alt

ক্যাম্পাস

জবিতে সাংবাদিকের বিরুদ্ধে দোকানের মালপত্র চুরি ও দখলের অভিযোগ

প্রতিনিধি, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় : শনিবার, ২৩ নভেম্বর ২০২৪

https://sangbad.net.bd/images/2024/November/23Nov24/news/WhatsApp%20Image%202024-11-23%20at%2022.31.05.jpeg

ভুক্তভোগী রফিক মোল্লা এভাবেই বসে কান্না করছিলেন। ছবি : সংগৃহীত

জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের সামনে থাকা কথিত টিএসসিতে একটি ভাতের দোকান জোরপূর্বক দোকান তুলে দেওয়ার চেষ্টার অভিযোগ উঠেছে বিশ্ববিদ্যালয়ের ইসলামের ইতিহাস ও সংস্কৃতি বিভাগের ১৬ তম ব্যাচের শিক্ষার্থী ও দৈনিক ইনকিলাবের বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিনিধি ওবায়দুল ইসলামের বিরুদ্ধে। এছাড়াও ওই দোকান থেকে প্রায় ৫০ হাজার টাকার মালপত্র চুরিও অভিযোগ পাওয়া গেছে। এঘটনায় সংবাদ প্রকাশের জেরে এক সাংবাদিকের বিরুদ্ধে থানায় জিডি করেছেন অভিযুক্ত ওবায়দুল।

জানা যায়, দীর্ঘদিন ধরে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান ফটকের সামনের খালি জায়গায় ব্যবসা করছেন কয়েকজন চায়ের দোকানদার ও ভাত বিক্রেতা। এই স্থানটিকে টিএসসি নামে ডেকে থাকেন শিক্ষার্থীরা। টিএসসির মাঝের অংশে কয়েকবছর ধরে ভাতের দোকান চালান রফিক মোল্লা। শিক্ষার্থীদের কাছে মোল্লা মামা নামেই অধিক পরিচিত তিনি। কিন্তু কয়েক সপ্তাহ ধরে রফিক মোল্লার দোকানটি তুলে নিতে হুমকি দিয়ে আসছিলেন অভিযুক্ত ওবায়দুল ইসলাম। গত শুক্রবার (২২ নভেম্বর) মোল্লার দোকান থেকে প্রয়োজনীয় আসবাবপত্রসহ দোকানের খুঁটিনাটি জিনিসও চুরি হয়ে যায়। অভিযোগ উঠেছে টিএসসির অপর একটি দোকানের দুই কর্মচারীর মাধ্যমে প্রায় ৬০ হাজার টাকা মূল্যের আসবাবপত্র অভিযুক্ত ওবায়দুল ইসলাম সরিয়ে নিয়েছেন। প্রত্যক্ষদর্শী কয়েকজনের সাথে কথা বলে অভিযোগের সত্যতাও মিলেছে। দোকান সরিয়ে জায়গা দখলে নিতে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যের নাম ভাঙানো হয়েছে বলেও অভিযোগ উঠেছে। বিষয়টি নিয়ে সামাজিক যোগযোগ মাধ্যমেও সমালোচনার ঝড় উঠেছে।

টিএসসিতে দেখা যায়, রফিক মোল্লার দোকানের জায়গায় নতুন একটি দোকান ঘর তোলা হচ্ছে। ইতিমধ্যে বাঁশের বেড়া দিয়ে জায়গাটি ঘেরাও করে রাখা হয়েছে।

https://sangbad.net.bd/images/2024/November/23Nov24/news/WhatsApp%20Image%202024-11-23%20at%2021.13.43.jpeg

রফিক মোল্লার দোকানের জায়গায় বাঁশের বেড়া দিয়ে ঘেরাও করে রাখা হয়েছে

ভুক্তভোগী রফিক মোল্লা ও প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, দুই সপ্তাহ আগে অভিযুক্ত ওবায়দুল ইসলাম ওরফে উবায় টিএসসিতে এসে তার দোকান সরিয়ে নিতে বলেন। পরে রফিক আপত্তি জানালে ওবায়দুল জানান সে বাখরখনির দোকান দিবে তাই রফিক মোল্লাকে টিএসসি থেকে এই দোকান সরাতে হবে। এর কিছুদিন পর আহমেদ নামে এক শিক্ষার্থী এসে রফিক মোল্লাকে দোকান সরাতে হুমকি দেন। আহমদ নামের ওই শিক্ষার্থী বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য দোকান সরাতে বলেছে বলেও মোল্লাকে হুমকি দেন।

