alt

ক্যাম্পাস

টিউশনের প্রলোভন দেখিয়ে কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের সঙ্গে প্রতারণা

প্রতিনিধি, কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয় : শুক্রবার, ২৪ মে ২০২৪

টিউশনের প্রলোভন দেখিয়ে কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের (কুবি) শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে টাকা হাতিয়ে নেয়ার অভিযোগ উঠেছে একটি চক্রের বিরুদ্ধে। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেইসবুকে ‘কুমিল্লা আরবান টিউশন মিডিয়া’ নামের একটি অ্যাকাউন্ট ব্যবহার করে এই প্রতারণা করে। বিভিন্ন সময় প্রায় ৩০ জন শিক্ষার্থীকে টিউশন দিবে বলে আশ্বস্ত করে কমিশনের নাম করে ৬০ হাজার টাকা হাতিয়ে নেয় চক্রটি। এই ঘটনায় বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টরিয়াল বডিকে মৌখিক ও পুলিশ প্রশাসনের কাছে লিখিত অভিযোগ জানান শিক্ষার্থীরা। তবে চক্রটি সক্রিয়ভাবে তাদের কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছে।

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, ভুয়া চক্রটি ‘কুমিল্লা আরবান টিউশনি মিডিয়া’ নামক ফেইসবুক পেজের মাধ্যমে নিজেদের কার্যক্রম চালিয়েছে যাচ্ছেন। পরিচালক নিজেকে কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন বিভাগের প্রথম ব্যাচের শিক্ষার্থী হিসেবে পরিচয় দেন। টিউশন দেয়ার পূর্বে বেতনের ২০ থেকে ৬০ শতাংশ পর্যন্ত কমিশন দাবি করেন। পরে সবকিছু ঠিকঠাক হলে গার্ডিয়ান পরিচয়ে নিজেদের একজনকে শিক্ষার্থীদের সঙ্গে কথাও বলিয়ে দেন। শিক্ষার্থী আশ্বস্ত হলে তাদের কমিশন পরিষদ করতে বলেন। চক্রটি টাকা নেয়ার জন্য ‘নগদ’ এজেন্ট নাম্বার ব্যবহার করেন। কমিশনের টাকা পেয়ে গেলে শিক্ষার্থীর সঙ্গে সব যোগাযোগ বন্ধ করে দেন। এভাবে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রায় ৩০ জন শিক্ষার্থী প্রতারণার শিকার হয়েছেন। চক্রটির হাতিয়ে নেয়া টাকার পরিমাণ ৬০ হাজার টাকা।

প্রতারণার শিকার হওয়া কুবি শিক্ষার্থী মেহেদী হাসান রিফাত বলেন, আমাকে টিউশন দিবে বলে তাকে ২ হাজার টাকা অগ্রিম কমিশন দিয়েছিলাম। টাকা দেয়ার পরে আমাকে একটা নাম্বার দিয়ে বলে এটা গার্ডিয়ানের নাম্বার। আমি ঐ নাম্বারে ফোন দিয়ে কথা বলি এবং আমাকে ২৫ এপ্রিল যেতে বলা হয়। ২৪ এপ্রিল রাতে আমি জানতে পারি ঐটা একটা ভুয়া পেইজ। পরবর্তী সময়ে আমি গার্ডিয়ানের সঙ্গে যোগাযোগ করার চেষ্টা করেও কথা বলতে পারিনি।

আরেক ভুক্তভোগী শিক্ষার্থী মিম বলেন, আমার এক জুনিয়র একই টিউশন মিডিয়ার সঙ্গে তিন হাজার টাকায় একটি টিউশনি দেয়ার কথা ঠিক হয়। কমিশন হিসাবে ১ হাজার টাকা দেয় তাদের। তবে টাকা দেয়ার পর তারা যে গার্ডিয়ানের নম্বর দেয় সেই নম্বরে আর যোগাযোগ করা সম্ভব হয় না। নম্বর বন্ধ দেখায়। ফলে তখন মিডিয়ার ব্যক্তির সঙ্গে কথা বলা হয়। তখন তিনি বলেন, ‘আমি তো আপার সঙ্গে গার্ডিয়ানের যোগাযোগ করে দিয়েছি। এখন আপনি টিউশনি না পেলে এর দায়ভার আমি নিতে পারবো না।’ এসব কথা বলেন।

