নর্থ সাউথ বিশ্ববিদ্যালয়ে আয়োজিত উইমেন্স ক্যারিয়ার কার্নিভালে আইএলও’র সেশনটি ছিল ভিন্ন কর্মপরিবেশ- শ্রমিকের অধিকার ও নারী অধিকার নিয়ে। ক্যারিয়ার অ্যান্ড প্লেসমেন্ট সেন্টারের (সিপিসি) উদ্যোগে আয়োজিত ওই অনুষ্ঠানে নারীদের পাশাপাশি বক্তা ছিলেন পুরুষরাও।
আয়োজকদের কাছ থেকে জানা যায়, মানুষের প্রতি শ্রদ্ধা বাড়াতে পারে এমন নতুন দৃষ্টিকোণ নিয়ে আলোচনার আশাতেই সেই অনুষ্ঠানে হোচিমিনকে যুক্ত করার কথা ভাবা হয়েছিল।
তবে কয়েকজন শিক্ষক ও শিক্ষার্থীদের একাংশ অনুষ্ঠানটির বিরুদ্ধে প্রচারণা শুরু করে। এমনকি ধর্মের অপব্যাখ্যাসহ হুমকিধামকিও দিতে শুরু করে তারা। সেই পরিপ্রেক্ষিতে হোচিমিন নিজেই অনুষ্ঠানটি থেকে নিজেকে প্রত্যাহার করে নেন।
নেটওয়ার্কিং, লার্নিং এবং পেশাগত উন্নয়নের মাধ্যমে নারীর ক্ষমতায়নে লক্ষ্যে গত শুক্র ও শনিবার দুই দিনব্যাপী ওই অনুষ্ঠানের আয়োজন করে হিরোস ফর অল (এইচএফএ) ও আই-সোশ্যাল নামের দুটি সংগঠন।
অনুষ্ঠান শুরুর দুই-তিন দিন আগে থেকেই নারীদের অনুষ্ঠানে স্পিকার (বক্তা) হিসেবে কেন ট্রান্সজেন্ডার আনা হচ্ছে এ নিয়ে সোশ্যাল মিডিয়ায় অনেকেই মন্তব্য করেন। হোচিমিন এবং কার্নিভাল আয়োজকদের সোশ্যাল প্লাটফর্ম বা পেইজে এ নিয়ে বাজে মন্তব্য এমনকি থ্রেটও করা হয় বলে জানান তারা।
হোচিমিন অভিযোগ করে সংবাদকে বলেন, কয়েকজন শিক্ষক ও শিক্ষার্থীর ইন্ধনে অনুষ্ঠানটি নিয়ে অপপ্রচার চালানো হয়। যেহেতু এটা ওপেন রেজিস্ট্রশন ছিল, তাই ইউনিভার্সিটির ছাত্র-ছাত্রীর বাইরের অনেকে রেজিস্ট্রেশন করেন।
হোচিমিন জানান, এনএসইউ এর ক্যারিয়ার অ্যান্ড প্লেসমেন্ট সেন্টারের (সিপিসি) সাপোর্ট দিলেও কিছু কিছু ভলান্টিয়ার গ্রæপ নানাভাবে হুমকি দিতে থাকে বলে জানা যায়। এনএসইউ’র বাইরের স্টুডেন্টরা হুমকি দেয় হোচিমিনকে ভেন্যুতে ঢুকতেই দেবে না। যদি ঢুকেও যায়, তবুও ভেতরে ঢুকে সেশন যেন না করতে পারে সেই ব্যবস্থা নেবে।
আয়োজক সংগঠন হিরোস ফর অল এর প্রতিষ্ঠাতা ও প্রেসিডেন্ট রেহনুমা করিম রেহনুমা বলেন, হোচিমিনকে যুক্ত করেছিলাম অন্যরকম নলেজ শেয়ার করতে। আইএলও’র একটা সেশন ছিল ডিফারেন্ট ওয়ার্ক এনভারমেন্ট - রাইট, উইমেন রাইট, এমপ্লয়িস রাইট নিয়ে কথা বলবার জন্য। আসলে তাদের তো অনেক ধরণের সমস্যা হয় জব নিয়ে। তাদের একটা কমন সমস্যা বাথরুম নিয়ে। কোন আইডেনটিটির সঙ্গে তারা মার্চ করবে। এগুলো জানলে মানুষের প্রতি মানুষের শ্রদ্ধা সম্মান বেড়ে যাবে। কাজের পরিবেশ তৈরি হবে। আমার প্রশ্ন নলেজ শেয়ারের জন্য যদি মেল (পুরুষ) স্পিকার আনতে পারি তবে ট্রান্সজেন্ডার আনলে সমস্যা কোথায়’।
