শিক্ষার্থীদের তোপের মুখে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কলা অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. আব্দুল বাছির ও চারুকলা অনুষদের ডিন অধ্যাপক নিসার হোসেন পদত্যাগ করেছেন। সোমবার (১৯ আগষ্ট) উপাচার্য বরাবর পদত্যাগ পত্র জমা দেন তারা।
ঢাবি উপাচার্য বরাবর লেখা পদত্যাগপত্রে আব্দুল বাছির লিখেছেন, ‘আমি নিম্ন স্বাক্ষরকারী অধ্য ১৯.০৮.২০২৪ তারিখ কলা অনুষদের ডিনের পদ থেকে অব্যাহতি নিচ্ছি। এ ব্যাপারে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করে বাধিত করবেন।
এর আগে আজ সোমবার সকাল সাড়ে ১১টা থেকে কলা অনুষদের সামনে অধ্যাপক বাছিরের পদত্যাগের দাবিতে শিক্ষার্থীরা জড়ো হতে থাকেন। সেখানে উপস্থিত ছিলেন বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সহ-সমন্বয়ক এবি যুবায়ের। সেসময় তিনি বলেন, ‘বিজয় একাত্তর হলে হামলার দায় মাথায় নিয়ে তিনি হল প্রাধ্যক্ষ থেকে পদত্যাগ করেছিলেন। ঢাবিতে সাবেক উপাচার্য অধ্যাপক মাকসুদ কামালের নির্দেশে যত হামলা হয়েছে তার সহযোগী ছিলেন অধ্যাপক বাছির।
"এর আগে রমজান মাসকে স্বাগত জানিয়ে যারা বটতলায় কোরআন তেলাওয়াত করেছিল তাদের পরিচয় জানতে চেয়ে তিনি, তাদের কেন শাস্তি দেওয়া হবে না, তাদের ছাত্রত্ব বাতিল করার মতো চেষ্টা তিনি করেছেন। একই ঘটনায় আরবি বিভাগের চেয়ারম্যানকেও শোকজ করা হয়েছিল।"
এদিকে পদত্যাগ পত্রে অধ্যাপক নিসার উল্লেখ করেন, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে সরাসরি গণহত্যা ও স্বৈরাচারীতার পক্ষে অবস্থান করায় চারুকলা অনুষদের ডিনের পদত্যাগসহ ৪ দফা দাবি সংবলিত একটি পত্র আমার হাতে এসেছে।
‘তাদের অভিযোগ কতটুকু বস্তুনিষ্ঠ এবং পদত্যাগের দাবি কতটা যৌক্তিক তা বিশ্ববিদ্যালয়ের বিধি অনুসারে যাচাই সাপেক্ষে ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য আমার পক্ষ থেকে আবেদন করার কোন সুযোগ বর্তমান পরিস্থিতিতে নেই বিধায় আমি উক্ত অভিযোগ আমলে না নিয়েও আমাকে ডিনের দায়িত্ব থেকে অব্যহতি প্রদানের জন্য অনুরোধ করছি।’
এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য অধ্যাপক ড. সীতেশ চন্দ্র বাছার বলেন, উপাচার্য না থাকায় অভিভাবকহীন হয়ে পড়েছে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়। ফলে অনেকগুলো ফাইল আটকে আছে। নতুন উপাচার্য নিয়োগের পর এই পদত্যাগগুলো কার্যকর হবে।
সোমবার, ১৯ আগস্ট ২০২৪
শিক্ষার্থীদের তোপের মুখে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কলা অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. আব্দুল বাছির ও চারুকলা অনুষদের ডিন অধ্যাপক নিসার হোসেন পদত্যাগ করেছেন। সোমবার (১৯ আগষ্ট) উপাচার্য বরাবর পদত্যাগ পত্র জমা দেন তারা।
ঢাবি উপাচার্য বরাবর লেখা পদত্যাগপত্রে আব্দুল বাছির লিখেছেন, ‘আমি নিম্ন স্বাক্ষরকারী অধ্য ১৯.০৮.২০২৪ তারিখ কলা অনুষদের ডিনের পদ থেকে অব্যাহতি নিচ্ছি। এ ব্যাপারে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করে বাধিত করবেন।
এর আগে আজ সোমবার সকাল সাড়ে ১১টা থেকে কলা অনুষদের সামনে অধ্যাপক বাছিরের পদত্যাগের দাবিতে শিক্ষার্থীরা জড়ো হতে থাকেন। সেখানে উপস্থিত ছিলেন বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সহ-সমন্বয়ক এবি যুবায়ের। সেসময় তিনি বলেন, ‘বিজয় একাত্তর হলে হামলার দায় মাথায় নিয়ে তিনি হল প্রাধ্যক্ষ থেকে পদত্যাগ করেছিলেন। ঢাবিতে সাবেক উপাচার্য অধ্যাপক মাকসুদ কামালের নির্দেশে যত হামলা হয়েছে তার সহযোগী ছিলেন অধ্যাপক বাছির।
"এর আগে রমজান মাসকে স্বাগত জানিয়ে যারা বটতলায় কোরআন তেলাওয়াত করেছিল তাদের পরিচয় জানতে চেয়ে তিনি, তাদের কেন শাস্তি দেওয়া হবে না, তাদের ছাত্রত্ব বাতিল করার মতো চেষ্টা তিনি করেছেন। একই ঘটনায় আরবি বিভাগের চেয়ারম্যানকেও শোকজ করা হয়েছিল।"
এদিকে পদত্যাগ পত্রে অধ্যাপক নিসার উল্লেখ করেন, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে সরাসরি গণহত্যা ও স্বৈরাচারীতার পক্ষে অবস্থান করায় চারুকলা অনুষদের ডিনের পদত্যাগসহ ৪ দফা দাবি সংবলিত একটি পত্র আমার হাতে এসেছে।
‘তাদের অভিযোগ কতটুকু বস্তুনিষ্ঠ এবং পদত্যাগের দাবি কতটা যৌক্তিক তা বিশ্ববিদ্যালয়ের বিধি অনুসারে যাচাই সাপেক্ষে ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য আমার পক্ষ থেকে আবেদন করার কোন সুযোগ বর্তমান পরিস্থিতিতে নেই বিধায় আমি উক্ত অভিযোগ আমলে না নিয়েও আমাকে ডিনের দায়িত্ব থেকে অব্যহতি প্রদানের জন্য অনুরোধ করছি।’
এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য অধ্যাপক ড. সীতেশ চন্দ্র বাছার বলেন, উপাচার্য না থাকায় অভিভাবকহীন হয়ে পড়েছে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়। ফলে অনেকগুলো ফাইল আটকে আছে। নতুন উপাচার্য নিয়োগের পর এই পদত্যাগগুলো কার্যকর হবে।