আন্তর্জাতিক ফিলিস্তিন সংহতি দিবসে বাংলাদেশ থেকে ফিলিস্তিনের প্রতি সমর্থনে ‘মার্চ ফর প্যালেস্টাইন’ পালন করেছে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা। এসময় তারা বিশাল পতাকা নিয়ে সাংস্কৃতিক সেগমেন্ট ও র্যালির আয়োজন করেন। মার্চ ফর প্যালেস্টাইনের পতাকাটিকে বাংলাদেশের ইতিহাসে ফিলিস্তিনের পক্ষে সবচেয়ে বড় পতাকা বলেও দাবি করেন তারা।
আজ বুধবার (২৯ নভেম্বর) দুপুর ১২ টায় রাজু ভাস্কর্যের পাদদেশে এ কর্মসূচির আয়োজন করা হয়। এ কর্মসূচিতে শত শত শিক্ষার্থী অংশে নেয়। তাদের র্যালিটি রাজু ভাস্কর্যের পাদদেশ থেকে ভিসি চত্ত্বর ও ফুলার রোড হয়ে শহীদ মিনারে গিয়ে শেষ হয়।
এসময় শিক্ষার্থীরা ‘ফ্রম দ্যা রিভার টু দ্যা সী, প্যালেস্টাইন উইল বি ফ্রী’, ‘লাব্বাইক লাব্বাইক, লাব্বাইক ইয়া আকসা’, ‘ইন্তিফাদা ইন্তিফাদা, জিন্দাবাদ জিন্দাবাদ’, ‘জায়োনবাদ নিপাত যাক, ফিলিস্তিন মুক্তিপাক’, ‘ফিলিস্তিনের বীরসেনারা, লও লও লও সালাম, বাংলাদেশের পক্ষ থেকে, লও লও লও সালাম’ বলে স্লোগান দিতে থাকেন।
শিক্ষার্থী জানায়, দীর্ঘদিন ধরে ফিলিস্তিনের মানুষ, মা-বোনেরা অত্যাচার ও নির্যাতনের শিকার হয়ে আসছে। একজন মুসলিম হিসেবে তাদের ব্যথাটা আমরা অনুভব করতে পারি। বাংলাদেশ সরকারও স্বাধীনতা লগ্ন থেকেই ফিলিস্তিনের সঙ্গে সংহতি জানিয়ে আসছে। আজ আমরা সেই সংহতি জানানোর জন্যই একত্রিত হয়ে হয়েছি।
বাংলাদেশে অধ্যয়নরত ফিলিস্তিনি শিক্ষার্থী অংশগ্রহণকারীদের ধন্যবাদ জানিয়ে ইংরেজিতে ফিলিস্তিনের পক্ষে মনোভাব প্রকাশ করেন। তিনি বলেন, আমরা বিগত ৭৫ বছর ধরে আমরা নির্মম দখলদারিত্বের শিকার। আমরা প্রতিনিয়ত ভূমি, প্রাণ, মর্যাদা হারাচ্ছি। গত দুই মাস ধরে আপনার এর নজির দেখেছেন। আমরা অধিকার, মর্যাদাসহ স্বাধীনভাবে আমাদের ভূমিতে বসবাস করতে চাই। আমরা নিপীড়ন ও নির্মম দখলদারিত্বের অবসান চাই এবং এটা অসম্ভব কোনো বিষয় নয়। আমি এখানে পড়াশোনা করতে এসেছি, এই আয়োজন আমার জন্য আনন্দের। যারা নির্মমভাবে নিহত শিশু ও নারীদের প্রতি প্রতিবাদের আওয়াজ তুলেছেন তাদের সবাইকে আমি ধন্যবাদ জানাই।
এ সময় অর্থনীতি বিভাগের শিক্ষার্থী জয়েন উদ্দিন তন্ময় ইন্তিফাদা কবি আবৃত্তি করেন। কবি হাসান রুবায়েয়ত লাব্বাইক লাব্বাইক আল-আকসা কবিতা পাঠ করেন। সামাজিক সাংস্কৃতিক আন্দোলন কর্মী অরূপ রাহি ফিলিস্তিনের প্রতি সংহতি জানিয়ে বক্তব্য রাখেন।
আজ ২৯ নভেম্বর ফিলিস্তিনিদের প্রতি সংহতি দিবস। ১৯৭৭ সালে জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদ ২৯ নভেম্বরকে ফিলিস্তিনি জনগণের সাথে সংহতি প্রকাশ করতে আন্তর্জাতিক ফিলিস্তিন সংহতি দিবস হিসেবে গ্রহণ করে। এর ঠিক ১০ বছর পরে ১৯৮৭ সালের ২৯ নভেম্বর ‘ইউনাইটেড নেশনস পার্টিশন প্ল্যান ফর প্যালেস্টাইন’ প্রস্তাব অনুমোদিত হয়। এরপর থেকেই মুলত এ দিনটি ‘আন্তর্জাতিক ফিলিস্তিনি সংহতি দিবস’ হিসেবে সারা বিশ্বে পালিত হয়ে আসছে।