এদিকে টিউশনের কথা বরে প্রতারক ঐ চক্রের অ্যাডমিনের সঙ্গে কথা হয় প্রতিবেদকের। এ সময় তিনি নিজেকে সাদমান ও কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন বিভাগের শিক্ষার্থী বলে পরিচয় দেন। তিনি অফিসে এসে কথা বলতে বলেন, তবে অফিসের কোনো ঠিকানা দিতে পারেন নি। পরে অভিযোগের বিষয়ে প্রশ্ন করা হলে তিনি অস্বীকার করেন ও অকথ্য ভাষায় কথা বলে ফোন কেটে দেন।

এক মাস আগে এ বিষয়ে থানায় অভিযোগ করলেও চক্রের কাউকে আইনের আওতায় না আসায় ক্ষোভ প্রকাশ করে শিক্ষার্থী জাহিদুল ইসলাম বলেন, গত ১৭ই এপ্রিল আমার কাছ থেকে টাকা নিয়ে টিউশন না দিলে আমি প্রক্টরকে মৌখিকভাবে জানাই। এবং প্রক্টরের নির্দেশে থানায় অভিযোগ করি। এ সময় অভিযোগের তদন্ত ভার আসে এসআই মোরশেদ আলম এর ওপর। গত এক মাসে তার কাছে তদন্তের অগ্রগতি কতদূর জানতে চাইলে বিভিন্ন অজুহাতে দিয়ে আশানুরূপ কোনো কথা বলতে পারেননি তিনি।

এ বিষয়ে প্রক্টর কাজী ওমর সিদ্দিকী (ভারপ্রাপ্ত) বলেন, আমার কাছে মৌখিক অভিযোগ জানালে আমি তাদেরকে পুলিশের কাছে পাঠিয়েছিলাম। এটা পুলিশের ব্যাপার। আমরা একা খুঁজে বের করতে পারবো না। পুলিশ খুঁজে বের করার চেষ্টা করছে। এখনও হয়তো খুঁজে পায় নাই। পেজটি যদি সক্রিয় থাকে তবে আমি আবার পুলিশকে জানাবো।

এ বিষয়ে কুমিল্লা সদর দক্ষিণ মডেল থানার এসআই মোরশেদ আলম বলেন, বিভিন্ন তথ্যের ভিত্তিতে আমরা তদন্ত করছি কিন্তু এখনও তাদেরকে খুঁজে বের করা যায়নি। যে নগদ এজেন্ট নম্বরে যোগাযোগ টাকা লেনদেন হয়েছে সেখানে যোগাযোগ করা হয়েছে, তবে এখনও তথ্য দেয়নি তারা। আমাদের কাছে ব্যক্তি শনাক্তকরণ প্রযুক্তিও যথেষ্ট নাই। সিমগুলো লিগ্যাল আইডেন্টিটি নিয়ে ব্যবহার করা হচ্ছে না। যে সিমগুলো তারা ব্যবহার করছে সেগুলো রেজিস্ট্রেশন করা একজনের নামে ব্যবহার করছে অন্যজন। তারা ভুয়া নম্বর ও এনআইডি ব্যবহার করছে। ফলে কাজটা আমাদের জন্য আরও কঠিন হয়ে যাচ্ছে।

তিনি আরও বলেন, এটা একটা বড় প্রতারণা চক্র। এমনও আছে তারা দেশের বাইরে থেকে এই প্রতারণা করছে। আমরা কত সহজে প্রতারিত হচ্ছে সেটাও গুরুত্বপূর্ণ। আমি আজকে আবার কথা বলে দেখবো। আর শিক্ষার্থীদের আরও সতর্ক হতে হবে।

ছবি

ঈদের ছুটিতে হলে অবস্থান করায় ছাত্রীদের ডেকে শাসালেন জবির হল প্রভোস্ট

ছবি

ঢাবিতে বাজেট ২০২৪-২৫: প্রত্যাশা ও প্রাপ্তি শীর্ষক সভা

ছবি

তীব্র গরমে লম্বা লাইনে ভোগান্তি শিক্ষার্থীদের

কোটা পুনবর্হালের প্রতিবাদে শিক্ষার্থী আন্দোলনে উত্তপ্ত ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়

