alt

ক্যাম্পাস

জবিকে ধুপখোলা মাঠ বুঝিয়ে দিলো জেলা প্রশাসন

প্রতিনিধি, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় : রোববার, ১৮ আগস্ট ২০২৪

পুরান ঢাকার ধুপখোলা খেলার মাঠটি জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়কে (জবি) বুঝিয়ে দিলো ঢাকা জেলা প্রশাসন। এখন থেকে মাঠটির নাম হবে ‘জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় খেলার মাঠ’।

আজ রোববার বিশ্ববিদ্যালয়ের কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. হুমায়ুন কবির চৌধুরীকে মাঠটি বুঝিয়ে দেন ঢাকার জেলা প্রশাসক আনিসুর রহমান। এসময় বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক, কর্মকর্তা, সাধারণ শিক্ষার্থীরা সহ জেলা প্রশাসক অফিসের কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

জেলা প্রশাসক আনিসুর রহমান বলেন, আমি প্রথমে আন্তরিকভাবে কৃতজ্ঞতা জানাচ্ছি এই ঐতিহাসিক মুহূর্তে আমাদের প্রখ্যাত জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র-ছাত্রীর উদ্যোগকে। দীর্ঘদিন ধরে আমাদের সরকারি খাস জমির এই মাঠ বিশ্ববিদ্যালয় ব্যবহার করতে পারছিলো না। পুনর্দখলের মাধ্যমে আজকে ঐতিহাসিক যাত্রা শুরু হলো। সরকারের সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে বলবো এখানে একটি স্হায়ী জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের সাইনবোর্ড সাঁটিয়ে দেয়ার জন্য।

জেলা প্রশাসক আরও বলেন, এখানে মোট ৫ দশমিক ৩২ একর জায়গা রয়েছে, তার মধ্যে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়কে ৪ দশমিক ৫০ একর জায়গা বুঝিয়ে দেয়া হলো। বাকি যে জায়গাটা রয়েছে সেটা মূল মাঠের সাইডে যা ইস্টার্ন ক্লাব দখল করে রেখেছে। তাদের সঙ্গে কথা বলে পরবর্তী বাকিটুকুর ব্যবস্হা নিব।

বিশ্ববিদ্যালয়ের কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. হুমায়ুন কবির চৌধুরী বলেন, এ মাঠটিতে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা খেলাধুলা করতো, কিন্তু কি কারণে সেটা বেহাত হয়ে গিয়েছিলো সে কারণ আমি আজও খুঁজে পায় না। শিক্ষার্থীরা জেলা প্রশাসককে মাঠটির বিষয়ে জানালে প্রশাসন কিন্তু সে দাবি মানিয়ে আজ মাঠটি বুঝিয়ে দিলো। আজকে থেকে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় মাঠটি ব্যবহারের সুযোগ পাওয়া ঢাকা জেলা প্রশাসককে ধন্যবাদ জানাই। পাশাপাশি যেসকল শিক্ষার্থীরা এই উদ্যোগ নিয়েছে তাদেরও ধন্যবাদ জানাই। আমরা দ্রুত এখানে একটি টুর্নামেন্টের আয়োজন করবো।

২০২১ সালের জুনে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় খেলার মাঠে মার্কেট নির্মাণের উদ্যোগ নেয় ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশন (ডিএসসিসি)। এর প্রেক্ষিতে ১৭ জুন বিশ্ববিদ্যালয়ের খেলার মাঠে মার্কেট নির্মাণের শঙ্কায় ডিএসসিসিকে চিঠি দেয় বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। পরে সিটি মেয়রের সঙ্গে দেখা করলে বিশ্ববিদ্যালয়ের খেলার মাঠে কোনো স্থাপনা নির্মাণ না করার আশ্বাস দেওয়া হয়। সে সময় খেলার মাঠ থেকে খুঁটি সরিয়ে নেওয়া হয়। কিন্তু ২ অক্টোবর গভীর রাতে আবার পুরো মাঠ ঘিরে রাখা হয়। মাঠের গোলপোস্ট ও সীমানা প্রাচীরগুলো তুলে ফেলে সিটি করপোরেশনের ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান। পরবর্তীতে ২০২৩ সালের ১১ অক্টোবর ধুপখোলা মাঠটিকে আধুনিকায়ন করে উদ্বোধন করেন ফজলে নূর তাপস।

