মার্চে চমক নিয়ে আসছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদের (ডাকসু) সাবেক ভিপি ও ছাত্র অধিকার পরিষদের নেতা নুরুল হক নূর। সংবাদের সঙ্গে আলাপকালে জানালেন, বাংলাদেশের স্বাধীনতার ঘোষণা এসেছিল মার্চ মাসে, আর তাই স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তীকে সামনে রেখে মার্চেই নতুন দলের ঘোষণা আসতে পারে। ইতোমধ্যে দলের নাম নিয়ে চলছে আলোচনা। যেহেতু গণমানুষের অধিকার প্রতিষ্ঠার সংগ্রামে কাজ করছি, তাই দলের নামেও ‘অধিকার’ শব্দটি থাকতে পারে। বেশি আলোচনায় দুটি নাম, ‘গণ অধিকার পরিষদ’ ও ‘গণ অধিকার পার্টি’। তবে, আলোচনার প্রেক্ষিতে অন্য নামও আসতে পারে।
এর আগে জোনায়েদ সাকির গণসংহতি আন্দোলনের সঙ্গে নূরের দল ছাত্র অধিকার পরিষদের জোট বাধার খবর গণমাধ্যমে প্রকাশিত হয়। জোটে ‘মাওলানা ভাসানী অনুসারী পরিষদ’ ও ‘রাষ্ট্র চিন্তা’ থাকার গুঞ্জন আছে। একই জোটে বিএনপিও থাকতে পারে বলে ইঙ্গিত দিয়েছিলেন নূর। শনিবার রাতে একটি অনলাইন পোর্টালের ‘কোন পথে ছাত্র রাজনীতি’ শীর্ষক ফেসবুক লাইভে একই কথার পুনরাবৃত্তি করলেন ডাকসুর সাবেক এই ভিপি।
নুরুল হক নূর বলেন, বর্তমান সরকার অগণতান্ত্রিক নির্বাচনের মাধ্যমে স্বৈরতান্ত্রিক উপায়ে ক্ষমতায় আছে। এই সরকারের পতনের জন্য যারা মুক্তিযুদ্ধের প্রকৃত চেতনা বাস্তবায়নে কাজ করতে চায়, তাদের নিয়ে আমরা একটি বৃহত্তর রাজনৈতিক ঐক্য গঠন করব। ইতোমধ্যে আমরা ছাত্র অধিকার পরিষদের পাশাপাশি যুব অধিকার পরিষদ, শ্রমিক অধিকার পরিষদ ও প্রবাসী অধিকার পরিষদ গঠন করেছি। এখন আমাদের চূড়ান্ত লক্ষ্য রাজনৈতিক দলের ঘোষণা। আশা করছি মার্চেই সেটা ঘোষণা করতে পারব। নূর বলেন, বিএনপি একটি বড় রাজনৈতিক দল। তৃণমূল পর্যন্ত তাদের জনসমর্থন রয়েছে। তাই অবৈধ সরকারকে হটানোর জন্য বিএনপির শক্তিটাও প্রয়োজন। সেজন্য প্রয়োজনে বিএনপির সঙ্গেও আমাদের ঐক্য হবে।
ফেসবুক লাইভে নূর বলেন, বর্তমানে নির্বাচন কমিশন, আদালত ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে দলীয়করণ করা হয়েছে। এগুলোকে ব্যবহার করে সরকার ক্ষমতায় আছে। তিনি বলেন, আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদকের ভাই কাদের মির্জার সুষ্ঠু নির্বাচনের দাবি জানিয়েছেন। এটা আমাদেরকে চোখে আঙ্গুল দিয়ে দেখিয়ে দিয়েছে আমাদের নির্বাচনী ব্যবস্থা কেমন। তাই আমরা চেষ্টা করছি বর্তমান সরকারের বিরুদ্ধে একটি বৃহত্তর প্ল্যাটফর্ম গড়ে তোলার।
