জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে হামলার শিকার হয়ে বিচার বহির্ভূত ছাত্রনেতা হত্যার ঘটনায় এবং ক্যাম্পাসে লেজুড়বৃত্তিক ছাত্র রাজনীতি নিষিদ্ধের দাবিতে বিক্ষোভ কর্মসূচি পালন করেছে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের সাধারণ শিক্ষার্থীরা।
শুক্রবার (২০ সেপ্টেম্বর) বিকেল ৩টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের শহীদ মিনার প্রাঙ্গণে থেকে বিক্ষোভ মিছিল শুরু করে শিক্ষার্থীরা। মিছিলটি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ কামরুল আহসানের বাসভবনের সামনে যেয়ে শেষ হয়।
বিক্ষোভ মিছিলে শিক্ষার্থীদের ‘এক দফা এক দাবি চাই না কোনো রাজনীতি’, ‘ডান-বামের রাজনীতি, চাই না তোদের উপস্থিতি’, ‘রাজনীতির অংশীদার এই মূহুর্তে ক্যাম্পাস ছাড়’ ইত্যাদি স্লোগান দিতে দেখা যায়। মিছিল পরবর্তী সময়ে বিশ্ববিদ্যালয় উপাচার্যের কাছে তিন দফা দাবি জানায় শিক্ষার্থীরা।
দাবিগুলো হলো- সব ধরনের দলীয় (ছাত্র, শিক্ষক, কর্মচারী, কর্মকতা) রাজনীতি অবিলম্বে আজীবনের জন্য নিষিদ্ধ করতে হবে, দ্রুততম সময়ের মধ্যে জাকসু নির্বাচন আয়োজন করতে হবে, গত ১৪-১৭ জুলাই তারিখে ক্যাম্পাসের অভ্যন্তরে সাধারণ শিক্ষার্থী ও শিক্ষকদের ওপর হামলাকারী ও মদতদাতাদের বিরুদ্ধে প্রশাসনিক ও রাষ্ট্রীয় আইনে বিশ্ববিদ্যালয় বাদী হয়ে মামলা ও বিচার নিশ্চিত করা এবং পাশাপাশি ক্যাম্পাসের অভ্যন্তরে নিরাপত্তা জোরদার করতে হবে।
বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ কামরুল আহসান বলেন, হঠাৎ করে আন্দোলনের মুখে ছাত্ররাজনীতি নিষিদ্ধ করা মব জাস্টিসের মতোই এবং বিরাজনীতিকরণেরই নামান্তর। তাই অংশীজন সবার মতামতের ভিত্তিতে এটা নিষিদ্ধ করতে হবে। এ জন্য প্রশাসনকে পর্যাপ্ত সময় দিতে হবে। এছাড়াও শিক্ষার্থীরা আমাকে দাবিগুলো লিখিত আকারে উপস্থাপন করলে সবাইকে নিয়েই আমরা সিদ্ধান্ত পৌঁছাবে।
বিশ্ববিদ্যালয়ের নগর ও অঞ্চল পরিকল্পনা বিভাগের ৪৭ ব্যাচের শিক্ষার্থী মুসা ভূঁইয়া বলেন, ‘সারাদেশের ক্যাম্পাসগুলোতে যে দলীয় লেজুড়বৃত্তিক ছাত্ররাজনীতি এবং শিক্ষক রাজনীতি সেগুলোর ফলাফল কখনোই সাধারণ শিক্ষার্থীদের জন্য মঙ্গলজনক ছিল না। বরং এসবের প্রভাব সবসময় সাধারণ শিক্ষার্থীদের ওপরে পড়েছে। তাই আমরা চাই কোনোরকম টালবাহানা না করে, ‘অনির্দিষ্টকাল’, ‘সাময়িক সময়’ এই ধরনের শব্দের মারপ্যাঁচ যেন না খেলে।
এ সময় বিশ্ববিদ্যালয়ের ৪৮তম ব্যাচের শিক্ষার্থী সাকিল বলেন, আমাদের একটাই দাবি আমরা বিশ্ববিদ্যালয়ে কোনো প্রকার লেজুড়বৃত্তিক রাজনীতি চাই না। আমরা বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন অতিদ্রুত প্রজ্ঞাপন জারি করে ক্যাম্পাসে সব দলীয় লেজুড়বৃত্তিক ছাত্র-শিক্ষক কর্মকর্তা কর্মচারী রাজনীতি নিষিদ্ধ করার দাবি জানাচ্ছি। ক্যাম্পাসে ছাত্র সংসদ চালু করে সুষ্ঠু ছাত্ররাজনীতি চালু রাখতে হবে।
