alt

ক্যাম্পাস

বুয়েটে প্রগতিশীল রাজনীতির চর্চায় প্রধানমন্ত্রীর কাছে আরজি জানালেন ৬ শিক্ষার্থী

নিজস্ব বার্তা পরিবেশক : বৃহস্পতিবার, ০৪ এপ্রিল ২০২৪

নিরাপদে ও সৎসাহসের সঙ্গে প্রগতিশীল রাজনীতির চর্চা করতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কাছে আরজি জানিয়েন বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) ছাত্রলীগ-সমমনা ছয়জন ছাত্র।

আজ বৃহস্পতিবার বেলা সাড়ে তিনটার দিকে বুয়েটের শহীদ মিনারে ছয় শিক্ষার্থী সংবাদ সম্মেলন করে লিখিত আবেদন পড়ে শোনান। তাঁরা হলেন আশিকুল আলম, অর্ঘ্য দাস, অরিত্র ঘোষ, তানভীর মাহমুদ, সাগর বিশ্বাস ও মিশু দত্ত। বুয়েটের বিভিন্ন বিভাগে অধ্যয়নরত এই শিক্ষার্থীরা ছাত্রলীগের সমর্থক বলে পরিচিত।

লিখিত বক্তব্য আশিকুল আলম ও অরিত্র ঘোষ পড়ে শোনান। এতে বলা হয়, জীবনের হুমকিসহ নানা জটিলতার মধ্য দিয়ে আমাদের যেতে হচ্ছে। ছাত্রশিবির পরিচালিত বাঁশেরকেল্লার পক্ষ থেকে আমাদের ব্যক্তিগত তথ্য চাওয়া হচ্ছে। আমাদের শিক্ষার্থীদের নাম, মুঠোফোন নম্বর, শিক্ষার্থী নম্বর থেকে শুরু করে ব্যক্তিগত তথ্য ছড়িয়ে দেওয়া হচ্ছে মেসেজিং অ্যাপগুলো ব্যবহার করে। আমরা ২১ জন এ ধরনের হুমকির সম্মুখীন। এর প্রমাণ এরই মধ্যে আমরা বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের কাছে জমা দিয়েছি।

আরও বলা হয়, হে দেশরত্ন, বঙ্গবন্ধু তনয়া, আমাদের সাহায্য করুন। আমরা সব মতের সাধারণ বুয়েট শিক্ষার্থীরা সবাই মিলে স্বাভাবিক ও নিরাপদ ক্যাম্পাস চাই। আমরা মতপ্রকাশের স্বাধীনতা চাই। আমরা চাই না আমাদের ক্যাম্পাস জঙ্গি তৈরির কারখানা হোক।’হিযবুত তাহরীর বা শিবিরের সন্ত্রাসী আক্রমণ থেকে বুয়েটের মুক্তিযুদ্ধের পক্ষের শক্তি কতটা নিরাপদ, সে প্রশ্ন তুলে বলা হয়, ‘রাষ্ট্রযন্ত্র মেধাবীদের এই ক্যাম্পাসকে কতটা নজরদারিতে রেখেছে বা এর সুরক্ষা নিশ্চিত করছে, তা আমরা জানি না। যেকোনো বড় ধরনের নাশকতার ঘটনার আশঙ্কা উড়িয়ে দিলে হোলি আর্টিজানের মতো কোনো ঘটনার পুনরাবৃত্তি হতে পারে বলে আশঙ্কা করছি।’

আরও বলা হয়, মাননীয় প্রধানমন্ত্রী, আপনার সিদ্ধান্তের প্রতি সম্মান প্রদর্শন করে আমরা আমাদের আকুল আরজি রাখলাম। আমাদের নিরাপদ ও স্বাধীন মতামত প্রকাশের ক্যাম্পাস উপহার দিন। দেশ ও দশের প্রতি ভালোবাসা রেখে সবার কল্যাণকে মাথায় রেখে আমরা ক্যাম্পাসে স্বাভাবিক পরিস্থিতি চাই এবং জীবনের নিরাপত্তা চাই। আমরা বুয়েট ক্যাম্পাসে নিরাপদে ও সৎসাহসের সঙ্গে প্রগতিশীল রাজনীতির চর্চা করতে চাই।

