ছাত্রীকে যৌন হয়রানির অভিযোগে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের (জবি) এক শিক্ষককে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে। একইসাথে তাকে কেন স্থায়ী বহিষ্কার করা হবেনা তা জানতে চেয়ে নোটিশ দেয়া হয়েছে। আরেক সাময়িক বরখাস্ত হওয়া শিক্ষককে স্থায়ী বহিষ্কার কেন করা হবেনা তা জানতে চেয়ে নোটিশ দেয়া হয়েছে।
প্রথমজন হলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের গণিত বিভাগের সহকারী অধ্যাপক এ বি এস মাণিক মুনসী এবং দ্বিতীয়জন ফিল্ম এন্ড টেলিভিশন বিভাগের প্রভাষক আবু শাহেদ ইমন।
আজ বুধবার বিশ্ববিদ্যালয়ের ৯৫তম সিন্ডিকেট সভায় এসব সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। সভা শেষে সিন্ডিকেট সদস্য অধ্যাপক ড. নূরে আলম আব্দুল্লাহ এসব তথ্য জানান।
অধ্যাপক ড. নূরে আলম আব্দুল্লাহ জানান, গণিত বিভাগের সহকারী অধ্যাপক মাণিক মুনসীর বিরুদ্ধে নিজ বিভাগের ছাত্রীকে বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে যৌন হয়রানির অভিযোগের সত্যতা পাওয়ায় সিন্ডিকেটে তাকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে। কেন স্থায়ী বরখাস্ত করা হবেনা সেই জবাব চাওয়ার সিদ্ধান্ত হয়েছে।
তিনি আরও বলেন, এক ছাত্রীকে যৌন হয়রানির অভিযোগ তদন্ত সাপেক্ষে সত্যতা পাওয়ায়
সিন্ডিকেট সভায় ফিল্ম এন্ড টেলিভিশন বিভাগের প্রভাষক আবু শাহেদ ইমনকে দ্বিতীয় কারণ দর্শানোর নোটিশ অর্থাৎ কেন স্থায়ীভাবে বরখাস্ত হবেনা সেই জবাব চাওয়ার সিদ্ধান্ত হয়েছে। এর আগেই তাকে সাময়িক বহিষ্কার ও প্রথম নোটিশ দেয়া হয়েছিল।
তিনি জানান, আইন বিভাগের শিক্ষার্থী ফাইরুজ সাদাফ অবন্তিকার আত্মহত্যার ঘটনায় তদন্ত কমিটি এখনো প্রতিবেদন জমা না দেওয়ায় এ বিষয়ে সিন্ডিকেট সভায় কোন সিদ্ধান্ত হয়নি। তদন্ত প্রতিবেদন পেলে সেই সাপেক্ষে ব্যবস্থা নেয়া হবে।
এদিকে বারবার শিক্ষাছুটি নিয়ে তা শেষ হলেও বিশ্ববিদ্যালয়ে ফিরে না আসায় ইসলামের ইতিহাস ও সংস্কৃতি বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ড. মো. জিয়াউল হক শেখকে স্থায়ী বরখাস্ত করেছে বিশ্ববিদ্যালয় সিন্ডিকেট।
বিষয়টি নিশ্চিত করে সিন্ডিকেট সদস্য অধ্যাপক ড. নূরে আলম আব্দুল্লাহ বলেন, জিয়াউল হক শেখের বিরুদ্ধে দুইবার শিক্ষাছুটি নিয়ে তা শেষ হওয়ার পরও বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন ভঙ্গ করে ফিরে না আসার অভিযোগ তদন্ত সাপেক্ষে প্রমাণিত হয়েছে। তদন্ত কমিটির প্রতিবেদন সাপেক্ষে বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন অনুযায়ী তাকে স্থায়ী বরখাস্ত করা হয়েছে।
গত বছরের সেপ্টেম্বরে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের গণিত বিভাগের এক ছাত্রীর মানসিক পরিস্থিতির সুযোগ নিয়ে অনৈতিক সম্পর্ক স্থাপনের অভিযোগের প্রেক্ষিতে বিভাগের সহকারী অধ্যাপক এ বি এস মাণিক মুনসীকে বিভাগের সব কার্যক্রম থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয়।
এরপর গত ২১ মার্চ বিশ্ববিদ্যালয়ের ৯৪তম (জরুরি ভিত্তিতে ডাকা) সিন্ডিকেট সভায় ফিল্ম এন্ড টেলিভিশন বিভাগের এক ছাত্রীকে যৌন হয়রানির অভিযোগে প্রভাষক আবু শাহেদ ইমনকে সাময়িকভাবে বরখাস্ত করা হয়।
গত ১৫ মার্চ রাতে বিশ্ববিদ্যালয়ের একজন সহকারী প্রক্টর এবং এক সহপাঠীর বিরুদ্ধে অভিযোগ এনে ফেসবুকে একটি স্ট্যাটাস দিয়ে আত্মহত্যা করেন জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের ২০১৭-১৮ সেশনের আইন বিভাগের শিক্ষার্থী ফাইরোজ সাদাফ অবন্তিকা। এ ঘটনার পর বিশ্ববিদ্যালয় জুড়ে তুমুল আন্দোলন শুরু হয়। তখন শিক্ষার্থীরা বিগত সময়ের বিভিন্ন যৌন নিপীড়নের অভিযোগের বিষয়ে যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি জানান বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের কাছে। এতে নড়েচড়ে বসে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন।