বুধবার, ২৯ নভেম্বর ২০২৩
আন্তর্জাতিক ফিলিস্তিন সংহতি দিবসে বাংলাদেশ থেকে ফিলিস্তিনের প্রতি সমর্থনে ‘মার্চ ফর প্যালেস্টাইন’ পালন করেছে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা। এসময় তারা বিশাল পতাকা নিয়ে সাংস্কৃতিক সেগমেন্ট ও র্যালির আয়োজন করেন। মার্চ ফর প্যালেস্টাইনের পতাকাটিকে বাংলাদেশের ইতিহাসে ফিলিস্তিনের পক্ষে সবচেয়ে বড় পতাকা বলেও দাবি করেন তারা।
আজ বুধবার (২৯ নভেম্বর) দুপুর ১২ টায় রাজু ভাস্কর্যের পাদদেশে এ কর্মসূচির আয়োজন করা হয়। এ কর্মসূচিতে শত শত শিক্ষার্থী অংশে নেয়। তাদের র্যালিটি রাজু ভাস্কর্যের পাদদেশ থেকে ভিসি চত্ত্বর ও ফুলার রোড হয়ে শহীদ মিনারে গিয়ে শেষ হয়।
এসময় শিক্ষার্থীরা ‘ফ্রম দ্যা রিভার টু দ্যা সী, প্যালেস্টাইন উইল বি ফ্রী’, ‘লাব্বাইক লাব্বাইক, লাব্বাইক ইয়া আকসা’, ‘ইন্তিফাদা ইন্তিফাদা, জিন্দাবাদ জিন্দাবাদ’, ‘জায়োনবাদ নিপাত যাক, ফিলিস্তিন মুক্তিপাক’, ‘ফিলিস্তিনের বীরসেনারা, লও লও লও সালাম, বাংলাদেশের পক্ষ থেকে, লও লও লও সালাম’ বলে স্লোগান দিতে থাকেন।
শিক্ষার্থী জানায়, দীর্ঘদিন ধরে ফিলিস্তিনের মানুষ, মা-বোনেরা অত্যাচার ও নির্যাতনের শিকার হয়ে আসছে। একজন মুসলিম হিসেবে তাদের ব্যথাটা আমরা অনুভব করতে পারি। বাংলাদেশ সরকারও স্বাধীনতা লগ্ন থেকেই ফিলিস্তিনের সঙ্গে সংহতি জানিয়ে আসছে। আজ আমরা সেই সংহতি জানানোর জন্যই একত্রিত হয়ে হয়েছি।
বাংলাদেশে অধ্যয়নরত ফিলিস্তিনি শিক্ষার্থী অংশগ্রহণকারীদের ধন্যবাদ জানিয়ে ইংরেজিতে ফিলিস্তিনের পক্ষে মনোভাব প্রকাশ করেন। তিনি বলেন, আমরা বিগত ৭৫ বছর ধরে আমরা নির্মম দখলদারিত্বের শিকার। আমরা প্রতিনিয়ত ভূমি, প্রাণ, মর্যাদা হারাচ্ছি। গত দুই মাস ধরে আপনার এর নজির দেখেছেন। আমরা অধিকার, মর্যাদাসহ স্বাধীনভাবে আমাদের ভূমিতে বসবাস করতে চাই। আমরা নিপীড়ন ও নির্মম দখলদারিত্বের অবসান চাই এবং এটা অসম্ভব কোনো বিষয় নয়। আমি এখানে পড়াশোনা করতে এসেছি, এই আয়োজন আমার জন্য আনন্দের। যারা নির্মমভাবে নিহত শিশু ও নারীদের প্রতি প্রতিবাদের আওয়াজ তুলেছেন তাদের সবাইকে আমি ধন্যবাদ জানাই।
এ সময় অর্থনীতি বিভাগের শিক্ষার্থী জয়েন উদ্দিন তন্ময় ইন্তিফাদা কবি আবৃত্তি করেন। কবি হাসান রুবায়েয়ত লাব্বাইক লাব্বাইক আল-আকসা কবিতা পাঠ করেন। সামাজিক সাংস্কৃতিক আন্দোলন কর্মী অরূপ রাহি ফিলিস্তিনের প্রতি সংহতি জানিয়ে বক্তব্য রাখেন।
আজ ২৯ নভেম্বর ফিলিস্তিনিদের প্রতি সংহতি দিবস। ১৯৭৭ সালে জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদ ২৯ নভেম্বরকে ফিলিস্তিনি জনগণের সাথে সংহতি প্রকাশ করতে আন্তর্জাতিক ফিলিস্তিন সংহতি দিবস হিসেবে গ্রহণ করে। এর ঠিক ১০ বছর পরে ১৯৮৭ সালের ২৯ নভেম্বর ‘ইউনাইটেড নেশনস পার্টিশন প্ল্যান ফর প্যালেস্টাইন’ প্রস্তাব অনুমোদিত হয়। এরপর থেকেই মুলত এ দিনটি ‘আন্তর্জাতিক ফিলিস্তিনি সংহতি দিবস’ হিসেবে সারা বিশ্বে পালিত হয়ে আসছে।