বিষয়টি নিয়ে আমরা খুব চিন্তিত ছিলাম জানিয়ে রেহনুমা বলেন, পরবর্তীতে হোচিমিনই আসবে না বলে আমাদের জানায়। আমি শেষ পর্যন্ত চেষ্টা করে গেছি। একটা খুব কনফিউজিং সিনারিও হয়ে গিয়েছিল’।
বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যারিয়ার অ্যান্ড প্লেসমেন্ট সেন্টারের পরিচালক অধ্যাপক মোহাম্মদ খসরু বলেন, ‘উইমেন্স ক্যারিয়ার কার্নিভালের বক্তা হিসেবে বিশ্ববিদ্যালয়ের অবস্থান সবসময় হোচিমিনের পক্ষে ছিল। উনাকে নিয়ে আসার জন্য সবদিকে যোগাযোগ করা হয়েছে। তবে উনার সেশনে আরও যে কয়জন আলোচক ছিলেন; তারাও আসতে না পারায় আয়োজকরা ওই পুরো সেশনটি বাতিল করে দেন।’
বিশ্ববিদ্যালয় সবার জন্য উন্মুক্ত হওয়ার দাবি করে অধ্যাপক খসরু মিয়া আরও বলেন, ‘বিশ্বদ্যিালয় সব ধরনের মানুষকে শ্রদ্ধা-সম্মানের চোখে দেখেন। এখানে সব ধরনের মানুষের উপস্থিতি রয়েছে। এখানে কে থার্ড জেন্ডার, কে ট্রান্সজেন্ডার এটা নিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ে কারো কোনো আপত্তি থাকার কথা নয়। বিশ্ববিদ্যালয় সব সময় সবার জন্য উন্মুক্ত।’
সোমবার, ২৭ নভেম্বর ২০২৩
নর্থ সাউথ বিশ্ববিদ্যালয়ে আয়োজিত উইমেন্স ক্যারিয়ার কার্নিভালে আইএলও’র সেশনটি ছিল ভিন্ন কর্মপরিবেশ- শ্রমিকের অধিকার ও নারী অধিকার নিয়ে। ক্যারিয়ার অ্যান্ড প্লেসমেন্ট সেন্টারের (সিপিসি) উদ্যোগে আয়োজিত ওই অনুষ্ঠানে নারীদের পাশাপাশি বক্তা ছিলেন পুরুষরাও।
আয়োজকদের কাছ থেকে জানা যায়, মানুষের প্রতি শ্রদ্ধা বাড়াতে পারে এমন নতুন দৃষ্টিকোণ নিয়ে আলোচনার আশাতেই সেই অনুষ্ঠানে হোচিমিনকে যুক্ত করার কথা ভাবা হয়েছিল।
তবে কয়েকজন শিক্ষক ও শিক্ষার্থীদের একাংশ অনুষ্ঠানটির বিরুদ্ধে প্রচারণা শুরু করে। এমনকি ধর্মের অপব্যাখ্যাসহ হুমকিধামকিও দিতে শুরু করে তারা। সেই পরিপ্রেক্ষিতে হোচিমিন নিজেই অনুষ্ঠানটি থেকে নিজেকে প্রত্যাহার করে নেন।
নেটওয়ার্কিং, লার্নিং এবং পেশাগত উন্নয়নের মাধ্যমে নারীর ক্ষমতায়নে লক্ষ্যে গত শুক্র ও শনিবার দুই দিনব্যাপী ওই অনুষ্ঠানের আয়োজন করে হিরোস ফর অল (এইচএফএ) ও আই-সোশ্যাল নামের দুটি সংগঠন।
অনুষ্ঠান শুরুর দুই-তিন দিন আগে থেকেই নারীদের অনুষ্ঠানে স্পিকার (বক্তা) হিসেবে কেন ট্রান্সজেন্ডার আনা হচ্ছে এ নিয়ে সোশ্যাল মিডিয়ায় অনেকেই মন্তব্য করেন। হোচিমিন এবং কার্নিভাল আয়োজকদের সোশ্যাল প্লাটফর্ম বা পেইজে এ নিয়ে বাজে মন্তব্য এমনকি থ্রেটও করা হয় বলে জানান তারা।
