* অভিভাবকদের পাঁচ দাবি
গাজীপুরের ‘ইসলামিক ইউনিভার্সিটি অব টেকনোলজি’র (আইইউটি) কয়েকজন শিক্ষকের বিরুদ্ধে শিক্ষার্থীদের শারীরিক ও মানসিক নির্যাতনের অভিযোগ করেছেন বেশ কয়েকজন অভিভাবক। তারা ওইসব শিক্ষকের বিরুদ্ধে ‘র্যাগিং, একাডেমিক প্লেজিয়ারিজম, আর্থিক অনিয়ম ও দুর্নীতির’ অভিযোগও তুলেছেন। অভিভাবকরা সুষ্ঠু তদন্ত সাপেক্ষে অভিযুক্ত শিক্ষকদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য সরকারের প্রতি দাবি জানিয়েছেন।
আজ রোববার জাতীয় প্রেস ক্লাবে ‘কনসার্নড গার্ডিয়ানস অব আইইউটি’ শীর্ষক ব্যানারে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে বিশ্ববিদ্যালয়টিতে অধ্যয়নরত শিক্ষার্থীদের অভিভাবকরা এ দাবি জানান। এ সময় অভিভাবক প্রতিনিধিদের মধ্যে ড. আসাদুজ্জামান, ড. গোলাম আযম, শাজাহান সরদারসহ অনেকে উপস্থিত ছিলেন।
অভিভাবকরা পাঁচ দফা দাবি তুলে আগামী ৫দিনের মধ্যে এসব দাবি পূরণের আহবান জানিয়েছেন। তাদের দাবিগুলোর মধ্যে রয়েছে- পিকনিকে ঘটে যাওয়া দুর্ঘটনার জন্য দায়ী ব্যক্তি এবং পরে শিক্ষার্থীদের বিরুদ্ধে অবমাননাকর মন্তব্য করা ব্যক্তিদের শাস্তি দেওয়া; বিভিন্ন অভিযোগে অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে দ্রƒত তদন্ত করে তাদের অপসারণ ও শাস্তি প্রদান; প্রশাসন কর্তৃক গঠিত সকল তদন্ত কমিটিতে ছাত্র প্রতিনিধি অন্তর্ভুক্ত করা; শিক্ষার্থীদের অভিযোগ ও দাবিগুলোর যথাযথ সমাধান করা এবং শিক্ষার্থীদের নিরাপত্তা, মানসিক সুরক্ষা ও একাডেমিক অগ্রগতির নিশ্চয়তা প্রদান করা।
বিশ্ববিদ্যালয়ের একাডেমিক কার্যক্রম বন্ধ থাকায় গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করে অভিভাবকরা বলেন, ‘আমরা, আমাদের সন্তান এবং আইইউটির ভবিষ্যৎ রক্ষা করতে ঐক্যবদ্ধ। দোষীদের অপসারণসহ আমাদের দাবি পূরণ না হওয়া পর্যন্ত আমরা সন্তানদের ক্লাসে যেতে দেব না। আমাদের সন্তানরা যে ধরনের অবিচার ও নির্ঘাতনের শিকার হচ্ছে, তা অগ্রহণযোগ্য এবং শিক্ষার মতো একটি পবিত্র প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে এটি একেবারেই মানানসই নয়।’
গত বছরের ১৩ নভেম্বর আইইউটির মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং ডিপার্টমেন্টের প্রায় সাড়ে চারশ’ শিক্ষার্থী বিআরটিসির ডাবল ডেকার বাসে করে গাজীপুরের তেলিহাটি ইউনিয়নের উত্তর পেলাইদ গ্রামের মাটির মায়া ইকো রিসোর্টে রওয়ানা দেয়।
