বুয়েট শিক্ষার্থীদের হুঁশিয়ারি
বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) শিক্ষার্থী আবরার ফাহাদের হত্যার ঘটনায় বহিষ্কৃত আশিকুল ইসলাম বিটুর পুনরায় ক্লাসে ফেরার প্রতিবাদে নেমেছে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা। বৃহস্পতিবার (২৭ মে) বুয়েটের শহীদ মিনারে এ দাবিতে মানববন্ধন করেছে তারা। এ সময় তারা বিটুর সঙ্গে কোন শর্তেই ক্লাস চালিয়ে যেতে রাজি নয় বলে জানানো হয়।
পাশাপাশি শিক্ষার্থীদের দেয়া বুয়েট প্রশাসনের পূর্বের সেই প্রতিশ্রুতি রক্ষা না করলে একযোগে শিক্ষা কার্যক্রম বন্ধ করবেন বলেও জানান তারা। দাবি পূরণ না হলে শনিবার থেকে শিক্ষা কার্যক্রম সম্পূর্ণভাবে বন্ধ করার হুঁশিয়ারি দিয়েছেন তারা।
মানববন্ধনে লিখিত বক্তব্যে বলা হয়, আমরা বুয়েটের সব সাধারণ শিক্ষার্থী, আশিকুল ইসলাম বিটুর সঙ্গে একাডেমিক কার্যক্রম চালিয়ে নিতে কোন শর্তেই ইচ্ছুক নই- এই মর্মে বুয়েট প্রশাসনের কাছে দাবি উত্থাপন করি। এছাড়াও ২৯ মে, ২০২১ তারিখের মধ্যে কর্তৃপক্ষ আমাদের দাবিগুলো কার্যকর না করলে বুয়েটের সব সাধারণ শিক্ষার্থী, ৩০ মে, ২০২১ তারিখ হতে একাডেমিক কার্যক্রম সম্পূর্ণরূপে বর্জন করতে বাধ্য হবে।
‘প্রশাসন দ্রুততম সময়ে আমাদের সঙ্গে যোগাযোগ করে অনানুষ্ঠানিকভাবে জানিয়েছেন যে, আশিকুল ইসলাম বিটুর কোর্স রেজিস্ট্রেশন এখনও সম্পন্ন হয়নি বিধায় সে ক্লাসে অংশগ্রহণ করতে পারবে না এবং কোর্সগুলোতে তার অন্তর্ভুক্তি বাতিল করা হয়েছে। বুয়েট প্রশাসন আমাদের এই মর্মে আশ্বাস প্রদান করেছে যে, অবিলম্বে আদালতের স্থগিতাদেশের বিরুদ্ধে আপিল করা হবে। আমাদের ন্যায্য দাবির ভিত্তিতে বুয়েট প্রশাসনের এই তৎপরতাকে আমরা সাধুবাদ জানাই।’
তারা বলেন, আমরা আশাবাদী যে, বুয়েট প্রশাসন তাদের প্রতিশ্রুতি দ্রুততম সময়ে বাস্তবায়ন করবে। এর পাশাপাশি আবরার ফাহাদ হত্যাকা- বা র্যাগিংয়ের মতো ঘৃণ্য অপরাধের জন্য স্থায়ীভাবে বহিষ্কৃত কেউ যেন কখনও একাডেমিক কার্যক্রমে ফেরত আসতে না পারে- এ ব্যাপারে বুয়েট প্রশাসন যথাযথ আইনি পদক্ষেপ নিশ্চিত করার মাধ্যমে সদা-তৎপর থাকবে।
কর্মসূচি ও দাবির বিষয় জানিয়ে মানববন্ধনে শিক্ষার্থীরা বলেন, আমাদের প্রত্যাশা এই যে, ২৯ মে, ২০২১ তারিখের মধ্যে বুয়েট প্রশাসন তাদের গৃহীত পদক্ষেপসমূহ এবং ভবিষ্যৎ প্রতিশ্রুতি অফিসিয়াল বিবৃতি/নোটিশ আকারে প্রকাশ করবেন। পরবর্তীতে আমাদের কর্মসূচি চালিয়ে যাওয়ার ব্যাপারে আমরা দুইটি বিষয় বিবেচনা করছি-
