ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনিক ভবনের এক কর্মকর্তার শার্টের কলার ধরে হুমকি ও খারাপ আচরণ করার অভিযোগ উঠেছে বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় কমিটির সাংগঠনিক সম্পাদক ও স্যার সলিমুল্লাহ মুসলিম হলের সভাপতি তানভীর শিকদারের বিরুদ্ধে।
এ ঘটনার বিচার চেয়ে গত ১৪ নভেম্বর বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. এ এস এম মাকসুদ কামালের নিকট অভিযোগ পত্র দিয়েছেন ভুক্তভোগী ওই কর্মকর্তা। যদিও এই অভিযোগ অস্বীকার করেছেন অভিযুক্ত ছাত্রলীগ নেতা তানভীর। তিনি বলেন, ‘ একটু তর্কাতর্কি হয়েছে।’
ভুক্তভোগী ওই কর্মকর্তার নাম মুকুল মিয়া। তিনি প্রশাসনিক ভবনের কেন্দ্রীয় ভর্তি অফিসের এটেনডেন্ট হিসেবে কর্মরত আছেন।
মুকুল মিয়া সংবাদকে বলেন, তানভীর আমার কাছে এসে একটি প্রিন্ট করে দিতে বলে। আমাদের অফিসের নিয়মানুযায়ী বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী থেকে শুরু কাউকেই প্রিন্ট করে দেয়া নিষেধ। আমি ভদ্র ভাষায় তাকে বলি যে ভাই এখান থেকে প্রিন্ট করার নিয়ম নেই। এ কথা বলার পরে আমি স্যারদের রুমে ঢুকছি তখন সে আমাকে হাত দিয়ে ইশারা করে বাইরে আসতে বলে।
মুকুল মিয়া বলেন, আমি বের হয়ে আসার সাথে সাথেই সে আমার শার্টের কলার ধরে বলে, ‘ এ আমাকে চিনোস? আমি এস এম হল সভাপতি।’ এ কথা বলার পরে আমি বলি ভাই ভিতরে স্যার ( অনলাইন ভর্তি কমিটির আহ্বায়ক অধ্যাপক মোস্তাফিজুর রহমান) আছে তাকে বলেন তিনি যদি অনুমতি দেন তাহলে আমি প্রিন্ট করে দিচ্ছি। পরে সে স্যারের রুমে গিয়ে বিষয়টা বললে স্যার তখন বলেন, ‘ ঠিকই আছে তো। আমাদের অফিসের নিয়মানুযায়ী এখানে কোন শিক্ষার্থী বা বাইরের কারো প্রিন্ট করানো যাবে না।’
স্যার এ কথা বলার পরে সে স্যারের সাথেও খারাপ আচরণ করে। পরে স্যার আমাকে ভিসি স্যারের কাছে নিয়ে যায়। ভিসি স্যার অভিযোগ পত্র দিতে বললে তখন অভিযোগ দাখিল করি।
তবে অভিযোগ অস্বীকার করে উল্টো ভুক্তভোগী কর্মকর্তা মুকুল খারাপ আচরণ করেছেন বলে জানান তানভীর। তিনি বলেন, “আমার সাথে এরকম কোন ঝামেলা হয়নি। একটু কথা কাটাকাটি হয়েছে। সেটা যে আসলে এতো দূর কি হবে... আর এটাতো অফিসের ভিতরে; সেখানে এরকম কিছু হওয়ার তো প্রশ্নই আসে না। আর ওরা তো সাধারণ শিক্ষার্থীর সাথে খারাপ আচরণ করে। আর আমি যদি পরিচয় দিতাম তাহলে এরকম কিছুই হতো না। একটা ফটোকপি চাওয়া নিয়ে সে খারাপ ব্যবহার করছে, একটু তর্কাতর্কি হইছে এতটুকু। পরে হয়তোবা সে তার দায়িত্বরত টিচারকে জানিয়েছে, স্যার বলছে অভিযোগ দিতে। এতটুকুই আমি জানি।’