রফিক মোল্লা আরো জানান, শুক্রবার দোকানে এসে দেখেন দোকানে আসবাবপত্রসহ মালপত্র কিছুই নেই, সব চুরি হয়ে গেছে। এরপর আজ শনিবার ( ২৩ নভেম্বর) সকালে আবার দোকান বসান মোল্লা । এরকিছু সময় পর খাবারের ভ্যান আসলে ওবায়দুলসহ কয়েকজন এসে ভ্যান ফেরত পাঠিয়ে দেয়। এসময় রফিক মোল্লার দোকানের কর্মচারীর ফোন কেড়ে নেন তারা।

রফিক মোল্লা বলেন, দুই সপ্তাহ আগে ওবায়দুল ইসলাম আমার দোকানে এসে বলে, তোমার দোকান সরাও আমি দোকান দিবো। আমি তাকে বলি, আমার দোকান সরালে আমি কিভাবে পরিবার নিয়ে কিভাবে চলবো, আমার পেটে লাথি দিয়ে দোকান কেন দিবেন? দোকানে অনেক কাস্টমারের বাকিও আছে। তখন সে বলে, তোমার দোকান সরাইতেই হবে, আমি এখানে বাকরখানির দোকান দিবো। এরপর সেদিনের মতো চলে গিয়ে আবার কিছুদিন পর সাথে দুই-তিনটা ছেলে এনে দোকান ছাড়তে চাপ দেয়। আমি দোকান না সরালে গত পরশুদিন ফোন করে দোকান ছাড়তে থ্রেট দেয়।

তিনি আরও বলেন, এরপরে শুক্রবার দোকান চালু করতে এসে দেখি দোকানে কোনো মাল নেই। দোকানের আসবাবপত্র, সিলিন্ডার মেশিনসহ প্রায় পঞ্চাশ হাজার টাকার মালামাল চুরি করে নিয়ে গেছে। পরে খোঁজ নিয়ে জানতে পারি ইমনের দোকানের স্টাফ মিন্টু আর বিল্লালকে দিয়ে ওবায়দুল মালামাল চুরি করায়। এরপর থেকে আমাকে তারা দোকানে ঢুকতে দিচ্ছেনা, চটা দিয়ে বেড়া দিয়ে রেখেছে। মাঝে তাদের একটা ছেলে এসে এটাও বলেছে ভিসি স্যার থেকে অনুমতি নিয়ে এসেছি, দোকান তোমাকে সরাতেই হবে।

ভুক্তভোগী আরও বলেন, আমার স্ত্রী প্রতিবন্ধী, ছেলেটা মাদ্রাসায় পরে। এখান থেকে যা আয় হয় তাই দিয়ে কোনো রকমে সংসার চালায়। আমার দোকান সড়িয়ে নিলে কিভাবে সংসার চালাবো। ভয়ে কাউকে কিছু বলতেও পারছি না, কি পদক্ষেপ নিবো বুঝতেও পারছি না। পুলিশের কাছে গেলে আরও যদি ক্ষতি করে এটাও ভয় হচ্ছে। জগন্নাথের শিক্ষার্থীরা আমারে মামা মামা করে। আমি পরিবার বলতে জগন্নাথকেই বুঝি।

টিএসসির দোকানদারদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, আন্দোলনের আগে শাখা ছাত্রলীগ এখান থেকে নিয়মিত চাঁদা উত্তোলন করতো। আন্দোলনের পর এখন অনেকেই সমন্বয়ক ও ছাত্রদল পরিচয়ে হম্বি-তম্বি শুরু করে। কয়েক সপ্তাহ আগে থেকে অভিযুক্ত ওবায়দুল দোকান দেওয়াকে কেন্দ্র করে মোল্লাকে হুমকি দিয়ে আসছে। মাঝে টিএসসির সামনের অংশে খাতা-কলম বিক্রেতা মনিরকেও হুমকি-ধামকি দেয় দোকান তুলে নিতে।

এবিষয়ে ভুক্তভোগী মনির বলেন, তারা পরে এসে ভুল স্বীকার করেছে। সমাধান হয়ে গেছে। এটা নিয়ে আর কিছু বলতে চাইনা। আমারও তো এখানে দোকান দিয়ে খেতে হবে।

এবিষয়ে নিউজ প্রকাশ করায় দুই সাংবাদিককে চাপ প্রয়োগেরও অভিযোগ উঠেছে অভিযুক্তের বিরুদ্ধে। অনলাইন পোর্টাল দেশদশের মাল্টিমিডিয়া সাংবাদিক মিনহাজুল ইসলাম বলেন, নিউজ করার পর আমার কাছে বিভিন্ন জায়গা থেকে ফোন এসেছে। যেনো নিউজ না করি। অনেকগুলো ফোন আসার পর আমি আর ফোন ধরিনি।

