জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের ইনস্টিটিউট অব বিজনেস অ্যাডমিনিস্ট্রেশনের (আইবিএ) নতুন ভবন নির্মাণ করার জন্য রাতের আধারে ৫৬ টি গাছ কেটে ফেলেছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন।
আজ বুধবার (১ নভেম্বর) ভোরে বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র-শিক্ষক কেন্দ্র (টিএসসি) এলাকার সুন্দরবন নামক স্থানে গাছগুলো কাটা হয়। পরে বিষয়টি জানাজানি হলে বেলা সোয়া ১১ টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের একদল শিক্ষার্থী বিক্ষোভ মিছিল নিয়ে ভবন নির্মাণের নির্ধারিত স্থানে যান। সেখানে ওই আইবিএ ইনস্টিটিউটের ভবন নির্মাণের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপনের নামফলক শিক্ষার্থীরা ভেঙে দেন।
এরপর দুপুর দেড়টার দিকে আরেকদল শিক্ষার্থী ভবন নির্মাণের নির্ধারিত স্থানে যেখানে গাছ কাটা হয়েছে সেখানে নতুন ১১টি গাছ লাগিয়ে দেন। দুপুর ৩টার দিকে শিক্ষার্থীরা একটি গাছে কাফনের কাপড় পরিয়ে লাশ বানিয়ে বিক্ষোভ মিছিল বের করেন। মিছিলটি বিশ্ববিদ্যালয়ের নতুন প্রশাসনিক ভবনের সামনে গিয়ে শেষ হয়। পরে সেখানে সংক্ষিপ্ত সমাবেশ করেন তারা৷
এদিকে, নিয়ম অনুযায়ী বিশ্ববিদ্যালয়ে গাছ কাটা হলে সেসব গাছ বিশ্ববিদ্যালয়ের এস্টেট কার্যালয়কে বুঝিয়ে দেওয়ার কথা। তবে গাছ কাটার পর কয়েকঘন্টা পার হলেও কাটা গাছগুলো এস্টেট কার্যালয়কে বুঝিয়ে দেওয়া হয়নি বলে জানিয়েছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের এস্টেট অফিসের ডেপুটি রেজিস্টার আবদুর রহমান বাবুল।
এ বিষয়ে ইনস্টিটিউট অব বিজনেস অ্যাডমিনিস্ট্রেশনের পরিচালক অধ্যাপক কে এম জাহিদুল ইসলাম সংবাদকে বলেন, গাছগুলো এস্টেট অফিসকে বুঝিয়ে দেওয়া হবে। গাছগুলো ক্যাম্পাসেই থাকার কথা। কোথায় রাখা আছে আমি জানিনা তবে জেনে আপনাকে জানানোর চেষ্টা করব।
রাতের আধারে গাছ কাটা প্রসঙ্গে ইনস্টিটিউট অব বিজনেস অ্যাডমিনিস্ট্রেশনের পরিচালক অধ্যাপক কে.এম জাহিদুল ইসলাম বলেন, ওখানে ভবন করার জন্য সাবেক উপাচার্য জায়গা বরাদ্দ দিয়েছিল। নিয়মতান্ত্রিক প্রক্রিয়ায় টেন্ডার হয়েছে। ওয়ার্কঅর্ডার যারা পেয়েছেন তারা গাছগুলো কেটেছে। এখন তাদের যে সময় উপযুক্ত মনে হয়েছে বা লেবার এবেলেবেলিটি ছিল তখন কাজ করেছে।
এদিকে বিশ্ববিদ্যালয়ে চলমান উন্নয়ন প্রকল্পের সাথে গাছ কাটার কোনো সংযোগ নেই বলে জানিয়েছেন প্রকল্প সংশ্লিষ্টরা। তাদের দাবি, বৃক্ষ কর্তন করেছে আইবিএ সংশ্লিষ্টরা। তাদের ভবন নির্মাণের জন্য এ ধরনের সিদ্ধান্ত নিয়ে থাকতে পারে। এর সাথে আমাদের প্রকল্পের কোনো সংযোগ নেই।
এ বিষয় জানতে বিশ্ববিদ্যালয় উপাচার্য অধ্যাপক মো. নুরুল আলমের একাধিকবার কল দেওয়া হলে তিনি রিসিভ করেন নি।