১. ২৯ মে, ২০২১ তারিখের মধ্যে বুয়েট প্রশাসন আদালতের স্থগিতাদেশের বিরুদ্ধে আপিল করবেন।
২. কোন কারণে এই সময়ের মধ্যে আপিল করতে না পারলে, আপিল করার প্রতিশ্রুতি একটি গ্রহণযোগ্য সময়সীমাসহ অফিসিয়াল বিবৃতি/নোটিশে অন্তর্ভুক্ত করবেন।
তারা বলেন, উপযুক্ত বিষয় দুইটির যে কোন একটি কার্যকরের পরিপ্রেক্ষিতে আমরা আমাদের পূর্বনির্ধারিত কর্মসূচি পুনর্বিবেচনা করে একাডেমিক কার্যক্রম বর্জনের সিদ্ধান্ত থেকে সরে আসব।
শিক্ষার্থীরা আরও বলেন, ২০১৯ সালের ৭ অক্টোবর আবরার ফাহাদ হত্যাকা- পরবর্তী সময়ে বুয়েট প্রশাসনের পক্ষ থেকে যেসব দীর্ঘমেয়াদি প্রতিশ্রুতি প্রদান করা হয়েছিল, তা বাস্তবায়নে দৃশ্যমান পদক্ষেপ গ্রহণ করার ব্যাপারে বুয়েট প্রশাসন একইভাবে তৎপর থাকবে বলে আমরা আশাবাদী। পরিশেষে, নৈতিকতার সঙ্গে অসামঞ্জস্যপূর্ণ সব ধরনের অপসংস্কৃতির বিরুদ্ধে আমরা ভবিষ্যতেও সোচ্চার থাকব।
বুয়েটের ১৭তম ব্যাচের শিক্ষার্থী আলি আহমেদ মুয়াজ মানববন্ধনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন। এ সময় বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন বিভাগের শিক্ষার্থীরা উপস্থিত ছিলেন।
বুয়েট শিক্ষার্থীদের হুঁশিয়ারি
বৃহস্পতিবার, ২৭ মে ২০২১
বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) শিক্ষার্থী আবরার ফাহাদের হত্যার ঘটনায় বহিষ্কৃত আশিকুল ইসলাম বিটুর পুনরায় ক্লাসে ফেরার প্রতিবাদে নেমেছে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা। বৃহস্পতিবার (২৭ মে) বুয়েটের শহীদ মিনারে এ দাবিতে মানববন্ধন করেছে তারা। এ সময় তারা বিটুর সঙ্গে কোন শর্তেই ক্লাস চালিয়ে যেতে রাজি নয় বলে জানানো হয়।
পাশাপাশি শিক্ষার্থীদের দেয়া বুয়েট প্রশাসনের পূর্বের সেই প্রতিশ্রুতি রক্ষা না করলে একযোগে শিক্ষা কার্যক্রম বন্ধ করবেন বলেও জানান তারা। দাবি পূরণ না হলে শনিবার থেকে শিক্ষা কার্যক্রম সম্পূর্ণভাবে বন্ধ করার হুঁশিয়ারি দিয়েছেন তারা।
মানববন্ধনে লিখিত বক্তব্যে বলা হয়, আমরা বুয়েটের সব সাধারণ শিক্ষার্থী, আশিকুল ইসলাম বিটুর সঙ্গে একাডেমিক কার্যক্রম চালিয়ে নিতে কোন শর্তেই ইচ্ছুক নই- এই মর্মে বুয়েট প্রশাসনের কাছে দাবি উত্থাপন করি। এছাড়াও ২৯ মে, ২০২১ তারিখের মধ্যে কর্তৃপক্ষ আমাদের দাবিগুলো কার্যকর না করলে বুয়েটের সব সাধারণ শিক্ষার্থী, ৩০ মে, ২০২১ তারিখ হতে একাডেমিক কার্যক্রম সম্পূর্ণরূপে বর্জন করতে বাধ্য হবে।