দৈনিক আনন্দবাজারেরে মাল্টিমিডিয়া রিপোর্টার মেহেদী কাউসার বলেন, আমি অভিযুক্ত ওবায়দুল ও দোকানি রফিক মোল্লা কাওকেই আগে চিনতাম না। টিএসসিতে চা খেতে গিয়ে রফিক মোল্লাকে কান্না করতে দেখে তাকে কি হয়েছে জিজ্ঞাসা করলে তিনি জানান, গতকাল রাতের বেলা ওবায়দুল তার সব মালামাল নিয়ে চলে গেছে। আমি সাংবাদিক হিসেবে ঘটনার সত্যতা পেয়ে এটার নিউজ করেছি। নিউজের জন্য অভিযুক্তের স্টেটমেন্ট নিতে তাকে কল দিলে সে সারাদিন কল রিসিভ করেনি। সন্ধ্যায় কল ব্যাক করে তিনি আমাকে ক্যাম্পাসে আমাকে থ্রেটের সুরে দেখা করতে বলেন। পরে ক্যাম্পাসে দেখা করার জন্য কল দিলে রিসিভ করেনি। এরপর নিউজ করা হলে হটাৎ রাতের বেলায় শুনি আমার নামে জিডি হয়েছে। অথচ এবিষয়ে থানা থেকে আমার সাথে একবারও যোগাযোগ করা হয়নি।

নামপ্রকাশ না করার শর্তে একাধিক শিক্ষার্থী ও গণমাধ্যমকর্মী জানান, অভিযুক্ত ওবায়দুল জগন্নাথের একটি হলে তার সাঙ্গপাঙ্গ নিয়ে দখল করে আছে। পুরান ঢাকার টিপু সুলতান রোডে অবস্থিত শহীদ নজরুল ইসলাম হলটি আগে শাখা ছাত্রলীগের ক্যাডারদের দখলে ছিলো। ৫ আগস্টের পর হলটি নিয়ে কোনো পদক্ষেপ নেইনি বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। এরআগে সে শাখা ছাত্রলীগের ঘনিষ্ট হিসেবে নিজেকে পরিচয় দিতো। ২০২৪ সালের জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ছাত্রলীগের সির্বাচন সমন্বয়ক কমিটিরও সদস্যও ছিল সে।

এবিষয়ে জানতে চাইলে অভিযুক্ত ওবায়দুল ইসলাম বলেন, আমার নামে যে মালামাল চুরির অভিযোগ উঠেছে, এটা সত্য নয়। আমার মালামাল দোকানে ছিলো। রফিক মোল্লা আমাকে দোকানের মালামালগুলো সরিয়ে নিতে অথবা ফেলে দিতে বলে। তখন আমি লোক দিয়ে মালামালগুলো সরিয়ে নেই। আর রফি কর্মচারীদের আমি মারধর করিনি বরং একটু ধাক্কাধাক্কি হয়েছে।

দোকান দখলের বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, এখানে অনেকেই দোকান দখল করে আছে। সবাই দখল করে দোকান দিয়েছে। সেগুলোর খোঁজ নিয়ে জানেন। আপনারা ওগুলো নিয়ে তো নিউজ করেননা। আমিও সাংবাদিকতা করি। আমার কাছেও কিছু তথ্য আছে।

এব্যাপারে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রদলের সভাপতি আসাদুজ্জামান আসলাম বলেন, বিষয়টি শুনেছি। এর আগেও শুনেছি সে জগন্নাথের একটা হলে উঠেছে এই পরিচয় দিয়ে। সে সাংবাদিক পরিচয় দিয়ে হয়তো এসব করেছে। সে ছাত্রদলের কর্মী না। তাই সাংগঠনিক ব্যবস্থা নেয়ার বিষয়টি আসছে না। তবুও সে যে ছাত্রদলের কর্মী না এটা আমরা বিবৃতি দিয়ে ক্লিয়ার করে দিবো।

এবিষয়ে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থী ফোরামের সদস্য ইভান তাহসীব বলেন, এটা খুবই নিন্দনীয় একটা কাজ। টিএসসিকে আমরা শিক্ষার্থীরা ধারণ করি। অথচ এটাকে রক্ষায় প্রশাসনের কোনো ভুমিকা নেই। বিশ্ববিদ্যালয়ে হাজার হাজার শিক্ষার্থী আছে যারা আর্থিক সংকটে ভুগছে। সবাই চাইলেই এখানে দখল করে দোকান দিতে পারবেন না। প্রশাসনের এটাকে অক্ষত রাখতে পদক্ষেপ নেয়া প্রয়োজন। আর এটা যিনি করেছেন তিনি কোনো বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীসূলভ কোনো আচরণ করেনি। তার বিরুদ্ধে তদন্তসাপেক্ষে দ্রুত শাস্তির ব্যবস্থা করতে হবে।

জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় সংস্কার আন্দোলনের নেতা মাসুদ রানা বলেন, আমি এই ঘটনা গতরাতে জেনেছি, এটি অপ্রত্যাশিত একটা ঘটনা। কোনো শিক্ষার্থী জোরপূর্বক কারো দোকান টিএসসি থেকে তুলে দিতে পারেন না। কেউ যদি টিএসসিতে দোকান দিতে চায়, তাহলে সে ফাঁকা জায়গায় দিতে পারে, অন্য কাউকে তুলে দিয়ে সে তার জায়গায় দোকান দিতে পারে না। প্রশাসনের উচিত এ ব্যাপারে দ্রুত পদক্ষেপ নেওয়া ও তদন্ত সাপেক্ষে দোষীদের বিরুদ্ধে বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া।

বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক ড. তাজাম্মুল হক বলেন, কি ধরনের অসৎ মানুষ হলে এগুলো করা তার পক্ষে সম্ভব। উপাচার্য তথা প্রশাসনকেও যদি এসব চুরি চামারির ভেতরে ঢুকিয়ে ফেলে। চল্লিশ বছরে যা অর্জন করেছি সব তো এরা ডুবিয়ে ফেলছে। এটা সিরিয়াসলি দেখা হবে।

বিশ্ববিদ্যালয়ের জনসংযোগ শাখার পরিচালক মুহাম্মদ আনওয়ারুস সালাম বলেন, এটি সিরিয়াস একটি বিষয়। আমি বিষয়টি শুনেছি, কিন্তু বিস্তারিত জানিনা। আমাকে লিখিত অভিযোগ দিলে আমি পদক্ষেপ নিবো।

উপাচার্যের নাম ব্যবহারের বিষয়ে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. রেজাউল করিম বলেন, তারা আমার নাম ব্যবহার করে এসব কেন করবে? তারা একদম ঠিক কাজ করছে না। তোমরা প্রক্টরকে এগুলো জানাবে। আজ তো ছুটির দিন, আমি আগামীকাল বিষয়টি দেখবো।

ছবি

জাবিতে উপড়ে ফেলা হলো অর্ধশতাধিক গাছ

ছবি

বিচার না হওয়া ও ‘স্বচ্ছতার অভাব’—জাকসু নির্বাচন পেছানোর পেছনে নানা ব্যাখ্যা

রাবিতে প্রেমঘটিত হতাশায় শিক্ষার্থীর ‘আত্মহত্যা প্রচেষ্টা’

ডাকসু নির্বাচন নিয়ে কমিশন গঠনের আশ্বাস, ঘোষণা আসতে পারে সোমবার

ছবি

জুলাই গণ-অভ্যুত্থানে নিহত ও আহতদের পরিবারের সদস্যদের জন্য ঢাবিতে বিশেষ ভর্তি সুবিধা

ছবি

সাম্য হত্যা: তদন্ত প্রতিবেদন জমা দিল ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কমিটি

ছবি

রাবির বঙ্গবন্ধু হলের নাম এখন ‘বিজয়-২৪’

ছবি

চবিতে ক্লাস করতে আসা বহিষ্কৃত ছাত্রলীগ কর্মীকে মারধর, মুচলেকা নিয়ে ছাড়

পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে উপাচার্য নিয়োগে সার্চ কমিটি গঠন

ছবি

সরকারি সাত কলেজ নিয়ে প্রস্তাবিত বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসক অধ্যাপক ইলিয়াস

ছবি

রায় বাতিলসহ ৬ দফা দাবিতে হাইকোর্টে পলিটেকনিক শিক্ষার্থীদের অবস্থান

দাবি মানার প্রতিশ্রুতিতে আন্দোলন স্থগিত করেন জবির শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা

ছবি

যমুনার উদ্দেশে জবি শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের লং মার্চ শুরু

ছবি

ছুরিকাঘাতে ঢাবি ছাত্রদল নেতা সাম্যের মৃত্যু, বিক্ষোভ

ছবি

বুধবার জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের সকল পরীক্ষা স্থগিত

ছবি

প্রধান উপদেষ্টার বাসভবন অভিমুখে জবি শিক্ষার্থীদের ‘লং মার্চ’ ঘোষণা

ছবি

চায়ের দোকানের মালিকানা নিয়ে ঝামেলা, তালা ঝুলিয়ে ‘দিলেন জবি ছাত্রদল নেতা’

আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধের খবরে ঢাবিতে স্লোগানে মুখর রাত

