জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের ইতিহাস বিভাগের প্রাক্তন শিক্ষার্থী ও ছাত্রলীগের সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক শামীম মোল্লাকে গণপিটুনিতে হত্যার ঘটনায় এক ছাত্রলীগ নেতাকে আটক করেছে আশুলিয়া থানা পুলিশ।
শুক্রবার (২০ সেপ্টেম্বর) ভোর রাতে ধামরাই পৌর এলাকার মোকামটোলা মহল্লার নিজ বাসায় অভিযান চালিয়ে তাকে আটক করা হয়েছে। আটককৃতের নাম হাবিবুর রহমান হাবিব। তিনি ধামরাই পৌর এলাকার মোকামটোলা মহল্লার মো. লাবু খানের ছেলে এবং ধামরাই সরকারি কলেজ ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি।
আশুলিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবুবকর সিদ্দিক গণমাধ্যমকে জানান, বর্তমানে তিনি আশুলিয়া থানা পুলিশের হেফাজতে রয়েছেন। তাকে জাবিতে গনপিটুনিতে শামীম মোল্লা হত্যার ঘটনায় জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আটক করা হয়েছে।
এর আগে গত বুধবার সন্ধ্যায় বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রান্তিক গেট সংলগ্ন একটি দোকানে অবস্থান করছিলেন শামীম মোল্লা। তার অবস্থানের খবর পেয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের একদল শিক্ষার্থী সেখানে গিয়ে তাকে আটক করে গণধোলাই দেয়। পরে খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টরিয়াল টিম উপস্থিত হয়। এক পর্যায়ে নিরাপত্তা কর্মীদের সহায়তায় তাকে নিরাপত্তা শাখায় নিয়ে আসা হয়। সেখানেও উত্তেজিত শিক্ষার্থীরা তাকে পুনরায় গণধোলাই দেয়। একপর্যায়ে রাত পৌনে ৯টার দিকে প্রক্টরিয়াল টিমের খবরে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক মোহাম্মদ কামরুল আহসানের উপস্থিতিতে আশুলিয়া থানা পুলিশের একটি দল জাবির নিরাপত্তা শাখায় এসে শামীম মোল্লাকে আটক দেখিয়ে নিয়ে যায়। পরবর্তীতে, তিনি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মৃত্যুবরণ করেন।
এঘটনায় জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে ডেপুটি রেজিস্টার-১ (নিরাপত্তা) সুদীপ্ত শাহিন বাদী হয়ে ৮ জনের নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাতনামা আরো ২০-২৫ জনের বিরুদ্ধে আশুলিয়া থানায় একটি মামলা (নং-৪৪) দায়ের করেছেন।
গণপিটুনিতে নিহত শামীম সাভারের আশুলিয়া থানার কাঠগড়া এলাকার মোল্লা বাড়ির ইয়াজ উদ্দিন মোল্লার ছেলে। শামীম আহমেদ জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের ৩৯ ব্যাচের শিক্ষার্থী। শাখা ছাত্রলীগের জুয়েল-চঞ্চল কমিটির সাংগঠনিক সম্পাদক থাকা অবস্থায় বিশ্ববিদ্যালয় এবং এর আশেপাশের এলাকায় মাদক সিন্ডিকেট নিয়ন্ত্রণ, জমিদখল, চাঁদাবাজিসহ বিভিন্ন অপরাধের সাথে যুক্ত ছিলেন। দীর্ঘদিন ধরে আগ্নেয়াস্ত্র প্রদর্শন করে সাধারণ শিক্ষার্থী ও এলাকাবাসীর ওপর নির্যাতন চালিয়ে আসার কারণে তাকে স্থানীয়রা ‘শুটার শামীম’ বলে ডাকে। তার নামে একাধিক মামলা রয়েছে। গত ১৫ জুলাই রাতে কোটা আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীদের উপর হামলার ঘটনায় সে সামনের সারিতে থেকে নেতৃত্ব দিয়েছে।
