alt

ক্যাম্পাস

জাবি ভর্তি পরীক্ষায় পোষ্য কোটা বাতিলের দাবিতে আমৃত্যু গণ-অনশন

জাবি প্রতিনিধি : রোববার, ০২ ফেব্রুয়ারী ২০২৫

আসন্ন ভর্তি পরীক্ষায় পোষ্য কোটা বাতিলের দাবিতে আমৃত্যু গণ-অনশন শুরু করেছেন জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের (জাবি) একদল শিক্ষার্থী।

রোববার (২ ফেব্রুয়ারি) সকাল ১১ টার দিকে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ব্যানারে বিশ্ববিদ্যালয়ের নতুন প্রশাসনিক ভবনের সামনে এ কর্মসূচি শুরু করেন তারা। দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত গণ-অনশন কর্মসূচি চলবে বলে ঘোষণা দেন তারা।

অনশনরত শিক্ষার্থীরা হলেন- বিশ্ববিদ্যালয়ের সরকার ও রাজনীতি বিভাগের ৪৯তম ব্যাচের মো. নাহিদ হাসান, একই ব্যাচের গণিত বিভাগের নাসিম আল তারিক, ৫০তম ব্যাচের মার্কেটিং বিভাগের শিক্ষার্থী মোহাম্মদ রায়হান, গণিত বিভাগের গালিব হাসান, নৃবিজ্ঞান বিভাগের নাজমুল হাসান লিমন, আইবিএ বিভাগের ফারহানা বিনতে জিগার ফারিনা এবং ম্যানেজমেন্ট স্টাডিজ বিভাগের ৫১তম ব্যাচের শিক্ষার্থী নাদিয়া রহমান অন্বেষা ও কাজী মেহরাব।

অনশনরত শিক্ষার্থীরা বলছেন, গণঅভ্যুত্থানের পর বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে পোষ্য কোটা নামে কোনো কোটা থাকতে পারে না। অযৌক্তিক পোষ্য কোটা সম্পূর্ণরূপে বাতিলের দাবিতে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ব্যানারে আমৃত্যু গণঅনশন কর্মসূচি শুরু হয়েছে। চব্বিশের গণঅভ্যুত্থানের পর সেই কোটা নিয়ে আবারও অনশনে বসতে হচ্ছে, যা হতাশা ও লজ্জার বিষয়। ভর্তি পরীক্ষায় অযৌক্তিক পোষ্য কোটার জন্য বঞ্চিত হচ্ছে সাধারণ শিক্ষার্থীরা। তাই জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়কে চিরতরে অযৌক্তিক পোষ্য কোটা বাতিলের লক্ষ্যে আমাদের আমৃত্যু অনশনে বসা।

অনশনে বসা শিক্ষার্থী নাজমুল হাসান বলেন, পোষ্য কোটার মতো বৈষম্য আর নেই। আমরা বৈষম্যহীন এক নতুন বাংলাদেশের জন্য জুলাই গণ অভ্যুত্থানে অংশগ্রহণ করেছি। অথচ মেধাবী শিক্ষার্থীদের জন্য গলার কাঁটা নামক পোষ্য কোটা চালু রয়েছে বিশ্ববিদ্যালয়ে। যা গণ অভ্যুত্থানের আকাঙ্ক্ষা পূরণে ব্যত্যয় ঘটায়। আজকের পোষ্য কোটা বাতিলের কর্মসূচি সম্পর্কে আমরা মোটামুটি সবাই জানি। অযৌক্তিক পোষ্য কোটার সম্পূর্ণ ইতি টানার সময় এটিই। আমরা এখানে সকলে একই মতাদর্শের নই। ভিন্নতা অবশ্যই আছে। কিন্তু আমরা সকলেই পোষ্য কোটার ভয়াবহতা দেখেছি এবং দেখছি। পোষ্য কোটা জন্ম দেয় অসংখ্য শামীম মোল্লার। পোষ্য কোটা বিলুপ্তির যে আন্দোলনে আমরা নেমেছি, এটি আমাদের গণঅভ্যুত্থান পরবর্তী বাংলাদেশের আকাঙ্ক্ষা। কারণ আবু সাঈদ রক্ত দিয়েছিল কোটার নামে হওয়া বৈষম্য নিরসনের জন্য। যদি জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় থেকে এই অভিশাপকে আমরা নির্মূল করতে না পারি তবে সেটা আবু সাঈদের রক্তের সাথে বেইমানি হবে। আজ অনশনে বসেছি এবং এই পোষ্য কোটা নামক অভিশাপ বাতিল করেই উঠবো ইনশাআল্লাহ।