আবু সাঈদের জীবন দান দেশের ইতিহাসে গুরুত্বপূর্ণ রাজনৈতিক দার্শনিক ঘটনা: ফরহাদ মজহার

ছবি

কুয়েট উপাচার্যের দায়িত্বে হযরত আলী

ছবি

রাকসু নির্বাচন: ধীরগতি, ঝুলে আছে বিধিমালা ও ভোটার তালিকা

ছবি

রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়: গভীর রাতে রেজিস্ট্রারের বাড়িতে ককটেল বিস্ফোরণ

ছবি

৩৩ বছর পর জাকসু নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা, ভোট ৩১ জুলাই

জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়: চার মাসে চারজনের আত্মহত্যা, প্রবণতা কি বাড়ছে? কী করছে কাউন্সেলিং সেন্টার?

ছবি

গলায় ফাঁস দিয়ে জবি শিক্ষার্থীর আত্মহত্যা, পুলিশ হেফাজতে ১

ছবি

অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ হলো ইউআইইউ

ছবি

কুবির দুই শিক্ষার্থী বহিষ্কার

ছবি

জবির কেন্দ্রীয় লাইব্রেরিতে ছাত্রদলের পক্ষ থেকে বুকশেলফ প্রদান

ছবি

পিএসসি সংস্কারে ৮ দফা দাবি জবি শিক্ষার্থীদের

ছবি

জবি রেজিস্ট্রারের পদত্যাগ দাবি: ২৪ ঘন্টার আল্টিমেটাম, কুশপুত্তলিকা দাহ

ছবি

‘এলাকার কলেজে পড়লে পারতে, … গেট আউট’, জবি শিক্ষার্থীকে রেজিস্ট্রার

ছবি

কুয়েট শিক্ষার্থীদের অনশন কর্মসূচি প্রত্যাহারের অনুরোধ শিক্ষা উপদেষ্টার

ছবি

বাউবিতে ‘উন্মুক্ত ও দূরশিক্ষণের জন্য মিডিয়া ও ডিজিটাল প্রোডাকশন কৌশল’ বিষয়ক প্রশিক্ষণ

ছবি

‎জবি শিক্ষার্থীদের কাঁথা-বালিশ কর্মসূচি ঘোষণা

কুয়েট উপাচার্যের অপসারণের দাবিতে শিক্ষার্থীদের মশাল মিছিল

ছবি

খাগড়াছড়িতে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের পাঁচ শিক্ষার্থী অপহরণ, ইউপিডিএফের বিরুদ্ধে অভিযোগ

tab

ক্যাম্পাস

জবিতে সাংবাদিকের বিরুদ্ধে দোকানের মালপত্র চুরি ও দখলের অভিযোগ

প্রতিনিধি, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়

শনিবার, ২৩ নভেম্বর ২০২৪

https://sangbad.net.bd/images/2024/November/23Nov24/news/WhatsApp%20Image%202024-11-23%20at%2022.31.05.jpeg

ভুক্তভোগী রফিক মোল্লা এভাবেই বসে কান্না করছিলেন। ছবি : সংগৃহীত

জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের সামনে থাকা কথিত টিএসসিতে একটি ভাতের দোকান জোরপূর্বক দোকান তুলে দেওয়ার চেষ্টার অভিযোগ উঠেছে বিশ্ববিদ্যালয়ের ইসলামের ইতিহাস ও সংস্কৃতি বিভাগের ১৬ তম ব্যাচের শিক্ষার্থী ও দৈনিক ইনকিলাবের বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিনিধি ওবায়দুল ইসলামের বিরুদ্ধে। এছাড়াও ওই দোকান থেকে প্রায় ৫০ হাজার টাকার মালপত্র চুরিও অভিযোগ পাওয়া গেছে। এঘটনায় সংবাদ প্রকাশের জেরে এক সাংবাদিকের বিরুদ্ধে থানায় জিডি করেছেন অভিযুক্ত ওবায়দুল।