লিখিত বক্তব্যে প্রধানমন্ত্রীর উদ্দেশে শিক্ষার্থীরা বলেন, মাননীয় প্রধানমন্ত্রী, বুয়েট ক্যাম্পাসে ছাত্ররাজনীতিকে একপ্রকার নিষিদ্ধ কাজ হিসেবে দেখা হচ্ছে। আমরা প্রগতিশীল রাজনৈতিক চিন্তা-ধারণায় বিশ্বাসী এবং স্মার্ট বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠায় আমরাও অংশ নিতে চাই বলে আমাদের ক্যাম্পাসে দীর্ঘ একটি সময় ধরে মানসিক নিপীড়ন চলে আসছে, যা বর্তমানে আমাদের জীবনের হুমকিতে রূপ নিয়েছে।

আরও বলা হয়, আমরা বাংলাদেশের স্বাধীনতার চেতনায় বিশ্বাসী, মাননীয় প্রধানমন্ত্রী আপনাকে আমরা বলতে চাই, শুধু স্বাধীন মতপ্রকাশের জন্য যে পরিমাণ বুলিং করা হয়েছে আমাদের ওপর, তা অকথ্য। বুয়েটের শিক্ষার্থী আবরার ফাহাদ ভাইয়ের নির্মম হত্যাকাণ্ডের পর বুয়েটে ছাত্ররাজনীতি নিষিদ্ধ হয়। কিন্তু এরপর র‍্যাগিং বা এর সঙ্গে জড়িত কোনো বিশ্ববিদ্যালয় আইন ভঙ্গের অভিযোগ না থাকলেও সংখ্যালঘু ছাত্রদের ওপর শুরু হয় প্রকাশ্যে অপমান করা ও অপবাদ দেওয়া। এটি হয় শুধু স্বাধীনতা ও মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় বিশ্বাসী হওয়ার কারণে। পরে আমরা বুয়েটে ভর্তি হলে আমরাও জাতির জনকের আদর্শকে লালন করতে চাইলেই আমাদের সঙ্গে বুলিং ও নানাভাবে আমাদের হয়রানি করা হয়।

লিখিত বক্তব্যে বলা হয়, গত ২৭ মার্চ দিবাগত রাতে ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় সভাপতি সাদ্দাম হোসেন বুয়েট প্রাঙ্গণে রাতে উপস্থিত হলে তাঁর সঙ্গে বুয়েটে অধ্যয়নরত কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের সদস্য ইমতিয়াজ হোসেনের সৌজন্য বিনিময়ের কারণকে অভিযোগ হিসেবে তুলে ধরে পরীক্ষা বর্জনের মতো কর্মসূচি ঘোষণা করা হয়। ইমতিয়াজের হল বহিষ্কার দাবি করা হলে কোনো ধরনের তদন্ত ছাড়াই উপাচার্য কর্তৃক তা গৃহীত হয়। পরে তাঁকে বুয়েট থেকে স্থায়ী বহিষ্কারের দাবিও জানানো হয়, যা আসলে একজন শিক্ষার্থীর একাডেমিক ক্যারিয়ার ধ্বংসের শামিল। এই আন্দোলন ক্যাম্পাসে শান্তির পরিবেশ নষ্ট করে, যা পরীক্ষা বয়কটের মতো বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করে।

লিখিত বক্তব্যে বলা হয়, এসব ঘটনায় সব সময়ই হোতা কিছু নির্দিষ্ট মানুষ, যাদের সঙ্গে গত বছরের জুলাইয়ে শিবির সন্দেহে আটক ব্যক্তিদের সম্পৃক্ততা ও মৌলবাদী চিন্তা পালনের দৃষ্টান্ত মেলে। অনেক ক্ষেত্রে সাম্প্রদায়িক মতামত প্রতিষ্ঠার জোরও চালানো হয় তাদের দ্বারা। কিন্তু এই অন্ধকার রাজনীতি আড়াল হয় আবরার ফাহাদ ভাইকে হারানোর বেদনায় সাধারণ শিক্ষার্থীদের আবেগকে ব্যবহার করে। সম্প্রতি বুয়েটের ইসিই ভবনের লিফটে হিযবুত তাহরীর পোস্টারে কিউআর কোডের মাধ্যমে ‘খিলাফত প্রতিষ্ঠার’ আহ্বান করা হয়, যা শিক্ষার্থীদের ব্যক্তিগত প্রাতিষ্ঠানিক মেইলেও পাঠানো হয়।

