রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের মতিহার হলের গণরুম থেকে শিক্ষার্থীদের সরে যেতে নোটিশ দিয়েছে হল প্রশাসন। এতে বিপাকে পড়েছেন ১১ জন অনাবাসিক শিক্ষার্থী।
ওই শিক্ষার্থীরা হল মসজিদের দ্বিতীয় তলায় গণরুম হিসেবে ব্যবহৃত কক্ষের বাসিন্দা। তারা বলেন, গত বছরের ৫ অগাস্টের পর আর্থিক অস্বচ্ছলতার কারণে তারা ওই কক্ষে অবস্থান নিতে বাধ্য হন। শুরুতে হল প্রশাসন কিছু বলেনি। পরে আবাসিক সিটের জন্য আবেদন করেও সাড়া পাননি তারা। ফলে বিকল্প ব্যবস্থা না থাকায় সেখানেই থাকতে হচ্ছিল তাদের।
এ অবস্থায় হল প্রাধ্যক্ষ অধ্যাপক সামিউল ইসলামের স্বাক্ষরিত নোটিশে আগামী ৯ জুলাইয়ের মধ্যে ওই কক্ষ ছেড়ে দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়।
এ বিষয়ে ফোকলোর বিভাগের ২০২২-২৩ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী প্রবীর বলেন, “নোটিশে হল ত্যাগের কথা বলা হয়েছে। কিন্তু আমাদের কোনো বিকল্প আবাসনের ব্যবস্থা করা হয়নি। একাধিকবার আমরা প্রাধ্যক্ষকে লিস্ট জমা দিয়েও কোনো সহায়তা পাইনি। তিনি শুধু বলেন, ‘যার যার মতো চলে যাও’।”
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক আরেক শিক্ষার্থী বলেন, “বাইরে থাকার মতো আর্থিক স্বচ্ছলতা নেই বিধায় আমরা বাধ্য হয়ে এখানে থাকছি। এখন হঠাৎ করে মাসের মাঝামাঝি বের করে দিলে আমরা যাব কোথায়?”
এ বিষয়ে মতিহার হলের প্রাধ্যক্ষ সামিউল ইসলাম বলেন, “তারা কোনো অনুমতি ছাড়া অবৈধভাবে ওই জায়গায় ছিল। পরপর তিনবার নোটিশ দিলেও তারা সাড়া দেয়নি। যেহেতু জায়গাটি মসজিদের, সেখানে নিয়মিত নামাজ চালু করতেই এমন সিদ্ধান্ত।”
তিনি বলেন, “যাদের মেধাক্রম ছিল এবং বৈধভাবে আবেদন করেছে, তাদের সিট দেওয়া হয়েছে। বাকিদের হলে উঠতে হলে নিয়ম মেনে উঠতে হবে।”
বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র উপদেষ্টা আমিরুল ইসলাম বলেন, “গণরুমে সাধারণত আর্থিকভাবে দুর্বল শিক্ষার্থীরাই থাকে। মতিহার হলের ঘটনায় তাদের জন্য বিকল্প ব্যবস্থা নেওয়া উচিত ছিল। আমি বিস্তারিত জানি না, তবে শিক্ষার্থীদের সঙ্গে বসে তাদের জন্য বিকল্প ব্যবস্থা করতে আমি হল প্রশাসনকে আহ্বান জানাব।”
রোববার, ০৬ জুলাই ২০২৫
রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের মতিহার হলের গণরুম থেকে শিক্ষার্থীদের সরে যেতে নোটিশ দিয়েছে হল প্রশাসন। এতে বিপাকে পড়েছেন ১১ জন অনাবাসিক শিক্ষার্থী।
ওই শিক্ষার্থীরা হল মসজিদের দ্বিতীয় তলায় গণরুম হিসেবে ব্যবহৃত কক্ষের বাসিন্দা। তারা বলেন, গত বছরের ৫ অগাস্টের পর আর্থিক অস্বচ্ছলতার কারণে তারা ওই কক্ষে অবস্থান নিতে বাধ্য হন। শুরুতে হল প্রশাসন কিছু বলেনি। পরে আবাসিক সিটের জন্য আবেদন করেও সাড়া পাননি তারা। ফলে বিকল্প ব্যবস্থা না থাকায় সেখানেই থাকতে হচ্ছিল তাদের।
এ অবস্থায় হল প্রাধ্যক্ষ অধ্যাপক সামিউল ইসলামের স্বাক্ষরিত নোটিশে আগামী ৯ জুলাইয়ের মধ্যে ওই কক্ষ ছেড়ে দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়।
এ বিষয়ে ফোকলোর বিভাগের ২০২২-২৩ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী প্রবীর বলেন, “নোটিশে হল ত্যাগের কথা বলা হয়েছে। কিন্তু আমাদের কোনো বিকল্প আবাসনের ব্যবস্থা করা হয়নি। একাধিকবার আমরা প্রাধ্যক্ষকে লিস্ট জমা দিয়েও কোনো সহায়তা পাইনি। তিনি শুধু বলেন, ‘যার যার মতো চলে যাও’।”
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক আরেক শিক্ষার্থী বলেন, “বাইরে থাকার মতো আর্থিক স্বচ্ছলতা নেই বিধায় আমরা বাধ্য হয়ে এখানে থাকছি। এখন হঠাৎ করে মাসের মাঝামাঝি বের করে দিলে আমরা যাব কোথায়?”
এ বিষয়ে মতিহার হলের প্রাধ্যক্ষ সামিউল ইসলাম বলেন, “তারা কোনো অনুমতি ছাড়া অবৈধভাবে ওই জায়গায় ছিল। পরপর তিনবার নোটিশ দিলেও তারা সাড়া দেয়নি। যেহেতু জায়গাটি মসজিদের, সেখানে নিয়মিত নামাজ চালু করতেই এমন সিদ্ধান্ত।”
তিনি বলেন, “যাদের মেধাক্রম ছিল এবং বৈধভাবে আবেদন করেছে, তাদের সিট দেওয়া হয়েছে। বাকিদের হলে উঠতে হলে নিয়ম মেনে উঠতে হবে।”
বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র উপদেষ্টা আমিরুল ইসলাম বলেন, “গণরুমে সাধারণত আর্থিকভাবে দুর্বল শিক্ষার্থীরাই থাকে। মতিহার হলের ঘটনায় তাদের জন্য বিকল্প ব্যবস্থা নেওয়া উচিত ছিল। আমি বিস্তারিত জানি না, তবে শিক্ষার্থীদের সঙ্গে বসে তাদের জন্য বিকল্প ব্যবস্থা করতে আমি হল প্রশাসনকে আহ্বান জানাব।”