জানা যায়, দীর্ঘদিন ধরে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান ফটকের সামনের খালি জায়গায় ব্যবসা করছেন কয়েকজন চায়ের দোকানদার ও ভাত বিক্রেতা। এই স্থানটিকে টিএসসি নামে ডেকে থাকেন শিক্ষার্থীরা। টিএসসির মাঝের অংশে কয়েকবছর ধরে ভাতের দোকান চালান রফিক মোল্লা। শিক্ষার্থীদের কাছে মোল্লা মামা নামেই অধিক পরিচিত তিনি। কিন্তু কয়েক সপ্তাহ ধরে রফিক মোল্লার দোকানটি তুলে নিতে হুমকি দিয়ে আসছিলেন অভিযুক্ত ওবায়দুল ইসলাম। গত শুক্রবার (২২ নভেম্বর) মোল্লার দোকান থেকে প্রয়োজনীয় আসবাবপত্রসহ দোকানের খুঁটিনাটি জিনিসও চুরি হয়ে যায়। অভিযোগ উঠেছে টিএসসির অপর একটি দোকানের দুই কর্মচারীর মাধ্যমে প্রায় ৬০ হাজার টাকা মূল্যের আসবাবপত্র অভিযুক্ত ওবায়দুল ইসলাম সরিয়ে নিয়েছেন। প্রত্যক্ষদর্শী কয়েকজনের সাথে কথা বলে অভিযোগের সত্যতাও মিলেছে। দোকান সরিয়ে জায়গা দখলে নিতে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যের নাম ভাঙানো হয়েছে বলেও অভিযোগ উঠেছে। বিষয়টি নিয়ে সামাজিক যোগযোগ মাধ্যমেও সমালোচনার ঝড় উঠেছে।

টিএসসিতে দেখা যায়, রফিক মোল্লার দোকানের জায়গায় নতুন একটি দোকান ঘর তোলা হচ্ছে। ইতিমধ্যে বাঁশের বেড়া দিয়ে জায়গাটি ঘেরাও করে রাখা হয়েছে।

https://sangbad.net.bd/images/2024/November/23Nov24/news/WhatsApp%20Image%202024-11-23%20at%2021.13.43.jpeg

রফিক মোল্লার দোকানের জায়গায় বাঁশের বেড়া দিয়ে ঘেরাও করে রাখা হয়েছে

ভুক্তভোগী রফিক মোল্লা ও প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, দুই সপ্তাহ আগে অভিযুক্ত ওবায়দুল ইসলাম ওরফে উবায় টিএসসিতে এসে তার দোকান সরিয়ে নিতে বলেন। পরে রফিক আপত্তি জানালে ওবায়দুল জানান সে বাখরখনির দোকান দিবে তাই রফিক মোল্লাকে টিএসসি থেকে এই দোকান সরাতে হবে। এর কিছুদিন পর আহমেদ নামে এক শিক্ষার্থী এসে রফিক মোল্লাকে দোকান সরাতে হুমকি দেন। আহমদ নামের ওই শিক্ষার্থী বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য দোকান সরাতে বলেছে বলেও মোল্লাকে হুমকি দেন।

রফিক মোল্লা আরো জানান, শুক্রবার দোকানে এসে দেখেন দোকানে আসবাবপত্রসহ মালপত্র কিছুই নেই, সব চুরি হয়ে গেছে। এরপর আজ শনিবার ( ২৩ নভেম্বর) সকালে আবার দোকান বসান মোল্লা । এরকিছু সময় পর খাবারের ভ্যান আসলে ওবায়দুলসহ কয়েকজন এসে ভ্যান ফেরত পাঠিয়ে দেয়। এসময় রফিক মোল্লার দোকানের কর্মচারীর ফোন কেড়ে নেন তারা।

রফিক মোল্লা বলেন, দুই সপ্তাহ আগে ওবায়দুল ইসলাম আমার দোকানে এসে বলে, তোমার দোকান সরাও আমি দোকান দিবো। আমি তাকে বলি, আমার দোকান সরালে আমি কিভাবে পরিবার নিয়ে কিভাবে চলবো, আমার পেটে লাথি দিয়ে দোকান কেন দিবেন? দোকানে অনেক কাস্টমারের বাকিও আছে। তখন সে বলে, তোমার দোকান সরাইতেই হবে, আমি এখানে বাকরখানির দোকান দিবো। এরপর সেদিনের মতো চলে গিয়ে আবার কিছুদিন পর সাথে দুই-তিনটা ছেলে এনে দোকান ছাড়তে চাপ দেয়। আমি দোকান না সরালে গত পরশুদিন ফোন করে দোকান ছাড়তে থ্রেট দেয়।

তিনি আরও বলেন, এরপরে শুক্রবার দোকান চালু করতে এসে দেখি দোকানে কোনো মাল নেই। দোকানের আসবাবপত্র, সিলিন্ডার মেশিনসহ প্রায় পঞ্চাশ হাজার টাকার মালামাল চুরি করে নিয়ে গেছে। পরে খোঁজ নিয়ে জানতে পারি ইমনের দোকানের স্টাফ মিন্টু আর বিল্লালকে দিয়ে ওবায়দুল মালামাল চুরি করায়। এরপর থেকে আমাকে তারা দোকানে ঢুকতে দিচ্ছেনা, চটা দিয়ে বেড়া দিয়ে রেখেছে। মাঝে তাদের একটা ছেলে এসে এটাও বলেছে ভিসি স্যার থেকে অনুমতি নিয়ে এসেছি, দোকান তোমাকে সরাতেই হবে।

