সরকারি চাকরিতে মুক্তিযোদ্ধা কোটা ব্যবস্থা পুনর্বহালের রায় প্রত্যাখ্যান করে বিক্ষোভ মিছিল ও ঢাকা-আরিচা মহাসড়ক অবরোধ করেছে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা।
বৃহস্পতিবার বেলা ১১টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের গ্রন্থাগারের সামনে থেকে একটি মিছিল বের করেন তারা। মিছিলটি বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন সড়ক ঘুরে প্রধান ফটকে অবস্থান নেয়। পরে ঢাকা-আরিচা মহাসড়ক দশ মিনিট অবরোধ করে রাখে শিক্ষার্থীরা।
অবরোধ চলাকালীন ‘একাত্তরের বাংলায়, বৈষম্যের ঠাঁই নাই’, ‘সারাবাংলায় খবর দে, ‘কোটা প্রথার কবর দে’ ইত্যাদি স্লোগান দিতে দেখা যায় শিক্ষার্থীদের।
সমাবেশে বিশ্ববিদ্যালয়ের আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিভাগের ২০১৯-২০২০ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী তৌহিদ সিয়াম বলেন, “শিক্ষার্থীদের প্রাণের দাবি প্রত্যাখ্যান করায় আমরা আজ এই বিক্ষোভ মিছিল ও অবরোধ কর্মসূচি পালন করছি। কোটাব্যবস্থা পুনর্বহাল হলে আমরা আরও কঠোর কর্মসূচিতে যেতে বাধ্য হব।”
নাটক ও নাট্যতত্ত্ব বিভাগের শিক্ষার্থী খালিদ মাহমুদ তন্ময় বলেন, “সরকারি চাকরিতে কোটা ব্যবস্থা মুক্তিযুদ্ধের ঘোষণাপত্রে উল্লিখিত সাম্য, মানবিক মর্যাদা ও সামাজিক সুবিচার নিশ্চিতের সঙ্গে সাংঘর্ষিক। আমাদের এ আন্দোলন মুক্তিযুদ্ধের ঘোষণাপত্র বাস্তবায়নের আন্দোলন।”
পরিবেশ বিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষার্থী মাহফুজ মেঘ বলেন, “২০১৮ সালের কোটা আন্দোলনের পর পুনরায় কোটা বহাল করার যে পায়ঁতারা চলছে, তা আদতে ন্যাক্কারজনক। কোটা বহাল থাকা দেশের মেধাবী, যোগ্য চাকরিপ্রার্থী মানুষের সঙ্গে বেইনসাফি। একটি স্বাধীন দেশে এরকম বৈষম্য থাকবে, তা কখনোই কাম্য নয়।”
সরকারি, স্বায়ত্তশাসিত, আধা স্বায়ত্তশাসিত প্রতিষ্ঠান ও করপোরেশনে চাকরিতে সরাসরি নিয়োগে দুটি গ্রেডে মুক্তিযোদ্ধা কোটা বাতিলের পরিপত্র অবৈধ ঘোষণা করেছে হাই কোর্ট।
বুধবার এ সংক্রান্ত একটি রিট আবেদনের চূড়ান্ত শুনানি শেষে বিচারপতি কে এম কামরুল কাদের ও বিচারপতি খিজির হায়াতের বেঞ্চ এ রায় দেয়।
এদিকে এদিন সন্ধ্যায় সরকারি চাকরিতে কোটা পুনর্বহাল করতে হাইকোর্ট যে রায় দিয়েছে, তা প্রত্যাখ্যান করে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় এলাকায় বিক্ষোভ করেছেন একদল শিক্ষার্থী।
শিক্ষার্থীদের আন্দোলনের মুখে ২০১৮ সালের ৪ অক্টোবর সরকারি চাকরিতে নারী কোটা ১০ শতাংশ, মুক্তিযোদ্ধা কোটা ৩০ শতাংশ এবং জেলা কোটা ১০ শতাংশ বাতিল করে পরিপত্র জারি করে সরকার।
ষ