অনশনে বসা শিক্ষার্থী মোহাম্মদ আলী চিশতী বলেন, যেই পোষ্য কোটার জন্য মেধাবীরা অবমূল্যায়িত হয় ।নামে মাত্র নাম্বার পেয়ে অযোগ্যরা মেধাবীদের অধিকারকে কেড়ে নেয় এবং পরবর্তীতে অদক্ষদের মাধ্যমে দেশ ও জাতি পরিচালিত হয়। সেই অযৌক্তিক পোষ্য কোটা সম্পূর্ণরূপে বাতিল না করা পর্যন্ত আমৃত্যু অনশন চালিয়ে যাবো।

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন জাবি শাখার যুগ্ম সদস্য সচিব নাহিদ হাসান বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ে যে অযৌক্তিক কোটা পদ্ধতি রয়েছে, তা গোড়া থেকে উপড়ে দিতে আমরা অনশনে বসেছি। চব্বিশের গণঅভ্যুত্থানে আমাদের প্রাণের দাবি ছিল- মেধাভিত্তিক মূল্যায়ন করা, কোটা দিয়ে নয়। কিন্তু অভ্যুত্থান পরবর্তী সময়ে এমন অযৌক্তিক কোটা পদ্ধতি জাবিতে বিদ্যমান থাকা আমাদের জন্য লজ্জার। এমনকি আমাদের ভাইবোনদের রক্তের ওপর দাঁড়িয়ে থাকা প্রশাসনের জন্যও লজ্জার। অযৌক্তিক পোষ্য কোটা বাতিল না হলে আমাদের কর্মসূচি চলবে।

এবিষয়ে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন জাবি শাখার সদস্যসচিব তৌহিদ মোহাম্মদ সিয়াম বলেন, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে এখনো অযৌক্তিক পোষ্য কোটা বিদ্যমান। আমরা দীর্ঘদিন ধরে প্রশাসনের কাছে এই পোষ্য কোটা সম্পূর্ণরূপে বাতিলের দাবি জানিয়ে আসছি। যেহেতু এই কোটার কোনো যৌক্তিকতা নেই, সেহেতু এটি সংস্কারের প্রয়োজন আছে বলে আমরা মনে করি না। এটা সম্পূর্ণরূপে বাতিল করতে হবে।

তিনি আরও বলেন, প্রশাসন আমাদের কথায় কোন গুরুত্ব দেয়নি। সেই জায়গা থেকে আমাদের ভাই বোনেরা আজ এই গণঅনশন কর্মসূচিতে অংশগ্রহণ করেছে। আমরা বিশ্ববিদ্যালয়ের সকল সচেতন শিক্ষার্থীদের এই গণ অনশনে অংশ নেয়ার জন্য আহ্বান জানাচ্ছি এবং বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনকে কঠোর ভাবে বার্তা দিতে চাচ্ছি যে যতক্ষণ না এই অযৌক্তিক প্রশ্নটা জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় থেকে সম্পূর্ণরূপ বাতিল হবে ততক্ষণ পর্যন্ত আমরা আমাদের এই কর্মসূচি চালিয়ে যাব।

ছবি

চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে ৯ ছাত্রীর বহিষ্কার বাতিলের দাবিতে মানববন্ধন

ছবি

কুবিতে বসন্ত উৎসব

ছবি

চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়: ৯ ছাত্রীর বহিষ্কার বাতিল ও প্রক্টরের পদত্যাগ দাবিতে মানববন্ধন