সেখানে যাওয়ার পথে বাসগুলো আঞ্চলিক সড়ক দিয়ে উদয়খালী বাজারে পৌঁছালে বিআরটিসির একটি বাসের সঙ্গে পল্লী বিদ্যুতের তারের স্পর্শ হয়। এতে বাসে তিন শিক্ষার্থীর মৃত্যু হয়। মারা যাওয়া শিক্ষার্থীরা হলেন- মোজাম্মেল হোসেন নাঈম (২৪), মোস্তাকিম রহমান মাহিন (২২) ও জোবায়ের আলম সাকিব (২২)। তারা সবাই মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের তৃতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী ছিলেন।
ওই ঘটনার পর সাধারণ শিক্ষার্থীরা অভিযোগ করেন, বনভোজন আয়োজনে নিরাপত্তা ঘাটতি ও অবহেলার কারণে মেধাবী তিন শিক্ষার্থীর মৃত্যু হয়েছে। এ ঘটনায় দায়ীদের শাস্তি দাবিসহ ১৩ দফা দাবিতে শিক্ষার্থীরা টানা তৃতীয় সপ্তাহ বিক্ষোভ করেন।
আইইউটি’র শিক্ষার্থীদের অভিযোগ, কতিপয় শিক্ষকের বিরুদ্ধে অসদাচরণ, দুর্নীতি এবং প্রশাসনের একটি ‘অনুমোদনহীন’ সিন্ডিকেটের প্রভাব রয়েছে। দুর্ঘটনার পর বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ এবং কতিপয় শিক্ষক চরম অসংবেদনশীলতা এবং দায়িত্বহীনতা প্রদর্শন করেছে। মর্মান্তিকভাবে বিশ্ববিদ্যালয়ের তিনজন শিক্ষার্থী প্রাণ হারানোর ঘটনায় বিশ্ববিদ্যালয়ের মধ্যে বিভিন্ন পর্যায়ের সমস্যাগুলো উন্মোচন করেছে শিক্ষার্থীরা, যা জবাবদিহিতা ও সংস্কারের জন্য একটি বৃহদাকারের আন্দোলনে রূপ নিয়েছে। এসময় অসদাচরণ, অবহেলায় জড়িত শিক্ষক, কর্মকর্তাদের বিচার দাবি করেন আসছে শিক্ষার্থীরা।
* অভিভাবকদের পাঁচ দাবি
রোববার, ২৬ জানুয়ারী ২০২৫
গাজীপুরের ‘ইসলামিক ইউনিভার্সিটি অব টেকনোলজি’র (আইইউটি) কয়েকজন শিক্ষকের বিরুদ্ধে শিক্ষার্থীদের শারীরিক ও মানসিক নির্যাতনের অভিযোগ করেছেন বেশ কয়েকজন অভিভাবক। তারা ওইসব শিক্ষকের বিরুদ্ধে ‘র্যাগিং, একাডেমিক প্লেজিয়ারিজম, আর্থিক অনিয়ম ও দুর্নীতির’ অভিযোগও তুলেছেন। অভিভাবকরা সুষ্ঠু তদন্ত সাপেক্ষে অভিযুক্ত শিক্ষকদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য সরকারের প্রতি দাবি জানিয়েছেন।
আজ রোববার জাতীয় প্রেস ক্লাবে ‘কনসার্নড গার্ডিয়ানস অব আইইউটি’ শীর্ষক ব্যানারে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে বিশ্ববিদ্যালয়টিতে অধ্যয়নরত শিক্ষার্থীদের অভিভাবকরা এ দাবি জানান। এ সময় অভিভাবক প্রতিনিধিদের মধ্যে ড. আসাদুজ্জামান, ড. গোলাম আযম, শাজাহান সরদারসহ অনেকে উপস্থিত ছিলেন।
অভিভাবকরা পাঁচ দফা দাবি তুলে আগামী ৫দিনের মধ্যে এসব দাবি পূরণের আহবান জানিয়েছেন। তাদের দাবিগুলোর মধ্যে রয়েছে- পিকনিকে ঘটে যাওয়া দুর্ঘটনার জন্য দায়ী ব্যক্তি এবং পরে শিক্ষার্থীদের বিরুদ্ধে অবমাননাকর মন্তব্য করা ব্যক্তিদের শাস্তি দেওয়া; বিভিন্ন অভিযোগে অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে দ্রƒত তদন্ত করে তাদের অপসারণ ও শাস্তি প্রদান; প্রশাসন কর্তৃক গঠিত সকল তদন্ত কমিটিতে ছাত্র প্রতিনিধি অন্তর্ভুক্ত করা; শিক্ষার্থীদের অভিযোগ ও দাবিগুলোর যথাযথ সমাধান করা এবং শিক্ষার্থীদের নিরাপত্তা, মানসিক সুরক্ষা ও একাডেমিক অগ্রগতির নিশ্চয়তা প্রদান করা।
