ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় (ঢাবি) শিক্ষক সমিতির ২০২৪ সালের কার্যকরী পরিষদের নির্বাচন বর্জন করেছে বিএনপি-জামায়াতপন্থী শিক্ষকদের সংগঠন সাদা দল। তারা অংশগ্রহণ না করায় এবং কোনো স্বতন্ত্র প্রার্থী না থাকায় বিনা নির্বাচনেই ঢাবি শিক্ষক সমিতির নেতৃত্বে এসেছে আওয়ামীপন্থী নীল দলের শিক্ষকরা।
আজ শুক্রবার ছিল নির্বাচনে মনোনয়ন প্রত্যাহারের শেষ দিন। তবে নীল দলের বাইরে কোনো প্যানেল কিংবা স্বতন্ত্র প্রার্থী মনোনয়ন জমা দেননি। ফলে নীল দলের প্রার্থীদের বিনা প্রতিদ্বন্দিতায় নির্বাচিত ঘোষণা করা হয়।
নির্বাচন কমিশনার ইকবাল রউফ মামুন বলেন, শুক্রবার সন্ধ্যা সাতটার মধ্যে প্রার্থীতা প্রত্যাহারের সময় ছিলো। আমাদের কাছে ১৫ টি মনোনয়ন পত্র জমা পড়েছিল। সবই নীল দলের প্রার্থীদের। আর কোন দল মনোনয়ন জমা দেয়নি। যেহেতু নীল দলের কোন প্রতিদ্বন্দিতা ছিলোনা আমরা তাদের বিনা প্রতিদ্বন্দিতায় নির্বাচিত ঘোষণা করেছি।
সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক পদে পুনরায় দায়িত্ব পালন করবেন পুষ্টি ও খাদ্য-বিজ্ঞান ইনস্টিটিউটের অধ্যাপক ড. নিজামুল হক ভূঁইয়া ও অধ্যাপক ড. জিনাত হুদা। এছাড়া সহ-সভাপতির দায়িত্বে থাকবেন অধ্যাপক ড. মো. আব্দুস ছামাদ, কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. মাসুদুর রহমান, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. মো. মিজানুর রহমান। সদস্য হিসেবে থাকবেন অধ্যাপক ড. জিয়াউর রহমান, অধ্যাপক ড. আব্দুল বাছির, অধ্যাপক ড. শফিউল আলম ভূইয়া, অধ্যাপক ড. নেসার হোসাইন, অধ্যাপক ড. সীমা জামান, অধ্যাপক ড. জিল্লুর রহমান, অধ্যাপক ড. চন্দ্রনাথ পোদ্দার, অধ্যাপক ড. লাফিফা জামাল, অধ্যাপক ড. ফিরোজ আহমেদ, অধ্যাপক ড. সিকদার মনোয়ার মোর্শেদ। সব ঠিক থাকলে তারাই আগামী এক বছর শিক্ষক সমিতির দায়িত্ব পালন করবেন।
এদিকে গত বৃহস্পতিবার ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ক্লাবে এক সংবাদ সম্মেলনে নির্বাচন বর্জনের ঘোষণা দেয় বিএনপিপন্থি শিক্ষকদের সংগঠন সাদা দল। দলটির আহ্বায়ক অধ্যাপক ড. লুৎফর রহমান এ ঘোষণা দেন।
তিনি বলেন, সাদা দল গণতান্ত্রিক মূল্যবোধে বিশ্বাসী একটি পেশাজীবী সংগঠন। নির্বাচনের মাধ্যমে নেতৃত্ব নির্বাচনে বিশ্বাসী বলে দলটি বিশ্ববিদ্যালয়ের সকল ফোরামের নির্বাচনে সবসময় অংশ নিয়ে আসছে। এরই ধাবরাবাহিকতায় ফলাফল যাই হোক না কেন, সবসময় এ দলটি শিক্ষক সমিতির নির্বাচনেও অংশ গ্রহণ করে। কিন্তু এবার বিশ্ববিদ্যালয় এবং দেশের সার্বিক পরিস্থিতি বিবেচনায় আসন্ন নির্বাচনে অংশ গ্রহণের পরিবেশ অনুকূল বলে আমরা মনে করি না। দেশে একটি এক তরফা জাতীয় সংসদ নির্বাচন আয়োজনের সকল প্রস্তুতি সম্পন্ন করেছে বর্তমান সরকার এবং তাদের আজ্ঞাবহ নির্বাচন কমিশন। এর প্রতিবাদে গণতান্ত্রিক শক্তিসমূহের পরিচালিত আন্দোলনে আমরাও সমর্থন জানিয়ে আসছি।
তিনি আরো বলেন, আমরা মনে করি, দেশে বিরাজমান পরিস্থিতিতে আসন্ন শিক্ষক সমিতির নির্বাচনে অংশগ্রহণ করার চেয়ে দেশের গণতন্ত্র পুনরুদ্ধার এবং ভোটাধিকার নিশ্চিত করার দাবিতে পরিচালিত আন্দোলনের গুরুত্ব অনেক বেশি। আমরা চাই না, শিক্ষক সমিতি নির্বাচিত হোক যেটি ভোটাধিকার হরণকারী অগণতান্ত্রিক ও ফ্যাসিস্ট সরকারের হাতকে শক্তিশালী করবে।
