alt

ক্যাম্পাস

হরতাল-অবরোধ, শিক্ষার্থীদের সুবিধায় শুক্র-শনিবার পরীক্ষা নিছে জবির বিভাগগুলো

মো. মেহেদী হাসান, জবি : শুক্রবার, ১৭ নভেম্বর ২০২৩

# অনলাইনে ক্লাস নিচ্ছে কিছু বিভাগ

# অনলাইনে নিতে অনাগ্রহ অনেকের

# বাস বন্ধ রেখে পরীক্ষায় শিক্ষার্থীদের ভোগান্তি

# সেশনজট এড়াতে ছুটির দিনে পরীক্ষা

রাজনৈতিক দলগুলোর ডাকা চলমান হরতাল-অবরোধের ফলে অনেকটা স্থবির হয়ে পড়েছে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের (জবি) শিক্ষা কার্যক্রম। বেশকিছু বিভাগেই চলছে অনিয়মিত ক্লাস, এমনকি পরীক্ষার রুটিনেও এসছে পরিবর্তন। ক্যাম্পাসে যাতায়াতে নিরাপত্তা শঙ্কায় ক্লাসে আসছেন না অনেক শিক্ষার্থীই। তবে হরতাল অবরোধ যেন শিক্ষার্থীদের জীবনে প্রভাব ফেলতে না পারে তাই বন্ধের দিনে পরীক্ষা নিচ্ছে বিশ্ববিদ্যালয়ের বেশ কয়েকটি বিভাগ।

জগন্নাথ বিশ^বিদ্যালয়ের একটিমাত্র ছাত্রীহল থাকায় বেশিরভাগ শিক্ষার্থী ঢাকার বিভিন্ন এলাকায় অবস্থান করে। এছাড়াও বেশকিছু শিক্ষার্থী ঢাকার কাছাকাছি জেলা মানিকগঞ্জ, নরসিংদী, গাজীপুর, নারায়নগঞ্জ, কুমিল্লা থেকে বিশ^বিদ্যালয়ের বাসে যাতায়াত করেন। অবরোধ চলাকালে বিশ্ববিদ্যালয়ের বাস বন্ধ থাকার ফলে দূরে থাকা শিক্ষার্থীরা অনেকেই ক্লাসে আসেন না। শুধুমাত্র পুরান ঢাকায় থাকা আশেপাশের শিক্ষার্থীরাই ক্লাসে অংশ নেয়। বাস বন্ধ রেখে ক্লাস নেওয়ার বিষয়টি নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন সাধারণ শিক্ষার্থীরা।

খোঁজ নিয়ে জানা যায়, বিভিন্ন বিভাগের শিক্ষকরাও নিয়মিত ক্লাস নিচ্ছেন না। অনেক বিভাগ হরতাল-অবরোধের দিন অনলাইন ক্লাস নিলেও বেশ কয়েকটি বিভাগ এখনো অনড় সরাসরি পাঠদান কার্যক্রমে। আশানুরূপ উপস্থিতি না হলেও এখনো অনলাইনে পাঠদানের কথা ভাবছেন না তারা।

বেশ কিছু বিভাগের সেমিস্টার ফাইনাল পরীক্ষার স্থগিত হওয়ায় দুশ্চিন্তায় পড়েছেন অনেক শিক্ষার্থীরা। তবে বিশ্ববিদ্যালয়ের গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা, বাংলা, লোক প্রশাসন বিভাগ সহ বেশ কয়েকটি বিভাগ বিশ্ববিদ্যালয় বন্ধের দিন তথা শুক্রবার ও শনিবার সেমিস্টার ফাইনাল পরীক্ষা নেওয়ার ঘোষণা দিয়েছেন। তারই ধারাবাহিতায় আজ অনুষ্ঠিত হয়েছে জার্নালিজম বিভাগের ১৪ ও ১৬ ব্যাচ, ভূগোল ও পরিবেশ বিভাগের ১৫ ও ১৭ ব্যাচের সেমিস্টার পরীক্ষা এবং জেনেটিক ইঞ্জিনিয়ারিং অ্যান্ড বায়োটেকনোলজি বিভাগের সকল ব্যাচের মিড পরীক্ষা।