ছবি

ফেসবুকে অপপ্রচারের অভিযোগ, উপাচার্যের কাছে বিচার চাইলেন জবির ডিন

ছবি

তীব্র দাবদাহে জবিতে সপ্তাহে চারদিন সশরীরে ক্লাস, একদিন অনলাইনে

ছবি

তাপপ্রবাহে জবির ফার্মেসী বিভাগের বিশুদ্ধ পানি ও খাবার স্যালাইন বিতরণ

ছবি

বিদ্যুৎ বিভ্রাটে অতিষ্ঠ জাবির হাজারো শিক্ষার্থী

ছবি

কুবির শিক্ষক সমিতির দেওয়া তিন দপ্তরের তালা ভাঙল প্রক্টরিয়াল বডি

ছবি

উপাচার্যের পদত্যাগের দাবিতে কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষক সমিতির অবস্থান কর্মসূচী

ছবি

জাবিতে ইতিহাস পরিবহনের বাস দুর্ঘটনায় ক্ষতিপূরণ আদায়

ছবি

বঙ্গবন্ধু মেডিকেল ভার্সিটির নতুন প্রো-ভিসিকে ফুলেল শুভেচ্ছা জানালো কর্মকর্তারা

ছবি

গাড়িসহ কুবি কোষাধ্যক্ষকে অবরুদ্ধ, শিক্ষকদের মধ্যে বাকবিতন্ডা

ছবি

গুচ্ছ ভর্তি, জবি কেন্দ্রে সাংবাদিক প্রবেশ ‘সংরক্ষিত’

জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে অধ্যাপকের গবেষণা জালিয়াতির অভিযোগে তদন্ত কমিটি গঠিত

ছবি

অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ চুয়েট, শিক্ষার্থীদের হল ছাড়ার নির্দেশ

ছবি

তীব্র গরমে অনির্দিষ্টকালের জন্য অনলাইন ক্লাসে জবি

ছবি

ঢাবিতে ‘গেস্টরুমে’ ছাত্রলীগের ‘আদব-কায়দা’, অচেতন শিক্ষার্থী, তদন্তে কমিটি

জাবির সিনেট-সিন্ডিকেট নির্বাচনে বঙ্গবন্ধু শিক্ষক পরিষদের নিরঙ্কুশ জয়

আট বছর পর জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন অনুষদের ডিন নির্বাচন

ছবি

জাবি উপাচার্যের সঙ্গে ইন্ডিয়া মাইক্রোবায়োলজিস্ট সোসাইটির প্রেসিডেন্টের সৌজন্য সাক্ষাৎ

তীব্র গরমে ঢাবির শতভাগ ক্লাস অনলাইনে

ছবি

জবিতে চলতি সপ্তাহ অনলাইন ক্লাসের সিদ্ধান্ত

ছবি

তীব্র গরমে অনলাইন ক্লাস চায় জবি শিক্ষার্থীরা

ছবি

বুয়েট শিক্ষার্থীরা ছাত্ররাজনীতির বিরুদ্ধে অনড়

‘তোকে সিটে উঠতে না দিলে প্রক্টর-প্রাধ্যক্ষ আসবে’- আবাসিক ছাত্রকে ছাত্রলীগ নেতার হুমকি

ছবি

‘যৌন কেলেংকারিতে’ অভিযুক্ত শিক্ষককে রেজিস্ট্রার নিয়োগ, শিক্ষক সমিতির পাল্টাপাল্টি বিবৃতি

ছবি

জাবিতে বাংলা বর্ষবরণ ও মঙ্গল শোভাযাত্রা অনুষ্ঠিত

ছবি

জবিতে বৈশাখ রাঙায় চারুকলার শিক্ষার্থীদের শৈল্পিক কাজ, বাজেট বৃদ্ধির দাবি

ছবি

ইমতিয়াজ রাব্বিকে হলে সিট ফেরত দেওয়ার নির্দেশ

মতিঝিল আইডিয়ালে গভর্নিং বডির সিদ্ধান্ত ছাড়াই ফি ধার্য, অভিভাবকদের ‘অসন্তোষ’

ছবি

ডিমেনশিয়া রোগ নির্ণয়ে জাবি-এনটিইউর যৌথ কর্মশালা অনুষ্ঠিত

ছবি

রিকশাচিত্রে জবিতে বৈশাখের প্রস্তুতি, উদযাপন হবে ১৮ এপ্রিল

ছবি

মাস্টারপ্ল্যান প্রণয়নের দাবি জাবি সাংস্কৃতিক জোটের

ছবি

জবি উপাচার্যের নামে ভুয়া ই-মেইল, সতর্ক করলো প্রশাসন

ছবি

জাবিতে মুক্তিযোদ্ধা কোটার সাক্ষাৎকারের বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ

যৌন হয়রানির দায়ে জবির এক শিক্ষকে সাময়িক বরখাস্ত, আরেকজনকে আবারও কারণ দর্শানোর নোটিশ

