alt

ঢাবিতে ‘ঘৃণাস্তম্ভ’: হাসিনার সেই ছবি আবার আঁকা হল

সংবাদ অনলাইন রিপোর্ট : সোমবার, ৩০ ডিসেম্বর ২০২৪

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের রাজু ভাস্কর্যের পাশের মেট্রোরেলের পিলারে মুছে ফেলা শেখ হাসিনার গ্রাফিতি আবারও আঁকা হয়েছে। ছবিটি আগের মতোই পুনর্নির্মাণে অংশ নেন বিভিন্ন ছাত্র সংগঠন ও বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতারা।

রোববার রাত থেকে শুরু হওয়া এই কাজ শেষ হয় সোমবার সকালে।

আন্দোলনের নেতারা বলেন, শেখ হাসিনার এ গ্রাফিতি গণঅভ্যুত্থানের প্রতীক হয়ে উঠেছে, যা দেশের জনগণের ক্ষোভ ও ঘৃণার প্রতিফলন।

প্রশাসনের নির্দেশে গ্রাফিতিটি মুছে ফেলার ঘটনায় শিক্ষার্থীদের মধ্যে ক্ষোভ ছড়িয়ে পড়ে। তবে নতুনভাবে আঁকার সময়, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন এটিকে “ঘৃণাস্তম্ভ” হিসেবে স্বীকৃতি দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছে।

ছাত্র ইউনিয়নের কেন্দ্রীয় সহ-সভাপতি শিমুল কুম্ভকার ও ছাত্র ফেডারেশনের সাবেক প্রচার সম্পাদক মমিন মুক্তার সবুজসহ আরও অনেকে এই কাজে নেতৃত্ব দেন।

ছাত্র ইউনিয়নের ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখার সভাপতি মেঘমল্লার বসু বলেন, “ক্রিয়াশীল সকল ছাত্র সংগঠনকে নিয়ে এ গ্রাফিতি আঁকা হয়েছে। এটা একটা ভালো লক্ষণ যে সকলে মিলে এটি করেছে। তবে আগের গ্রাফিতি মুছে ফেলায় ইতিহাসের একটি দলিল মোছা হয়েছে। সেজন্য আমরা প্রশাসনকে এত সহজে ছাড় দিতে পারি না।”

বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের মুখপাত্র উমামা ফাতেমা বলেন, “এ গ্রাফিতি কারো একার সম্পদ নয়, এটা সকলেরই সম্পদ। ৩ অগাস্ট বাংলাদেশের মানুষ প্রাণের ভয় না করে টিএসসিতে এসে শেখ হাসিনার ছবিতে জুতা নিক্ষেপ করে ক্ষোভ প্রকাশ করেছিল। সেই দলিলটা মুছে গেছে। প্রক্টর এটা কেন করলেন সেটার জবাব দেওয়া উচিৎ। এখন ছবিটা আঁকা হচ্ছে নতুন করে, তবে আসল জিনিসটা আর থাকল না।”

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিভাগের শিক্ষার্থী ও বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়ক রিফাত রশিদ বলেন, “শেখ হাসিনার ছবির পরে শেখ মুজিবুর রহমানের ছবিও আঁকা হবে। বেলা ১টায় জুতা নিক্ষেপ কর্মসূচি দেওয়া হয়েছে।”

বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর দপ্তর থেকে এক বিজ্ঞপ্তিতে দুঃখ প্রকাশ করে জানানো হয়, ছবিটি মুছে ফেলার সিদ্ধান্ত ছিল “অনিচ্ছাকৃত ভুল”।

ছবি

ডাকসু নির্বাচন: ভোট হাতে গণনার আবেদন উমামা ফাতেমার

ছবি

এক সপ্তাহের মধ্যে জকসু নির্বাচনের রূপরেখাসহ ৫ দাবি গণতান্ত্রিক ছাত্রসংসদের

ছবি

নারায়ণগঞ্জ চারুকলায় মাস্টার্স প্রোগ্রাম চালুর দাবি, প্রো-ভিসির আশ্বাস

ছবি

রাকসু: চূড়ান্ত প্রার্থী তালিকা, ভিপি পদে ১৮

ছবি

জাকসু নির্বাচন নিয়ে ১৬ অভিযোগ: নিরপেক্ষ তদন্ত দাবি শিক্ষক নেটওয়ার্কের

ছবি

রাকসু: তিন সাবেক সমন্বয়কের ‘আধিপত্যবিরোধী ঐক্য’ প্যানেল, শিবিরের ‘ছায়ার’ গুঞ্জন