নুরুল হক নূর বলেন, মুক্তিযুদ্ধের চেতনা ছিল সাম্য, মানবিক মর্যাদা, সামাজিক সুবিচার নিশ্চিত করা, বৈষম্যহীন একটি সমাজ প্রতিষ্ঠা করা। এই চেতনা দেশে বিদ্যমান দলগুলো ৫০ বছরেও বাস্তবায়ন করতে পারেনি। তারা ব্যর্থ হয়েছে। এখনও বাংলাদেশে শক্তিশালী গণতন্ত্রের জন্য একটা শক্তিশালী নির্বাচন ব্যবস্থা প্রতিষ্ঠা করা হয় নি। মানুষের ন্যায়বিচার নিশ্চিত করার জন্য একটি শক্তিশালী জুডিশিয়ারি ব্যবস্থা তৈরি করা হয় নি। এই ব্যর্থতার দায় বিএনপি এবং আওয়ামী লীগকে নিতে হবে। কারণ, এই দুটি দল বারবার ক্ষমতায় ছিল। জনগণকেও এর দায় নিতে হবে উল্লেখ করে ডাকসুর সাবেক এই ভিপি বলেন, রাজনৈতিক দলগুলো ক্ষমতায় থাকতে নানা ধরণের দুর্নীতি লুটপাট করে, আবার বিরোধী দলে থাকলে তারা গণতন্ত্র, সুশাসন ও ন্যায়বিচারের কথা বলে। অথচ আমরা ধোকাবাজির এই দলগুলোকে বারবার বেছে নিচ্ছি।
নূর বলেন, আমরা একটি নতুন ধারার রাজনৈতিক দল বিনির্মাণের জন্য কাজ করছি। আমরা সচেতন, প্রযুক্তির জ্ঞানসমৃদ্ধ, দেশীয় ও বৈশ্বিক রাজনীতি সম্পর্কে জানে এমন একদল তরুণের নেতৃত্বে একটি রাজনৈতিক দল গঠনের চেষ্টা করছি।
রোববার, ১০ জানুয়ারী ২০২১
মার্চে চমক নিয়ে আসছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদের (ডাকসু) সাবেক ভিপি ও ছাত্র অধিকার পরিষদের নেতা নুরুল হক নূর। সংবাদের সঙ্গে আলাপকালে জানালেন, বাংলাদেশের স্বাধীনতার ঘোষণা এসেছিল মার্চ মাসে, আর তাই স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তীকে সামনে রেখে মার্চেই নতুন দলের ঘোষণা আসতে পারে। ইতোমধ্যে দলের নাম নিয়ে চলছে আলোচনা। যেহেতু গণমানুষের অধিকার প্রতিষ্ঠার সংগ্রামে কাজ করছি, তাই দলের নামেও ‘অধিকার’ শব্দটি থাকতে পারে। বেশি আলোচনায় দুটি নাম, ‘গণ অধিকার পরিষদ’ ও ‘গণ অধিকার পার্টি’। তবে, আলোচনার প্রেক্ষিতে অন্য নামও আসতে পারে।
এর আগে জোনায়েদ সাকির গণসংহতি আন্দোলনের সঙ্গে নূরের দল ছাত্র অধিকার পরিষদের জোট বাধার খবর গণমাধ্যমে প্রকাশিত হয়। জোটে ‘মাওলানা ভাসানী অনুসারী পরিষদ’ ও ‘রাষ্ট্র চিন্তা’ থাকার গুঞ্জন আছে। একই জোটে বিএনপিও থাকতে পারে বলে ইঙ্গিত দিয়েছিলেন নূর। শনিবার রাতে একটি অনলাইন পোর্টালের ‘কোন পথে ছাত্র রাজনীতি’ শীর্ষক ফেসবুক লাইভে একই কথার পুনরাবৃত্তি করলেন ডাকসুর সাবেক এই ভিপি।