জাবিতে কর্মকর্তার বিরুদ্ধে কর্মচারীর স্ত্রীর সাথে অশালীন আচরণের অভিযোগ

ছবি

এবার রাজনীতিমুক্ত রাখতে প্রধানমন্ত্রীর কাছে বুয়েট শিক্ষার্থীদের আর্জি

ছবি

জাবিতে শিক্ষকের বিরুদ্ধে যৌন হয়রানির অভিযোগ করায় মানহানির মামলা দায়ের

tab

ক্যাম্পাস

বুয়েটে প্রগতিশীল রাজনীতির চর্চায় প্রধানমন্ত্রীর কাছে আরজি জানালেন ৬ শিক্ষার্থী

নিজস্ব বার্তা পরিবেশক

বৃহস্পতিবার, ০৪ এপ্রিল ২০২৪

নিরাপদে ও সৎসাহসের সঙ্গে প্রগতিশীল রাজনীতির চর্চা করতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কাছে আরজি জানিয়েন বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) ছাত্রলীগ-সমমনা ছয়জন ছাত্র।

আজ বৃহস্পতিবার বেলা সাড়ে তিনটার দিকে বুয়েটের শহীদ মিনারে ছয় শিক্ষার্থী সংবাদ সম্মেলন করে লিখিত আবেদন পড়ে শোনান। তাঁরা হলেন আশিকুল আলম, অর্ঘ্য দাস, অরিত্র ঘোষ, তানভীর মাহমুদ, সাগর বিশ্বাস ও মিশু দত্ত। বুয়েটের বিভিন্ন বিভাগে অধ্যয়নরত এই শিক্ষার্থীরা ছাত্রলীগের সমর্থক বলে পরিচিত।

লিখিত বক্তব্য আশিকুল আলম ও অরিত্র ঘোষ পড়ে শোনান। এতে বলা হয়, জীবনের হুমকিসহ নানা জটিলতার মধ্য দিয়ে আমাদের যেতে হচ্ছে। ছাত্রশিবির পরিচালিত বাঁশেরকেল্লার পক্ষ থেকে আমাদের ব্যক্তিগত তথ্য চাওয়া হচ্ছে। আমাদের শিক্ষার্থীদের নাম, মুঠোফোন নম্বর, শিক্ষার্থী নম্বর থেকে শুরু করে ব্যক্তিগত তথ্য ছড়িয়ে দেওয়া হচ্ছে মেসেজিং অ্যাপগুলো ব্যবহার করে। আমরা ২১ জন এ ধরনের হুমকির সম্মুখীন। এর প্রমাণ এরই মধ্যে আমরা বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের কাছে জমা দিয়েছি।

আরও বলা হয়, হে দেশরত্ন, বঙ্গবন্ধু তনয়া, আমাদের সাহায্য করুন। আমরা সব মতের সাধারণ বুয়েট শিক্ষার্থীরা সবাই মিলে স্বাভাবিক ও নিরাপদ ক্যাম্পাস চাই। আমরা মতপ্রকাশের স্বাধীনতা চাই। আমরা চাই না আমাদের ক্যাম্পাস জঙ্গি তৈরির কারখানা হোক।’হিযবুত তাহরীর বা শিবিরের সন্ত্রাসী আক্রমণ থেকে বুয়েটের মুক্তিযুদ্ধের পক্ষের শক্তি কতটা নিরাপদ, সে প্রশ্ন তুলে বলা হয়, ‘রাষ্ট্রযন্ত্র মেধাবীদের এই ক্যাম্পাসকে কতটা নজরদারিতে রেখেছে বা এর সুরক্ষা নিশ্চিত করছে, তা আমরা জানি না। যেকোনো বড় ধরনের নাশকতার ঘটনার আশঙ্কা উড়িয়ে দিলে হোলি আর্টিজানের মতো কোনো ঘটনার পুনরাবৃত্তি হতে পারে বলে আশঙ্কা করছি।’

আরও বলা হয়, মাননীয় প্রধানমন্ত্রী, আপনার সিদ্ধান্তের প্রতি সম্মান প্রদর্শন করে আমরা আমাদের আকুল আরজি রাখলাম। আমাদের নিরাপদ ও স্বাধীন মতামত প্রকাশের ক্যাম্পাস উপহার দিন। দেশ ও দশের প্রতি ভালোবাসা রেখে সবার কল্যাণকে মাথায় রেখে আমরা ক্যাম্পাসে স্বাভাবিক পরিস্থিতি চাই এবং জীবনের নিরাপত্তা চাই। আমরা বুয়েট ক্যাম্পাসে নিরাপদে ও সৎসাহসের সঙ্গে প্রগতিশীল রাজনীতির চর্চা করতে চাই।

