চৈত্র শেষে বৈশাখ আসার সাথে সাথে দেশে শুরু হয়েছে তীব্র তাপদাহ। এতে তীব্র গরমে অতিষ্ঠ হয়ে পড়েছে জনজীবন। এসময়ে অনলাইন ক্লাসের দাবি জানিয়েছে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের (জবি) শিক্ষার্থীরা।
পর্যাপ্ত আবাসন সুবিধা না থাকায় পুরান ঢাকা ঘিঞ্জি এলাকায় তীব্র যানজটে বাসে যাতায়াত করতে হয় শিক্ষার্থীদের। ছোট আয়তনের ক্যাম্পাসে এতো মানুষের চলাচল, বাড়তি গরমে অতিষ্ঠ শিক্ষার্থীরা।
তবে শিক্ষার্থীরা বলছেন, ক্লাস পরীক্ষা একেবারে বন্ধ না করে, অনলাইন ক্লাস চালু রাখা হোক। পাশাপাশি পরীক্ষা নেওয়া যেতে পারে। নাহলে নতুন করে সেশনজট হবে। ইতিমধ্যে করোনার কারণে বেয় কিছু বিভাগে ৩ মাস থেকে ৬ মাসের সেশনজট রয়েছে।
জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাজকর্ম বিভাগের ২০২২-২৩ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী ইউনুস হাসান বলেন, এই তীব্র গরমে বাসে যাতায়াত করে নিয়মিত ক্লাসে আসা প্রায় অসম্ভব হয়ে পড়ছে। যানজট ও অসহ্য গরমে প্রাণ যায় যায় অবস্থা। অনলাইন ক্লাসের ব্যবস্থা করলে আমাদের জন্য ভালো হয়।
একই শিক্ষাবর্ষের লোক প্রশাসন বিভাগের আরেক শিক্ষার্থী শিহাব উদ্দিন বলেন, প্রতিদিন তীব্র গরমে বাসা থেকে জ্যাম ঠেলে ক্যাম্পাসে এসে ক্লাস করা কষ্টকর হয়ে যাচ্ছে। এই তীব্র দাবদাহে অনলাইন ক্লাস চালু করার দাবি জানাচ্ছি। তবে পরীক্ষা চালু রাখা যেতে পারে। নইলে সেশনজট হয়ে যাবে। করোনার কারণে এমিনতেই এক বছরের একটা জট আছে।
বিশ্ববিদ্যালয়ের বাসে যাতায়াতকারী একজন শিক্ষার্থী আশরাফ হোসেন বলেন, আসহ্য গরমে বাসে ধাক্কা- ধাক্কি করে ক্যাম্পাসে যাওয়া-আসা কষ্টকর হয়ে যাচ্ছে। একদিকে গরম আর অন্যদিকে তীব্র যানজট।
পুরান ঢাকায় মেসে থাকা শিক্ষার্থী আব্দুর রহমান বলেন, এর আগে কখনো এরকম গরম পড়তে দেখিনি। তীব্র গরমে বাসা থেকেই বের হওয়া যাচ্ছে না।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার অধ্যাপক ড. মো. আইনুল ইসলাম বলেন, আগামীকাল বেলা ১১টায় এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য ও সকল অনুষদের ডিনদের সাথে মিটিং রয়েছে। মিটিং এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেয়ার কথা জানান।
উপাচার্য অধ্যাপক ড. সাদেকা হালিম বলেন, তীব্র তাপপ্রবাহের কারণে দেশের সকল স্কুল-কলেজ বন্ধের ঘোষণাটা দেখলাম। তবে আমরা চাইলেই দ্রুত একটি সিদ্ধান্ত তো নিতে পারি না। খোঁজ নিয়ে দেখলাম, অনলাইনে ক্লাস নেয়া সম্ভব হলেও কিছু পরীক্ষা আছে। তাই সেসব বিষয় মাথায় রেখে সিদ্ধান্তটা নিতে হবে। আগামীকাল ১১টায় ক্লাস-পরীক্ষার বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়ার জন্য একটি সভাও ডেকেছি। সভা থেকে সিদ্ধান্ত জানিয়ে দেওয়া হবে।’
উল্লেখ্য, দেশজুড়ে চলা তাপপ্রবাহের কারণে দেশের সব স্কুল-কলেজ সাতদিনের ছুটি ঘোষণা করেছে সরকার। এছাড়া,জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় অধিভুক্ত কলেজের ক্লাস বন্ধের ঘোষণা দেয়া হয়েছে।
শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪
চৈত্র শেষে বৈশাখ আসার সাথে সাথে দেশে শুরু হয়েছে তীব্র তাপদাহ। এতে তীব্র গরমে অতিষ্ঠ হয়ে পড়েছে জনজীবন। এসময়ে অনলাইন ক্লাসের দাবি জানিয়েছে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের (জবি) শিক্ষার্থীরা।
পর্যাপ্ত আবাসন সুবিধা না থাকায় পুরান ঢাকা ঘিঞ্জি এলাকায় তীব্র যানজটে বাসে যাতায়াত করতে হয় শিক্ষার্থীদের। ছোট আয়তনের ক্যাম্পাসে এতো মানুষের চলাচল, বাড়তি গরমে অতিষ্ঠ শিক্ষার্থীরা।
তবে শিক্ষার্থীরা বলছেন, ক্লাস পরীক্ষা একেবারে বন্ধ না করে, অনলাইন ক্লাস চালু রাখা হোক। পাশাপাশি পরীক্ষা নেওয়া যেতে পারে। নাহলে নতুন করে সেশনজট হবে। ইতিমধ্যে করোনার কারণে বেয় কিছু বিভাগে ৩ মাস থেকে ৬ মাসের সেশনজট রয়েছে।
জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাজকর্ম বিভাগের ২০২২-২৩ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী ইউনুস হাসান বলেন, এই তীব্র গরমে বাসে যাতায়াত করে নিয়মিত ক্লাসে আসা প্রায় অসম্ভব হয়ে পড়ছে। যানজট ও অসহ্য গরমে প্রাণ যায় যায় অবস্থা। অনলাইন ক্লাসের ব্যবস্থা করলে আমাদের জন্য ভালো হয়।
একই শিক্ষাবর্ষের লোক প্রশাসন বিভাগের আরেক শিক্ষার্থী শিহাব উদ্দিন বলেন, প্রতিদিন তীব্র গরমে বাসা থেকে জ্যাম ঠেলে ক্যাম্পাসে এসে ক্লাস করা কষ্টকর হয়ে যাচ্ছে। এই তীব্র দাবদাহে অনলাইন ক্লাস চালু করার দাবি জানাচ্ছি। তবে পরীক্ষা চালু রাখা যেতে পারে। নইলে সেশনজট হয়ে যাবে। করোনার কারণে এমিনতেই এক বছরের একটা জট আছে।
বিশ্ববিদ্যালয়ের বাসে যাতায়াতকারী একজন শিক্ষার্থী আশরাফ হোসেন বলেন, আসহ্য গরমে বাসে ধাক্কা- ধাক্কি করে ক্যাম্পাসে যাওয়া-আসা কষ্টকর হয়ে যাচ্ছে। একদিকে গরম আর অন্যদিকে তীব্র যানজট।
পুরান ঢাকায় মেসে থাকা শিক্ষার্থী আব্দুর রহমান বলেন, এর আগে কখনো এরকম গরম পড়তে দেখিনি। তীব্র গরমে বাসা থেকেই বের হওয়া যাচ্ছে না।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার অধ্যাপক ড. মো. আইনুল ইসলাম বলেন, আগামীকাল বেলা ১১টায় এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য ও সকল অনুষদের ডিনদের সাথে মিটিং রয়েছে। মিটিং এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেয়ার কথা জানান।
উপাচার্য অধ্যাপক ড. সাদেকা হালিম বলেন, তীব্র তাপপ্রবাহের কারণে দেশের সকল স্কুল-কলেজ বন্ধের ঘোষণাটা দেখলাম। তবে আমরা চাইলেই দ্রুত একটি সিদ্ধান্ত তো নিতে পারি না। খোঁজ নিয়ে দেখলাম, অনলাইনে ক্লাস নেয়া সম্ভব হলেও কিছু পরীক্ষা আছে। তাই সেসব বিষয় মাথায় রেখে সিদ্ধান্তটা নিতে হবে। আগামীকাল ১১টায় ক্লাস-পরীক্ষার বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়ার জন্য একটি সভাও ডেকেছি। সভা থেকে সিদ্ধান্ত জানিয়ে দেওয়া হবে।’
উল্লেখ্য, দেশজুড়ে চলা তাপপ্রবাহের কারণে দেশের সব স্কুল-কলেজ সাতদিনের ছুটি ঘোষণা করেছে সরকার। এছাড়া,জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় অধিভুক্ত কলেজের ক্লাস বন্ধের ঘোষণা দেয়া হয়েছে।