ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের রাজু ভাস্কর্যের পাশের মেট্রোরেলের পিলারে মুছে ফেলা শেখ হাসিনার গ্রাফিতি আবারও আঁকা হয়েছে। ছবিটি আগের মতোই পুনর্নির্মাণে অংশ নেন বিভিন্ন ছাত্র সংগঠন ও বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতারা।
রোববার রাত থেকে শুরু হওয়া এই কাজ শেষ হয় সোমবার সকালে।
আন্দোলনের নেতারা বলেন, শেখ হাসিনার এ গ্রাফিতি গণঅভ্যুত্থানের প্রতীক হয়ে উঠেছে, যা দেশের জনগণের ক্ষোভ ও ঘৃণার প্রতিফলন।
প্রশাসনের নির্দেশে গ্রাফিতিটি মুছে ফেলার ঘটনায় শিক্ষার্থীদের মধ্যে ক্ষোভ ছড়িয়ে পড়ে। তবে নতুনভাবে আঁকার সময়, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন এটিকে “ঘৃণাস্তম্ভ” হিসেবে স্বীকৃতি দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছে।
ছাত্র ইউনিয়নের কেন্দ্রীয় সহ-সভাপতি শিমুল কুম্ভকার ও ছাত্র ফেডারেশনের সাবেক প্রচার সম্পাদক মমিন মুক্তার সবুজসহ আরও অনেকে এই কাজে নেতৃত্ব দেন।
ছাত্র ইউনিয়নের ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখার সভাপতি মেঘমল্লার বসু বলেন, “ক্রিয়াশীল সকল ছাত্র সংগঠনকে নিয়ে এ গ্রাফিতি আঁকা হয়েছে। এটা একটা ভালো লক্ষণ যে সকলে মিলে এটি করেছে। তবে আগের গ্রাফিতি মুছে ফেলায় ইতিহাসের একটি দলিল মোছা হয়েছে। সেজন্য আমরা প্রশাসনকে এত সহজে ছাড় দিতে পারি না।”
বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের মুখপাত্র উমামা ফাতেমা বলেন, “এ গ্রাফিতি কারো একার সম্পদ নয়, এটা সকলেরই সম্পদ। ৩ অগাস্ট বাংলাদেশের মানুষ প্রাণের ভয় না করে টিএসসিতে এসে শেখ হাসিনার ছবিতে জুতা নিক্ষেপ করে ক্ষোভ প্রকাশ করেছিল। সেই দলিলটা মুছে গেছে। প্রক্টর এটা কেন করলেন সেটার জবাব দেওয়া উচিৎ। এখন ছবিটা আঁকা হচ্ছে নতুন করে, তবে আসল জিনিসটা আর থাকল না।”
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিভাগের শিক্ষার্থী ও বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়ক রিফাত রশিদ বলেন, “শেখ হাসিনার ছবির পরে শেখ মুজিবুর রহমানের ছবিও আঁকা হবে। বেলা ১টায় জুতা নিক্ষেপ কর্মসূচি দেওয়া হয়েছে।”
বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর দপ্তর থেকে এক বিজ্ঞপ্তিতে দুঃখ প্রকাশ করে জানানো হয়, ছবিটি মুছে ফেলার সিদ্ধান্ত ছিল “অনিচ্ছাকৃত ভুল”।
সোমবার, ৩০ ডিসেম্বর ২০২৪
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের রাজু ভাস্কর্যের পাশের মেট্রোরেলের পিলারে মুছে ফেলা শেখ হাসিনার গ্রাফিতি আবারও আঁকা হয়েছে। ছবিটি আগের মতোই পুনর্নির্মাণে অংশ নেন বিভিন্ন ছাত্র সংগঠন ও বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতারা।
রোববার রাত থেকে শুরু হওয়া এই কাজ শেষ হয় সোমবার সকালে।
আন্দোলনের নেতারা বলেন, শেখ হাসিনার এ গ্রাফিতি গণঅভ্যুত্থানের প্রতীক হয়ে উঠেছে, যা দেশের জনগণের ক্ষোভ ও ঘৃণার প্রতিফলন।
প্রশাসনের নির্দেশে গ্রাফিতিটি মুছে ফেলার ঘটনায় শিক্ষার্থীদের মধ্যে ক্ষোভ ছড়িয়ে পড়ে। তবে নতুনভাবে আঁকার সময়, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন এটিকে “ঘৃণাস্তম্ভ” হিসেবে স্বীকৃতি দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছে।
ছাত্র ইউনিয়নের কেন্দ্রীয় সহ-সভাপতি শিমুল কুম্ভকার ও ছাত্র ফেডারেশনের সাবেক প্রচার সম্পাদক মমিন মুক্তার সবুজসহ আরও অনেকে এই কাজে নেতৃত্ব দেন।
ছাত্র ইউনিয়নের ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখার সভাপতি মেঘমল্লার বসু বলেন, “ক্রিয়াশীল সকল ছাত্র সংগঠনকে নিয়ে এ গ্রাফিতি আঁকা হয়েছে। এটা একটা ভালো লক্ষণ যে সকলে মিলে এটি করেছে। তবে আগের গ্রাফিতি মুছে ফেলায় ইতিহাসের একটি দলিল মোছা হয়েছে। সেজন্য আমরা প্রশাসনকে এত সহজে ছাড় দিতে পারি না।”
বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের মুখপাত্র উমামা ফাতেমা বলেন, “এ গ্রাফিতি কারো একার সম্পদ নয়, এটা সকলেরই সম্পদ। ৩ অগাস্ট বাংলাদেশের মানুষ প্রাণের ভয় না করে টিএসসিতে এসে শেখ হাসিনার ছবিতে জুতা নিক্ষেপ করে ক্ষোভ প্রকাশ করেছিল। সেই দলিলটা মুছে গেছে। প্রক্টর এটা কেন করলেন সেটার জবাব দেওয়া উচিৎ। এখন ছবিটা আঁকা হচ্ছে নতুন করে, তবে আসল জিনিসটা আর থাকল না।”
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিভাগের শিক্ষার্থী ও বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়ক রিফাত রশিদ বলেন, “শেখ হাসিনার ছবির পরে শেখ মুজিবুর রহমানের ছবিও আঁকা হবে। বেলা ১টায় জুতা নিক্ষেপ কর্মসূচি দেওয়া হয়েছে।”
বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর দপ্তর থেকে এক বিজ্ঞপ্তিতে দুঃখ প্রকাশ করে জানানো হয়, ছবিটি মুছে ফেলার সিদ্ধান্ত ছিল “অনিচ্ছাকৃত ভুল”।