এছাড়াও শনিবার অনুষ্ঠিত হবে গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের ১৫ ও ১৭ ব্যাচের, বাংলা বিভাগের ১৬ ব্যাচের, লোক প্রশাসন বিভাগের ১৫ ব্যাচের, নৃবিজ্ঞান বিভাগের ১৬ ব্যাচের, ফিন্যান্স বিভাগের ১৩, ১৪, ১৫,১৬ ব্যাচের, বোটানি বিভাগের ১৭ ব্যাচের ফাইনাল পরীক্ষা।

শিক্ষার্থীদের স্নাতক ও স্নাতকোত্তর পরীক্ষা নির্দিষ্ট সময়ে শেষ করতেই বন্ধের দিনে পরীক্ষা নিচ্ছে বিভাগগুলো। করোনাকালে যে ক্ষতি হয়েছে তা পূরণ করা সম্ভব নয়। কোন কারনেই যেন শিক্ষার্থীদের শিক্ষার স্বাভাবিক গতি বিঘ্ন না হয় সেদিকেই নজর শিক্ষকদের।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক স্নাতক চতুর্থ বর্ষের এক শিক্ষার্থী জানায়, আমাদের শুধু এই অষ্টম সেমিস্টারের পরীক্ষা হলেই আমরা চাকরির নানা পরীক্ষায় আবেদন করতে পারবো। তাই বন্ধের দিনে পরীক্ষা হলেও কোন অসুবিধা নেই। তবে দূর থেকে যারা আসে তাদের জন্য বন্ধের দিনে বাস চালু করলে ভাল হতো।

আবদুল্লাহপুর থেকে পরীক্ষা দিতে আসা এক নারী শিক্ষার্থী জানায়, বন্ধের দিনে আমাদের পরীক্ষা দিতে সমস্যা নেই কিন্তু বাস বন্ধ থাকায় আসতে অসুবিধা হয় এবং অনেক বেশি সময় লাগে। শুক্র-শনিবার তো কোন হরতাল-অবরোধ নেই। বিশ্ববিদ্যালয়ের বাস চললে আমাদের সুবিধা হবে।

এ বিষয়ে গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগ চেয়ারম্যান ড. আশরাফুল আলম বলেন, বর্তমান পরিস্থিতি বিবেচনায় শিক্ষার্থীদের যেন ক্ষতি না হয় সেজন্য আমরা শুক্রবার-শনিবার পরীক্ষা নেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছি। অনেক শিক্ষার্থী বিশেষ করে মেয়ে শিক্ষার্থীরা যারা ঢাকার বাইরে যেমন গাজীপুর থাকে তারা বলেছে যে হরতাল অবরোধে তাদের আসতে কষ্ট হচ্ছে আবার অনেকেই শিডিউলে এক্সাম নিতে বলেছিলো যেহেতু অনেক বিভাগ নিচ্ছে কিন্তু এক ব্যাচের যদি ৫০ জন শিক্ষার্থী থাকে এবং ৫ জন যদি না আসতে পারে তাদের কথাও তো বিবেচনা করতে হয়। সবার নিরাপত্তা-সুবিধার কথা চিন্তা করেই পরীক্ষা নেওয়া হচ্ছে। এছাড়া যেসব দিনে কোন কর্মসূচি থাকবে না সেসব দিনেও আমরা পরীক্ষা নেবো।

ফিনান্স বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ ছগীর হোসেন খন্দকার বলেন, আমরা শিক্ষার্থীদের সুবিধার কথা চিন্তা করেই বন্ধের দিনে পরীক্ষা নিচ্ছি। দিনে ৪ শিফটে পরীক্ষা নিচ্ছি। ৩ শিফটে রেগুরার ব্যাচগুলোর আর এক শিফটে প্রফেশনাল কোর্সের পরীক্ষা হচ্ছে।

