সত্তর শতাংশ আবাসন ভাতা, বাজেট বৈষম্য দূরীকরণ এবং জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের সকল প্রকল্পকে অগ্রাধিকারের দাবিতে আগামীকাল বুধবার প্রধান উপদেষ্টার বাসভবন অভিমুখে লং মার্চের ঘোষণা দিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা।
আম মঙ্গলবার রাত আটটায় বিশ্ববিদ্যালয়ের শহীদ মিনারের সামনে জরুরি সংবাদ সম্মেলনে ‘জবি ঐক্য’ প্লাটফর্মের পক্ষ থেকে নওশীন জয়া এ ঘোষণা দেওয়া দেন। বিশ্ববিদ্যালয়ের সকল রাজনৈতিক, সামাজিক ও সাংস্কৃতিক সংগঠনের নেতৃবৃন্দের সমন্বয়ে এই ‘জবি ঐক্য’ গঠন হয়েছে বলে জানিয়েছেন বিভিন্ন সংগঠনের নেতৃবৃন্দ।
সংবাদ সম্মেলনে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের মুখপাত্র নওশীন জয়া বলেন, আজকে আমরা ইউজিসি চেয়ারম্যানের কাছে গিয়েছিলাম। সেখানে আমরা ৭০% শিক্ষার্থীকে আবাসন ভাতা, বিশ্ববিদ্যালয় থেকে যে ৩০৫ কোটি টাকার বাজেট দেওয়া হয়েছে সেটা কাটছাঁট করা যাবে না, সেকথা বলেছিলাম। ইউজিসি অপারগতা প্রকাশ করেছে। তাই আমরা আগামীকাল সকাল ১১ টায় ‘লং মার্চ টু যমুনা’ ঘোষণা করছি। আমাদের দাবি না মানা পর্যন্ত ক্লাস-পরীক্ষা বন্ধ থাকবে।
শাখা ছাত্রদলের সদস্য সচিব শামসুল আরেফিন বলেন, ‘বেগম খালেদা জিয়া এই বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠা করার পর থেকে ফ্যাসিস্ট সরকার এতদিন সকল সুযোগ সুবিধা থেকে বঞ্চিত করে রেখেছিলো। জবি ঐক্য থেকে এবং শিক্ষকদের সাথে নিয়ে আমরা আমাদের অধিকার আদায়ের জন্য লং মার্চ ঘোষণা করছি।’
ছাত্র অধিকার পরিষদের সাধারণ সম্পাদক রায়হান হাসান রাব্বি বলেন, ‘আমাদের আবাসন ও বাজেট বৃদ্ধিতে আজকের মিটিংএ ইউজিসি কোন সন্তোষ জনক সিদ্ধান্ত দিতে পারেনি, তারা মিটিং এ আবার মিটিংয়ের কথা বলেছে। আমাদের জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের সকল সংগঠনের যে ঐক্য হয়েছে, সেই ঐক্য সিদ্ধান্ত নিয়েছে আমরা পরশু না, আগামীকালই আমাদের অধিকার আদায়ে জন্য লং মার্চ টু যমুনা ও দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত যমুনায় অবস্থানের ঘোষণা করেছি।’
তিনি আরও বলেন, কাল সকল জবিয়ানের জন্য বাস চলবে। সকল পরিক্ষা বন্ধ থাকবে। ক্লাস-পরিক্ষা বর্জন করে সবাইকে মার্চে যোগ দেওয়ার জন্য আমন্ত্রণ জানাচ্ছি।
শিক্ষার্থীদের দাবিগুলো হলো:
১. আবাসন ব্যবস্থা নিশ্চিত না হওয়া পর্যন্ত জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের ৭০% শিক্ষার্থীর জন্য আবাসন বৃত্তি ২০২৫-২৬ অর্থবছর থেকে কার্যকর করতে হবে।
২. জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের ২০২৫-২৬ অর্থবছরের জন্য প্রস্তাবিত পূর্ণাঙ্গ বাজেট কাঁটছাট না করেই অনুমোদন করতে হবে।
৩. জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের দ্বিতীয় ক্যাম্পাসের কাজ পরবর্তী একনেক সভায় অনুমোদন করে অগ্রাধিকার প্রকল্পের আওতায় বাস্তবায়ন করতে হবে।
সংবাদ সম্মেলনে শাখা ছাত্র অধিকার পরিষদের সভাপতি একেএম রাকিব, শাখা শিবিরের সেক্রেটারি রিয়াজুল ইসলাম, বাংলাদেশ গণতান্ত্রিক ছাত্র সংসদের কেন্দ্রীয় যুগ্ম আহবায়ক ফয়সাল মুরাদ, শাখা ইসলামী আন্দোলনের সেক্রেটারি আশিকুর রহমান উপস্থিত ছিলেন।