জাবি শিক্ষার্থীকে হেনস্থা করে হলচু্্য: তদন্ত প্রতিবেদন দাখিলে গাফিলতির অভিযোগ

ছবি

কোটা পুনর্বহালের প্রতিবাদে উত্তাল ঢাবি

ছবি

প্লাস্টিক বর্জ্য ব্যবস্থাপনায় ইউনিলিভারের ‘অ্যাওয়্যার ওয়েভ’ ক্যাম্পেইন

ছবি

জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে মুক্তিযোদ্ধা কোটা পুনর্বহালের প্রতিবাদ

ছবি

নারায়ণগঞ্জ থেকে শুরু হলো ওয়াইল্ড লাইফ অলিম্পিয়াড ২০২৪ এর আঞ্চলিকপর্ব

ছবি

কোটা পুনর্বহালের প্রতিবাদে ঢাবিতে শিক্ষার্থীদের বিক্ষোভ

ছবি

ছুটিতে ইবির আবাসিক হল খোলা রাখার দাবিতে স্মারকলিপি ও প্রধান ফটক অবরোধ

ছবি

ঈদের ছুটিতে বন্ধ ক্যাম্পাসে গাছ কাটার মহাযজ্ঞ

ছবি

স্বাস্থ্যবিমার আওতায় আনা হবে শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের : জবি উপাচার্য

ছবি

জবিতে প্রজেক্ট শেষেও স্হাপনা না সরিয়ে ক্লাসরুম দখলে রাখার অভিযোগ

ছবি

নামাজ পড়ানোর অনুমতি পেল জবির ইমাম

অবৈধভাবে দখলকৃত রাস্তা উন্মুক্তকরণসহ ১১‌ দফা দাবিতে স্মারকলিপি প্রদান

ছবি

জবিতে বসবাস করা কর্মচারীদের আবাসস্থল ত্যাগের নির্দেশ

ছবি

উদ্ভাবন ছাড়া টেকসই উন্নয়ন সম্ভব নয়- ঢাবি উপাচার্য

ছবি

জবির নতুন সহকারী প্রক্টরের দায়িত্বে দেওয়ান বদরুল

ছবি

জবির মসজিদে মধ্যরাতে ঘুমন্ত নারী, ইমামকে সাময়িক অব্যাহতি ও তদন্ত কমিটি

ছবি

ঢাকায় ৮ম নগর সংলাপ মঙ্গলবার

ছবি

অবন্তিকার আত্মহত্যা: অভিযুক্ত শিক্ষক দ্বীন ইসলাম ফিরতে চান ক্লাসে

ছবি

জবিতে বিনামূল্যে রক্তের গ্রুপ নির্ণয় করছে ‘বাঁধন’

ছবি

মেয়েদের পাশাপাশি ছেলেরাও যৌন হয়রানির শিকার হচ্ছে: সাদেকা হালিম

ছবি

ক্যান্সার আক্রান্ত জবি অধ্যাপককে বাঁচাতে এগিয়ে আসুন

ছবি

১১তম পরিবেশ বিতর্ক প্রতিযোগিতায় চ্যাম্পিয়ন রাবি

ছবি

যাদের প্রিয় কিছু নেই, তাদের জীবন অন্তঃসারশূন্য: জবি উপাচার্য

পেনশন স্কিম বাতিলের দাবিতে কর্মবিরতিসহ কঠোর কর্মসূচির হুঁশিয়ারি ঢাবি শিক্ষক সমিতির

ছবি

জাবিতে স্বেচ্ছাচারিতা ও অসৌজন্যমূলক আচরণের প্রতিবাদে প্রভোস্ট কক্ষে তালা

৩.৬৫ পেয়ে তৃতীয় হলেন জবির সেই অবন্তিকা

ছবি

বশেমুরকৃবিতে কৃষিতে রিমোট সেন্সিং ও জিআইএস এর ব্যবহার বিষয়ক প্রশিক্ষণ অনুষ্ঠিত

ছবি

বারিতে ক্যানসার কোষ কালচার বিষয়ে সেমিনার অনুষ্ঠিত

ছবি

গাজীপুরে ডুয়েট শিক্ষকদের মৌন মিছিল, প্রতিবাদ সভা

ছবি

বশেমুরকৃবি ভেটেরিনারি টিচিং হসপিটালে ইয়ং ডক্টরস লার্নিং প্রোগ্রাম অনুষ্ঠিত

ছবি

কৃষ্ণচূড়ার আগুন রঙ্গে সেজেছে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাস

ছবি

বিএআরআই বিজ্ঞানীদের নতুন প্রযুক্তি বিষয়ক প্রশিক্ষণ অনুষ্ঠিত

tab

ক্যাম্পাস

টিউশনের প্রলোভন দেখিয়ে কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের সঙ্গে প্রতারণা

প্রতিনিধি, কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়

শুক্রবার, ২৪ মে ২০২৪

টিউশনের প্রলোভন দেখিয়ে কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের (কুবি) শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে টাকা হাতিয়ে নেয়ার অভিযোগ উঠেছে একটি চক্রের বিরুদ্ধে। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেইসবুকে ‘কুমিল্লা আরবান টিউশন মিডিয়া’ নামের একটি অ্যাকাউন্ট ব্যবহার করে এই প্রতারণা করে। বিভিন্ন সময় প্রায় ৩০ জন শিক্ষার্থীকে টিউশন দিবে বলে আশ্বস্ত করে কমিশনের নাম করে ৬০ হাজার টাকা হাতিয়ে নেয় চক্রটি। এই ঘটনায় বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টরিয়াল বডিকে মৌখিক ও পুলিশ প্রশাসনের কাছে লিখিত অভিযোগ জানান শিক্ষার্থীরা। তবে চক্রটি সক্রিয়ভাবে তাদের কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছে।

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, ভুয়া চক্রটি ‘কুমিল্লা আরবান টিউশনি মিডিয়া’ নামক ফেইসবুক পেজের মাধ্যমে নিজেদের কার্যক্রম চালিয়েছে যাচ্ছেন। পরিচালক নিজেকে কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন বিভাগের প্রথম ব্যাচের শিক্ষার্থী হিসেবে পরিচয় দেন। টিউশন দেয়ার পূর্বে বেতনের ২০ থেকে ৬০ শতাংশ পর্যন্ত কমিশন দাবি করেন। পরে সবকিছু ঠিকঠাক হলে গার্ডিয়ান পরিচয়ে নিজেদের একজনকে শিক্ষার্থীদের সঙ্গে কথাও বলিয়ে দেন। শিক্ষার্থী আশ্বস্ত হলে তাদের কমিশন পরিষদ করতে বলেন। চক্রটি টাকা নেয়ার জন্য ‘নগদ’ এজেন্ট নাম্বার ব্যবহার করেন। কমিশনের টাকা পেয়ে গেলে শিক্ষার্থীর সঙ্গে সব যোগাযোগ বন্ধ করে দেন। এভাবে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রায় ৩০ জন শিক্ষার্থী প্রতারণার শিকার হয়েছেন। চক্রটির হাতিয়ে নেয়া টাকার পরিমাণ ৬০ হাজার টাকা।

প্রতারণার শিকার হওয়া কুবি শিক্ষার্থী মেহেদী হাসান রিফাত বলেন, আমাকে টিউশন দিবে বলে তাকে ২ হাজার টাকা অগ্রিম কমিশন দিয়েছিলাম। টাকা দেয়ার পরে আমাকে একটা নাম্বার দিয়ে বলে এটা গার্ডিয়ানের নাম্বার। আমি ঐ নাম্বারে ফোন দিয়ে কথা বলি এবং আমাকে ২৫ এপ্রিল যেতে বলা হয়। ২৪ এপ্রিল রাতে আমি জানতে পারি ঐটা একটা ভুয়া পেইজ। পরবর্তী সময়ে আমি গার্ডিয়ানের সঙ্গে যোগাযোগ করার চেষ্টা করেও কথা বলতে পারিনি।

