাজু ভাস্কর্যের পাদদেশে এই সংহতি সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়। সমাবেশ থেকে ফিলিস্তিনের হামাস বাহিনী কর্তৃক পরিচালিত ‘অপারেশন তুফান আল আকসা’ এর প্রতি সংহতি প্রকাশ করা হয়।

সমাবেশে ইসলামিক স্টাডিজের শিক্ষক আবদুল্লাহ জোবায়ের বলেন, ফিলিস্তিনে দীর্ঘদিন ধরে আমাদের মা-বোনেরা নির্যাতনের শিকার হয়ে আসছে। ১৯৭১ সালে আমাদের মা-বোনেরাও পাকিস্তানি বাহিনীর হাতে নির্যাতিত হয়েছে। কাজেই তাদের ব্যথাটা আমরা অনুভব করতে পারি। আমাদের বাংলাদেশ সেই স্বাধীনতা লগ্ন থেকেই ফিলিস্তিনের সাথে সংহতি জানিয়ে আসছে।

জামালউদ্দিন খালিদ নামে এক শিক্ষার্থী বলেন, আজ ফিলিস্তিনি ভাইয়েরা দেখিয়ে দিয়েছে যে, কীভাবে ভূমিদস্যু দখলদারদের তাড়াতে হয়। এই মুহূর্তে যারা প্রশ্ন তুলছে যে, কে আগে আক্রমণ করেছে? আমরা তাদের উদ্দেশ্য করে বলব যে, তারা পৃথিবীর সব দখলদার-স্বৈরাচারদের সপক্ষীয়। যেখানে প্রতিনিয়ত আমার মসজিদ কিংবা বাসস্থানে হামলা করছে, নারী-শিশুকে গুলি করে হত্যা করছে, বাড়িঘর দখল করছে- সেখানে আমি আগে হামলা করব নাকি করব না সেটা তো জানা কথা। যারা জুলুমের শিকার হবে, তারাই প্রতিরোধ করবে, আক্রমণ করবে, এটাই স্বাভাবিক। আমরা ফিলিস্তিনের সংগ্রামী প্রতিরোধের সাথে সংহতি প্রকাশ করছি। আমরা ফিলিস্তিনিদের মুক্তি চাই, স্বাধীনতা চাই এবং ইসরায়েলের ধ্বংস চাই।

শাখাওয়াত জাকারিয়া নামে আইন বিভাগের এক শিক্ষার্থী বলেন, ১৯৪৮ সাল থেকেই এ পর্যন্ত দখলদার ইসরায়েল ফিলিস্তিনি ভাইবোনদের ওপর হামলা করছে এবং তাদের বাস্তুভিটা থেকে প্রতিনিয়ত উৎখাত করছে। সেক্ষেত্রে, আমাদের দেশের কিছু শায়েখরা আজ গাজা আক্রান্ত হওয়ার জন্য হামাসকে দোষারোপ করছে। আমরা আমাদের এই সমাবেশ থেকে ফিলিস্তিনের প্রতিরোধ যোদ্ধাদের প্রতিরোধের প্রতি সংহতি প্রকাশ করছি। এর পাশাপাশি এও দাবি জানাচ্ছি যে, আবারও আমাদের দেশের পাসপোর্টে ‘এক্সেপ্ট ইসরায়েল’ লেখাটি যুক্ত করতে হবে। আর আমরা বলতে চাই, ইসরায়েল বাংলাদেশের মুসলমানদের শত্রু ছিল, এখনো আছে, ভবিষ্যতেও থাকবে।

এসময় ‘ইসরায়েল মুরতাবাদ, ফিলিস্তিন জিন্দাবাদ’ ‘ইন্তিফাদা, ইন্তিফাদা’, ‘ইসরায়েল নিপাত যাক, ফিলিস্তিন মুক্তিপাক’ ইত্যাদি স্লোগান দিতে থাকে সংহতি সমাবেশে উপস্থিত শিক্ষার্থীরা।

সংহতি সমাবেশ শেষে শিক্ষার্থীরা একটি মিছিল নিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসি চত্বর, মল চত্বর, শ্যাডো, কলা ভবন, সামাজিক বিজ্ঞান অনুষদ চত্বর, কেন্দ্রীয় মসজিদ ঘুরে আবারও রাজু ভাস্কর্যের পাদদেশে এসে শেষ হয়।

ছবি

বিকল্প ছাড়া বের করে দিলে যাব কোথায়’—হলে অনাবাসিকদের প্রশ্ন

ছবি

গাজার যুদ্ধবিধ্বস্ত ২০০ পরিবারে খাদ্যসামগ্রী পৌঁছে দিল জবি শিক্ষার্থীরা

ছবি

জাবিতে উপড়ে ফেলা হলো অর্ধশতাধিক গাছ

ছবি

বিচার না হওয়া ও ‘স্বচ্ছতার অভাব’—জাকসু নির্বাচন পেছানোর পেছনে নানা ব্যাখ্যা

রাবিতে প্রেমঘটিত হতাশায় শিক্ষার্থীর ‘আত্মহত্যা প্রচেষ্টা’

