খুলনা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (কুয়েট) উপাচার্য অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ মাছুদের অপসারণের দাবিতে মশাল মিছিল করেছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা।
বৃহস্পতিবার (১৭ এপ্রিল) সন্ধ্যা ৭টায় শিক্ষার্থীরা ক্যাম্পাসের দুর্বার বাংলা চত্বরে জড়ো হন। পরে সাড়ে ৭টায় তারা মশাল মিছিল শুরু করেন, যা ক্যাম্পাসের বিভিন্ন সড়ক ঘুরে প্রধান ফটকের সামনে গিয়ে শেষ হয়। মিছিলে অংশগ্রহণকারীরা উপাচার্য অপসারণের দাবিতে বিভিন্ন স্লোগান দেন।
রাতে আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের পক্ষে সংবাদ সম্মেলন করেন ২০ ব্যাচের রাহাতুল ইসলাম, ১৯ ব্যাচের শেখ জাহিদ ও গালিব রাহাত। তারা জানান, “উপাচার্যের পদত্যাগ না হওয়া পর্যন্ত আমাদের আন্দোলন চলবে।” একই সঙ্গে বহিষ্কৃত ৩৭ শিক্ষার্থীর নাম-পরিচয় প্রকাশের দাবি জানান তারা।
সংবাদ সম্মেলনে বলা হয়, “কিছু শিক্ষক প্রশাসনের পক্ষ নিয়ে ছাত্রদের বিরুদ্ধে কর্মকর্তা-কর্মচারীদের দাঁড় করাচ্ছেন। অথচ আমাদের আন্দোলন শিক্ষকদের বিরুদ্ধে নয়।” এছাড়াও অন্তর্বর্তী সরকারের ‘নীরবতা’ নিয়েও হতাশা প্রকাশ করেন তারা।
উল্লেখ্য, ১৮ ফেব্রুয়ারি ছাত্ররাজনীতি নিষিদ্ধ করার দাবিকে কেন্দ্র করে ক্যাম্পাসে ছাত্রদল ও বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমর্থকদের মধ্যে দফায় দফায় সংঘর্ষ হয়, যাতে আহত হন অর্ধশতাধিক শিক্ষার্থী। পরদিন শিক্ষার্থীরা প্রশাসনিক ভবনসহ সব একাডেমিক ভবনে তালা লাগিয়ে দেন। একইদিন সিন্ডিকেট সভায় কুয়েটে সব ধরনের রাজনৈতিক কর্মকাণ্ড নিষিদ্ধ করা হয়।
পরে প্রশাসন অজ্ঞাত ৪০০–৫০০ জনকে আসামি করে মামলা করে এবং ৩৭ শিক্ষার্থীকে সাময়িক বহিষ্কার করে। গত ২০ ফেব্রুয়ারি শিক্ষার্থীরা সব রাজনৈতিক ছাত্রসংগঠনকে ‘লাল কার্ড’ দেখান এবং উপাচার্যের পদত্যাগ দাবি করেন। ২৩ ফেব্রুয়ারি খুলনা থেকে ঢাকায় এসে প্রধান উপদেষ্টার কাছে স্মারকলিপি দেন তারা, যেখানে উপাচার্যের পদত্যাগসহ ছয় দফা দাবি জানানো হয়।
২৫ ফেব্রুয়ারি সিন্ডিকেটের জরুরি সভায় বিশ্ববিদ্যালয়ের সব আবাসিক হল অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ ঘোষণা করা হয় এবং শিক্ষার্থীদের হল ছাড়ার নির্দেশ দেওয়া হয়।
সাম্প্রতিক সময়ে ২২ শিক্ষার্থীর বিরুদ্ধে খুলনার একটি আদালতে একটি মামলাও দায়ের করা হয়েছে বলে জানা গেছে।
শুক্রবার, ১৮ এপ্রিল ২০২৫
খুলনা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (কুয়েট) উপাচার্য অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ মাছুদের অপসারণের দাবিতে মশাল মিছিল করেছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা।
বৃহস্পতিবার (১৭ এপ্রিল) সন্ধ্যা ৭টায় শিক্ষার্থীরা ক্যাম্পাসের দুর্বার বাংলা চত্বরে জড়ো হন। পরে সাড়ে ৭টায় তারা মশাল মিছিল শুরু করেন, যা ক্যাম্পাসের বিভিন্ন সড়ক ঘুরে প্রধান ফটকের সামনে গিয়ে শেষ হয়। মিছিলে অংশগ্রহণকারীরা উপাচার্য অপসারণের দাবিতে বিভিন্ন স্লোগান দেন।
রাতে আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের পক্ষে সংবাদ সম্মেলন করেন ২০ ব্যাচের রাহাতুল ইসলাম, ১৯ ব্যাচের শেখ জাহিদ ও গালিব রাহাত। তারা জানান, “উপাচার্যের পদত্যাগ না হওয়া পর্যন্ত আমাদের আন্দোলন চলবে।” একই সঙ্গে বহিষ্কৃত ৩৭ শিক্ষার্থীর নাম-পরিচয় প্রকাশের দাবি জানান তারা।
সংবাদ সম্মেলনে বলা হয়, “কিছু শিক্ষক প্রশাসনের পক্ষ নিয়ে ছাত্রদের বিরুদ্ধে কর্মকর্তা-কর্মচারীদের দাঁড় করাচ্ছেন। অথচ আমাদের আন্দোলন শিক্ষকদের বিরুদ্ধে নয়।” এছাড়াও অন্তর্বর্তী সরকারের ‘নীরবতা’ নিয়েও হতাশা প্রকাশ করেন তারা।
উল্লেখ্য, ১৮ ফেব্রুয়ারি ছাত্ররাজনীতি নিষিদ্ধ করার দাবিকে কেন্দ্র করে ক্যাম্পাসে ছাত্রদল ও বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমর্থকদের মধ্যে দফায় দফায় সংঘর্ষ হয়, যাতে আহত হন অর্ধশতাধিক শিক্ষার্থী। পরদিন শিক্ষার্থীরা প্রশাসনিক ভবনসহ সব একাডেমিক ভবনে তালা লাগিয়ে দেন। একইদিন সিন্ডিকেট সভায় কুয়েটে সব ধরনের রাজনৈতিক কর্মকাণ্ড নিষিদ্ধ করা হয়।
পরে প্রশাসন অজ্ঞাত ৪০০–৫০০ জনকে আসামি করে মামলা করে এবং ৩৭ শিক্ষার্থীকে সাময়িক বহিষ্কার করে। গত ২০ ফেব্রুয়ারি শিক্ষার্থীরা সব রাজনৈতিক ছাত্রসংগঠনকে ‘লাল কার্ড’ দেখান এবং উপাচার্যের পদত্যাগ দাবি করেন। ২৩ ফেব্রুয়ারি খুলনা থেকে ঢাকায় এসে প্রধান উপদেষ্টার কাছে স্মারকলিপি দেন তারা, যেখানে উপাচার্যের পদত্যাগসহ ছয় দফা দাবি জানানো হয়।
২৫ ফেব্রুয়ারি সিন্ডিকেটের জরুরি সভায় বিশ্ববিদ্যালয়ের সব আবাসিক হল অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ ঘোষণা করা হয় এবং শিক্ষার্থীদের হল ছাড়ার নির্দেশ দেওয়া হয়।
সাম্প্রতিক সময়ে ২২ শিক্ষার্থীর বিরুদ্ধে খুলনার একটি আদালতে একটি মামলাও দায়ের করা হয়েছে বলে জানা গেছে।