শিক্ষার্থীদের যাতায়াতের বিষয়ে তিনি বলেন, বেশ কিছু শিক্ষার্থী বাসের জন্যে আমাকে লিখিত দিয়েছে। আমিও কোষাধ্যক্ষ স্যারকে আবেদন দিয়েছি। তবে স্যার বলেছেন একটা দুইটা বিভাগে পরীক্ষা নিলে তো বাস দেয়া যায় না। অনেকগুলো বিভাগ যদি পরীক্ষা নেয় তাহলে বাস চালু করতে পারবে বলে জানিয়েছেন।

বন্ধের দিনে বাস চালু করার বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিবহন প্রশাসন সিদ্ধার্থ ভৌমিক বলেন, এ বিষয়ে তো পরিবহন প্রশাসনের কোন হাত নেই । ট্রেজারার স্যারের সঙ্গে কথা হয়েছে। এ বিষয়ে ডিনদের সঙ্গে কথা বলে একটা সিধান্ত নেওয়ার বিষয়ে কথা হচ্ছে। সব কিছু বিবেচনা করে আমরা সিদ্ধান্ত নিবো।

এ বিষয়ে কথা বলতে বিশ্ববিদ্যালয়ের কোষাধ্যক্ষ ড. কামালউদ্দিন আহমদ বলেন, কোন কোন বিভাগ পরীক্ষা নিচ্ছে তারা পরিবহন প্রশাসক বরাবর চিঠি দিক। সংখ্যা নিরুপন করে ব্যাবস্থা নেয়া হবে।

শনিবারও অফিস করবেন জবি উপাচার্য সাদেকা হালিম

বিনা নির্বাচনে ঢাবি শিক্ষক সমিতির নেতৃত্বে আওয়ামীপন্থী নীল দলের শিক্ষকরা

ছবি

জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের নবনিযুক্ত উপাচার্য সাদেকা হালিম

ঢাবি কর্মকর্তাকে ছাত্রলীগ নেতার হুমকির অভিযোগ

ছবি

আন্তর্জাতিক ফিলিস্তিন সংহতি দিবসে ঢাবি শিক্ষার্থীদের ‘মার্চ ফর প্যালেস্টাইন’

জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রী হেনস্তার অভিযোগে বহিরাগতকে ‘বিবস্ত্র’ করে মারধর

ছবি

আ.লীগের নির্বাচনী ইশতেহারে জবিশিসের ৫ প্রস্তাবনা

ছবি

‘মৈমনসিংহ গীতিকা’র শতবর্ষে জবিতে আন্তর্জাতিক সেমিনার

ছবি

নর্থ সাউথের অনুষ্ঠানে যোগ দিতে পারেননি ট্রান্সজেন্ডার হোচিমিন

ছবি

“ল্যাবরেটরিয়ান গেমস ২০২৩ এর উদ্বোধনী অনুষ্ঠান "