ডাকসু নির্বাচন নিয়ে কমিশন গঠনের আশ্বাস, ঘোষণা আসতে পারে সোমবার

ছবি

জুলাই গণ-অভ্যুত্থানে নিহত ও আহতদের পরিবারের সদস্যদের জন্য ঢাবিতে বিশেষ ভর্তি সুবিধা

ছবি

সাম্য হত্যা: তদন্ত প্রতিবেদন জমা দিল ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কমিটি

ছবি

রাবির বঙ্গবন্ধু হলের নাম এখন ‘বিজয়-২৪’

ছবি

চবিতে ক্লাস করতে আসা বহিষ্কৃত ছাত্রলীগ কর্মীকে মারধর, মুচলেকা নিয়ে ছাড়

পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে উপাচার্য নিয়োগে সার্চ কমিটি গঠন

ছবি

সরকারি সাত কলেজ নিয়ে প্রস্তাবিত বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসক অধ্যাপক ইলিয়াস

ছবি

রায় বাতিলসহ ৬ দফা দাবিতে হাইকোর্টে পলিটেকনিক শিক্ষার্থীদের অবস্থান

দাবি মানার প্রতিশ্রুতিতে আন্দোলন স্থগিত করেন জবির শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা

ছবি

যমুনার উদ্দেশে জবি শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের লং মার্চ শুরু

ছবি

ছুরিকাঘাতে ঢাবি ছাত্রদল নেতা সাম্যের মৃত্যু, বিক্ষোভ

ছবি

বুধবার জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের সকল পরীক্ষা স্থগিত

ছবি

প্রধান উপদেষ্টার বাসভবন অভিমুখে জবি শিক্ষার্থীদের ‘লং মার্চ’ ঘোষণা

ছবি

চায়ের দোকানের মালিকানা নিয়ে ঝামেলা, তালা ঝুলিয়ে ‘দিলেন জবি ছাত্রদল নেতা’

আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধের খবরে ঢাবিতে স্লোগানে মুখর রাত

আবু সাঈদের জীবন দান দেশের ইতিহাসে গুরুত্বপূর্ণ রাজনৈতিক দার্শনিক ঘটনা: ফরহাদ মজহার

ছবি

কুয়েট উপাচার্যের দায়িত্বে হযরত আলী

ছবি

রাকসু নির্বাচন: ধীরগতি, ঝুলে আছে বিধিমালা ও ভোটার তালিকা

ছবি

রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়: গভীর রাতে রেজিস্ট্রারের বাড়িতে ককটেল বিস্ফোরণ

ছবি

৩৩ বছর পর জাকসু নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা, ভোট ৩১ জুলাই

জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়: চার মাসে চারজনের আত্মহত্যা, প্রবণতা কি বাড়ছে? কী করছে কাউন্সেলিং সেন্টার?

ছবি

গলায় ফাঁস দিয়ে জবি শিক্ষার্থীর আত্মহত্যা, পুলিশ হেফাজতে ১

ছবি

অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ হলো ইউআইইউ

ছবি

কুবির দুই শিক্ষার্থী বহিষ্কার

ছবি

জবির কেন্দ্রীয় লাইব্রেরিতে ছাত্রদলের পক্ষ থেকে বুকশেলফ প্রদান

ছবি

পিএসসি সংস্কারে ৮ দফা দাবি জবি শিক্ষার্থীদের

ছবি

জবি রেজিস্ট্রারের পদত্যাগ দাবি: ২৪ ঘন্টার আল্টিমেটাম, কুশপুত্তলিকা দাহ

ছবি

‘এলাকার কলেজে পড়লে পারতে, … গেট আউট’, জবি শিক্ষার্থীকে রেজিস্ট্রার

ছবি

কুয়েট শিক্ষার্থীদের অনশন কর্মসূচি প্রত্যাহারের অনুরোধ শিক্ষা উপদেষ্টার

ছবি

বাউবিতে ‘উন্মুক্ত ও দূরশিক্ষণের জন্য মিডিয়া ও ডিজিটাল প্রোডাকশন কৌশল’ বিষয়ক প্রশিক্ষণ