‘প্রশাসন দ্রুততম সময়ে আমাদের সঙ্গে যোগাযোগ করে অনানুষ্ঠানিকভাবে জানিয়েছেন যে, আশিকুল ইসলাম বিটুর কোর্স রেজিস্ট্রেশন এখনও সম্পন্ন হয়নি বিধায় সে ক্লাসে অংশগ্রহণ করতে পারবে না এবং কোর্সগুলোতে তার অন্তর্ভুক্তি বাতিল করা হয়েছে। বুয়েট প্রশাসন আমাদের এই মর্মে আশ্বাস প্রদান করেছে যে, অবিলম্বে আদালতের স্থগিতাদেশের বিরুদ্ধে আপিল করা হবে। আমাদের ন্যায্য দাবির ভিত্তিতে বুয়েট প্রশাসনের এই তৎপরতাকে আমরা সাধুবাদ জানাই।’
তারা বলেন, আমরা আশাবাদী যে, বুয়েট প্রশাসন তাদের প্রতিশ্রুতি দ্রুততম সময়ে বাস্তবায়ন করবে। এর পাশাপাশি আবরার ফাহাদ হত্যাকা- বা র্যাগিংয়ের মতো ঘৃণ্য অপরাধের জন্য স্থায়ীভাবে বহিষ্কৃত কেউ যেন কখনও একাডেমিক কার্যক্রমে ফেরত আসতে না পারে- এ ব্যাপারে বুয়েট প্রশাসন যথাযথ আইনি পদক্ষেপ নিশ্চিত করার মাধ্যমে সদা-তৎপর থাকবে।
কর্মসূচি ও দাবির বিষয় জানিয়ে মানববন্ধনে শিক্ষার্থীরা বলেন, আমাদের প্রত্যাশা এই যে, ২৯ মে, ২০২১ তারিখের মধ্যে বুয়েট প্রশাসন তাদের গৃহীত পদক্ষেপসমূহ এবং ভবিষ্যৎ প্রতিশ্রুতি অফিসিয়াল বিবৃতি/নোটিশ আকারে প্রকাশ করবেন। পরবর্তীতে আমাদের কর্মসূচি চালিয়ে যাওয়ার ব্যাপারে আমরা দুইটি বিষয় বিবেচনা করছি-
১. ২৯ মে, ২০২১ তারিখের মধ্যে বুয়েট প্রশাসন আদালতের স্থগিতাদেশের বিরুদ্ধে আপিল করবেন।
২. কোন কারণে এই সময়ের মধ্যে আপিল করতে না পারলে, আপিল করার প্রতিশ্রুতি একটি গ্রহণযোগ্য সময়সীমাসহ অফিসিয়াল বিবৃতি/নোটিশে অন্তর্ভুক্ত করবেন।
তারা বলেন, উপযুক্ত বিষয় দুইটির যে কোন একটি কার্যকরের পরিপ্রেক্ষিতে আমরা আমাদের পূর্বনির্ধারিত কর্মসূচি পুনর্বিবেচনা করে একাডেমিক কার্যক্রম বর্জনের সিদ্ধান্ত থেকে সরে আসব।
শিক্ষার্থীরা আরও বলেন, ২০১৯ সালের ৭ অক্টোবর আবরার ফাহাদ হত্যাকা- পরবর্তী সময়ে বুয়েট প্রশাসনের পক্ষ থেকে যেসব দীর্ঘমেয়াদি প্রতিশ্রুতি প্রদান করা হয়েছিল, তা বাস্তবায়নে দৃশ্যমান পদক্ষেপ গ্রহণ করার ব্যাপারে বুয়েট প্রশাসন একইভাবে তৎপর থাকবে বলে আমরা আশাবাদী। পরিশেষে, নৈতিকতার সঙ্গে অসামঞ্জস্যপূর্ণ সব ধরনের অপসংস্কৃতির বিরুদ্ধে আমরা ভবিষ্যতেও সোচ্চার থাকব।
বুয়েটের ১৭তম ব্যাচের শিক্ষার্থী আলি আহমেদ মুয়াজ মানববন্ধনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন। এ সময় বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন বিভাগের শিক্ষার্থীরা উপস্থিত ছিলেন।