ছবি

বর্ণিল আয়োজনে জাবিতে দিনব্যাপী প্রজাপতি মেলা অনুষ্ঠিত

ছবি

এপ্লাস্টিক এনিমিয়ায় আক্রান্ত জবি শিক্ষার্থীর মৃত্যু

ছবি

প্রথম বর্ষেই স্মার্ট আইডি কার্ডের দাবিতে ঢাবি শিক্ষার্থীদের মিছিল, মানববন্ধন

ছবি

গেস্টরুমে সিনিয়রদের নির্যাতনের প্রতিবাদে অনশনে ঢাবি শিক্ষার্থী

ছাত্রকে মারধর, প্রলয় গ্যাংয়ের ৪ সদস্যকে ঢাবি থেকে বহিষ্কার

ছবি

কারামুক্ত হয়ে পরীক্ষার হলে জবি শিক্ষার্থী খাদিজা

ছবি

অবশেষে কারামুক্ত হলেন জবি শিক্ষার্থী খাদিজা

ছবি

ইরাসমাস প্রজেক্টের অনুদান পেলো জবি

ছবি

বিশ্ব দর্শন দিবস উপলক্ষে জবিতে র‍্যালি

ছবি

শ্রমিকদের বেতন বৃদ্ধির আন্দোলনে শ্রমিক হত্যার প্রতিবাদে সংহতি সমাবেশ

প্রাকৃতিক পরিবেশ রক্ষায় জাবিতে সংহতি সমাবেশ অনুষ্ঠিত

ছবি

শিক্ষার সঙ্গে চাকরির সম্পর্ক করে ফেলা গতানুগতিক চিন্তা : ড. আরেফিন সিদ্দিক

ছবি

জবি উপাচার্য ইমদাদুল হক আর নেই

কুবির মূল ফটকে ছাত্রদলের তালা

ছবি

জবি ছাত্রদলের বিক্ষোভ মিছিল ও সড়ক অবরোধ

ছবি

দায়িত্ব নিলেন ঢাবির নতুন উপাচার্য অধ্যাপক মাকসুদ কামাল

ছবি

জাবিতে গাছ নিধনের জেরে পাঁচ ঘণ্টা ধরে অবরুদ্ধ ভিসি

ছবি

তিন দেশের ২৩ শিল্পীর শিল্পকর্মে প্রদর্শনী ঢাবিতে

ছবি

জাবিতে ভবন নির্মান করতে রাতের আঁধারে কাটা হল ৫৬ টি গাছ

ছবি

ছাত্রীকে যৌন হয়রানি, ঢাবি শিক্ষকের পদোন্নতি স্থগিত

রুয়েটের ক্লাস রুমগুলোকে গ্রিন ও স্মার্ট করা হবে

ছবি

আগামীকাল ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বিশেষ সমাবর্তন

ছবি

হার্ভার্ড বিশ্ববিদ্যালয়ে অধ্যাপনার ডাক পেলেন জাবি অধ্যাপক

ছবি

জাবি সিনেট নির্বাচনঃ উপাচার্যপন্থি বঙ্গবন্ধু শিক্ষক পরিষদের নিরঙ্কুশ জয়

জাবি সিনেট নির্বাচন:ভোট গ্রহণে অব্যবস্থাপনার অভিযোগ

নানান কর্মসূচিতে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শোক দিবস পালন

tab

ক্যাম্পাস

হরতাল-অবরোধ, শিক্ষার্থীদের সুবিধায় শুক্র-শনিবার পরীক্ষা নিছে জবির বিভাগগুলো

মো. মেহেদী হাসান, জবি

শুক্রবার, ১৭ নভেম্বর ২০২৩

# অনলাইনে ক্লাস নিচ্ছে কিছু বিভাগ

# অনলাইনে নিতে অনাগ্রহ অনেকের

# বাস বন্ধ রেখে পরীক্ষায় শিক্ষার্থীদের ভোগান্তি

# সেশনজট এড়াতে ছুটির দিনে পরীক্ষা

রাজনৈতিক দলগুলোর ডাকা চলমান হরতাল-অবরোধের ফলে অনেকটা স্থবির হয়ে পড়েছে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের (জবি) শিক্ষা কার্যক্রম। বেশকিছু বিভাগেই চলছে অনিয়মিত ক্লাস, এমনকি পরীক্ষার রুটিনেও এসছে পরিবর্তন। ক্যাম্পাসে যাতায়াতে নিরাপত্তা শঙ্কায় ক্লাসে আসছেন না অনেক শিক্ষার্থীই। তবে হরতাল অবরোধ যেন শিক্ষার্থীদের জীবনে প্রভাব ফেলতে না পারে তাই বন্ধের দিনে পরীক্ষা নিচ্ছে বিশ্ববিদ্যালয়ের বেশ কয়েকটি বিভাগ।