ছবি

জাকসু: ভোট গণনায় অসঙ্গতি, বৈধ ভোটের চেয়ে বেশী ভোটের হিসাব, বিজয়ী ঘোষণা করে পরে বাতিল

ছবি

রাকসু: নির্বাচনী প্রচারণায় মানতে হবে যেসব নিয়ম

ছবি

রাকসু: বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় ৩৯ জন হল সংসদে নির্বাচিত

ছবি

ডাকসুর নির্বাচিত প্রতিনিধিদের আনুষ্ঠানিকভাবে দায়িত্ব গ্রহণ

ছবি

রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ-রাকসু নির্বাচনে ঘোষিত নয়টি প্যানেল

ছবি

চাকসু নির্বাচনে মনোনয়নপত্র বিতরণ শুরু, প্রথম দিনেই সংগ্রহ ২৮টি

ছবি

রাকসু: স্বতন্ত্র প্রার্থীদের একাংশের প্যানেল, তবে নেই ভিপি, জিএস, এজিএস

ছবি

ডাকসুর প্রথম সভায় সিনেটের জন্য ৫ প্রতিনিধি মনোনীত

ছবি

৩৫ বছর পর চাকসু: মনোনয়নপত্র বিতরণ শুরু

ছবি

রাকসুর নীতিমালা সংশোধন, লটারিতে নির্ধারিত হবে ব্যালট নম্বর

জাকসু নির্বাচন গ্রহণযোগ্যতা হারায়নি: নবনির্বাচিত জিএস মাজহারুল

ছবি

রাকসু: আচরণবিধি ‘লঙ্ঘন’ করে চলছে প্রচার-প্রচারণা

ছবি

অব্যবস্থাপনায় প্রশ্নবিদ্ধ নির্বাচনে জাকসুতেও অধিকাংশ শিবির, তবে ভিপি স্বতন্ত্র সাবেক ছাত্রলীগ

ছবি

৩৩ বছর পর জাকসু নির্বাচনে স্বতন্ত্র প্রার্থী ভিপি, শিবিরের প্রার্থী জিএসে বিজয়ী

ছবি

জাহাঙ্গীরনগর: হল সংসদ নির্বাচনের ফলাফল, বিজয়ীদের তালিকা

ছবি

জাহাঙ্গীরনগর: হল সংসদ নির্বাচনের ফলাফল, বিজয়ীদের তালিকা

ছবি

অব্যবস্থাপনায় প্রশ্নবিদ্ধ নির্বাচনে জাকসুতেও অধিকাংশ শিবির, ভিপি স্বতন্ত্র সাবেক ছাত্রলীগ

ছবি

বেরোবির দাওয়া সোসাইটি’র নবীন বরণে শিক্ষার্থীদের কুরআনসহ বিভিন্ন উপহার প্রদান

ছবি

জাকসু: অবশেষে ভোটের ফল ঘোষণা চলছে

ছবি

জাকসু নির্বাচন: আরেক কমিশনারের পদত্যাগ, অনিয়মে বর্জনের হিড়িক

ছবি

জাকসু: অবশেষে ভোট গোণা শেষ, তবে ফল ঘোষণা সন্ধ্যায়

ছবি

জাবি: রোববার ক্লাস ও পরীক্ষা বন্ধ

ছবি

জাকসু নির্বাচনের ফল ঘোষণা হতে পারে শনিবার সন্ধ্যায়

ছবি

জাকসু: এবার বেলা ১টার মধ্যে ভোট গণনা ‘শেষের আশা’

ছবি

জাকসু: ৪০ ঘণ্টা পরও গণনা শেষ হয়নি

জাকসু: ছাত্রদলের বিরুদ্ধে মিথ্যাচার ও অনিয়মের অভিযোগে বিবৃতি জাতীয়তাবাদী শিক্ষক ফোরামের, অবগত নয় তালিকাভুক্ত শিক্ষক