লিখিত বক্তব্যে প্রধানমন্ত্রীর উদ্দেশে শিক্ষার্থীরা বলেন, মাননীয় প্রধানমন্ত্রী, বুয়েট ক্যাম্পাসে ছাত্ররাজনীতিকে একপ্রকার নিষিদ্ধ কাজ হিসেবে দেখা হচ্ছে। আমরা প্রগতিশীল রাজনৈতিক চিন্তা-ধারণায় বিশ্বাসী এবং স্মার্ট বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠায় আমরাও অংশ নিতে চাই বলে আমাদের ক্যাম্পাসে দীর্ঘ একটি সময় ধরে মানসিক নিপীড়ন চলে আসছে, যা বর্তমানে আমাদের জীবনের হুমকিতে রূপ নিয়েছে।

আরও বলা হয়, আমরা বাংলাদেশের স্বাধীনতার চেতনায় বিশ্বাসী, মাননীয় প্রধানমন্ত্রী আপনাকে আমরা বলতে চাই, শুধু স্বাধীন মতপ্রকাশের জন্য যে পরিমাণ বুলিং করা হয়েছে আমাদের ওপর, তা অকথ্য। বুয়েটের শিক্ষার্থী আবরার ফাহাদ ভাইয়ের নির্মম হত্যাকাণ্ডের পর বুয়েটে ছাত্ররাজনীতি নিষিদ্ধ হয়। কিন্তু এরপর র‍্যাগিং বা এর সঙ্গে জড়িত কোনো বিশ্ববিদ্যালয় আইন ভঙ্গের অভিযোগ না থাকলেও সংখ্যালঘু ছাত্রদের ওপর শুরু হয় প্রকাশ্যে অপমান করা ও অপবাদ দেওয়া। এটি হয় শুধু স্বাধীনতা ও মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় বিশ্বাসী হওয়ার কারণে। পরে আমরা বুয়েটে ভর্তি হলে আমরাও জাতির জনকের আদর্শকে লালন করতে চাইলেই আমাদের সঙ্গে বুলিং ও নানাভাবে আমাদের হয়রানি করা হয়।

লিখিত বক্তব্যে বলা হয়, গত ২৭ মার্চ দিবাগত রাতে ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় সভাপতি সাদ্দাম হোসেন বুয়েট প্রাঙ্গণে রাতে উপস্থিত হলে তাঁর সঙ্গে বুয়েটে অধ্যয়নরত কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের সদস্য ইমতিয়াজ হোসেনের সৌজন্য বিনিময়ের কারণকে অভিযোগ হিসেবে তুলে ধরে পরীক্ষা বর্জনের মতো কর্মসূচি ঘোষণা করা হয়। ইমতিয়াজের হল বহিষ্কার দাবি করা হলে কোনো ধরনের তদন্ত ছাড়াই উপাচার্য কর্তৃক তা গৃহীত হয়। পরে তাঁকে বুয়েট থেকে স্থায়ী বহিষ্কারের দাবিও জানানো হয়, যা আসলে একজন শিক্ষার্থীর একাডেমিক ক্যারিয়ার ধ্বংসের শামিল। এই আন্দোলন ক্যাম্পাসে শান্তির পরিবেশ নষ্ট করে, যা পরীক্ষা বয়কটের মতো বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করে।

লিখিত বক্তব্যে বলা হয়, এসব ঘটনায় সব সময়ই হোতা কিছু নির্দিষ্ট মানুষ, যাদের সঙ্গে গত বছরের জুলাইয়ে শিবির সন্দেহে আটক ব্যক্তিদের সম্পৃক্ততা ও মৌলবাদী চিন্তা পালনের দৃষ্টান্ত মেলে। অনেক ক্ষেত্রে সাম্প্রদায়িক মতামত প্রতিষ্ঠার জোরও চালানো হয় তাদের দ্বারা। কিন্তু এই অন্ধকার রাজনীতি আড়াল হয় আবরার ফাহাদ ভাইকে হারানোর বেদনায় সাধারণ শিক্ষার্থীদের আবেগকে ব্যবহার করে। সম্প্রতি বুয়েটের ইসিই ভবনের লিফটে হিযবুত তাহরীর পোস্টারে কিউআর কোডের মাধ্যমে ‘খিলাফত প্রতিষ্ঠার’ আহ্বান করা হয়, যা শিক্ষার্থীদের ব্যক্তিগত প্রাতিষ্ঠানিক মেইলেও পাঠানো হয়।

back to top