রাজধানীর মতিঝিলে ছাত্রশিবিরের মিছিলের প্রতিবাদে মশাল মিছিল করেছে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের একদল শিক্ষার্থী। আজ বুধবার (১১ অক্টোবর) সন্ধ্যায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় প্রোগেসিভ স্টুডেন্টস ফোরামের ব্যানারে এই মশাল মিছিল অনুষ্ঠিত হয়।
মশাল মিছিলটি বিশ্ববিদ্যালয়ের ডাস চত্বরে শুরু হয়ে রাজু ভাস্কর্যের সামনে দিয়ে শাহবাগে ঘুরে পুনরায় রাজু ভাস্কর্যের পাদদেশে এসে সংক্ষিপ্ত সমাবেশের মাধ্যমে সমাপ্ত হয়।
মশাল মিছিলে শিক্ষার্থীরা "তুমি কে আমি কে, বাঙালি বাঙালি; মৌলবাদের আস্তানা, বাংলাদেশে হবে না; একাত্তরের হাতিয়ার/বায়ান্নর হাতিয়ার, গর্জে উঠুক আরেকবার; অ্যাকশন অ্যাকশন/ জামাতের বিরুদ্ধে/ মৌলবদের বিরুদ্ধে, ডাইরেক্ট অ্যাকশন; জামাত-শিবিরের ঠিকানা বাংলাদেশে/ এ ক্যাম্পাসে হবে না- ইত্যাদি স্লোগান দিতে থাকেন।
মশাল মিছিল পরবর্তী সমাবেশে বিজয় একাত্তর হল ছাত্রলীগের সাহিত্য সম্পাদক ইউসুফ তুহিন বলেন, আমরা ক্যাম্পাসে ধর্মভিত্তিক রাজনৈতিক সংগঠন চাই না। আজকে মতিঝিলে একদল রাজাকারের দোষর মিছিল করেছে। আমরা হুশিয়ারি দিতে চাই যদি তাদেরকে ঢাবি ক্যাম্পাস বা দেশের কোথাও এমন সাম্প্রদায়িক কাজ দেখা যায় তাহলে ঢাবি শিক্ষার্থীরা এবং প্রগতিশীল মানুষরা এর তীব্র প্রতিবাদ জানাবে। যেই দেশ ৩০ লাখ শহীদের রক্তে এবং ২ লক্ষ মা বোনের ইজ্জতের বিনিময়ে স্বাধীন হয়েছে, সে দেশে আমরা এমন ধর্মভিত্তিক রাজনৈতিক দলের নিষিদ্ধতা দাবি জানাই।
জগন্নাথ হল ছাত্রলীগের উপ-সমাজসেবা বিষয়ক সম্পাদক স্বাগতম বাড়ৈ বলেন, আজকে দিনে-দুপুরে প্রকাশ্যে রাজাকারদের দোষর ছাত্র শিবির প্রকাশ্যে মানুষকে হুমকি দিয়ে মিছিল করেছে। তারা যদি দেশের সংবিধান মেনে মিছিল করতো তাহলে আমরা মেনে নিতাম। কিন্তু তারা বাঁশ এবং জিআই পাইপ নিয়ে মিছিল করেছে। বঙ্গবন্ধুর এই বাংলায় আমরা কোন মৌলবাদীদের মাথাচাড়া দিয়ে দাঁড়াতে দিবো না।
ঢাবি ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক তানভীর হাসান সৈকত বলেন, জাতির সকল ক্রান্তিলগ্নে এই বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা দাঁড়িয়ে সেটা আবারও প্রমাণ করেছে এই শিক্ষার্থীরা। ছাত্রশিবিরের আজকের এই মিছিল বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার পরিবেশ নষ্ট করার একটি পদক্ষেপ। আগামীকালের ছাত্র কনভেনশনের লক্ষ্যে তারা এই মিছিল বের করে যা নিঃসন্দেহে ঢাবিসহ সকল ক্যাম্পাসে লাশের রাজনীতি কায়েমের চেষ্টার অংশ।