ছবি

জাকসু: অনিয়মের অভিযোগে নির্বাচনের দায়িত্ব থেকে অব্যাহতি নিলেন তিন শিক্ষক

ছবি

প্রশ্নবিদ্ধ জাকসু নির্বাচনের ভোট গণনা চলছেই

ছবি

জাকসু: নির্বাচন বানচালে বিএনপিপন্থী দুই শিক্ষক ইন্ধন দিচ্ছেন, অভিযোগ শিবির প্রার্থীর

ছবি

জাকসু: ভোট গণনা চল‌ছে, বিভ্রান্ত না হতে কমিশনের আহ্বান

tab

news » campus

ঢাবিতে ‘ঘৃণাস্তম্ভ’: হাসিনার সেই ছবি আবার আঁকা হল

সংবাদ অনলাইন রিপোর্ট

সোমবার, ৩০ ডিসেম্বর ২০২৪

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের রাজু ভাস্কর্যের পাশের মেট্রোরেলের পিলারে মুছে ফেলা শেখ হাসিনার গ্রাফিতি আবারও আঁকা হয়েছে। ছবিটি আগের মতোই পুনর্নির্মাণে অংশ নেন বিভিন্ন ছাত্র সংগঠন ও বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতারা।

রোববার রাত থেকে শুরু হওয়া এই কাজ শেষ হয় সোমবার সকালে।

আন্দোলনের নেতারা বলেন, শেখ হাসিনার এ গ্রাফিতি গণঅভ্যুত্থানের প্রতীক হয়ে উঠেছে, যা দেশের জনগণের ক্ষোভ ও ঘৃণার প্রতিফলন।

প্রশাসনের নির্দেশে গ্রাফিতিটি মুছে ফেলার ঘটনায় শিক্ষার্থীদের মধ্যে ক্ষোভ ছড়িয়ে পড়ে। তবে নতুনভাবে আঁকার সময়, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন এটিকে “ঘৃণাস্তম্ভ” হিসেবে স্বীকৃতি দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছে।

ছাত্র ইউনিয়নের কেন্দ্রীয় সহ-সভাপতি শিমুল কুম্ভকার ও ছাত্র ফেডারেশনের সাবেক প্রচার সম্পাদক মমিন মুক্তার সবুজসহ আরও অনেকে এই কাজে নেতৃত্ব দেন।

ছাত্র ইউনিয়নের ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখার সভাপতি মেঘমল্লার বসু বলেন, “ক্রিয়াশীল সকল ছাত্র সংগঠনকে নিয়ে এ গ্রাফিতি আঁকা হয়েছে। এটা একটা ভালো লক্ষণ যে সকলে মিলে এটি করেছে। তবে আগের গ্রাফিতি মুছে ফেলায় ইতিহাসের একটি দলিল মোছা হয়েছে। সেজন্য আমরা প্রশাসনকে এত সহজে ছাড় দিতে পারি না।”

বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের মুখপাত্র উমামা ফাতেমা বলেন, “এ গ্রাফিতি কারো একার সম্পদ নয়, এটা সকলেরই সম্পদ। ৩ অগাস্ট বাংলাদেশের মানুষ প্রাণের ভয় না করে টিএসসিতে এসে শেখ হাসিনার ছবিতে জুতা নিক্ষেপ করে ক্ষোভ প্রকাশ করেছিল। সেই দলিলটা মুছে গেছে। প্রক্টর এটা কেন করলেন সেটার জবাব দেওয়া উচিৎ। এখন ছবিটা আঁকা হচ্ছে নতুন করে, তবে আসল জিনিসটা আর থাকল না।”

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিভাগের শিক্ষার্থী ও বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়ক রিফাত রশিদ বলেন, “শেখ হাসিনার ছবির পরে শেখ মুজিবুর রহমানের ছবিও আঁকা হবে। বেলা ১টায় জুতা নিক্ষেপ কর্মসূচি দেওয়া হয়েছে।”

বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর দপ্তর থেকে এক বিজ্ঞপ্তিতে দুঃখ প্রকাশ করে জানানো হয়, ছবিটি মুছে ফেলার সিদ্ধান্ত ছিল “অনিচ্ছাকৃত ভুল”।

back to top