তদন্ত রিপোর্টের পর দ্বীন ইসলামের বিষয়ে সিদ্ধান্ত
জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের (জবি) শিক্ষার্থী ফাইরুজ সাদাফ অবন্তিকা আত্মহত্যার ঘটনায় গ্রেপ্তার হয়েছিলেন শিক্ষক দ্বীন ইসলাম। শিক্ষার্থীদের আন্দোলনের মুখে দ্বীন ইসলামকে সাময়িক অব্যাহতি দেয় বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। পরে তিনি উচ্চ আদালতের নির্দেশে জামিনে মুক্তি পেয়েছেন। এখন তিনি বিস্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকতায় ফিরতে চান।
বিশ্ববিদ্যালয়ের ব্যবস্থাপনা বিভাগের সহকারী অধ্যাপক ও সাবেক এই সহকারী প্রক্টর বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের কাছে আবেদনও করেছেন। বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন থেকে বলা হয়েছে জামিন পাওয়া মানে তাকে নির্দোষ বলা যাচ্ছে না। প্রশাসন অপেক্ষা করছে একটি তদন্ত রিপোর্টের, তারপর নেবে সিদ্ধান্ত।
আত্মহত্যার প্ররোচনার অভিযোগে সহকারী প্রক্টর দ্বীন ইসলাম ও সহপাঠী রায়হান সিদ্দিকী আম্মানকে গত ১৭ মার্চ গ্রেপ্তার করেছিলো পুলিশ। দ্বীন ইসলামকে তখন সাময়িক অব্যাহতি দেয় প্রশাসন। গত ৮মে শিক্ষক দ্বীন ইসলামকে উচ্চ আদালতের নির্দেশে কুমিল্লা কারাগার থেকে জামিনে মুক্তি দেয়া হয়। বর্তমানে এ শিক্ষক ঢাকায় অবস্থান করছেন।
দ্বীন ইসলাম সংবাদকে বলেন, ‘আমি খুব তাড়াতাড়ি ক্লাসে ফিরতে চাই। জামিন পাওয়ার পর গত ১২ মে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনকে জানিয়েছি এবং ১৪ মে একটি আবেদনও করেছি যে আমি কোর্স নিতে ইচ্ছুক। তবে বিশ্ববিদ্যালয় চাচ্ছে যেকোনো একটি তদন্ত কমিটি রিপোর্ট দিক। আর সে রিপোর্টে আমি নির্দোষ প্রমাণিত হলে ক্লাসে ফেরার অনুমতি পাবো।’
ব্যবস্হাপনা বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক মো. মিজানুর রহমান সংবাদকে বলেন, ‘দ্বীন ইসলামকে পুনরায় শিক্ষকতায় ফিরিয়ে আনার সিদ্ধান্ত নিবে প্রশাসন। প্রশাসন অব্যাহতি উঠিয়ে নিলে সে (দ্বীন ইসলাম) আবার ক্লাস নিতে পারবে।’
অবন্তিকার আত্মহত্যার ঘটনায় বিশ্ববিদ্যালয়ের তদন্ত কমিটির সদস্য ও আইন অনুষদের ডিন এবং চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. মাসুম বিল্লাহ সংবাদকে বলেন, ‘জামিন পাওয়া মানে এখনই তাকে (দ্বীন ইসলাম) নির্দোষ বলা যাচ্ছে না। জামিন পাওয়া একটি স্বাভাবিক প্রক্রিয়া। কোনো একটি তদন্ত কমিটি রিপোর্ট দেয়ার পর বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন তখন হয়তো সিদ্ধান্ত নিতে পারবে। তাই দ্বীন ইসলামকে শিক্ষকতায় ফিরতে আরও অপেক্ষা করতে হবে।’
বিশ্ববিদ্যালয়ের তদন্ত রিপোর্টের বিষয়ে অধ্যাপক মাসুম বিল্লাহ বলেন, ‘আমরা প্রায় ৫০ জনের সঙ্গে কথা বলেছি, তাদের স্টেটমেন্ট নিয়েছি। সেসব পর্যালোচনা করে রিপোর্ট তৈরি করছি। আমরা আশাবাদী খুব শীঘ্রই তদন্ত রিপোর্ট জমা দিতে পারবো।’
বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার (ভারপ্রাপ্ত) অধ্যাপক ড. আইনুল ইসলাম সংবাদকে বলেন, ‘আমরা আমাদের আইনজ্ঞদের সঙ্গে আলাপ করে সিদ্ধান্ত নিব।’
বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. সাদেকা হালিম বলেন, ‘সে যদি আবেদন করে থাকে, ওই আবেদনটি এখনও আমার হাতে আসেনি। আবেদনটি আমি আগে পড়ি তারপর বিষয়টি দেখবো। এর আগে কোনো মন্তব্য করতে চাচ্ছি না।’