নুরুল হক নূর বলেন, বর্তমান সরকার অগণতান্ত্রিক নির্বাচনের মাধ্যমে স্বৈরতান্ত্রিক উপায়ে ক্ষমতায় আছে। এই সরকারের পতনের জন্য যারা মুক্তিযুদ্ধের প্রকৃত চেতনা বাস্তবায়নে কাজ করতে চায়, তাদের নিয়ে আমরা একটি বৃহত্তর রাজনৈতিক ঐক্য গঠন করব। ইতোমধ্যে আমরা ছাত্র অধিকার পরিষদের পাশাপাশি যুব অধিকার পরিষদ, শ্রমিক অধিকার পরিষদ ও প্রবাসী অধিকার পরিষদ গঠন করেছি। এখন আমাদের চূড়ান্ত লক্ষ্য রাজনৈতিক দলের ঘোষণা। আশা করছি মার্চেই সেটা ঘোষণা করতে পারব। নূর বলেন, বিএনপি একটি বড় রাজনৈতিক দল। তৃণমূল পর্যন্ত তাদের জনসমর্থন রয়েছে। তাই অবৈধ সরকারকে হটানোর জন্য বিএনপির শক্তিটাও প্রয়োজন। সেজন্য প্রয়োজনে বিএনপির সঙ্গেও আমাদের ঐক্য হবে।
ফেসবুক লাইভে নূর বলেন, বর্তমানে নির্বাচন কমিশন, আদালত ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে দলীয়করণ করা হয়েছে। এগুলোকে ব্যবহার করে সরকার ক্ষমতায় আছে। তিনি বলেন, আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদকের ভাই কাদের মির্জার সুষ্ঠু নির্বাচনের দাবি জানিয়েছেন। এটা আমাদেরকে চোখে আঙ্গুল দিয়ে দেখিয়ে দিয়েছে আমাদের নির্বাচনী ব্যবস্থা কেমন। তাই আমরা চেষ্টা করছি বর্তমান সরকারের বিরুদ্ধে একটি বৃহত্তর প্ল্যাটফর্ম গড়ে তোলার।
নুরুল হক নূর বলেন, মুক্তিযুদ্ধের চেতনা ছিল সাম্য, মানবিক মর্যাদা, সামাজিক সুবিচার নিশ্চিত করা, বৈষম্যহীন একটি সমাজ প্রতিষ্ঠা করা। এই চেতনা দেশে বিদ্যমান দলগুলো ৫০ বছরেও বাস্তবায়ন করতে পারেনি। তারা ব্যর্থ হয়েছে। এখনও বাংলাদেশে শক্তিশালী গণতন্ত্রের জন্য একটা শক্তিশালী নির্বাচন ব্যবস্থা প্রতিষ্ঠা করা হয় নি। মানুষের ন্যায়বিচার নিশ্চিত করার জন্য একটি শক্তিশালী জুডিশিয়ারি ব্যবস্থা তৈরি করা হয় নি। এই ব্যর্থতার দায় বিএনপি এবং আওয়ামী লীগকে নিতে হবে। কারণ, এই দুটি দল বারবার ক্ষমতায় ছিল। জনগণকেও এর দায় নিতে হবে উল্লেখ করে ডাকসুর সাবেক এই ভিপি বলেন, রাজনৈতিক দলগুলো ক্ষমতায় থাকতে নানা ধরণের দুর্নীতি লুটপাট করে, আবার বিরোধী দলে থাকলে তারা গণতন্ত্র, সুশাসন ও ন্যায়বিচারের কথা বলে। অথচ আমরা ধোকাবাজির এই দলগুলোকে বারবার বেছে নিচ্ছি।
নূর বলেন, আমরা একটি নতুন ধারার রাজনৈতিক দল বিনির্মাণের জন্য কাজ করছি। আমরা সচেতন, প্রযুক্তির জ্ঞানসমৃদ্ধ, দেশীয় ও বৈশ্বিক রাজনীতি সম্পর্কে জানে এমন একদল তরুণের নেতৃত্বে একটি রাজনৈতিক দল গঠনের চেষ্টা করছি।