বিশ্ববিদ্যালয়ের একাডেমিক কার্যক্রম বন্ধ থাকায় গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করে অভিভাবকরা বলেন, ‘আমরা, আমাদের সন্তান এবং আইইউটির ভবিষ্যৎ রক্ষা করতে ঐক্যবদ্ধ। দোষীদের অপসারণসহ আমাদের দাবি পূরণ না হওয়া পর্যন্ত আমরা সন্তানদের ক্লাসে যেতে দেব না। আমাদের সন্তানরা যে ধরনের অবিচার ও নির্ঘাতনের শিকার হচ্ছে, তা অগ্রহণযোগ্য এবং শিক্ষার মতো একটি পবিত্র প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে এটি একেবারেই মানানসই নয়।’
গত বছরের ১৩ নভেম্বর আইইউটির মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং ডিপার্টমেন্টের প্রায় সাড়ে চারশ’ শিক্ষার্থী বিআরটিসির ডাবল ডেকার বাসে করে গাজীপুরের তেলিহাটি ইউনিয়নের উত্তর পেলাইদ গ্রামের মাটির মায়া ইকো রিসোর্টে রওয়ানা দেয়।
সেখানে যাওয়ার পথে বাসগুলো আঞ্চলিক সড়ক দিয়ে উদয়খালী বাজারে পৌঁছালে বিআরটিসির একটি বাসের সঙ্গে পল্লী বিদ্যুতের তারের স্পর্শ হয়। এতে বাসে তিন শিক্ষার্থীর মৃত্যু হয়। মারা যাওয়া শিক্ষার্থীরা হলেন- মোজাম্মেল হোসেন নাঈম (২৪), মোস্তাকিম রহমান মাহিন (২২) ও জোবায়ের আলম সাকিব (২২)। তারা সবাই মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের তৃতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী ছিলেন।
ওই ঘটনার পর সাধারণ শিক্ষার্থীরা অভিযোগ করেন, বনভোজন আয়োজনে নিরাপত্তা ঘাটতি ও অবহেলার কারণে মেধাবী তিন শিক্ষার্থীর মৃত্যু হয়েছে। এ ঘটনায় দায়ীদের শাস্তি দাবিসহ ১৩ দফা দাবিতে শিক্ষার্থীরা টানা তৃতীয় সপ্তাহ বিক্ষোভ করেন।
আইইউটি’র শিক্ষার্থীদের অভিযোগ, কতিপয় শিক্ষকের বিরুদ্ধে অসদাচরণ, দুর্নীতি এবং প্রশাসনের একটি ‘অনুমোদনহীন’ সিন্ডিকেটের প্রভাব রয়েছে। দুর্ঘটনার পর বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ এবং কতিপয় শিক্ষক চরম অসংবেদনশীলতা এবং দায়িত্বহীনতা প্রদর্শন করেছে। মর্মান্তিকভাবে বিশ্ববিদ্যালয়ের তিনজন শিক্ষার্থী প্রাণ হারানোর ঘটনায় বিশ্ববিদ্যালয়ের মধ্যে বিভিন্ন পর্যায়ের সমস্যাগুলো উন্মোচন করেছে শিক্ষার্থীরা, যা জবাবদিহিতা ও সংস্কারের জন্য একটি বৃহদাকারের আন্দোলনে রূপ নিয়েছে। এসময় অসদাচরণ, অবহেলায় জড়িত শিক্ষক, কর্মকর্তাদের বিচার দাবি করেন আসছে শিক্ষার্থীরা।