ছবি

জবির ‘বি’ ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষায় উপস্থিতি ৮১ শতাংশ

ছবি

পঞ্চাশোর্ধ তৌহিদুর রহমানের স্বপ্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়া

ছবি

জবির কলা ও আইন অনুষদের ভর্তি পরীক্ষা আজ

ছবি

জবির ‘ডি’ ইউনিটের প্রথম শিফটে উপস্থিতি ৮৭ শতাংশ

ছবি

শিফটভিত্তিক ফলাফল দেবে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় : উপাচার্য

ছবি

জবির ‘ডি’ ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষা শুরু

ছবি

জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের কমিটি ঘোষণা, নেতৃত্বে মাসুদ-সিফাত

ছবি

লিডিং ইউনিভার্সিটির নতুন উপাচার্য শাবিপ্রবির অধ্যাপক তাজউদ্দিন

ছবি

শাবিতে ইউরোপীয় ইউনিয়নের ইরাসমাস মুন্ডাস বৃত্তি সংক্রান্ত সেমিনার

ছবি

সিকৃবিতে উচ্চ শিক্ষার সুযোগ বৃদ্ধিতে আসন সংখ্যা বৃদ্ধির সিদ্ধান্ত

ছবি

ঢাবিতে ছাত্র ফ্রন্টের সমাবেশে শিক্ষার্থীদের প্রতিবাদ, ২৬টি মাইক বন্ধ

ছবি

জবির ‘ডি’ ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষা কাল, প্রতি আসনে লড়বে ৪২ শিক্ষার্থী

ছবি

‘জবির দ্বিতীয় ক্যাম্পাসের প্রথম ধাপের কাজ ২০২৬ সালের মধ্যেই শেষ’

ছবি

রংপুর বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের দই হলের নাম পরিবর্তন

ছবি

খুলে ফেলা হলো জবি ছাত্রীহলের নামফলক, শিগগিরই নতুন নাম

ছবি

চুয়েটে শেখ মুজিব ও শেখ রাসেলের ম্যুরাল ভাঙচুর

ছবি

ঢাবিতে বঙ্গবন্ধু হলের নাম মুছে নামকরণ করলেন শিক্ষার্থীরা

ছবি

জাবিতে বঙ্গবন্ধু ও শেখ হাসিনার ম্যুরাল ভাঙচুর

ছবি

বইমেলায় এলো জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের ৪ নতুন বই

ছবি

ক্লাসে ফিরল তিতুমীর কলেজের শিক্ষার্থীরা

ছবি

বর্ণাঢ্য আয়োজনে কুবিতে সরস্বতী পূজা উদযাপন

ছবি

জবিতে সরস্বতী পূজা সম্পন্ন, বিদ্যার দেবীর আশীর্বাদ প্রার্থনা শিক্ষার্থীদের

ছবি

জবিতে ইংরেজি বিভাগের বিদ্যা বন্দনায় এবারও নারী পুরোহিত

ছবি

জগন্নাথে ৩৭ মণ্ডপে সরস্বতী পূজা, চলছে শেষ মুহূর্তের প্রস্তুতি

ছবি

বিচার বহির্ভূত হত্যার প্রতিবাদে জবিতে মানববন্ধন

ছবি

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রথমবারের মতো ‘হিজাব র‍্যালি’ অনুষ্ঠিত

ছবি

শতাধিক শিক্ষার্থীকে প্রশিক্ষণ দিল জবি ফিচার কলাম রাইটার্স

শাহজালাল বিশ্ববিদ্যালয়ে বঙ্গবন্ধু হলের নামফলকে ঝুলিয়ে দেওয়া হলো ‘বিজয় ২৪ হল’ লেখা ব্যানার