সেসময় বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন দাবি করেছিলো, সিটি করপোরেশনের মেয়র আশ্বাস দিলেও তাদের না জানিয়েই মাঠে খোঁড়াখুঁড়ি শুরু করে ঠিকাদার প্রতিষ্ঠান। কাজ বন্ধ করতে আইনি প্রক্রিয়া অনুসরণ করা হবে বলে জানিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন।

১৯৮৪ সালে তৎকালীন রাষ্ট্রপতি শিক্ষার্থীদের খেলাধুলার নিজস্ব কোনো মাঠ না থাকায় ধূপখোলা খেলার মাঠটি তিন ভাগ করেন। এর মধ্যে এক ভাগ তৎকালীন সরকারি জগন্নাথ কলেজকে ব্যবহারের জন্য মৌখিকভাবে অনুমতি দেন। তখন থেকেই প্রতিষ্ঠানটির খেলার মাঠ হিসেবে ধূপখোলা মাঠটিকে ব্যবহার করছে। এই মাঠেই বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রথম সমাবর্তন অনুষ্ঠিত হয়েছে।

ছবি

ছিনতাইকারীর ছুরিকাঘাতে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী আহত

ছবি

জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় : গোপনেই সব দখলে নিতে মরিয়া শিবির

ছবি

জাবিতে মাইক্রোবায়োলজি বিভাগের উদ্যোগে বিজ্ঞানভিত্তিক সেমিনার অনুষ্ঠিত

ছবি

ঢাবিতে আকসা পুনরুদ্ধার অভিযানের বর্ষপূর্তী উদযাপন

ছবি

অতীতে কেউ নিজেদের ‘জমিদার’ ভাবতো আর বাকীদের ‘প্রজা’ ভাবতো : জবি অধ্যাপক

ময়মনসিংহ মেডিক্যাল কলেজের ২৮ শিক্ষার্থীকে বহিস্কার

ছবি

শিক্ষার্থী কর্তৃক শিক্ষক মূল্যায়ন কার্যক্রম নিয়ে চিন্তাভাবনা চলছে: জাবি উপ-উপাচার্য

ছবি

টিএসসির গণত্রাণের ৮ কোটি টাকা যাবে প্রধান উপদেষ্টার তহবিলে

ছবি

মাহমুদুর রহমানের মুক্তির দাবিতে ৪৮ ঘণ্টার আল্টিমেটাম

ছবি

জাবির তুলনামূলক সাহিত্য অনুষদের নাম থেকে ‘বঙ্গবন্ধু’ অপসারণের দাবি

ছবি

শিক্ষার্থীদের ওপর হামলায় জাবির সাবেক দুই উপাচার্যসহ ২১৪ জন আসামি

ছবি

সহিংসতায় জড়িতদের চিহ্নিত করতে ঢাবির সত্যানুসন্ধান কমিটি

ছবি

শাবিপ্রবি ছাত্রলীগের সভাপতি গ্রেপ্তার

ছবি

আমেরিকা ও ভারতের যৌথ মদদে পার্বত্য চট্টগ্রামকে অস্থিতিশীল করা হচ্ছে

ছবি

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে বহিরাগত নিয়ন্ত্রণে নতুন উদ্যোগ, প্রাক্তন শিক্ষার্থীদের দেওয়া হবে পরিচয়পত্র

ছবি

আমেরিকা ও ভারতের যৌথ মদদে পার্বত্য চট্টগ্রামকে অস্থিতিশীল করা হচ্ছে : ‘স্টুডেন্টস ফর সভারেন্টি’

ছবি

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রথম সংবাদ সম্মেলন করলেন ছাত্রশিবিরের নেতা এস এম ফরহাদ

ছবি

জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন বিভাগে এক যুগ‌ ধরে শ্রেণিকক্ষ সংকট

