ইসরায়েল ও ফিলিস্তিনের মধ্যকার চলমান সংঘর্ষে ফিলিস্তিনের প্রতি সংহতি জানিয়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে (ঢাবি) সংহতি সমাবেশ ও মিছিল করেছে বিশ্ববিদ্যালয়ের একদল শিক্ষার্থী।
সোমবার ( ৯ অক্টোবর) দুপুর ২টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের রাজু ভাস্কর্যের পাদদেশে এই সংহতি সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়। সমাবেশ থেকে ফিলিস্তিনের হামাস বাহিনী কর্তৃক পরিচালিত ‘অপারেশন তুফান আল আকসা’ এর প্রতি সংহতি প্রকাশ করা হয়।
সমাবেশে ইসলামিক স্টাডিজের শিক্ষক আবদুল্লাহ জোবায়ের বলেন, ফিলিস্তিনে দীর্ঘদিন ধরে আমাদের মা-বোনেরা নির্যাতনের শিকার হয়ে আসছে। ১৯৭১ সালে আমাদের মা-বোনেরাও পাকিস্তানি বাহিনীর হাতে নির্যাতিত হয়েছে। কাজেই তাদের ব্যথাটা আমরা অনুভব করতে পারি। আমাদের বাংলাদেশ সেই স্বাধীনতা লগ্ন থেকেই ফিলিস্তিনের সাথে সংহতি জানিয়ে আসছে।
জামালউদ্দিন খালিদ নামে এক শিক্ষার্থী বলেন, আজ ফিলিস্তিনি ভাইয়েরা দেখিয়ে দিয়েছে যে, কীভাবে ভূমিদস্যু দখলদারদের তাড়াতে হয়। এই মুহূর্তে যারা প্রশ্ন তুলছে যে, কে আগে আক্রমণ করেছে? আমরা তাদের উদ্দেশ্য করে বলব যে, তারা পৃথিবীর সব দখলদার-স্বৈরাচারদের সপক্ষীয়। যেখানে প্রতিনিয়ত আমার মসজিদ কিংবা বাসস্থানে হামলা করছে, নারী-শিশুকে গুলি করে হত্যা করছে, বাড়িঘর দখল করছে- সেখানে আমি আগে হামলা করব নাকি করব না সেটা তো জানা কথা। যারা জুলুমের শিকার হবে, তারাই প্রতিরোধ করবে, আক্রমণ করবে, এটাই স্বাভাবিক। আমরা ফিলিস্তিনের সংগ্রামী প্রতিরোধের সাথে সংহতি প্রকাশ করছি। আমরা ফিলিস্তিনিদের মুক্তি চাই, স্বাধীনতা চাই এবং ইসরায়েলের ধ্বংস চাই।
শাখাওয়াত জাকারিয়া নামে আইন বিভাগের এক শিক্ষার্থী বলেন, ১৯৪৮ সাল থেকেই এ পর্যন্ত দখলদার ইসরায়েল ফিলিস্তিনি ভাইবোনদের ওপর হামলা করছে এবং তাদের বাস্তুভিটা থেকে প্রতিনিয়ত উৎখাত করছে। সেক্ষেত্রে, আমাদের দেশের কিছু শায়েখরা আজ গাজা আক্রান্ত হওয়ার জন্য হামাসকে দোষারোপ করছে। আমরা আমাদের এই সমাবেশ থেকে ফিলিস্তিনের প্রতিরোধ যোদ্ধাদের প্রতিরোধের প্রতি সংহতি প্রকাশ করছি। এর পাশাপাশি এও দাবি জানাচ্ছি যে, আবারও আমাদের দেশের পাসপোর্টে ‘এক্সেপ্ট ইসরায়েল’ লেখাটি যুক্ত করতে হবে। আর আমরা বলতে চাই, ইসরায়েল বাংলাদেশের মুসলমানদের শত্রু ছিল, এখনো আছে, ভবিষ্যতেও থাকবে।
এসময় ‘ইসরায়েল মুরতাবাদ, ফিলিস্তিন জিন্দাবাদ’ ‘ইন্তিফাদা, ইন্তিফাদা’, ‘ইসরায়েল নিপাত যাক, ফিলিস্তিন মুক্তিপাক’ ইত্যাদি স্লোগান দিতে থাকে সংহতি সমাবেশে উপস্থিত শিক্ষার্থীরা।
সংহতি সমাবেশ শেষে শিক্ষার্থীরা একটি মিছিল নিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসি চত্বর, মল চত্বর, শ্যাডো, কলা ভবন, সামাজিক বিজ্ঞান অনুষদ চত্বর, কেন্দ্রীয় মসজিদ ঘুরে আবারও রাজু ভাস্কর্যের পাদদেশে এসে শেষ হয়।
