খাগড়াছড়ির সদর উপজেলার গিরিফুল এলাকা থেকে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের পাঁচ শিক্ষার্থীকে অপহরণ করা হয়েছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। বুধবার ভোর সাড়ে ৬টার দিকে এ অপহরণ ঘটে বলে জানিয়েছেন খাগড়াছড়ির পুলিশ সুপার মো. আরেফিন জুয়েল।
অপহৃতদের মধ্যে রিশান চাকমা পাহাড়ি ছাত্র পরিষদ (পিসিপি) চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় কমিটির সদস্য এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিভাগের শিক্ষার্থী।
অপহৃত অন্য চারজন হলেন- চারুকলা বিভাগের শিক্ষার্থী মৈত্রীময় চাকমা, নাট্যকলা বিভাগের দিব্যি চাকমা, প্রাণিবিদ্যা বিভাগের লংঙি ম্রো এবং চারুকলা বিভাগের অলড্রিন ত্রিপুরা। তারা প্রত্যেকেই ২০২৩-২৪ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী। এছাড়া শিক্ষার্থীদের বহনকারী টমটম চালককেও অপহরণ করা হয়েছে, তবে তার নাম জানা যায়নি।
পিসিপির কেন্দ্রীয় সভাপতি নিপুন ত্রিপুরা জানান, “রিশান আমাদের ছাত্র সংগঠনের চবি শাখার সদস্য। তারা গতকাল বাঘাইছড়িতে বিজু উৎসব শেষ করে খাগড়াছড়ি হয়ে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে ফেরার কথা ছিল। কিন্তু বাসের টিকেট না পাওয়ায় কুকিছড়া এলাকায় মৈত্রীময়ের এক আত্মীয়ের বাড়িতে রাত কাটান। সকালে ৭টার গাড়িতে তাদের ফেরার কথা ছিল। কিন্তু গিরিফুল এলাকা থেকে তাদের জোরপূর্বক তুলে নেওয়া হয়।”
তিনি অভিযোগ করেন, ইউপিডিএফ (প্রসীত) এই অপহরণের সঙ্গে জড়িত।
তবে ইউপিডিএফের জেলা সংগঠক অংগ্য মারমা অপহরণের ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগ অস্বীকার করেছেন। তিনি বলেন, “অপহরণের সঙ্গে আমাদের কোনো সম্পৃক্ততা নেই। প্রতিহিংসাপরায়ণ রাজনীতি আমরা করি না। বরং কোনো মহল ষড়যন্ত্রমূলকভাবে আমাদের উপর দায় চাপাচ্ছে।”
পুলিশ সুপার মো. আরেফিন জুয়েল বলেন, “পাঁচ শিক্ষার্থীসহ ছয়জনকে অপহরণের বিষয়টি কিছুক্ষণ আগে শুনেছি। পাহাড়ের একটি আঞ্চলিক সংগঠন জড়িত থাকতে পারে। আমরা মোবাইল প্রযুক্তি ব্যবহার করে তাদের অবস্থান শনাক্তের চেষ্টা করছি।”
ঘটনার জন্য ইউপিডিএফ (প্রসীত) কে দায়ী করেছে পার্বত্য চট্টগ্রাম জনসংহতি সমিতি (জেএসএস) সমর্থিত পাহাড়ি ছাত্র পরিষদ (পিসিপি)।
বুধবার, ১৬ এপ্রিল ২০২৫
খাগড়াছড়ির সদর উপজেলার গিরিফুল এলাকা থেকে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের পাঁচ শিক্ষার্থীকে অপহরণ করা হয়েছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। বুধবার ভোর সাড়ে ৬টার দিকে এ অপহরণ ঘটে বলে জানিয়েছেন খাগড়াছড়ির পুলিশ সুপার মো. আরেফিন জুয়েল।
অপহৃতদের মধ্যে রিশান চাকমা পাহাড়ি ছাত্র পরিষদ (পিসিপি) চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় কমিটির সদস্য এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিভাগের শিক্ষার্থী।
অপহৃত অন্য চারজন হলেন- চারুকলা বিভাগের শিক্ষার্থী মৈত্রীময় চাকমা, নাট্যকলা বিভাগের দিব্যি চাকমা, প্রাণিবিদ্যা বিভাগের লংঙি ম্রো এবং চারুকলা বিভাগের অলড্রিন ত্রিপুরা। তারা প্রত্যেকেই ২০২৩-২৪ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী। এছাড়া শিক্ষার্থীদের বহনকারী টমটম চালককেও অপহরণ করা হয়েছে, তবে তার নাম জানা যায়নি।
পিসিপির কেন্দ্রীয় সভাপতি নিপুন ত্রিপুরা জানান, “রিশান আমাদের ছাত্র সংগঠনের চবি শাখার সদস্য। তারা গতকাল বাঘাইছড়িতে বিজু উৎসব শেষ করে খাগড়াছড়ি হয়ে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে ফেরার কথা ছিল। কিন্তু বাসের টিকেট না পাওয়ায় কুকিছড়া এলাকায় মৈত্রীময়ের এক আত্মীয়ের বাড়িতে রাত কাটান। সকালে ৭টার গাড়িতে তাদের ফেরার কথা ছিল। কিন্তু গিরিফুল এলাকা থেকে তাদের জোরপূর্বক তুলে নেওয়া হয়।”
তিনি অভিযোগ করেন, ইউপিডিএফ (প্রসীত) এই অপহরণের সঙ্গে জড়িত।
তবে ইউপিডিএফের জেলা সংগঠক অংগ্য মারমা অপহরণের ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগ অস্বীকার করেছেন। তিনি বলেন, “অপহরণের সঙ্গে আমাদের কোনো সম্পৃক্ততা নেই। প্রতিহিংসাপরায়ণ রাজনীতি আমরা করি না। বরং কোনো মহল ষড়যন্ত্রমূলকভাবে আমাদের উপর দায় চাপাচ্ছে।”
পুলিশ সুপার মো. আরেফিন জুয়েল বলেন, “পাঁচ শিক্ষার্থীসহ ছয়জনকে অপহরণের বিষয়টি কিছুক্ষণ আগে শুনেছি। পাহাড়ের একটি আঞ্চলিক সংগঠন জড়িত থাকতে পারে। আমরা মোবাইল প্রযুক্তি ব্যবহার করে তাদের অবস্থান শনাক্তের চেষ্টা করছি।”
ঘটনার জন্য ইউপিডিএফ (প্রসীত) কে দায়ী করেছে পার্বত্য চট্টগ্রাম জনসংহতি সমিতি (জেএসএস) সমর্থিত পাহাড়ি ছাত্র পরিষদ (পিসিপি)।