সোমবার, ২৭ মে ২০২৪
তদন্ত রিপোর্টের পর দ্বীন ইসলামের বিষয়ে সিদ্ধান্ত
জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের (জবি) শিক্ষার্থী ফাইরুজ সাদাফ অবন্তিকা আত্মহত্যার ঘটনায় গ্রেপ্তার হয়েছিলেন শিক্ষক দ্বীন ইসলাম। শিক্ষার্থীদের আন্দোলনের মুখে দ্বীন ইসলামকে সাময়িক অব্যাহতি দেয় বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। পরে তিনি উচ্চ আদালতের নির্দেশে জামিনে মুক্তি পেয়েছেন। এখন তিনি বিস্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকতায় ফিরতে চান।
বিশ্ববিদ্যালয়ের ব্যবস্থাপনা বিভাগের সহকারী অধ্যাপক ও সাবেক এই সহকারী প্রক্টর বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের কাছে আবেদনও করেছেন। বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন থেকে বলা হয়েছে জামিন পাওয়া মানে তাকে নির্দোষ বলা যাচ্ছে না। প্রশাসন অপেক্ষা করছে একটি তদন্ত রিপোর্টের, তারপর নেবে সিদ্ধান্ত।
আত্মহত্যার প্ররোচনার অভিযোগে সহকারী প্রক্টর দ্বীন ইসলাম ও সহপাঠী রায়হান সিদ্দিকী আম্মানকে গত ১৭ মার্চ গ্রেপ্তার করেছিলো পুলিশ। দ্বীন ইসলামকে তখন সাময়িক অব্যাহতি দেয় প্রশাসন। গত ৮মে শিক্ষক দ্বীন ইসলামকে উচ্চ আদালতের নির্দেশে কুমিল্লা কারাগার থেকে জামিনে মুক্তি দেয়া হয়। বর্তমানে এ শিক্ষক ঢাকায় অবস্থান করছেন।
দ্বীন ইসলাম সংবাদকে বলেন, ‘আমি খুব তাড়াতাড়ি ক্লাসে ফিরতে চাই। জামিন পাওয়ার পর গত ১২ মে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনকে জানিয়েছি এবং ১৪ মে একটি আবেদনও করেছি যে আমি কোর্স নিতে ইচ্ছুক। তবে বিশ্ববিদ্যালয় চাচ্ছে যেকোনো একটি তদন্ত কমিটি রিপোর্ট দিক। আর সে রিপোর্টে আমি নির্দোষ প্রমাণিত হলে ক্লাসে ফেরার অনুমতি পাবো।’
ব্যবস্হাপনা বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক মো. মিজানুর রহমান সংবাদকে বলেন, ‘দ্বীন ইসলামকে পুনরায় শিক্ষকতায় ফিরিয়ে আনার সিদ্ধান্ত নিবে প্রশাসন। প্রশাসন অব্যাহতি উঠিয়ে নিলে সে (দ্বীন ইসলাম) আবার ক্লাস নিতে পারবে।’
অবন্তিকার আত্মহত্যার ঘটনায় বিশ্ববিদ্যালয়ের তদন্ত কমিটির সদস্য ও আইন অনুষদের ডিন এবং চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. মাসুম বিল্লাহ সংবাদকে বলেন, ‘জামিন পাওয়া মানে এখনই তাকে (দ্বীন ইসলাম) নির্দোষ বলা যাচ্ছে না। জামিন পাওয়া একটি স্বাভাবিক প্রক্রিয়া। কোনো একটি তদন্ত কমিটি রিপোর্ট দেয়ার পর বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন তখন হয়তো সিদ্ধান্ত নিতে পারবে। তাই দ্বীন ইসলামকে শিক্ষকতায় ফিরতে আরও অপেক্ষা করতে হবে।’
বিশ্ববিদ্যালয়ের তদন্ত রিপোর্টের বিষয়ে অধ্যাপক মাসুম বিল্লাহ বলেন, ‘আমরা প্রায় ৫০ জনের সঙ্গে কথা বলেছি, তাদের স্টেটমেন্ট নিয়েছি। সেসব পর্যালোচনা করে রিপোর্ট তৈরি করছি। আমরা আশাবাদী খুব শীঘ্রই তদন্ত রিপোর্ট জমা দিতে পারবো।’
বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার (ভারপ্রাপ্ত) অধ্যাপক ড. আইনুল ইসলাম সংবাদকে বলেন, ‘আমরা আমাদের আইনজ্ঞদের সঙ্গে আলাপ করে সিদ্ধান্ত নিব।’
বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. সাদেকা হালিম বলেন, ‘সে যদি আবেদন করে থাকে, ওই আবেদনটি এখনও আমার হাতে আসেনি। আবেদনটি আমি আগে পড়ি তারপর বিষয়টি দেখবো। এর আগে কোনো মন্তব্য করতে চাচ্ছি না।’