তিনি ছাত্রদল ও ছাত্র শিবিরের সবাইকে হুশিয়ারি দিয়ে বলেন, রক্তের হোলি খেলবেন না। বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা রক্ত দিয়েই দেশকে স্বাধীন করেছে। সুতরাং আগামীকালের কনভেনশনের মধ্য দিয়ে ক্যাম্পাসে লাশের রাজত্ব কায়েমের অপচেষ্টা করবেন না। যারা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার পরিবেশ নষ্ট করতে কাজ করছে তাদের বিরুদ্ধে ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরাও কাজ করে যাবে বলেও তিনি মন্তব্য করেন।
ঢাকা ইউনিভার্সিটি প্রোগ্রেসিভ স্টুডেন্টস ফোরামের আহবায়ক এবং ঢাবি ছাত্রলীগের সদস্য পারিশা মেহজাবিনের সঞ্চালনায় আরও বক্তব্য রাখেন বঙ্গবন্ধু হল ছাত্রলীগের সহ-সভাপতি রাশেদ হোসেন, উন্মুক্ত লাইব্রেরীর সাধারণ সম্পাদক মোসাদ্দেক বিল্লাহ, জগন্নাথ হল ছাত্রলীগের সদস্য কথক বিশ্বাস জয় প্রমুখ।
এসময় বাংলাদেশ কুয়েত মৈত্রী হল ছাত্রলীগের সহ-সভাপতি সুমাইয়া জান্নাত সারা, বঙ্গমাতা হল ছাত্রলীগের সাবেক কেন্দ্রীয় উপ-প্রশিক্ষণ বিষয়ক সম্পাদক তানিয়া আক্তার তাপসীসহ ছাত্রলীগের বিশ্ববিদ্যালয় এবং বিভিন্ন হল শাখার নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
বুধবার, ১১ অক্টোবর ২০২৩
রাজধানীর মতিঝিলে ছাত্রশিবিরের মিছিলের প্রতিবাদে মশাল মিছিল করেছে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের একদল শিক্ষার্থী। আজ বুধবার (১১ অক্টোবর) সন্ধ্যায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় প্রোগেসিভ স্টুডেন্টস ফোরামের ব্যানারে এই মশাল মিছিল অনুষ্ঠিত হয়।
মশাল মিছিলটি বিশ্ববিদ্যালয়ের ডাস চত্বরে শুরু হয়ে রাজু ভাস্কর্যের সামনে দিয়ে শাহবাগে ঘুরে পুনরায় রাজু ভাস্কর্যের পাদদেশে এসে সংক্ষিপ্ত সমাবেশের মাধ্যমে সমাপ্ত হয়।
মশাল মিছিলে শিক্ষার্থীরা "তুমি কে আমি কে, বাঙালি বাঙালি; মৌলবাদের আস্তানা, বাংলাদেশে হবে না; একাত্তরের হাতিয়ার/বায়ান্নর হাতিয়ার, গর্জে উঠুক আরেকবার; অ্যাকশন অ্যাকশন/ জামাতের বিরুদ্ধে/ মৌলবদের বিরুদ্ধে, ডাইরেক্ট অ্যাকশন; জামাত-শিবিরের ঠিকানা বাংলাদেশে/ এ ক্যাম্পাসে হবে না- ইত্যাদি স্লোগান দিতে থাকেন।
মশাল মিছিল পরবর্তী সমাবেশে বিজয় একাত্তর হল ছাত্রলীগের সাহিত্য সম্পাদক ইউসুফ তুহিন বলেন, আমরা ক্যাম্পাসে ধর্মভিত্তিক রাজনৈতিক সংগঠন চাই না। আজকে মতিঝিলে একদল রাজাকারের দোষর মিছিল করেছে। আমরা হুশিয়ারি দিতে চাই যদি তাদেরকে ঢাবি ক্যাম্পাস বা দেশের কোথাও এমন সাম্প্রদায়িক কাজ দেখা যায় তাহলে ঢাবি শিক্ষার্থীরা এবং প্রগতিশীল মানুষরা এর তীব্র প্রতিবাদ জানাবে। যেই দেশ ৩০ লাখ শহীদের রক্তে এবং ২ লক্ষ মা বোনের ইজ্জতের বিনিময়ে স্বাধীন হয়েছে, সে দেশে আমরা এমন ধর্মভিত্তিক রাজনৈতিক দলের নিষিদ্ধতা দাবি জানাই।
