নবীন শিক্ষার্থীদের র্যাগিংয়ের অভিযোগে কুষ্টিয়ার ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ে গ্রেপ্তার পাঁচজনকে কারাগারে পাঠিয়েছে আদালত।
মঙ্গলবার সন্ধ্যার পর কুষ্টিয়ার অতিরিক্ত মুখ্য বিচারিক হাকিম আদালতে তোলা হলে বিচারক শুনানি শেষে তাদের কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন বলে জানান ইবি থানার ওসি শেখ ফরিদ উদ্দীন।
এ ঘটনায় বিশ্ববিদ্যালয়ের লালন শাহ আবাসিক হলের প্রথম বর্ষের শিক্ষার্থী তারেক সিনিয়র নয় শিক্ষার্থীর বিরুদ্ধে ইবি থানায় মামলা করেছেন।
আসামিরা হলেন- ফিন্যান্স অ্যান্ড ব্যাংকিং বিভাগের সাব্বির হোসেন, লিমন হোসেন, শেহান শরীফ, কান্ত বড়ুয়া, শফিউল্লাহ, তরিকুল, মুকুল, জিহাদ এবং ল অ্যান্ড ল্যান্ড ম্যানেজমেন্ট বিভাগের সঞ্চয় বড়ুয়া। তারা বিশ্ববিদ্যালয়ের ২০২২-২৩ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী।
এদের মধ্যে সাব্বির হোসেন, শেহান শরীফ, লিমন হোসেন, কান্ত বড়ুয়া এবং সঞ্চয় বড়ুয়াকে সন্ধ্যায় ক্যাম্পাস থেকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ।
এদিকে র্যাগিংয়ের ঘটনার তদন্তে লালন শাহ হলের প্রভোস্ট অধ্যাপক আকতার হোসেনকে প্রধান ও সহকারী রেজিস্ট্রার জিল্লুর রহমানকে সদস্যসচিব করে চার সদস্যের কমিটি গঠন করেছে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। কমিটির অন্য সদস্যরা হলেন- বিশ্ববিদ্যালয়ের সহকারী প্রক্টর অধ্যাপক ফখরুল ইসলাম এবং হলের আবাসিক শিক্ষক রসুল করিম। রোববারের মধ্যে কমিটিকে প্রতিবেদন জমা দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
ভুক্তভোগীদের অভিযোগ, কয়েকদিন ধরে বিভিন্নস্থানে তারা র্যাগিংয়ের শিকার হয়ে আসছিলেন। তাদের সঙ্গে অশোভন আচরণের পাশাপাশি বিভিন্নভাবে হুমকিসহ মানসিক ও শারীরিক নির্যাতন করা হয়।
ভুক্তভোগী তারেক হোসাইন বলেন, আমরা ক্যাম্পাসে এসেছি মাত্র ১৭ দিন। তারা আমাদের ১৭ দিনে কী পরিমাণ মানসিক নির্যাতন করেছে ভাষায় প্রকাশ করার মত নয়। আমরা সুষ্ঠু বিচার চাই।
প্রক্টর অধ্যাপক শাহীনুজ্জামান বলেন, র্যাগিংয়ের ঘটনায় মামলা হয়েছে। তবে মামলার বিষয়টা আলাদা। বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ তদন্ত কমিটি গঠন করেছে। তদন্তে সত্যতা পাওয়া গেলে বিশ্ববিদ্যালয়ের বিধি মোতাবেক দোষীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
ইবি থানার ওসি শেখ ফরিদ উদ্দীন বলেন, সোমবার রাতে র্যাগিংয়ের ঘটনায় জড়িত পাঁচ ছাত্রকে পুলিশে সোপর্দ করে ইবি প্রশাসন। এ ঘটনায় মামলার পর সন্ধ্যায় ওই পাঁচজনকে আদালতে তোলা হলে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন বিচারক।
গত সোমবার মধ্যরাতে লালন শাহ হলের ৩৩০ নম্বর কক্ষে (গণরুম) ফিন্যান্স অ্যান্ড ব্যাংকিং বিভাগের ২০২৩-২৪ বর্ষের শিক্ষার্থীদের র্যাগিংয়ের ঘটনা ঘটে।