ছবি

শহীদ মিনারে জুতা পায়ে ওঠা নিয়ে জবির দুই শিক্ষার্থীকে মারধর, হাসপাতালে ভর্তি

ছবি

বিশ্ববিদ্যালয়ের দাবিতে তিতুমীর কলেজ শিক্ষার্থীদের সড়ক অবরোধ

ছবি

কুবি সাংবাদিক সমিতির নেতৃত্বে সাঈদ-মুরাদ

ছবি

বাঁধন জবি ইউনিটের নেতৃত্বে মাবুদা-নিশাদ

ছবি

ঢাবিতে আর থাকছে না সাত কলেজ

tab

ক্যাম্পাস

জাবি ভর্তি পরীক্ষায় পোষ্য কোটা বাতিলের দাবিতে আমৃত্যু গণ-অনশন

জাবি প্রতিনিধি

রোববার, ০২ ফেব্রুয়ারী ২০২৫

আসন্ন ভর্তি পরীক্ষায় পোষ্য কোটা বাতিলের দাবিতে আমৃত্যু গণ-অনশন শুরু করেছেন জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের (জাবি) একদল শিক্ষার্থী।

রোববার (২ ফেব্রুয়ারি) সকাল ১১ টার দিকে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ব্যানারে বিশ্ববিদ্যালয়ের নতুন প্রশাসনিক ভবনের সামনে এ কর্মসূচি শুরু করেন তারা। দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত গণ-অনশন কর্মসূচি চলবে বলে ঘোষণা দেন তারা।

অনশনরত শিক্ষার্থীরা হলেন- বিশ্ববিদ্যালয়ের সরকার ও রাজনীতি বিভাগের ৪৯তম ব্যাচের মো. নাহিদ হাসান, একই ব্যাচের গণিত বিভাগের নাসিম আল তারিক, ৫০তম ব্যাচের মার্কেটিং বিভাগের শিক্ষার্থী মোহাম্মদ রায়হান, গণিত বিভাগের গালিব হাসান, নৃবিজ্ঞান বিভাগের নাজমুল হাসান লিমন, আইবিএ বিভাগের ফারহানা বিনতে জিগার ফারিনা এবং ম্যানেজমেন্ট স্টাডিজ বিভাগের ৫১তম ব্যাচের শিক্ষার্থী নাদিয়া রহমান অন্বেষা ও কাজী মেহরাব।

অনশনরত শিক্ষার্থীরা বলছেন, গণঅভ্যুত্থানের পর বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে পোষ্য কোটা নামে কোনো কোটা থাকতে পারে না। অযৌক্তিক পোষ্য কোটা সম্পূর্ণরূপে বাতিলের দাবিতে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ব্যানারে আমৃত্যু গণঅনশন কর্মসূচি শুরু হয়েছে। চব্বিশের গণঅভ্যুত্থানের পর সেই কোটা নিয়ে আবারও অনশনে বসতে হচ্ছে, যা হতাশা ও লজ্জার বিষয়। ভর্তি পরীক্ষায় অযৌক্তিক পোষ্য কোটার জন্য বঞ্চিত হচ্ছে সাধারণ শিক্ষার্থীরা। তাই জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়কে চিরতরে অযৌক্তিক পোষ্য কোটা বাতিলের লক্ষ্যে আমাদের আমৃত্যু অনশনে বসা।

অনশনে বসা শিক্ষার্থী নাজমুল হাসান বলেন, পোষ্য কোটার মতো বৈষম্য আর নেই। আমরা বৈষম্যহীন এক নতুন বাংলাদেশের জন্য জুলাই গণ অভ্যুত্থানে অংশগ্রহণ করেছি। অথচ মেধাবী শিক্ষার্থীদের জন্য গলার কাঁটা নামক পোষ্য কোটা চালু রয়েছে বিশ্ববিদ্যালয়ে। যা গণ অভ্যুত্থানের আকাঙ্ক্ষা পূরণে ব্যত্যয় ঘটায়। আজকের পোষ্য কোটা বাতিলের কর্মসূচি সম্পর্কে আমরা মোটামুটি সবাই জানি। অযৌক্তিক পোষ্য কোটার সম্পূর্ণ ইতি টানার সময় এটিই। আমরা এখানে সকলে একই মতাদর্শের নই। ভিন্নতা অবশ্যই আছে। কিন্তু আমরা সকলেই পোষ্য কোটার ভয়াবহতা দেখেছি এবং দেখছি। পোষ্য কোটা জন্ম দেয় অসংখ্য শামীম মোল্লার। পোষ্য কোটা বিলুপ্তির যে আন্দোলনে আমরা নেমেছি, এটি আমাদের গণঅভ্যুত্থান পরবর্তী বাংলাদেশের আকাঙ্ক্ষা। কারণ আবু সাঈদ রক্ত দিয়েছিল কোটার নামে হওয়া বৈষম্য নিরসনের জন্য। যদি জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় থেকে এই অভিশাপকে আমরা নির্মূল করতে না পারি তবে সেটা আবু সাঈদের রক্তের সাথে বেইমানি হবে। আজ অনশনে বসেছি এবং এই পোষ্য কোটা নামক অভিশাপ বাতিল করেই উঠবো ইনশাআল্লাহ।