জগন্নাথ বিশ^বিদ্যালয়ের একটিমাত্র ছাত্রীহল থাকায় বেশিরভাগ শিক্ষার্থী ঢাকার বিভিন্ন এলাকায় অবস্থান করে। এছাড়াও বেশকিছু শিক্ষার্থী ঢাকার কাছাকাছি জেলা মানিকগঞ্জ, নরসিংদী, গাজীপুর, নারায়নগঞ্জ, কুমিল্লা থেকে বিশ^বিদ্যালয়ের বাসে যাতায়াত করেন। অবরোধ চলাকালে বিশ্ববিদ্যালয়ের বাস বন্ধ থাকার ফলে দূরে থাকা শিক্ষার্থীরা অনেকেই ক্লাসে আসেন না। শুধুমাত্র পুরান ঢাকায় থাকা আশেপাশের শিক্ষার্থীরাই ক্লাসে অংশ নেয়। বাস বন্ধ রেখে ক্লাস নেওয়ার বিষয়টি নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন সাধারণ শিক্ষার্থীরা।

খোঁজ নিয়ে জানা যায়, বিভিন্ন বিভাগের শিক্ষকরাও নিয়মিত ক্লাস নিচ্ছেন না। অনেক বিভাগ হরতাল-অবরোধের দিন অনলাইন ক্লাস নিলেও বেশ কয়েকটি বিভাগ এখনো অনড় সরাসরি পাঠদান কার্যক্রমে। আশানুরূপ উপস্থিতি না হলেও এখনো অনলাইনে পাঠদানের কথা ভাবছেন না তারা।

বেশ কিছু বিভাগের সেমিস্টার ফাইনাল পরীক্ষার স্থগিত হওয়ায় দুশ্চিন্তায় পড়েছেন অনেক শিক্ষার্থীরা। তবে বিশ্ববিদ্যালয়ের গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা, বাংলা, লোক প্রশাসন বিভাগ সহ বেশ কয়েকটি বিভাগ বিশ্ববিদ্যালয় বন্ধের দিন তথা শুক্রবার ও শনিবার সেমিস্টার ফাইনাল পরীক্ষা নেওয়ার ঘোষণা দিয়েছেন। তারই ধারাবাহিতায় আজ অনুষ্ঠিত হয়েছে জার্নালিজম বিভাগের ১৪ ও ১৬ ব্যাচ, ভূগোল ও পরিবেশ বিভাগের ১৫ ও ১৭ ব্যাচের সেমিস্টার পরীক্ষা এবং জেনেটিক ইঞ্জিনিয়ারিং অ্যান্ড বায়োটেকনোলজি বিভাগের সকল ব্যাচের মিড পরীক্ষা।

এছাড়াও শনিবার অনুষ্ঠিত হবে গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের ১৫ ও ১৭ ব্যাচের, বাংলা বিভাগের ১৬ ব্যাচের, লোক প্রশাসন বিভাগের ১৫ ব্যাচের, নৃবিজ্ঞান বিভাগের ১৬ ব্যাচের, ফিন্যান্স বিভাগের ১৩, ১৪, ১৫,১৬ ব্যাচের, বোটানি বিভাগের ১৭ ব্যাচের ফাইনাল পরীক্ষা।

শিক্ষার্থীদের স্নাতক ও স্নাতকোত্তর পরীক্ষা নির্দিষ্ট সময়ে শেষ করতেই বন্ধের দিনে পরীক্ষা নিচ্ছে বিভাগগুলো। করোনাকালে যে ক্ষতি হয়েছে তা পূরণ করা সম্ভব নয়। কোন কারনেই যেন শিক্ষার্থীদের শিক্ষার স্বাভাবিক গতি বিঘ্ন না হয় সেদিকেই নজর শিক্ষকদের।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক স্নাতক চতুর্থ বর্ষের এক শিক্ষার্থী জানায়, আমাদের শুধু এই অষ্টম সেমিস্টারের পরীক্ষা হলেই আমরা চাকরির নানা পরীক্ষায় আবেদন করতে পারবো। তাই বন্ধের দিনে পরীক্ষা হলেও কোন অসুবিধা নেই। তবে দূর থেকে যারা আসে তাদের জন্য বন্ধের দিনে বাস চালু করলে ভাল হতো।