ভুক্তভোগী আরও বলেন, আমার স্ত্রী প্রতিবন্ধী, ছেলেটা মাদ্রাসায় পরে। এখান থেকে যা আয় হয় তাই দিয়ে কোনো রকমে সংসার চালায়। আমার দোকান সড়িয়ে নিলে কিভাবে সংসার চালাবো। ভয়ে কাউকে কিছু বলতেও পারছি না, কি পদক্ষেপ নিবো বুঝতেও পারছি না। পুলিশের কাছে গেলে আরও যদি ক্ষতি করে এটাও ভয় হচ্ছে। জগন্নাথের শিক্ষার্থীরা আমারে মামা মামা করে। আমি পরিবার বলতে জগন্নাথকেই বুঝি।

টিএসসির দোকানদারদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, আন্দোলনের আগে শাখা ছাত্রলীগ এখান থেকে নিয়মিত চাঁদা উত্তোলন করতো। আন্দোলনের পর এখন অনেকেই সমন্বয়ক ও ছাত্রদল পরিচয়ে হম্বি-তম্বি শুরু করে। কয়েক সপ্তাহ আগে থেকে অভিযুক্ত ওবায়দুল দোকান দেওয়াকে কেন্দ্র করে মোল্লাকে হুমকি দিয়ে আসছে। মাঝে টিএসসির সামনের অংশে খাতা-কলম বিক্রেতা মনিরকেও হুমকি-ধামকি দেয় দোকান তুলে নিতে।

এবিষয়ে ভুক্তভোগী মনির বলেন, তারা পরে এসে ভুল স্বীকার করেছে। সমাধান হয়ে গেছে। এটা নিয়ে আর কিছু বলতে চাইনা। আমারও তো এখানে দোকান দিয়ে খেতে হবে।

এবিষয়ে নিউজ প্রকাশ করায় দুই সাংবাদিককে চাপ প্রয়োগেরও অভিযোগ উঠেছে অভিযুক্তের বিরুদ্ধে। অনলাইন পোর্টাল দেশদশের মাল্টিমিডিয়া সাংবাদিক মিনহাজুল ইসলাম বলেন, নিউজ করার পর আমার কাছে বিভিন্ন জায়গা থেকে ফোন এসেছে। যেনো নিউজ না করি। অনেকগুলো ফোন আসার পর আমি আর ফোন ধরিনি।

দৈনিক আনন্দবাজারেরে মাল্টিমিডিয়া রিপোর্টার মেহেদী কাউসার বলেন, আমি অভিযুক্ত ওবায়দুল ও দোকানি রফিক মোল্লা কাওকেই আগে চিনতাম না। টিএসসিতে চা খেতে গিয়ে রফিক মোল্লাকে কান্না করতে দেখে তাকে কি হয়েছে জিজ্ঞাসা করলে তিনি জানান, গতকাল রাতের বেলা ওবায়দুল তার সব মালামাল নিয়ে চলে গেছে। আমি সাংবাদিক হিসেবে ঘটনার সত্যতা পেয়ে এটার নিউজ করেছি। নিউজের জন্য অভিযুক্তের স্টেটমেন্ট নিতে তাকে কল দিলে সে সারাদিন কল রিসিভ করেনি। সন্ধ্যায় কল ব্যাক করে তিনি আমাকে ক্যাম্পাসে আমাকে থ্রেটের সুরে দেখা করতে বলেন। পরে ক্যাম্পাসে দেখা করার জন্য কল দিলে রিসিভ করেনি। এরপর নিউজ করা হলে হটাৎ রাতের বেলায় শুনি আমার নামে জিডি হয়েছে। অথচ এবিষয়ে থানা থেকে আমার সাথে একবারও যোগাযোগ করা হয়নি।

নামপ্রকাশ না করার শর্তে একাধিক শিক্ষার্থী ও গণমাধ্যমকর্মী জানান, অভিযুক্ত ওবায়দুল জগন্নাথের একটি হলে তার সাঙ্গপাঙ্গ নিয়ে দখল করে আছে। পুরান ঢাকার টিপু সুলতান রোডে অবস্থিত শহীদ নজরুল ইসলাম হলটি আগে শাখা ছাত্রলীগের ক্যাডারদের দখলে ছিলো। ৫ আগস্টের পর হলটি নিয়ে কোনো পদক্ষেপ নেইনি বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। এরআগে সে শাখা ছাত্রলীগের ঘনিষ্ট হিসেবে নিজেকে পরিচয় দিতো। ২০২৪ সালের জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ছাত্রলীগের সির্বাচন সমন্বয়ক কমিটিরও সদস্যও ছিল সে।