হোচিমিন অভিযোগ করে সংবাদকে বলেন, কয়েকজন শিক্ষক ও শিক্ষার্থীর ইন্ধনে অনুষ্ঠানটি নিয়ে অপপ্রচার চালানো হয়। যেহেতু এটা ওপেন রেজিস্ট্রশন ছিল, তাই ইউনিভার্সিটির ছাত্র-ছাত্রীর বাইরের অনেকে রেজিস্ট্রেশন করেন।
হোচিমিন জানান, এনএসইউ এর ক্যারিয়ার অ্যান্ড প্লেসমেন্ট সেন্টারের (সিপিসি) সাপোর্ট দিলেও কিছু কিছু ভলান্টিয়ার গ্রæপ নানাভাবে হুমকি দিতে থাকে বলে জানা যায়। এনএসইউ’র বাইরের স্টুডেন্টরা হুমকি দেয় হোচিমিনকে ভেন্যুতে ঢুকতেই দেবে না। যদি ঢুকেও যায়, তবুও ভেতরে ঢুকে সেশন যেন না করতে পারে সেই ব্যবস্থা নেবে।
আয়োজক সংগঠন হিরোস ফর অল এর প্রতিষ্ঠাতা ও প্রেসিডেন্ট রেহনুমা করিম রেহনুমা বলেন, হোচিমিনকে যুক্ত করেছিলাম অন্যরকম নলেজ শেয়ার করতে। আইএলও’র একটা সেশন ছিল ডিফারেন্ট ওয়ার্ক এনভারমেন্ট - রাইট, উইমেন রাইট, এমপ্লয়িস রাইট নিয়ে কথা বলবার জন্য। আসলে তাদের তো অনেক ধরণের সমস্যা হয় জব নিয়ে। তাদের একটা কমন সমস্যা বাথরুম নিয়ে। কোন আইডেনটিটির সঙ্গে তারা মার্চ করবে। এগুলো জানলে মানুষের প্রতি মানুষের শ্রদ্ধা সম্মান বেড়ে যাবে। কাজের পরিবেশ তৈরি হবে। আমার প্রশ্ন নলেজ শেয়ারের জন্য যদি মেল (পুরুষ) স্পিকার আনতে পারি তবে ট্রান্সজেন্ডার আনলে সমস্যা কোথায়’।
বিষয়টি নিয়ে আমরা খুব চিন্তিত ছিলাম জানিয়ে রেহনুমা বলেন, পরবর্তীতে হোচিমিনই আসবে না বলে আমাদের জানায়। আমি শেষ পর্যন্ত চেষ্টা করে গেছি। একটা খুব কনফিউজিং সিনারিও হয়ে গিয়েছিল’।
বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যারিয়ার অ্যান্ড প্লেসমেন্ট সেন্টারের পরিচালক অধ্যাপক মোহাম্মদ খসরু বলেন, ‘উইমেন্স ক্যারিয়ার কার্নিভালের বক্তা হিসেবে বিশ্ববিদ্যালয়ের অবস্থান সবসময় হোচিমিনের পক্ষে ছিল। উনাকে নিয়ে আসার জন্য সবদিকে যোগাযোগ করা হয়েছে। তবে উনার সেশনে আরও যে কয়জন আলোচক ছিলেন; তারাও আসতে না পারায় আয়োজকরা ওই পুরো সেশনটি বাতিল করে দেন।’
বিশ্ববিদ্যালয় সবার জন্য উন্মুক্ত হওয়ার দাবি করে অধ্যাপক খসরু মিয়া আরও বলেন, ‘বিশ্বদ্যিালয় সব ধরনের মানুষকে শ্রদ্ধা-সম্মানের চোখে দেখেন। এখানে সব ধরনের মানুষের উপস্থিতি রয়েছে। এখানে কে থার্ড জেন্ডার, কে ট্রান্সজেন্ডার এটা নিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ে কারো কোনো আপত্তি থাকার কথা নয়। বিশ্ববিদ্যালয় সব সময় সবার জন্য উন্মুক্ত।’