ছবি

বুয়েটে ছাত্রলীগ সংশ্লিষ্টদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা না নেওয়া পর্যন্ত ক্লাস-পরীক্ষা বর্জন অব্যাহত

ছবি

বুয়েটে ছাত্রলীগের সদস্যদের প্রবেশ নিষিদ্ধের দাবিতে শিক্ষার্থীদের ক্লাস-পরীক্ষা বর্জন

ছবি

পাহাড়ের সন্ত্রাসী গোষ্ঠীদের আইনের আওতায় আনার দাবি জবি শিক্ষার্থীদের

ছবি

১১০ দিন পর শ্রেণি কার্যক্রমে ফিরেছে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়

ছবি

ক্যাম্পাসে এই স্বস্তি বজায় থাকুক:ঢাবির ক্লাসে ফিরে শিক্ষার্থীরা

ছবি

ঢাবিতে ছাত্র রাজনীতি নিয়ে বৈঠকে শিবির সভাপতির পরিচয় নিয়ে বিতর্ক

ছাত্ররাজনীতিতে নিষেধাজ্ঞা নয়, সংস্কার চায় ঢাবির সংগঠনগুলো

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রকাশ্যে ছাত্রশিবির

ঢাবিতে হত্যার ঘটনায় ফজলুল হক হলের প্রভোস্টকে পরিবর্তন

জাবিতে ছাত্র রাজনীতি নিষিদ্ধের দাবিতে বিক্ষোভ মিছিল

বহুমুখী চ্যালেঞ্জের মুখে জবি উপাচার্য অধ্যাপক রেজাউল

ছবি

জাবিতে গণপিটুনিতে ছাত্রনেতা হত্যার ঘটনায় ছাত্রলীগ নেতা গ্রেফতার

ছবি

শামীম মোল্লা হত্যাকাণ্ডে অভিযুক্ত ছয়জনের পরিচয়

জাবিতে ছাত্রনেতা হত্যাকান্ডে সংশ্লিষ্টতায় ৮ শিক্ষার্থীকে সাময়িক বহিষ্কার

ছবি

জাবিতে সাবেক ছাত্রলীগ নেতাকে হত্যা: সমন্বয়ক লাবিবকে অব্যাহতি

ছবি

ঢাবিতে হত্যায় জড়িতদের দ্রুত বিচারের দাবি ছাত্র সংগঠনগুলোর

ছবি

জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্রলীগ নেতার মৃত্যুর ঘটনায় বিক্ষোভ

ছবি

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের হলের অতিথিকক্ষে চোর সন্দেহে এক ব্যক্তিকে পিটিয়ে হত্যা

tab

ক্যাম্পাস

জবিকে ধুপখোলা মাঠ বুঝিয়ে দিলো জেলা প্রশাসন

প্রতিনিধি, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়

রোববার, ১৮ আগস্ট ২০২৪

পুরান ঢাকার ধুপখোলা খেলার মাঠটি জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়কে (জবি) বুঝিয়ে দিলো ঢাকা জেলা প্রশাসন। এখন থেকে মাঠটির নাম হবে ‘জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় খেলার মাঠ’।

আজ রোববার বিশ্ববিদ্যালয়ের কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. হুমায়ুন কবির চৌধুরীকে মাঠটি বুঝিয়ে দেন ঢাকার জেলা প্রশাসক আনিসুর রহমান। এসময় বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক, কর্মকর্তা, সাধারণ শিক্ষার্থীরা সহ জেলা প্রশাসক অফিসের কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

জেলা প্রশাসক আনিসুর রহমান বলেন, আমি প্রথমে আন্তরিকভাবে কৃতজ্ঞতা জানাচ্ছি এই ঐতিহাসিক মুহূর্তে আমাদের প্রখ্যাত জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র-ছাত্রীর উদ্যোগকে। দীর্ঘদিন ধরে আমাদের সরকারি খাস জমির এই মাঠ বিশ্ববিদ্যালয় ব্যবহার করতে পারছিলো না। পুনর্দখলের মাধ্যমে আজকে ঐতিহাসিক যাত্রা শুরু হলো। সরকারের সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে বলবো এখানে একটি স্হায়ী জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের সাইনবোর্ড সাঁটিয়ে দেয়ার জন্য।