আরেক ভুক্তভোগী শিক্ষার্থী মিম বলেন, আমার এক জুনিয়র একই টিউশন মিডিয়ার সঙ্গে তিন হাজার টাকায় একটি টিউশনি দেয়ার কথা ঠিক হয়। কমিশন হিসাবে ১ হাজার টাকা দেয় তাদের। তবে টাকা দেয়ার পর তারা যে গার্ডিয়ানের নম্বর দেয় সেই নম্বরে আর যোগাযোগ করা সম্ভব হয় না। নম্বর বন্ধ দেখায়। ফলে তখন মিডিয়ার ব্যক্তির সঙ্গে কথা বলা হয়। তখন তিনি বলেন, ‘আমি তো আপার সঙ্গে গার্ডিয়ানের যোগাযোগ করে দিয়েছি। এখন আপনি টিউশনি না পেলে এর দায়ভার আমি নিতে পারবো না।’ এসব কথা বলেন।

এদিকে টিউশনের কথা বরে প্রতারক ঐ চক্রের অ্যাডমিনের সঙ্গে কথা হয় প্রতিবেদকের। এ সময় তিনি নিজেকে সাদমান ও কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন বিভাগের শিক্ষার্থী বলে পরিচয় দেন। তিনি অফিসে এসে কথা বলতে বলেন, তবে অফিসের কোনো ঠিকানা দিতে পারেন নি। পরে অভিযোগের বিষয়ে প্রশ্ন করা হলে তিনি অস্বীকার করেন ও অকথ্য ভাষায় কথা বলে ফোন কেটে দেন।

এক মাস আগে এ বিষয়ে থানায় অভিযোগ করলেও চক্রের কাউকে আইনের আওতায় না আসায় ক্ষোভ প্রকাশ করে শিক্ষার্থী জাহিদুল ইসলাম বলেন, গত ১৭ই এপ্রিল আমার কাছ থেকে টাকা নিয়ে টিউশন না দিলে আমি প্রক্টরকে মৌখিকভাবে জানাই। এবং প্রক্টরের নির্দেশে থানায় অভিযোগ করি। এ সময় অভিযোগের তদন্ত ভার আসে এসআই মোরশেদ আলম এর ওপর। গত এক মাসে তার কাছে তদন্তের অগ্রগতি কতদূর জানতে চাইলে বিভিন্ন অজুহাতে দিয়ে আশানুরূপ কোনো কথা বলতে পারেননি তিনি।

এ বিষয়ে প্রক্টর কাজী ওমর সিদ্দিকী (ভারপ্রাপ্ত) বলেন, আমার কাছে মৌখিক অভিযোগ জানালে আমি তাদেরকে পুলিশের কাছে পাঠিয়েছিলাম। এটা পুলিশের ব্যাপার। আমরা একা খুঁজে বের করতে পারবো না। পুলিশ খুঁজে বের করার চেষ্টা করছে। এখনও হয়তো খুঁজে পায় নাই। পেজটি যদি সক্রিয় থাকে তবে আমি আবার পুলিশকে জানাবো।

এ বিষয়ে কুমিল্লা সদর দক্ষিণ মডেল থানার এসআই মোরশেদ আলম বলেন, বিভিন্ন তথ্যের ভিত্তিতে আমরা তদন্ত করছি কিন্তু এখনও তাদেরকে খুঁজে বের করা যায়নি। যে নগদ এজেন্ট নম্বরে যোগাযোগ টাকা লেনদেন হয়েছে সেখানে যোগাযোগ করা হয়েছে, তবে এখনও তথ্য দেয়নি তারা। আমাদের কাছে ব্যক্তি শনাক্তকরণ প্রযুক্তিও যথেষ্ট নাই। সিমগুলো লিগ্যাল আইডেন্টিটি নিয়ে ব্যবহার করা হচ্ছে না। যে সিমগুলো তারা ব্যবহার করছে সেগুলো রেজিস্ট্রেশন করা একজনের নামে ব্যবহার করছে অন্যজন। তারা ভুয়া নম্বর ও এনআইডি ব্যবহার করছে। ফলে কাজটা আমাদের জন্য আরও কঠিন হয়ে যাচ্ছে।

তিনি আরও বলেন, এটা একটা বড় প্রতারণা চক্র। এমনও আছে তারা দেশের বাইরে থেকে এই প্রতারণা করছে। আমরা কত সহজে প্রতারিত হচ্ছে সেটাও গুরুত্বপূর্ণ। আমি আজকে আবার কথা বলে দেখবো। আর শিক্ষার্থীদের আরও সতর্ক হতে হবে।

back to top