শুক্রবার, ০১ ডিসেম্বর ২০২৩
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় (ঢাবি) শিক্ষক সমিতির ২০২৪ সালের কার্যকরী পরিষদের নির্বাচন বর্জন করেছে বিএনপি-জামায়াতপন্থী শিক্ষকদের সংগঠন সাদা দল। তারা অংশগ্রহণ না করায় এবং কোনো স্বতন্ত্র প্রার্থী না থাকায় বিনা নির্বাচনেই ঢাবি শিক্ষক সমিতির নেতৃত্বে এসেছে আওয়ামীপন্থী নীল দলের শিক্ষকরা।
আজ শুক্রবার ছিল নির্বাচনে মনোনয়ন প্রত্যাহারের শেষ দিন। তবে নীল দলের বাইরে কোনো প্যানেল কিংবা স্বতন্ত্র প্রার্থী মনোনয়ন জমা দেননি। ফলে নীল দলের প্রার্থীদের বিনা প্রতিদ্বন্দিতায় নির্বাচিত ঘোষণা করা হয়।
নির্বাচন কমিশনার ইকবাল রউফ মামুন বলেন, শুক্রবার সন্ধ্যা সাতটার মধ্যে প্রার্থীতা প্রত্যাহারের সময় ছিলো। আমাদের কাছে ১৫ টি মনোনয়ন পত্র জমা পড়েছিল। সবই নীল দলের প্রার্থীদের। আর কোন দল মনোনয়ন জমা দেয়নি। যেহেতু নীল দলের কোন প্রতিদ্বন্দিতা ছিলোনা আমরা তাদের বিনা প্রতিদ্বন্দিতায় নির্বাচিত ঘোষণা করেছি।
সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক পদে পুনরায় দায়িত্ব পালন করবেন পুষ্টি ও খাদ্য-বিজ্ঞান ইনস্টিটিউটের অধ্যাপক ড. নিজামুল হক ভূঁইয়া ও অধ্যাপক ড. জিনাত হুদা। এছাড়া সহ-সভাপতির দায়িত্বে থাকবেন অধ্যাপক ড. মো. আব্দুস ছামাদ, কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. মাসুদুর রহমান, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. মো. মিজানুর রহমান। সদস্য হিসেবে থাকবেন অধ্যাপক ড. জিয়াউর রহমান, অধ্যাপক ড. আব্দুল বাছির, অধ্যাপক ড. শফিউল আলম ভূইয়া, অধ্যাপক ড. নেসার হোসাইন, অধ্যাপক ড. সীমা জামান, অধ্যাপক ড. জিল্লুর রহমান, অধ্যাপক ড. চন্দ্রনাথ পোদ্দার, অধ্যাপক ড. লাফিফা জামাল, অধ্যাপক ড. ফিরোজ আহমেদ, অধ্যাপক ড. সিকদার মনোয়ার মোর্শেদ। সব ঠিক থাকলে তারাই আগামী এক বছর শিক্ষক সমিতির দায়িত্ব পালন করবেন।
এদিকে গত বৃহস্পতিবার ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ক্লাবে এক সংবাদ সম্মেলনে নির্বাচন বর্জনের ঘোষণা দেয় বিএনপিপন্থি শিক্ষকদের সংগঠন সাদা দল। দলটির আহ্বায়ক অধ্যাপক ড. লুৎফর রহমান এ ঘোষণা দেন।
তিনি বলেন, সাদা দল গণতান্ত্রিক মূল্যবোধে বিশ্বাসী একটি পেশাজীবী সংগঠন। নির্বাচনের মাধ্যমে নেতৃত্ব নির্বাচনে বিশ্বাসী বলে দলটি বিশ্ববিদ্যালয়ের সকল ফোরামের নির্বাচনে সবসময় অংশ নিয়ে আসছে। এরই ধাবরাবাহিকতায় ফলাফল যাই হোক না কেন, সবসময় এ দলটি শিক্ষক সমিতির নির্বাচনেও অংশ গ্রহণ করে। কিন্তু এবার বিশ্ববিদ্যালয় এবং দেশের সার্বিক পরিস্থিতি বিবেচনায় আসন্ন নির্বাচনে অংশ গ্রহণের পরিবেশ অনুকূল বলে আমরা মনে করি না। দেশে একটি এক তরফা জাতীয় সংসদ নির্বাচন আয়োজনের সকল প্রস্তুতি সম্পন্ন করেছে বর্তমান সরকার এবং তাদের আজ্ঞাবহ নির্বাচন কমিশন। এর প্রতিবাদে গণতান্ত্রিক শক্তিসমূহের পরিচালিত আন্দোলনে আমরাও সমর্থন জানিয়ে আসছি।
তিনি আরো বলেন, আমরা মনে করি, দেশে বিরাজমান পরিস্থিতিতে আসন্ন শিক্ষক সমিতির নির্বাচনে অংশগ্রহণ করার চেয়ে দেশের গণতন্ত্র পুনরুদ্ধার এবং ভোটাধিকার নিশ্চিত করার দাবিতে পরিচালিত আন্দোলনের গুরুত্ব অনেক বেশি। আমরা চাই না, শিক্ষক সমিতি নির্বাচিত হোক যেটি ভোটাধিকার হরণকারী অগণতান্ত্রিক ও ফ্যাসিস্ট সরকারের হাতকে শক্তিশালী করবে।