বুধবার, ০৩ এপ্রিল ২০২৪
ছাত্রীকে যৌন হয়রানির অভিযোগে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের (জবি) এক শিক্ষককে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে। একইসাথে তাকে কেন স্থায়ী বহিষ্কার করা হবেনা তা জানতে চেয়ে নোটিশ দেয়া হয়েছে। আরেক সাময়িক বরখাস্ত হওয়া শিক্ষককে স্থায়ী বহিষ্কার কেন করা হবেনা তা জানতে চেয়ে নোটিশ দেয়া হয়েছে।
প্রথমজন হলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের গণিত বিভাগের সহকারী অধ্যাপক এ বি এস মাণিক মুনসী এবং দ্বিতীয়জন ফিল্ম এন্ড টেলিভিশন বিভাগের প্রভাষক আবু শাহেদ ইমন।
আজ বুধবার বিশ্ববিদ্যালয়ের ৯৫তম সিন্ডিকেট সভায় এসব সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। সভা শেষে সিন্ডিকেট সদস্য অধ্যাপক ড. নূরে আলম আব্দুল্লাহ এসব তথ্য জানান।
অধ্যাপক ড. নূরে আলম আব্দুল্লাহ জানান, গণিত বিভাগের সহকারী অধ্যাপক মাণিক মুনসীর বিরুদ্ধে নিজ বিভাগের ছাত্রীকে বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে যৌন হয়রানির অভিযোগের সত্যতা পাওয়ায় সিন্ডিকেটে তাকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে। কেন স্থায়ী বরখাস্ত করা হবেনা সেই জবাব চাওয়ার সিদ্ধান্ত হয়েছে।
তিনি আরও বলেন, এক ছাত্রীকে যৌন হয়রানির অভিযোগ তদন্ত সাপেক্ষে সত্যতা পাওয়ায়
সিন্ডিকেট সভায় ফিল্ম এন্ড টেলিভিশন বিভাগের প্রভাষক আবু শাহেদ ইমনকে দ্বিতীয় কারণ দর্শানোর নোটিশ অর্থাৎ কেন স্থায়ীভাবে বরখাস্ত হবেনা সেই জবাব চাওয়ার সিদ্ধান্ত হয়েছে। এর আগেই তাকে সাময়িক বহিষ্কার ও প্রথম নোটিশ দেয়া হয়েছিল।
তিনি জানান, আইন বিভাগের শিক্ষার্থী ফাইরুজ সাদাফ অবন্তিকার আত্মহত্যার ঘটনায় তদন্ত কমিটি এখনো প্রতিবেদন জমা না দেওয়ায় এ বিষয়ে সিন্ডিকেট সভায় কোন সিদ্ধান্ত হয়নি। তদন্ত প্রতিবেদন পেলে সেই সাপেক্ষে ব্যবস্থা নেয়া হবে।
এদিকে বারবার শিক্ষাছুটি নিয়ে তা শেষ হলেও বিশ্ববিদ্যালয়ে ফিরে না আসায় ইসলামের ইতিহাস ও সংস্কৃতি বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ড. মো. জিয়াউল হক শেখকে স্থায়ী বরখাস্ত করেছে বিশ্ববিদ্যালয় সিন্ডিকেট।
বিষয়টি নিশ্চিত করে সিন্ডিকেট সদস্য অধ্যাপক ড. নূরে আলম আব্দুল্লাহ বলেন, জিয়াউল হক শেখের বিরুদ্ধে দুইবার শিক্ষাছুটি নিয়ে তা শেষ হওয়ার পরও বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন ভঙ্গ করে ফিরে না আসার অভিযোগ তদন্ত সাপেক্ষে প্রমাণিত হয়েছে। তদন্ত কমিটির প্রতিবেদন সাপেক্ষে বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন অনুযায়ী তাকে স্থায়ী বরখাস্ত করা হয়েছে।
গত বছরের সেপ্টেম্বরে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের গণিত বিভাগের এক ছাত্রীর মানসিক পরিস্থিতির সুযোগ নিয়ে অনৈতিক সম্পর্ক স্থাপনের অভিযোগের প্রেক্ষিতে বিভাগের সহকারী অধ্যাপক এ বি এস মাণিক মুনসীকে বিভাগের সব কার্যক্রম থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয়।
এরপর গত ২১ মার্চ বিশ্ববিদ্যালয়ের ৯৪তম (জরুরি ভিত্তিতে ডাকা) সিন্ডিকেট সভায় ফিল্ম এন্ড টেলিভিশন বিভাগের এক ছাত্রীকে যৌন হয়রানির অভিযোগে প্রভাষক আবু শাহেদ ইমনকে সাময়িকভাবে বরখাস্ত করা হয়।
গত ১৫ মার্চ রাতে বিশ্ববিদ্যালয়ের একজন সহকারী প্রক্টর এবং এক সহপাঠীর বিরুদ্ধে অভিযোগ এনে ফেসবুকে একটি স্ট্যাটাস দিয়ে আত্মহত্যা করেন জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের ২০১৭-১৮ সেশনের আইন বিভাগের শিক্ষার্থী ফাইরোজ সাদাফ অবন্তিকা। এ ঘটনার পর বিশ্ববিদ্যালয় জুড়ে তুমুল আন্দোলন শুরু হয়। তখন শিক্ষার্থীরা বিগত সময়ের বিভিন্ন যৌন নিপীড়নের অভিযোগের বিষয়ে যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি জানান বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের কাছে। এতে নড়েচড়ে বসে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন।