গ্রীষ্মে প্রচণ্ড উত্তাপে জনজীবন যখন অতিষ্ঠ ঠিক এ সময় কৃষ্ণচূড়ার রঙে ছেয়ে গেছে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় (জবি) ক্যাম্পাস। ক্যাম্পাসের বিজ্ঞান অনুষদ চত্বর, প্রশাসনিক ভবনের পাশে ডালপালা ছড়ানো বিশাল আকৃতির কৃষ্ণচূড়া গাছগুলো। আর এ গাছগুলো বিশ্ববিদ্যালয়ের সৌন্দর্য বাড়িয়ে দিয়েছে বহুগুণ।
কাগজে-কলমে বসন্ত ঋতুরাজ হলেও মূলত পুষ্প উৎসবের ঋতু গ্রীষ্মকালকেও বলা যায়। এ মৌসুমে গাছে গাছে বাহারি রংয়ের যে উম্মাদনা, তা অন্য ঋতুতে প্রায় অনুপস্থিত। সত্যি, গ্রীষ্মের পুষ্পবীথির রং এতই আবেদনময়ী যে চোখ ফেরানো যায় না। গ্রীষ্মের পুষ্প তালিকায় প্রথম স্থান কৃষ্ণচূডার। ফুলটির রং এতই তীব্র যে অনেক দূর থেকে চোখে পড়ে, হঠাৎ দূর থেকে মনে হবে কৃষ্ণচূড়া শোভিত নির্মল পরিবেশে মাঝে মাঝে মনে হবে কৃষ্ণচূড়া গাছে যেন আগুন লেগেছে।
এবিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের ১৩তম আর্বতনের শিক্ষার্থী আসিফুল হোসেন বলেন, ‘ক্যাম্পাসে ক্লাস করতে আসলে ও কৃষ্ণচূড়ার অগ্নিরঙ দেখলে অন্যরকম একটা অনুভূতি সৃষ্টি হয়। এখন এই ফুটন্ত কৃষ্ণচূড়া ক্যাম্পাসের শ্রী বৃদ্ধি করেছে। আমাদের ক্যাম্পাসে গ্রীষ্ম আর কৃষ্ণচূড়ার আগমন একই সঙ্গে ঘটে। তাই অবসর সময়ে এখানে এসে বন্ধুদের সঙ্গে আড্ডা দিয়ে সময় কাটাই।গ্রীষ্মের সবচেয়ে দৃষ্টিনন্দন এই কৃষ্ণচূড়া ফুলটি আমাদের দেশীয় নয়। দূর দেশের এ গাছটি ভারতীয় উপমহাদেশে এসেছে সাড়ে তিন থেকে চার শ বছর আগে।’
এবিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী তাসনিম আনিকা বলেন, ‘ক্যাম্পাসে পড়াশোনার ব্যস্ততায় শত ক্লান্তিতেও কৃষ্ণচূড়ার রঙিন সৌন্দর্যে মুহূর্তেই মন ভালো হয়ে যায়। প্রেমময় এই ঋতুতে কৃষ্ণচূড়া ফুল যেন অপরূপ এক সৌন্দর্যের প্রতিচ্ছবি। কবিতার ছন্দে বলতে হয় কৃষ্ণচূড়ার ডালগুলোতে লাল সবুজের সাজ, এমনি করে কৃষ্ণচূড়া হয়নি দেখা আগে।’
এবিষয়ে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের উদ্ভিদবিজ্ঞান বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. শাহরিয়ার আহম্মদ বলেন, ”কৃষ্ণচূড়া বৃক্ষ জাতীয় ফ্যাবেসি (Fabaceae) পরিবারের উদ্ভিদ। যার বৈজ্ঞানিক নাম ডেলোনিক্স রেজিয়া (Delonix regia)। এই গাছ চমৎকার পত্রপল্লব এবং আগুন লাল কৃষ্ণচূড়া ফুলের জন্য প্রসিদ্ধ। এর আদিনিবাস পূর্ব আফ্রিকার মাদাগাস্কার। এই গাছের উচ্চতা ১০-১২ মিটার পর্যন্ত। এর শাখা পল্লব অনেকদূর পর্যন্ত ছড়ানো থাকে। বাংলাদেশে সাধারণত এপ্রিল থেকে জুন পর্যন্ত এই ফুল ফুঁটে থাকে। টকটকে লাল ও হলদেটে লাল দুই ধরনের কৃষ্ণচূড়া আমাদের দেশে দেখা যায়। তবে টকটকে লাল ফুলের গাছই আমাদের দেশে বেশি দেখা যায়। অন্যদিকে হলদেটে লাল ফুল কে রাধাচূড়াও বলে। সত্যি গ্রীষ্মের তপ্ত রোদে এমন সুন্দর টকটকে লাল ফুলের গাছের নীচে দাঁড়ালে আমাদের মনপ্রাণ জুড়িয়ে যায়।”
বৃহস্পতিবার, ১৬ মে ২০২৪
গ্রীষ্মে প্রচণ্ড উত্তাপে জনজীবন যখন অতিষ্ঠ ঠিক এ সময় কৃষ্ণচূড়ার রঙে ছেয়ে গেছে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় (জবি) ক্যাম্পাস। ক্যাম্পাসের বিজ্ঞান অনুষদ চত্বর, প্রশাসনিক ভবনের পাশে ডালপালা ছড়ানো বিশাল আকৃতির কৃষ্ণচূড়া গাছগুলো। আর এ গাছগুলো বিশ্ববিদ্যালয়ের সৌন্দর্য বাড়িয়ে দিয়েছে বহুগুণ।
কাগজে-কলমে বসন্ত ঋতুরাজ হলেও মূলত পুষ্প উৎসবের ঋতু গ্রীষ্মকালকেও বলা যায়। এ মৌসুমে গাছে গাছে বাহারি রংয়ের যে উম্মাদনা, তা অন্য ঋতুতে প্রায় অনুপস্থিত। সত্যি, গ্রীষ্মের পুষ্পবীথির রং এতই আবেদনময়ী যে চোখ ফেরানো যায় না। গ্রীষ্মের পুষ্প তালিকায় প্রথম স্থান কৃষ্ণচূডার। ফুলটির রং এতই তীব্র যে অনেক দূর থেকে চোখে পড়ে, হঠাৎ দূর থেকে মনে হবে কৃষ্ণচূড়া শোভিত নির্মল পরিবেশে মাঝে মাঝে মনে হবে কৃষ্ণচূড়া গাছে যেন আগুন লেগেছে।
এবিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের ১৩তম আর্বতনের শিক্ষার্থী আসিফুল হোসেন বলেন, ‘ক্যাম্পাসে ক্লাস করতে আসলে ও কৃষ্ণচূড়ার অগ্নিরঙ দেখলে অন্যরকম একটা অনুভূতি সৃষ্টি হয়। এখন এই ফুটন্ত কৃষ্ণচূড়া ক্যাম্পাসের শ্রী বৃদ্ধি করেছে। আমাদের ক্যাম্পাসে গ্রীষ্ম আর কৃষ্ণচূড়ার আগমন একই সঙ্গে ঘটে। তাই অবসর সময়ে এখানে এসে বন্ধুদের সঙ্গে আড্ডা দিয়ে সময় কাটাই।গ্রীষ্মের সবচেয়ে দৃষ্টিনন্দন এই কৃষ্ণচূড়া ফুলটি আমাদের দেশীয় নয়। দূর দেশের এ গাছটি ভারতীয় উপমহাদেশে এসেছে সাড়ে তিন থেকে চার শ বছর আগে।’
এবিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী তাসনিম আনিকা বলেন, ‘ক্যাম্পাসে পড়াশোনার ব্যস্ততায় শত ক্লান্তিতেও কৃষ্ণচূড়ার রঙিন সৌন্দর্যে মুহূর্তেই মন ভালো হয়ে যায়। প্রেমময় এই ঋতুতে কৃষ্ণচূড়া ফুল যেন অপরূপ এক সৌন্দর্যের প্রতিচ্ছবি। কবিতার ছন্দে বলতে হয় কৃষ্ণচূড়ার ডালগুলোতে লাল সবুজের সাজ, এমনি করে কৃষ্ণচূড়া হয়নি দেখা আগে।’
এবিষয়ে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের উদ্ভিদবিজ্ঞান বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. শাহরিয়ার আহম্মদ বলেন, ”কৃষ্ণচূড়া বৃক্ষ জাতীয় ফ্যাবেসি (Fabaceae) পরিবারের উদ্ভিদ। যার বৈজ্ঞানিক নাম ডেলোনিক্স রেজিয়া (Delonix regia)। এই গাছ চমৎকার পত্রপল্লব এবং আগুন লাল কৃষ্ণচূড়া ফুলের জন্য প্রসিদ্ধ। এর আদিনিবাস পূর্ব আফ্রিকার মাদাগাস্কার। এই গাছের উচ্চতা ১০-১২ মিটার পর্যন্ত। এর শাখা পল্লব অনেকদূর পর্যন্ত ছড়ানো থাকে। বাংলাদেশে সাধারণত এপ্রিল থেকে জুন পর্যন্ত এই ফুল ফুঁটে থাকে। টকটকে লাল ও হলদেটে লাল দুই ধরনের কৃষ্ণচূড়া আমাদের দেশে দেখা যায়। তবে টকটকে লাল ফুলের গাছই আমাদের দেশে বেশি দেখা যায়। অন্যদিকে হলদেটে লাল ফুল কে রাধাচূড়াও বলে। সত্যি গ্রীষ্মের তপ্ত রোদে এমন সুন্দর টকটকে লাল ফুলের গাছের নীচে দাঁড়ালে আমাদের মনপ্রাণ জুড়িয়ে যায়।”