মঙ্গলবার, ১৩ মে ২০২৫
সত্তর শতাংশ আবাসন ভাতা, বাজেট বৈষম্য দূরীকরণ এবং জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের সকল প্রকল্পকে অগ্রাধিকারের দাবিতে আগামীকাল বুধবার প্রধান উপদেষ্টার বাসভবন অভিমুখে লং মার্চের ঘোষণা দিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা।
আম মঙ্গলবার রাত আটটায় বিশ্ববিদ্যালয়ের শহীদ মিনারের সামনে জরুরি সংবাদ সম্মেলনে ‘জবি ঐক্য’ প্লাটফর্মের পক্ষ থেকে নওশীন জয়া এ ঘোষণা দেওয়া দেন। বিশ্ববিদ্যালয়ের সকল রাজনৈতিক, সামাজিক ও সাংস্কৃতিক সংগঠনের নেতৃবৃন্দের সমন্বয়ে এই ‘জবি ঐক্য’ গঠন হয়েছে বলে জানিয়েছেন বিভিন্ন সংগঠনের নেতৃবৃন্দ।
সংবাদ সম্মেলনে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের মুখপাত্র নওশীন জয়া বলেন, আজকে আমরা ইউজিসি চেয়ারম্যানের কাছে গিয়েছিলাম। সেখানে আমরা ৭০% শিক্ষার্থীকে আবাসন ভাতা, বিশ্ববিদ্যালয় থেকে যে ৩০৫ কোটি টাকার বাজেট দেওয়া হয়েছে সেটা কাটছাঁট করা যাবে না, সেকথা বলেছিলাম। ইউজিসি অপারগতা প্রকাশ করেছে। তাই আমরা আগামীকাল সকাল ১১ টায় ‘লং মার্চ টু যমুনা’ ঘোষণা করছি। আমাদের দাবি না মানা পর্যন্ত ক্লাস-পরীক্ষা বন্ধ থাকবে।
শাখা ছাত্রদলের সদস্য সচিব শামসুল আরেফিন বলেন, ‘বেগম খালেদা জিয়া এই বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠা করার পর থেকে ফ্যাসিস্ট সরকার এতদিন সকল সুযোগ সুবিধা থেকে বঞ্চিত করে রেখেছিলো। জবি ঐক্য থেকে এবং শিক্ষকদের সাথে নিয়ে আমরা আমাদের অধিকার আদায়ের জন্য লং মার্চ ঘোষণা করছি।’
ছাত্র অধিকার পরিষদের সাধারণ সম্পাদক রায়হান হাসান রাব্বি বলেন, ‘আমাদের আবাসন ও বাজেট বৃদ্ধিতে আজকের মিটিংএ ইউজিসি কোন সন্তোষ জনক সিদ্ধান্ত দিতে পারেনি, তারা মিটিং এ আবার মিটিংয়ের কথা বলেছে। আমাদের জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের সকল সংগঠনের যে ঐক্য হয়েছে, সেই ঐক্য সিদ্ধান্ত নিয়েছে আমরা পরশু না, আগামীকালই আমাদের অধিকার আদায়ে জন্য লং মার্চ টু যমুনা ও দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত যমুনায় অবস্থানের ঘোষণা করেছি।’
তিনি আরও বলেন, কাল সকল জবিয়ানের জন্য বাস চলবে। সকল পরিক্ষা বন্ধ থাকবে। ক্লাস-পরিক্ষা বর্জন করে সবাইকে মার্চে যোগ দেওয়ার জন্য আমন্ত্রণ জানাচ্ছি।
শিক্ষার্থীদের দাবিগুলো হলো:
১. আবাসন ব্যবস্থা নিশ্চিত না হওয়া পর্যন্ত জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের ৭০% শিক্ষার্থীর জন্য আবাসন বৃত্তি ২০২৫-২৬ অর্থবছর থেকে কার্যকর করতে হবে।
২. জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের ২০২৫-২৬ অর্থবছরের জন্য প্রস্তাবিত পূর্ণাঙ্গ বাজেট কাঁটছাট না করেই অনুমোদন করতে হবে।
৩. জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের দ্বিতীয় ক্যাম্পাসের কাজ পরবর্তী একনেক সভায় অনুমোদন করে অগ্রাধিকার প্রকল্পের আওতায় বাস্তবায়ন করতে হবে।
সংবাদ সম্মেলনে শাখা ছাত্র অধিকার পরিষদের সভাপতি একেএম রাকিব, শাখা শিবিরের সেক্রেটারি রিয়াজুল ইসলাম, বাংলাদেশ গণতান্ত্রিক ছাত্র সংসদের কেন্দ্রীয় যুগ্ম আহবায়ক ফয়সাল মুরাদ, শাখা ইসলামী আন্দোলনের সেক্রেটারি আশিকুর রহমান উপস্থিত ছিলেন।