জেলা প্রশাসক আরও বলেন, এখানে মোট ৫ দশমিক ৩২ একর জায়গা রয়েছে, তার মধ্যে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়কে ৪ দশমিক ৫০ একর জায়গা বুঝিয়ে দেয়া হলো। বাকি যে জায়গাটা রয়েছে সেটা মূল মাঠের সাইডে যা ইস্টার্ন ক্লাব দখল করে রেখেছে। তাদের সঙ্গে কথা বলে পরবর্তী বাকিটুকুর ব্যবস্হা নিব।

বিশ্ববিদ্যালয়ের কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. হুমায়ুন কবির চৌধুরী বলেন, এ মাঠটিতে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা খেলাধুলা করতো, কিন্তু কি কারণে সেটা বেহাত হয়ে গিয়েছিলো সে কারণ আমি আজও খুঁজে পায় না। শিক্ষার্থীরা জেলা প্রশাসককে মাঠটির বিষয়ে জানালে প্রশাসন কিন্তু সে দাবি মানিয়ে আজ মাঠটি বুঝিয়ে দিলো। আজকে থেকে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় মাঠটি ব্যবহারের সুযোগ পাওয়া ঢাকা জেলা প্রশাসককে ধন্যবাদ জানাই। পাশাপাশি যেসকল শিক্ষার্থীরা এই উদ্যোগ নিয়েছে তাদেরও ধন্যবাদ জানাই। আমরা দ্রুত এখানে একটি টুর্নামেন্টের আয়োজন করবো।

২০২১ সালের জুনে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় খেলার মাঠে মার্কেট নির্মাণের উদ্যোগ নেয় ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশন (ডিএসসিসি)। এর প্রেক্ষিতে ১৭ জুন বিশ্ববিদ্যালয়ের খেলার মাঠে মার্কেট নির্মাণের শঙ্কায় ডিএসসিসিকে চিঠি দেয় বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। পরে সিটি মেয়রের সঙ্গে দেখা করলে বিশ্ববিদ্যালয়ের খেলার মাঠে কোনো স্থাপনা নির্মাণ না করার আশ্বাস দেওয়া হয়। সে সময় খেলার মাঠ থেকে খুঁটি সরিয়ে নেওয়া হয়। কিন্তু ২ অক্টোবর গভীর রাতে আবার পুরো মাঠ ঘিরে রাখা হয়। মাঠের গোলপোস্ট ও সীমানা প্রাচীরগুলো তুলে ফেলে সিটি করপোরেশনের ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান। পরবর্তীতে ২০২৩ সালের ১১ অক্টোবর ধুপখোলা মাঠটিকে আধুনিকায়ন করে উদ্বোধন করেন ফজলে নূর তাপস।

সেসময় বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন দাবি করেছিলো, সিটি করপোরেশনের মেয়র আশ্বাস দিলেও তাদের না জানিয়েই মাঠে খোঁড়াখুঁড়ি শুরু করে ঠিকাদার প্রতিষ্ঠান। কাজ বন্ধ করতে আইনি প্রক্রিয়া অনুসরণ করা হবে বলে জানিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন।

১৯৮৪ সালে তৎকালীন রাষ্ট্রপতি শিক্ষার্থীদের খেলাধুলার নিজস্ব কোনো মাঠ না থাকায় ধূপখোলা খেলার মাঠটি তিন ভাগ করেন। এর মধ্যে এক ভাগ তৎকালীন সরকারি জগন্নাথ কলেজকে ব্যবহারের জন্য মৌখিকভাবে অনুমতি দেন। তখন থেকেই প্রতিষ্ঠানটির খেলার মাঠ হিসেবে ধূপখোলা মাঠটিকে ব্যবহার করছে। এই মাঠেই বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রথম সমাবর্তন অনুষ্ঠিত হয়েছে।

back to top