সোমবার, ০৯ অক্টোবর ২০২৩
ইসরায়েল ও ফিলিস্তিনের মধ্যকার চলমান সংঘর্ষে ফিলিস্তিনের প্রতি সংহতি জানিয়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে (ঢাবি) সংহতি সমাবেশ ও মিছিল করেছে বিশ্ববিদ্যালয়ের একদল শিক্ষার্থী।
সোমবার ( ৯ অক্টোবর) দুপুর ২টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের রাজু ভাস্কর্যের পাদদেশে এই সংহতি সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়। সমাবেশ থেকে ফিলিস্তিনের হামাস বাহিনী কর্তৃক পরিচালিত ‘অপারেশন তুফান আল আকসা’ এর প্রতি সংহতি প্রকাশ করা হয়।
সমাবেশে ইসলামিক স্টাডিজের শিক্ষক আবদুল্লাহ জোবায়ের বলেন, ফিলিস্তিনে দীর্ঘদিন ধরে আমাদের মা-বোনেরা নির্যাতনের শিকার হয়ে আসছে। ১৯৭১ সালে আমাদের মা-বোনেরাও পাকিস্তানি বাহিনীর হাতে নির্যাতিত হয়েছে। কাজেই তাদের ব্যথাটা আমরা অনুভব করতে পারি। আমাদের বাংলাদেশ সেই স্বাধীনতা লগ্ন থেকেই ফিলিস্তিনের সাথে সংহতি জানিয়ে আসছে।
জামালউদ্দিন খালিদ নামে এক শিক্ষার্থী বলেন, আজ ফিলিস্তিনি ভাইয়েরা দেখিয়ে দিয়েছে যে, কীভাবে ভূমিদস্যু দখলদারদের তাড়াতে হয়। এই মুহূর্তে যারা প্রশ্ন তুলছে যে, কে আগে আক্রমণ করেছে? আমরা তাদের উদ্দেশ্য করে বলব যে, তারা পৃথিবীর সব দখলদার-স্বৈরাচারদের সপক্ষীয়। যেখানে প্রতিনিয়ত আমার মসজিদ কিংবা বাসস্থানে হামলা করছে, নারী-শিশুকে গুলি করে হত্যা করছে, বাড়িঘর দখল করছে- সেখানে আমি আগে হামলা করব নাকি করব না সেটা তো জানা কথা। যারা জুলুমের শিকার হবে, তারাই প্রতিরোধ করবে, আক্রমণ করবে, এটাই স্বাভাবিক। আমরা ফিলিস্তিনের সংগ্রামী প্রতিরোধের সাথে সংহতি প্রকাশ করছি। আমরা ফিলিস্তিনিদের মুক্তি চাই, স্বাধীনতা চাই এবং ইসরায়েলের ধ্বংস চাই।
শাখাওয়াত জাকারিয়া নামে আইন বিভাগের এক শিক্ষার্থী বলেন, ১৯৪৮ সাল থেকেই এ পর্যন্ত দখলদার ইসরায়েল ফিলিস্তিনি ভাইবোনদের ওপর হামলা করছে এবং তাদের বাস্তুভিটা থেকে প্রতিনিয়ত উৎখাত করছে। সেক্ষেত্রে, আমাদের দেশের কিছু শায়েখরা আজ গাজা আক্রান্ত হওয়ার জন্য হামাসকে দোষারোপ করছে। আমরা আমাদের এই সমাবেশ থেকে ফিলিস্তিনের প্রতিরোধ যোদ্ধাদের প্রতিরোধের প্রতি সংহতি প্রকাশ করছি। এর পাশাপাশি এও দাবি জানাচ্ছি যে, আবারও আমাদের দেশের পাসপোর্টে ‘এক্সেপ্ট ইসরায়েল’ লেখাটি যুক্ত করতে হবে। আর আমরা বলতে চাই, ইসরায়েল বাংলাদেশের মুসলমানদের শত্রু ছিল, এখনো আছে, ভবিষ্যতেও থাকবে।
এসময় ‘ইসরায়েল মুরতাবাদ, ফিলিস্তিন জিন্দাবাদ’ ‘ইন্তিফাদা, ইন্তিফাদা’, ‘ইসরায়েল নিপাত যাক, ফিলিস্তিন মুক্তিপাক’ ইত্যাদি স্লোগান দিতে থাকে সংহতি সমাবেশে উপস্থিত শিক্ষার্থীরা।
সংহতি সমাবেশ শেষে শিক্ষার্থীরা একটি মিছিল নিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসি চত্বর, মল চত্বর, শ্যাডো, কলা ভবন, সামাজিক বিজ্ঞান অনুষদ চত্বর, কেন্দ্রীয় মসজিদ ঘুরে আবারও রাজু ভাস্কর্যের পাদদেশে এসে শেষ হয়।