বুধবার, ০১ নভেম্বর ২০২৩
জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের ইনস্টিটিউট অব বিজনেস অ্যাডমিনিস্ট্রেশনের (আইবিএ) নতুন ভবন নির্মাণ করার জন্য রাতের আধারে ৫৬ টি গাছ কেটে ফেলেছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন।
আজ বুধবার (১ নভেম্বর) ভোরে বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র-শিক্ষক কেন্দ্র (টিএসসি) এলাকার সুন্দরবন নামক স্থানে গাছগুলো কাটা হয়। পরে বিষয়টি জানাজানি হলে বেলা সোয়া ১১ টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের একদল শিক্ষার্থী বিক্ষোভ মিছিল নিয়ে ভবন নির্মাণের নির্ধারিত স্থানে যান। সেখানে ওই আইবিএ ইনস্টিটিউটের ভবন নির্মাণের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপনের নামফলক শিক্ষার্থীরা ভেঙে দেন।
এরপর দুপুর দেড়টার দিকে আরেকদল শিক্ষার্থী ভবন নির্মাণের নির্ধারিত স্থানে যেখানে গাছ কাটা হয়েছে সেখানে নতুন ১১টি গাছ লাগিয়ে দেন। দুপুর ৩টার দিকে শিক্ষার্থীরা একটি গাছে কাফনের কাপড় পরিয়ে লাশ বানিয়ে বিক্ষোভ মিছিল বের করেন। মিছিলটি বিশ্ববিদ্যালয়ের নতুন প্রশাসনিক ভবনের সামনে গিয়ে শেষ হয়। পরে সেখানে সংক্ষিপ্ত সমাবেশ করেন তারা৷
এদিকে, নিয়ম অনুযায়ী বিশ্ববিদ্যালয়ে গাছ কাটা হলে সেসব গাছ বিশ্ববিদ্যালয়ের এস্টেট কার্যালয়কে বুঝিয়ে দেওয়ার কথা। তবে গাছ কাটার পর কয়েকঘন্টা পার হলেও কাটা গাছগুলো এস্টেট কার্যালয়কে বুঝিয়ে দেওয়া হয়নি বলে জানিয়েছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের এস্টেট অফিসের ডেপুটি রেজিস্টার আবদুর রহমান বাবুল।
এ বিষয়ে ইনস্টিটিউট অব বিজনেস অ্যাডমিনিস্ট্রেশনের পরিচালক অধ্যাপক কে এম জাহিদুল ইসলাম সংবাদকে বলেন, গাছগুলো এস্টেট অফিসকে বুঝিয়ে দেওয়া হবে। গাছগুলো ক্যাম্পাসেই থাকার কথা। কোথায় রাখা আছে আমি জানিনা তবে জেনে আপনাকে জানানোর চেষ্টা করব।
রাতের আধারে গাছ কাটা প্রসঙ্গে ইনস্টিটিউট অব বিজনেস অ্যাডমিনিস্ট্রেশনের পরিচালক অধ্যাপক কে.এম জাহিদুল ইসলাম বলেন, ওখানে ভবন করার জন্য সাবেক উপাচার্য জায়গা বরাদ্দ দিয়েছিল। নিয়মতান্ত্রিক প্রক্রিয়ায় টেন্ডার হয়েছে। ওয়ার্কঅর্ডার যারা পেয়েছেন তারা গাছগুলো কেটেছে। এখন তাদের যে সময় উপযুক্ত মনে হয়েছে বা লেবার এবেলেবেলিটি ছিল তখন কাজ করেছে।
এদিকে বিশ্ববিদ্যালয়ে চলমান উন্নয়ন প্রকল্পের সাথে গাছ কাটার কোনো সংযোগ নেই বলে জানিয়েছেন প্রকল্প সংশ্লিষ্টরা। তাদের দাবি, বৃক্ষ কর্তন করেছে আইবিএ সংশ্লিষ্টরা। তাদের ভবন নির্মাণের জন্য এ ধরনের সিদ্ধান্ত নিয়ে থাকতে পারে। এর সাথে আমাদের প্রকল্পের কোনো সংযোগ নেই।
এ বিষয় জানতে বিশ্ববিদ্যালয় উপাচার্য অধ্যাপক মো. নুরুল আলমের একাধিকবার কল দেওয়া হলে তিনি রিসিভ করেন নি।