ছবি

‎জবি শিক্ষার্থীদের কাঁথা-বালিশ কর্মসূচি ঘোষণা

tab

ক্যাম্পাস

ফিলিস্তিনের প্রতি সংহতি জানিয়ে ঢাবিতে সংহতি সমাবেশ

প্রতিনিধি, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়

সোমবার, ০৯ অক্টোবর ২০২৩

ইসরায়েল ও ফিলিস্তিনের মধ্যকার চলমান সংঘর্ষে ফিলিস্তিনের প্রতি সংহতি জানিয়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে (ঢাবি) সংহতি সমাবেশ ও মিছিল করেছে বিশ্ববিদ্যালয়ের একদল শিক্ষার্থী।

সোমবার ( ৯ অক্টোবর) দুপুর ২টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের রাজু ভাস্কর্যের পাদদেশে এই সংহতি সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়। সমাবেশ থেকে ফিলিস্তিনের হামাস বাহিনী কর্তৃক পরিচালিত ‘অপারেশন তুফান আল আকসা’ এর প্রতি সংহতি প্রকাশ করা হয়।

সমাবেশে ইসলামিক স্টাডিজের শিক্ষক আবদুল্লাহ জোবায়ের বলেন, ফিলিস্তিনে দীর্ঘদিন ধরে আমাদের মা-বোনেরা নির্যাতনের শিকার হয়ে আসছে। ১৯৭১ সালে আমাদের মা-বোনেরাও পাকিস্তানি বাহিনীর হাতে নির্যাতিত হয়েছে। কাজেই তাদের ব্যথাটা আমরা অনুভব করতে পারি। আমাদের বাংলাদেশ সেই স্বাধীনতা লগ্ন থেকেই ফিলিস্তিনের সাথে সংহতি জানিয়ে আসছে।

জামালউদ্দিন খালিদ নামে এক শিক্ষার্থী বলেন, আজ ফিলিস্তিনি ভাইয়েরা দেখিয়ে দিয়েছে যে, কীভাবে ভূমিদস্যু দখলদারদের তাড়াতে হয়। এই মুহূর্তে যারা প্রশ্ন তুলছে যে, কে আগে আক্রমণ করেছে? আমরা তাদের উদ্দেশ্য করে বলব যে, তারা পৃথিবীর সব দখলদার-স্বৈরাচারদের সপক্ষীয়। যেখানে প্রতিনিয়ত আমার মসজিদ কিংবা বাসস্থানে হামলা করছে, নারী-শিশুকে গুলি করে হত্যা করছে, বাড়িঘর দখল করছে- সেখানে আমি আগে হামলা করব নাকি করব না সেটা তো জানা কথা। যারা জুলুমের শিকার হবে, তারাই প্রতিরোধ করবে, আক্রমণ করবে, এটাই স্বাভাবিক। আমরা ফিলিস্তিনের সংগ্রামী প্রতিরোধের সাথে সংহতি প্রকাশ করছি। আমরা ফিলিস্তিনিদের মুক্তি চাই, স্বাধীনতা চাই এবং ইসরায়েলের ধ্বংস চাই।

শাখাওয়াত জাকারিয়া নামে আইন বিভাগের এক শিক্ষার্থী বলেন, ১৯৪৮ সাল থেকেই এ পর্যন্ত দখলদার ইসরায়েল ফিলিস্তিনি ভাইবোনদের ওপর হামলা করছে এবং তাদের বাস্তুভিটা থেকে প্রতিনিয়ত উৎখাত করছে। সেক্ষেত্রে, আমাদের দেশের কিছু শায়েখরা আজ গাজা আক্রান্ত হওয়ার জন্য হামাসকে দোষারোপ করছে। আমরা আমাদের এই সমাবেশ থেকে ফিলিস্তিনের প্রতিরোধ যোদ্ধাদের প্রতিরোধের প্রতি সংহতি প্রকাশ করছি। এর পাশাপাশি এও দাবি জানাচ্ছি যে, আবারও আমাদের দেশের পাসপোর্টে ‘এক্সেপ্ট ইসরায়েল’ লেখাটি যুক্ত করতে হবে। আর আমরা বলতে চাই, ইসরায়েল বাংলাদেশের মুসলমানদের শত্রু ছিল, এখনো আছে, ভবিষ্যতেও থাকবে।

এসময় ‘ইসরায়েল মুরতাবাদ, ফিলিস্তিন জিন্দাবাদ’ ‘ইন্তিফাদা, ইন্তিফাদা’, ‘ইসরায়েল নিপাত যাক, ফিলিস্তিন মুক্তিপাক’ ইত্যাদি স্লোগান দিতে থাকে সংহতি সমাবেশে উপস্থিত শিক্ষার্থীরা।

সংহতি সমাবেশ শেষে শিক্ষার্থীরা একটি মিছিল নিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসি চত্বর, মল চত্বর, শ্যাডো, কলা ভবন, সামাজিক বিজ্ঞান অনুষদ চত্বর, কেন্দ্রীয় মসজিদ ঘুরে আবারও রাজু ভাস্কর্যের পাদদেশে এসে শেষ হয়।

back to top