এবিষয়ে জানতে চাইলে অভিযুক্ত ওবায়দুল ইসলাম বলেন, আমার নামে যে মালামাল চুরির অভিযোগ উঠেছে, এটা সত্য নয়। আমার মালামাল দোকানে ছিলো। রফিক মোল্লা আমাকে দোকানের মালামালগুলো সরিয়ে নিতে অথবা ফেলে দিতে বলে। তখন আমি লোক দিয়ে মালামালগুলো সরিয়ে নেই। আর রফি কর্মচারীদের আমি মারধর করিনি বরং একটু ধাক্কাধাক্কি হয়েছে।

দোকান দখলের বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, এখানে অনেকেই দোকান দখল করে আছে। সবাই দখল করে দোকান দিয়েছে। সেগুলোর খোঁজ নিয়ে জানেন। আপনারা ওগুলো নিয়ে তো নিউজ করেননা। আমিও সাংবাদিকতা করি। আমার কাছেও কিছু তথ্য আছে।

এব্যাপারে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রদলের সভাপতি আসাদুজ্জামান আসলাম বলেন, বিষয়টি শুনেছি। এর আগেও শুনেছি সে জগন্নাথের একটা হলে উঠেছে এই পরিচয় দিয়ে। সে সাংবাদিক পরিচয় দিয়ে হয়তো এসব করেছে। সে ছাত্রদলের কর্মী না। তাই সাংগঠনিক ব্যবস্থা নেয়ার বিষয়টি আসছে না। তবুও সে যে ছাত্রদলের কর্মী না এটা আমরা বিবৃতি দিয়ে ক্লিয়ার করে দিবো।

এবিষয়ে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থী ফোরামের সদস্য ইভান তাহসীব বলেন, এটা খুবই নিন্দনীয় একটা কাজ। টিএসসিকে আমরা শিক্ষার্থীরা ধারণ করি। অথচ এটাকে রক্ষায় প্রশাসনের কোনো ভুমিকা নেই। বিশ্ববিদ্যালয়ে হাজার হাজার শিক্ষার্থী আছে যারা আর্থিক সংকটে ভুগছে। সবাই চাইলেই এখানে দখল করে দোকান দিতে পারবেন না। প্রশাসনের এটাকে অক্ষত রাখতে পদক্ষেপ নেয়া প্রয়োজন। আর এটা যিনি করেছেন তিনি কোনো বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীসূলভ কোনো আচরণ করেনি। তার বিরুদ্ধে তদন্তসাপেক্ষে দ্রুত শাস্তির ব্যবস্থা করতে হবে।

জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় সংস্কার আন্দোলনের নেতা মাসুদ রানা বলেন, আমি এই ঘটনা গতরাতে জেনেছি, এটি অপ্রত্যাশিত একটা ঘটনা। কোনো শিক্ষার্থী জোরপূর্বক কারো দোকান টিএসসি থেকে তুলে দিতে পারেন না। কেউ যদি টিএসসিতে দোকান দিতে চায়, তাহলে সে ফাঁকা জায়গায় দিতে পারে, অন্য কাউকে তুলে দিয়ে সে তার জায়গায় দোকান দিতে পারে না। প্রশাসনের উচিত এ ব্যাপারে দ্রুত পদক্ষেপ নেওয়া ও তদন্ত সাপেক্ষে দোষীদের বিরুদ্ধে বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া।

বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক ড. তাজাম্মুল হক বলেন, কি ধরনের অসৎ মানুষ হলে এগুলো করা তার পক্ষে সম্ভব। উপাচার্য তথা প্রশাসনকেও যদি এসব চুরি চামারির ভেতরে ঢুকিয়ে ফেলে। চল্লিশ বছরে যা অর্জন করেছি সব তো এরা ডুবিয়ে ফেলছে। এটা সিরিয়াসলি দেখা হবে।

বিশ্ববিদ্যালয়ের জনসংযোগ শাখার পরিচালক মুহাম্মদ আনওয়ারুস সালাম বলেন, এটি সিরিয়াস একটি বিষয়। আমি বিষয়টি শুনেছি, কিন্তু বিস্তারিত জানিনা। আমাকে লিখিত অভিযোগ দিলে আমি পদক্ষেপ নিবো।

উপাচার্যের নাম ব্যবহারের বিষয়ে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. রেজাউল করিম বলেন, তারা আমার নাম ব্যবহার করে এসব কেন করবে? তারা একদম ঠিক কাজ করছে না। তোমরা প্রক্টরকে এগুলো জানাবে। আজ তো ছুটির দিন, আমি আগামীকাল বিষয়টি দেখবো।

back to top