বৃহস্পতিবার, ০৬ জুন ২০২৪
সরকারি চাকরিতে মুক্তিযোদ্ধা কোটা ব্যবস্থা পুনর্বহালের রায় প্রত্যাখ্যান করে বিক্ষোভ মিছিল ও ঢাকা-আরিচা মহাসড়ক অবরোধ করেছে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা।
বৃহস্পতিবার বেলা ১১টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের গ্রন্থাগারের সামনে থেকে একটি মিছিল বের করেন তারা। মিছিলটি বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন সড়ক ঘুরে প্রধান ফটকে অবস্থান নেয়। পরে ঢাকা-আরিচা মহাসড়ক দশ মিনিট অবরোধ করে রাখে শিক্ষার্থীরা।
অবরোধ চলাকালীন ‘একাত্তরের বাংলায়, বৈষম্যের ঠাঁই নাই’, ‘সারাবাংলায় খবর দে, ‘কোটা প্রথার কবর দে’ ইত্যাদি স্লোগান দিতে দেখা যায় শিক্ষার্থীদের।
সমাবেশে বিশ্ববিদ্যালয়ের আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিভাগের ২০১৯-২০২০ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী তৌহিদ সিয়াম বলেন, “শিক্ষার্থীদের প্রাণের দাবি প্রত্যাখ্যান করায় আমরা আজ এই বিক্ষোভ মিছিল ও অবরোধ কর্মসূচি পালন করছি। কোটাব্যবস্থা পুনর্বহাল হলে আমরা আরও কঠোর কর্মসূচিতে যেতে বাধ্য হব।”
নাটক ও নাট্যতত্ত্ব বিভাগের শিক্ষার্থী খালিদ মাহমুদ তন্ময় বলেন, “সরকারি চাকরিতে কোটা ব্যবস্থা মুক্তিযুদ্ধের ঘোষণাপত্রে উল্লিখিত সাম্য, মানবিক মর্যাদা ও সামাজিক সুবিচার নিশ্চিতের সঙ্গে সাংঘর্ষিক। আমাদের এ আন্দোলন মুক্তিযুদ্ধের ঘোষণাপত্র বাস্তবায়নের আন্দোলন।”
পরিবেশ বিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষার্থী মাহফুজ মেঘ বলেন, “২০১৮ সালের কোটা আন্দোলনের পর পুনরায় কোটা বহাল করার যে পায়ঁতারা চলছে, তা আদতে ন্যাক্কারজনক। কোটা বহাল থাকা দেশের মেধাবী, যোগ্য চাকরিপ্রার্থী মানুষের সঙ্গে বেইনসাফি। একটি স্বাধীন দেশে এরকম বৈষম্য থাকবে, তা কখনোই কাম্য নয়।”
সরকারি, স্বায়ত্তশাসিত, আধা স্বায়ত্তশাসিত প্রতিষ্ঠান ও করপোরেশনে চাকরিতে সরাসরি নিয়োগে দুটি গ্রেডে মুক্তিযোদ্ধা কোটা বাতিলের পরিপত্র অবৈধ ঘোষণা করেছে হাই কোর্ট।
বুধবার এ সংক্রান্ত একটি রিট আবেদনের চূড়ান্ত শুনানি শেষে বিচারপতি কে এম কামরুল কাদের ও বিচারপতি খিজির হায়াতের বেঞ্চ এ রায় দেয়।
এদিকে এদিন সন্ধ্যায় সরকারি চাকরিতে কোটা পুনর্বহাল করতে হাইকোর্ট যে রায় দিয়েছে, তা প্রত্যাখ্যান করে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় এলাকায় বিক্ষোভ করেছেন একদল শিক্ষার্থী।
শিক্ষার্থীদের আন্দোলনের মুখে ২০১৮ সালের ৪ অক্টোবর সরকারি চাকরিতে নারী কোটা ১০ শতাংশ, মুক্তিযোদ্ধা কোটা ৩০ শতাংশ এবং জেলা কোটা ১০ শতাংশ বাতিল করে পরিপত্র জারি করে সরকার।
ষ