বুধবার, ২৯ নভেম্বর ২০২৩
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনিক ভবনের এক কর্মকর্তার শার্টের কলার ধরে হুমকি ও খারাপ আচরণ করার অভিযোগ উঠেছে বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় কমিটির সাংগঠনিক সম্পাদক ও স্যার সলিমুল্লাহ মুসলিম হলের সভাপতি তানভীর শিকদারের বিরুদ্ধে।
এ ঘটনার বিচার চেয়ে গত ১৪ নভেম্বর বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. এ এস এম মাকসুদ কামালের নিকট অভিযোগ পত্র দিয়েছেন ভুক্তভোগী ওই কর্মকর্তা। যদিও এই অভিযোগ অস্বীকার করেছেন অভিযুক্ত ছাত্রলীগ নেতা তানভীর। তিনি বলেন, ‘ একটু তর্কাতর্কি হয়েছে।’
ভুক্তভোগী ওই কর্মকর্তার নাম মুকুল মিয়া। তিনি প্রশাসনিক ভবনের কেন্দ্রীয় ভর্তি অফিসের এটেনডেন্ট হিসেবে কর্মরত আছেন।
মুকুল মিয়া সংবাদকে বলেন, তানভীর আমার কাছে এসে একটি প্রিন্ট করে দিতে বলে। আমাদের অফিসের নিয়মানুযায়ী বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী থেকে শুরু কাউকেই প্রিন্ট করে দেয়া নিষেধ। আমি ভদ্র ভাষায় তাকে বলি যে ভাই এখান থেকে প্রিন্ট করার নিয়ম নেই। এ কথা বলার পরে আমি স্যারদের রুমে ঢুকছি তখন সে আমাকে হাত দিয়ে ইশারা করে বাইরে আসতে বলে।
মুকুল মিয়া বলেন, আমি বের হয়ে আসার সাথে সাথেই সে আমার শার্টের কলার ধরে বলে, ‘ এ আমাকে চিনোস? আমি এস এম হল সভাপতি।’ এ কথা বলার পরে আমি বলি ভাই ভিতরে স্যার ( অনলাইন ভর্তি কমিটির আহ্বায়ক অধ্যাপক মোস্তাফিজুর রহমান) আছে তাকে বলেন তিনি যদি অনুমতি দেন তাহলে আমি প্রিন্ট করে দিচ্ছি। পরে সে স্যারের রুমে গিয়ে বিষয়টা বললে স্যার তখন বলেন, ‘ ঠিকই আছে তো। আমাদের অফিসের নিয়মানুযায়ী এখানে কোন শিক্ষার্থী বা বাইরের কারো প্রিন্ট করানো যাবে না।’
স্যার এ কথা বলার পরে সে স্যারের সাথেও খারাপ আচরণ করে। পরে স্যার আমাকে ভিসি স্যারের কাছে নিয়ে যায়। ভিসি স্যার অভিযোগ পত্র দিতে বললে তখন অভিযোগ দাখিল করি।
তবে অভিযোগ অস্বীকার করে উল্টো ভুক্তভোগী কর্মকর্তা মুকুল খারাপ আচরণ করেছেন বলে জানান তানভীর। তিনি বলেন, “আমার সাথে এরকম কোন ঝামেলা হয়নি। একটু কথা কাটাকাটি হয়েছে। সেটা যে আসলে এতো দূর কি হবে... আর এটাতো অফিসের ভিতরে; সেখানে এরকম কিছু হওয়ার তো প্রশ্নই আসে না। আর ওরা তো সাধারণ শিক্ষার্থীর সাথে খারাপ আচরণ করে। আর আমি যদি পরিচয় দিতাম তাহলে এরকম কিছুই হতো না। একটা ফটোকপি চাওয়া নিয়ে সে খারাপ ব্যবহার করছে, একটু তর্কাতর্কি হইছে এতটুকু। পরে হয়তোবা সে তার দায়িত্বরত টিচারকে জানিয়েছে, স্যার বলছে অভিযোগ দিতে। এতটুকুই আমি জানি।’