বুধবার, ২০ নভেম্বর ২০২৪
নবীন শিক্ষার্থীদের র্যাগিংয়ের অভিযোগে কুষ্টিয়ার ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ে গ্রেপ্তার পাঁচজনকে কারাগারে পাঠিয়েছে আদালত।
মঙ্গলবার সন্ধ্যার পর কুষ্টিয়ার অতিরিক্ত মুখ্য বিচারিক হাকিম আদালতে তোলা হলে বিচারক শুনানি শেষে তাদের কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন বলে জানান ইবি থানার ওসি শেখ ফরিদ উদ্দীন।
এ ঘটনায় বিশ্ববিদ্যালয়ের লালন শাহ আবাসিক হলের প্রথম বর্ষের শিক্ষার্থী তারেক সিনিয়র নয় শিক্ষার্থীর বিরুদ্ধে ইবি থানায় মামলা করেছেন।
আসামিরা হলেন- ফিন্যান্স অ্যান্ড ব্যাংকিং বিভাগের সাব্বির হোসেন, লিমন হোসেন, শেহান শরীফ, কান্ত বড়ুয়া, শফিউল্লাহ, তরিকুল, মুকুল, জিহাদ এবং ল অ্যান্ড ল্যান্ড ম্যানেজমেন্ট বিভাগের সঞ্চয় বড়ুয়া। তারা বিশ্ববিদ্যালয়ের ২০২২-২৩ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী।
এদের মধ্যে সাব্বির হোসেন, শেহান শরীফ, লিমন হোসেন, কান্ত বড়ুয়া এবং সঞ্চয় বড়ুয়াকে সন্ধ্যায় ক্যাম্পাস থেকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ।
এদিকে র্যাগিংয়ের ঘটনার তদন্তে লালন শাহ হলের প্রভোস্ট অধ্যাপক আকতার হোসেনকে প্রধান ও সহকারী রেজিস্ট্রার জিল্লুর রহমানকে সদস্যসচিব করে চার সদস্যের কমিটি গঠন করেছে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। কমিটির অন্য সদস্যরা হলেন- বিশ্ববিদ্যালয়ের সহকারী প্রক্টর অধ্যাপক ফখরুল ইসলাম এবং হলের আবাসিক শিক্ষক রসুল করিম। রোববারের মধ্যে কমিটিকে প্রতিবেদন জমা দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
ভুক্তভোগীদের অভিযোগ, কয়েকদিন ধরে বিভিন্নস্থানে তারা র্যাগিংয়ের শিকার হয়ে আসছিলেন। তাদের সঙ্গে অশোভন আচরণের পাশাপাশি বিভিন্নভাবে হুমকিসহ মানসিক ও শারীরিক নির্যাতন করা হয়।
ভুক্তভোগী তারেক হোসাইন বলেন, আমরা ক্যাম্পাসে এসেছি মাত্র ১৭ দিন। তারা আমাদের ১৭ দিনে কী পরিমাণ মানসিক নির্যাতন করেছে ভাষায় প্রকাশ করার মত নয়। আমরা সুষ্ঠু বিচার চাই।
প্রক্টর অধ্যাপক শাহীনুজ্জামান বলেন, র্যাগিংয়ের ঘটনায় মামলা হয়েছে। তবে মামলার বিষয়টা আলাদা। বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ তদন্ত কমিটি গঠন করেছে। তদন্তে সত্যতা পাওয়া গেলে বিশ্ববিদ্যালয়ের বিধি মোতাবেক দোষীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
ইবি থানার ওসি শেখ ফরিদ উদ্দীন বলেন, সোমবার রাতে র্যাগিংয়ের ঘটনায় জড়িত পাঁচ ছাত্রকে পুলিশে সোপর্দ করে ইবি প্রশাসন। এ ঘটনায় মামলার পর সন্ধ্যায় ওই পাঁচজনকে আদালতে তোলা হলে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন বিচারক।
গত সোমবার মধ্যরাতে লালন শাহ হলের ৩৩০ নম্বর কক্ষে (গণরুম) ফিন্যান্স অ্যান্ড ব্যাংকিং বিভাগের ২০২৩-২৪ বর্ষের শিক্ষার্থীদের র্যাগিংয়ের ঘটনা ঘটে।