যৌন হয়রানি ও থিসিস জালিয়াতির ঘটনায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) তিন শিক্ষকের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। তিন শিক্ষকের মধ্যে যৌন হয়রানিতে জড়িত ছিলেন দুই শিক্ষক। যৌন হয়রানিতে জড়িত দুই শিক্ষককে সাময়িকভাবে অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে। অপর শিক্ষকের বিরুদ্ধে থিসিস জালিয়াতির অভিযোগে গঠন করা হয়েছে তদন্ত কমিটি।
মঙ্গলবার (০৭ মে) বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. এ এস এম মাকসুদ কামালের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত এক সিন্ডিকেট সভায় এসব সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। সিন্ডিকেট সভায় উপস্থিত একাধিক সদস্য সংবাদকে এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
সভায় উপস্থিত সিন্ডিকেট সদস্যরা জানান, বিশ্ববিদ্যালয়ের ফলিত গণিত বিভাগের অধ্যাপক মুহাম্মদ ফেরদৌসের বিরুদ্ধে জিন প্রকৌশল ও জীবপ্রযুক্তি বিভাগের এক ছাত্রীর যৌন হয়রানির অভিযোগের প্রাথমিক সত্যতা পেয়েছে ফ্যাক্টস ফাইন্ডিং কমিটি। একইসঙ্গে গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের অধ্যাপক নাদির জুনাইদের বিরুদ্ধে একই বিভাগের এক ছাত্রীর যৌন নিপীড়নের অভিযোগেরও সত্যতা মিলেছে।
‘অধ্যাপক নাদিরের বিরুদ্ধে বিভাগের এক নারী শিক্ষার্থী যৌন নিপীড়ন ও মানসিক নির্যাতনের অভিযোগ আনলে সেটি যাচাই করতে ফ্যাক্টস ফাইন্ডিং কমিটি করেছিল সিন্ডিকেট। ফ্যাক্টস ফাইন্ডিং কমিটি অভিযোগের প্রাথমিক সত্যতা পেয়েছে। একই সঙ্গে ফলিত গণিত বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ফেরদৌসের বিরুদ্ধে যৌন হয়রানির অভিযোগ করেছিলেন জিন প্রকৌশল ও জীবপ্রযুক্তি বিভাগের এক ছাত্রী। অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে তিন সদস্য বিশিষ্ট একটি ফ্যাক্টস ফাইন্ডিং কমিটি গঠন করেছিল, সেই অভিযোগেরও সত্যতা পেয়েছে কমিটি। উভয় অভিযোগ অধিকতর তদন্তের জন্য যৌন নিপীড়ন প্রতিরোধ সেলে পাঠানো হয়েছে। একই সঙ্গে উভয় শিক্ষককে তদন্ত শেষ না হওয়া পর্যন্ত একাডেমিক ও প্রশাসনিক কাজ থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে।’
এছাড়া এমফিলের থিসিস নকল করে পিএইচডি ডিগ্রি নেওয়ায় বিশ্ববিদ্যালয়ের ফারসি ভাষা ও সাহিত্য বিভাগের অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ বাহাউদ্দিনের বিরুদ্ধে তদন্ত কমিটি গঠন করেছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন।
সিন্ডিকেট সদস্যরা জানান, পিএইচডি থিসিসে জালিয়াতির অভিযোগ তদন্তে প্রধান করা হয়েছে বিশ্ববিদ্যালয়ের কলা অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. আবদুল বাছিরকে। এছাড়াও সদস্য হিসেবে আছেন মৃত্তিকা, পানি ও পরিবেশ বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. হারুন-অর-রশিদ এবং তথ্যবিজ্ঞান ও গ্রন্থাগার ব্যবস্থাপনা বিভাগের অধ্যাপক ড. এসএম জাবেদ আহমদ। কমিটিকে এক মাসের মধ্যে তদন্ত রিপোর্ট দিতে বলা হয়েছে।
ফলিত গণিত বিভাগের অধ্যাপক ফেরদৌসের বিরুদ্ধে জিন প্রকৌশল ও জীব প্রযুক্তি বিভাগের এক নারী শিক্ষার্থী যৌন হয়রানির অভিযোগ আনলে তথ্যানুসন্ধান কমিটি গঠন করে বিশ্ববিদ্যালয় সিন্ডিকেট। সে অভিযোগের সত্যতা পেয়েছে বিশ্ববিদ্যালয় সিন্ডিকেট।
এর আগে, অধ্যাপক ফেরদৌস জিন প্রকৌশল ও জীবপ্রযুক্তি বিভাগে খণ্ডকালীন শিক্ষক হিসেবে কাজ করার এক পর্যায়ে ওই বিভাগের এক নারী শিক্ষার্থী তার বিরুদ্ধে যৌন নিপীড়নের অভিযোগ তোলেন।পরে এ অভিযোগ সিন্ডিকেটে আসে।
ওই ছাত্রীর অভিযোগের ভিত্তিতে তিন সদস্য বিশিষ্ট একটি ফ্যাক্টস ফাইন্ডিং কমিটি গঠন করে সিন্ডিকেট। আইন অনুষদের ডিন অধ্যাপক সীমা জামানকে প্রধান করে গঠিত তিন সদস্যের এই কমিটিতে আরও ছিলেন হাজী মুহম্মদ মুহসীন হলের প্রাধ্যক্ষ অধ্যাপক মাসুদুর রহমান ও সহকারী প্রক্টর সঞ্চিতা গুহ।
বুধবার, ০৮ মে ২০২৪
যৌন হয়রানি ও থিসিস জালিয়াতির ঘটনায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) তিন শিক্ষকের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। তিন শিক্ষকের মধ্যে যৌন হয়রানিতে জড়িত ছিলেন দুই শিক্ষক। যৌন হয়রানিতে জড়িত দুই শিক্ষককে সাময়িকভাবে অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে। অপর শিক্ষকের বিরুদ্ধে থিসিস জালিয়াতির অভিযোগে গঠন করা হয়েছে তদন্ত কমিটি।
মঙ্গলবার (০৭ মে) বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. এ এস এম মাকসুদ কামালের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত এক সিন্ডিকেট সভায় এসব সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। সিন্ডিকেট সভায় উপস্থিত একাধিক সদস্য সংবাদকে এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
সভায় উপস্থিত সিন্ডিকেট সদস্যরা জানান, বিশ্ববিদ্যালয়ের ফলিত গণিত বিভাগের অধ্যাপক মুহাম্মদ ফেরদৌসের বিরুদ্ধে জিন প্রকৌশল ও জীবপ্রযুক্তি বিভাগের এক ছাত্রীর যৌন হয়রানির অভিযোগের প্রাথমিক সত্যতা পেয়েছে ফ্যাক্টস ফাইন্ডিং কমিটি। একইসঙ্গে গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের অধ্যাপক নাদির জুনাইদের বিরুদ্ধে একই বিভাগের এক ছাত্রীর যৌন নিপীড়নের অভিযোগেরও সত্যতা মিলেছে।
‘অধ্যাপক নাদিরের বিরুদ্ধে বিভাগের এক নারী শিক্ষার্থী যৌন নিপীড়ন ও মানসিক নির্যাতনের অভিযোগ আনলে সেটি যাচাই করতে ফ্যাক্টস ফাইন্ডিং কমিটি করেছিল সিন্ডিকেট। ফ্যাক্টস ফাইন্ডিং কমিটি অভিযোগের প্রাথমিক সত্যতা পেয়েছে। একই সঙ্গে ফলিত গণিত বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ফেরদৌসের বিরুদ্ধে যৌন হয়রানির অভিযোগ করেছিলেন জিন প্রকৌশল ও জীবপ্রযুক্তি বিভাগের এক ছাত্রী। অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে তিন সদস্য বিশিষ্ট একটি ফ্যাক্টস ফাইন্ডিং কমিটি গঠন করেছিল, সেই অভিযোগেরও সত্যতা পেয়েছে কমিটি। উভয় অভিযোগ অধিকতর তদন্তের জন্য যৌন নিপীড়ন প্রতিরোধ সেলে পাঠানো হয়েছে। একই সঙ্গে উভয় শিক্ষককে তদন্ত শেষ না হওয়া পর্যন্ত একাডেমিক ও প্রশাসনিক কাজ থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে।’
এছাড়া এমফিলের থিসিস নকল করে পিএইচডি ডিগ্রি নেওয়ায় বিশ্ববিদ্যালয়ের ফারসি ভাষা ও সাহিত্য বিভাগের অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ বাহাউদ্দিনের বিরুদ্ধে তদন্ত কমিটি গঠন করেছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন।
সিন্ডিকেট সদস্যরা জানান, পিএইচডি থিসিসে জালিয়াতির অভিযোগ তদন্তে প্রধান করা হয়েছে বিশ্ববিদ্যালয়ের কলা অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. আবদুল বাছিরকে। এছাড়াও সদস্য হিসেবে আছেন মৃত্তিকা, পানি ও পরিবেশ বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. হারুন-অর-রশিদ এবং তথ্যবিজ্ঞান ও গ্রন্থাগার ব্যবস্থাপনা বিভাগের অধ্যাপক ড. এসএম জাবেদ আহমদ। কমিটিকে এক মাসের মধ্যে তদন্ত রিপোর্ট দিতে বলা হয়েছে।
ফলিত গণিত বিভাগের অধ্যাপক ফেরদৌসের বিরুদ্ধে জিন প্রকৌশল ও জীব প্রযুক্তি বিভাগের এক নারী শিক্ষার্থী যৌন হয়রানির অভিযোগ আনলে তথ্যানুসন্ধান কমিটি গঠন করে বিশ্ববিদ্যালয় সিন্ডিকেট। সে অভিযোগের সত্যতা পেয়েছে বিশ্ববিদ্যালয় সিন্ডিকেট।
এর আগে, অধ্যাপক ফেরদৌস জিন প্রকৌশল ও জীবপ্রযুক্তি বিভাগে খণ্ডকালীন শিক্ষক হিসেবে কাজ করার এক পর্যায়ে ওই বিভাগের এক নারী শিক্ষার্থী তার বিরুদ্ধে যৌন নিপীড়নের অভিযোগ তোলেন।পরে এ অভিযোগ সিন্ডিকেটে আসে।
ওই ছাত্রীর অভিযোগের ভিত্তিতে তিন সদস্য বিশিষ্ট একটি ফ্যাক্টস ফাইন্ডিং কমিটি গঠন করে সিন্ডিকেট। আইন অনুষদের ডিন অধ্যাপক সীমা জামানকে প্রধান করে গঠিত তিন সদস্যের এই কমিটিতে আরও ছিলেন হাজী মুহম্মদ মুহসীন হলের প্রাধ্যক্ষ অধ্যাপক মাসুদুর রহমান ও সহকারী প্রক্টর সঞ্চিতা গুহ।