শুক্রবার, ২০ সেপ্টেম্বর ২০২৪
জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের ইতিহাস বিভাগের প্রাক্তন শিক্ষার্থী ও ছাত্রলীগের সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক শামীম মোল্লাকে গণপিটুনিতে হত্যার ঘটনায় এক ছাত্রলীগ নেতাকে আটক করেছে আশুলিয়া থানা পুলিশ।
শুক্রবার (২০ সেপ্টেম্বর) ভোর রাতে ধামরাই পৌর এলাকার মোকামটোলা মহল্লার নিজ বাসায় অভিযান চালিয়ে তাকে আটক করা হয়েছে। আটককৃতের নাম হাবিবুর রহমান হাবিব। তিনি ধামরাই পৌর এলাকার মোকামটোলা মহল্লার মো. লাবু খানের ছেলে এবং ধামরাই সরকারি কলেজ ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি।
আশুলিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবুবকর সিদ্দিক গণমাধ্যমকে জানান, বর্তমানে তিনি আশুলিয়া থানা পুলিশের হেফাজতে রয়েছেন। তাকে জাবিতে গনপিটুনিতে শামীম মোল্লা হত্যার ঘটনায় জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আটক করা হয়েছে।
এর আগে গত বুধবার সন্ধ্যায় বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রান্তিক গেট সংলগ্ন একটি দোকানে অবস্থান করছিলেন শামীম মোল্লা। তার অবস্থানের খবর পেয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের একদল শিক্ষার্থী সেখানে গিয়ে তাকে আটক করে গণধোলাই দেয়। পরে খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টরিয়াল টিম উপস্থিত হয়। এক পর্যায়ে নিরাপত্তা কর্মীদের সহায়তায় তাকে নিরাপত্তা শাখায় নিয়ে আসা হয়। সেখানেও উত্তেজিত শিক্ষার্থীরা তাকে পুনরায় গণধোলাই দেয়। একপর্যায়ে রাত পৌনে ৯টার দিকে প্রক্টরিয়াল টিমের খবরে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক মোহাম্মদ কামরুল আহসানের উপস্থিতিতে আশুলিয়া থানা পুলিশের একটি দল জাবির নিরাপত্তা শাখায় এসে শামীম মোল্লাকে আটক দেখিয়ে নিয়ে যায়। পরবর্তীতে, তিনি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মৃত্যুবরণ করেন।
এঘটনায় জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে ডেপুটি রেজিস্টার-১ (নিরাপত্তা) সুদীপ্ত শাহিন বাদী হয়ে ৮ জনের নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাতনামা আরো ২০-২৫ জনের বিরুদ্ধে আশুলিয়া থানায় একটি মামলা (নং-৪৪) দায়ের করেছেন।
গণপিটুনিতে নিহত শামীম সাভারের আশুলিয়া থানার কাঠগড়া এলাকার মোল্লা বাড়ির ইয়াজ উদ্দিন মোল্লার ছেলে। শামীম আহমেদ জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের ৩৯ ব্যাচের শিক্ষার্থী। শাখা ছাত্রলীগের জুয়েল-চঞ্চল কমিটির সাংগঠনিক সম্পাদক থাকা অবস্থায় বিশ্ববিদ্যালয় এবং এর আশেপাশের এলাকায় মাদক সিন্ডিকেট নিয়ন্ত্রণ, জমিদখল, চাঁদাবাজিসহ বিভিন্ন অপরাধের সাথে যুক্ত ছিলেন। দীর্ঘদিন ধরে আগ্নেয়াস্ত্র প্রদর্শন করে সাধারণ শিক্ষার্থী ও এলাকাবাসীর ওপর নির্যাতন চালিয়ে আসার কারণে তাকে স্থানীয়রা ‘শুটার শামীম’ বলে ডাকে। তার নামে একাধিক মামলা রয়েছে। গত ১৫ জুলাই রাতে কোটা আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীদের উপর হামলার ঘটনায় সে সামনের সারিতে থেকে নেতৃত্ব দিয়েছে।