আবদুল্লাহপুর থেকে পরীক্ষা দিতে আসা এক নারী শিক্ষার্থী জানায়, বন্ধের দিনে আমাদের পরীক্ষা দিতে সমস্যা নেই কিন্তু বাস বন্ধ থাকায় আসতে অসুবিধা হয় এবং অনেক বেশি সময় লাগে। শুক্র-শনিবার তো কোন হরতাল-অবরোধ নেই। বিশ্ববিদ্যালয়ের বাস চললে আমাদের সুবিধা হবে।

এ বিষয়ে গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগ চেয়ারম্যান ড. আশরাফুল আলম বলেন, বর্তমান পরিস্থিতি বিবেচনায় শিক্ষার্থীদের যেন ক্ষতি না হয় সেজন্য আমরা শুক্রবার-শনিবার পরীক্ষা নেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছি। অনেক শিক্ষার্থী বিশেষ করে মেয়ে শিক্ষার্থীরা যারা ঢাকার বাইরে যেমন গাজীপুর থাকে তারা বলেছে যে হরতাল অবরোধে তাদের আসতে কষ্ট হচ্ছে আবার অনেকেই শিডিউলে এক্সাম নিতে বলেছিলো যেহেতু অনেক বিভাগ নিচ্ছে কিন্তু এক ব্যাচের যদি ৫০ জন শিক্ষার্থী থাকে এবং ৫ জন যদি না আসতে পারে তাদের কথাও তো বিবেচনা করতে হয়। সবার নিরাপত্তা-সুবিধার কথা চিন্তা করেই পরীক্ষা নেওয়া হচ্ছে। এছাড়া যেসব দিনে কোন কর্মসূচি থাকবে না সেসব দিনেও আমরা পরীক্ষা নেবো।

ফিনান্স বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ ছগীর হোসেন খন্দকার বলেন, আমরা শিক্ষার্থীদের সুবিধার কথা চিন্তা করেই বন্ধের দিনে পরীক্ষা নিচ্ছি। দিনে ৪ শিফটে পরীক্ষা নিচ্ছি। ৩ শিফটে রেগুরার ব্যাচগুলোর আর এক শিফটে প্রফেশনাল কোর্সের পরীক্ষা হচ্ছে।

শিক্ষার্থীদের যাতায়াতের বিষয়ে তিনি বলেন, বেশ কিছু শিক্ষার্থী বাসের জন্যে আমাকে লিখিত দিয়েছে। আমিও কোষাধ্যক্ষ স্যারকে আবেদন দিয়েছি। তবে স্যার বলেছেন একটা দুইটা বিভাগে পরীক্ষা নিলে তো বাস দেয়া যায় না। অনেকগুলো বিভাগ যদি পরীক্ষা নেয় তাহলে বাস চালু করতে পারবে বলে জানিয়েছেন।

বন্ধের দিনে বাস চালু করার বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিবহন প্রশাসন সিদ্ধার্থ ভৌমিক বলেন, এ বিষয়ে তো পরিবহন প্রশাসনের কোন হাত নেই । ট্রেজারার স্যারের সঙ্গে কথা হয়েছে। এ বিষয়ে ডিনদের সঙ্গে কথা বলে একটা সিধান্ত নেওয়ার বিষয়ে কথা হচ্ছে। সব কিছু বিবেচনা করে আমরা সিদ্ধান্ত নিবো।

এ বিষয়ে কথা বলতে বিশ্ববিদ্যালয়ের কোষাধ্যক্ষ ড. কামালউদ্দিন আহমদ বলেন, কোন কোন বিভাগ পরীক্ষা নিচ্ছে তারা পরিবহন প্রশাসক বরাবর চিঠি দিক। সংখ্যা নিরুপন করে ব্যাবস্থা নেয়া হবে।

back to top