অনশনে বসা শিক্ষার্থী মোহাম্মদ আলী চিশতী বলেন, যেই পোষ্য কোটার জন্য মেধাবীরা অবমূল্যায়িত হয় ।নামে মাত্র নাম্বার পেয়ে অযোগ্যরা মেধাবীদের অধিকারকে কেড়ে নেয় এবং পরবর্তীতে অদক্ষদের মাধ্যমে দেশ ও জাতি পরিচালিত হয়। সেই অযৌক্তিক পোষ্য কোটা সম্পূর্ণরূপে বাতিল না করা পর্যন্ত আমৃত্যু অনশন চালিয়ে যাবো।

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন জাবি শাখার যুগ্ম সদস্য সচিব নাহিদ হাসান বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ে যে অযৌক্তিক কোটা পদ্ধতি রয়েছে, তা গোড়া থেকে উপড়ে দিতে আমরা অনশনে বসেছি। চব্বিশের গণঅভ্যুত্থানে আমাদের প্রাণের দাবি ছিল- মেধাভিত্তিক মূল্যায়ন করা, কোটা দিয়ে নয়। কিন্তু অভ্যুত্থান পরবর্তী সময়ে এমন অযৌক্তিক কোটা পদ্ধতি জাবিতে বিদ্যমান থাকা আমাদের জন্য লজ্জার। এমনকি আমাদের ভাইবোনদের রক্তের ওপর দাঁড়িয়ে থাকা প্রশাসনের জন্যও লজ্জার। অযৌক্তিক পোষ্য কোটা বাতিল না হলে আমাদের কর্মসূচি চলবে।

এবিষয়ে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন জাবি শাখার সদস্যসচিব তৌহিদ মোহাম্মদ সিয়াম বলেন, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে এখনো অযৌক্তিক পোষ্য কোটা বিদ্যমান। আমরা দীর্ঘদিন ধরে প্রশাসনের কাছে এই পোষ্য কোটা সম্পূর্ণরূপে বাতিলের দাবি জানিয়ে আসছি। যেহেতু এই কোটার কোনো যৌক্তিকতা নেই, সেহেতু এটি সংস্কারের প্রয়োজন আছে বলে আমরা মনে করি না। এটা সম্পূর্ণরূপে বাতিল করতে হবে।

তিনি আরও বলেন, প্রশাসন আমাদের কথায় কোন গুরুত্ব দেয়নি। সেই জায়গা থেকে আমাদের ভাই বোনেরা আজ এই গণঅনশন কর্মসূচিতে অংশগ্রহণ করেছে। আমরা বিশ্ববিদ্যালয়ের সকল সচেতন শিক্ষার্থীদের এই গণ অনশনে অংশ নেয়ার জন্য আহ্বান জানাচ্ছি এবং বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনকে কঠোর ভাবে বার্তা দিতে চাচ্ছি যে যতক্ষণ না এই অযৌক্তিক প্রশ্নটা জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় থেকে সম্পূর্ণরূপ বাতিল হবে ততক্ষণ পর্যন্ত আমরা আমাদের এই কর্মসূচি চালিয়ে যাব।

back to top