শনিবার, ২১ সেপ্টেম্বর ২০২৪
জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে হামলার শিকার হয়ে বিচার বহির্ভূত ছাত্রনেতা হত্যার ঘটনায় এবং ক্যাম্পাসে লেজুড়বৃত্তিক ছাত্র রাজনীতি নিষিদ্ধের দাবিতে বিক্ষোভ কর্মসূচি পালন করেছে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের সাধারণ শিক্ষার্থীরা।
শুক্রবার (২০ সেপ্টেম্বর) বিকেল ৩টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের শহীদ মিনার প্রাঙ্গণে থেকে বিক্ষোভ মিছিল শুরু করে শিক্ষার্থীরা। মিছিলটি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ কামরুল আহসানের বাসভবনের সামনে যেয়ে শেষ হয়।
বিক্ষোভ মিছিলে শিক্ষার্থীদের ‘এক দফা এক দাবি চাই না কোনো রাজনীতি’, ‘ডান-বামের রাজনীতি, চাই না তোদের উপস্থিতি’, ‘রাজনীতির অংশীদার এই মূহুর্তে ক্যাম্পাস ছাড়’ ইত্যাদি স্লোগান দিতে দেখা যায়। মিছিল পরবর্তী সময়ে বিশ্ববিদ্যালয় উপাচার্যের কাছে তিন দফা দাবি জানায় শিক্ষার্থীরা।
দাবিগুলো হলো- সব ধরনের দলীয় (ছাত্র, শিক্ষক, কর্মচারী, কর্মকতা) রাজনীতি অবিলম্বে আজীবনের জন্য নিষিদ্ধ করতে হবে, দ্রুততম সময়ের মধ্যে জাকসু নির্বাচন আয়োজন করতে হবে, গত ১৪-১৭ জুলাই তারিখে ক্যাম্পাসের অভ্যন্তরে সাধারণ শিক্ষার্থী ও শিক্ষকদের ওপর হামলাকারী ও মদতদাতাদের বিরুদ্ধে প্রশাসনিক ও রাষ্ট্রীয় আইনে বিশ্ববিদ্যালয় বাদী হয়ে মামলা ও বিচার নিশ্চিত করা এবং পাশাপাশি ক্যাম্পাসের অভ্যন্তরে নিরাপত্তা জোরদার করতে হবে।
বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ কামরুল আহসান বলেন, হঠাৎ করে আন্দোলনের মুখে ছাত্ররাজনীতি নিষিদ্ধ করা মব জাস্টিসের মতোই এবং বিরাজনীতিকরণেরই নামান্তর। তাই অংশীজন সবার মতামতের ভিত্তিতে এটা নিষিদ্ধ করতে হবে। এ জন্য প্রশাসনকে পর্যাপ্ত সময় দিতে হবে। এছাড়াও শিক্ষার্থীরা আমাকে দাবিগুলো লিখিত আকারে উপস্থাপন করলে সবাইকে নিয়েই আমরা সিদ্ধান্ত পৌঁছাবে।
বিশ্ববিদ্যালয়ের নগর ও অঞ্চল পরিকল্পনা বিভাগের ৪৭ ব্যাচের শিক্ষার্থী মুসা ভূঁইয়া বলেন, ‘সারাদেশের ক্যাম্পাসগুলোতে যে দলীয় লেজুড়বৃত্তিক ছাত্ররাজনীতি এবং শিক্ষক রাজনীতি সেগুলোর ফলাফল কখনোই সাধারণ শিক্ষার্থীদের জন্য মঙ্গলজনক ছিল না। বরং এসবের প্রভাব সবসময় সাধারণ শিক্ষার্থীদের ওপরে পড়েছে। তাই আমরা চাই কোনোরকম টালবাহানা না করে, ‘অনির্দিষ্টকাল’, ‘সাময়িক সময়’ এই ধরনের শব্দের মারপ্যাঁচ যেন না খেলে।
এ সময় বিশ্ববিদ্যালয়ের ৪৮তম ব্যাচের শিক্ষার্থী সাকিল বলেন, আমাদের একটাই দাবি আমরা বিশ্ববিদ্যালয়ে কোনো প্রকার লেজুড়বৃত্তিক রাজনীতি চাই না। আমরা বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন অতিদ্রুত প্রজ্ঞাপন জারি করে ক্যাম্পাসে সব দলীয় লেজুড়বৃত্তিক ছাত্র-শিক্ষক কর্মকর্তা কর্মচারী রাজনীতি নিষিদ্ধ করার দাবি জানাচ্ছি। ক্যাম্পাসে ছাত্র সংসদ চালু করে সুষ্ঠু ছাত্ররাজনীতি চালু রাখতে হবে।