জগন্নাথ হল ছাত্রলীগের উপ-সমাজসেবা বিষয়ক সম্পাদক স্বাগতম বাড়ৈ বলেন, আজকে দিনে-দুপুরে প্রকাশ্যে রাজাকারদের দোষর ছাত্র শিবির প্রকাশ্যে মানুষকে হুমকি দিয়ে মিছিল করেছে। তারা যদি দেশের সংবিধান মেনে মিছিল করতো তাহলে আমরা মেনে নিতাম। কিন্তু তারা বাঁশ এবং জিআই পাইপ নিয়ে মিছিল করেছে। বঙ্গবন্ধুর এই বাংলায় আমরা কোন মৌলবাদীদের মাথাচাড়া দিয়ে দাঁড়াতে দিবো না।
ঢাবি ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক তানভীর হাসান সৈকত বলেন, জাতির সকল ক্রান্তিলগ্নে এই বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা দাঁড়িয়ে সেটা আবারও প্রমাণ করেছে এই শিক্ষার্থীরা। ছাত্রশিবিরের আজকের এই মিছিল বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার পরিবেশ নষ্ট করার একটি পদক্ষেপ। আগামীকালের ছাত্র কনভেনশনের লক্ষ্যে তারা এই মিছিল বের করে যা নিঃসন্দেহে ঢাবিসহ সকল ক্যাম্পাসে লাশের রাজনীতি কায়েমের চেষ্টার অংশ।
তিনি ছাত্রদল ও ছাত্র শিবিরের সবাইকে হুশিয়ারি দিয়ে বলেন, রক্তের হোলি খেলবেন না। বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা রক্ত দিয়েই দেশকে স্বাধীন করেছে। সুতরাং আগামীকালের কনভেনশনের মধ্য দিয়ে ক্যাম্পাসে লাশের রাজত্ব কায়েমের অপচেষ্টা করবেন না। যারা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার পরিবেশ নষ্ট করতে কাজ করছে তাদের বিরুদ্ধে ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরাও কাজ করে যাবে বলেও তিনি মন্তব্য করেন।
ঢাকা ইউনিভার্সিটি প্রোগ্রেসিভ স্টুডেন্টস ফোরামের আহবায়ক এবং ঢাবি ছাত্রলীগের সদস্য পারিশা মেহজাবিনের সঞ্চালনায় আরও বক্তব্য রাখেন বঙ্গবন্ধু হল ছাত্রলীগের সহ-সভাপতি রাশেদ হোসেন, উন্মুক্ত লাইব্রেরীর সাধারণ সম্পাদক মোসাদ্দেক বিল্লাহ, জগন্নাথ হল ছাত্রলীগের সদস্য কথক বিশ্বাস জয় প্রমুখ।
এসময় বাংলাদেশ কুয়েত মৈত্রী হল ছাত্রলীগের সহ-সভাপতি সুমাইয়া জান্নাত সারা, বঙ্গমাতা হল ছাত্রলীগের সাবেক কেন্দ্রীয় উপ-প্রশিক্ষণ বিষয়ক সম্পাদক তানিয়া আক্তার তাপসীসহ ছাত্রলীগের বিশ্ববিদ্যালয় এবং বিভিন্ন হল শাখার নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।