বেরোবির উপাচার্য কলিম উল্লাহ
বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরী কমিশন (ইউজিসি)র নির্দেশ অমান্য করে এখনও রংপুর বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের ঢাকাস্থ লিয়াজো অফিসে সকল দাপ্তরিক কর্মকান্ড চালিয়ে যাচ্ছেন মেয়াদ শেষ হওয়া উপাচার্য অধ্যাপক নাজমুল আহসান কলিম উল্লাহ। শুধু ত্ইা নয় পছন্দের ব্যাক্তিদের বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন গুরুত্বপুর্ন পদে বদলী নতুন নিয়োগ সহ বিভিন্ন কর্মকান্ড অব্যাহত রাখা হচ্ছে বলে অভিযোগ উঠেছে।
উল্লেখ্য ইউজিসি গত ২৩ মে স্মারক নম্বর ২০১৭ তারিখ ২৩.০৫.২১ইং এক পরিপত্র জারি করেছে। সেখানে বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের ২০২০-২১ অর্থবছরের মুল বাজেট পরিচালন বরাদ্দ ব্যায়ের ক্ষেত্রে গাইড লাইন প্রদান করা হয়েছে। ওই পরিপত্রে রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের জন্য ঢাকায় রেষ্ট হাউজ ব্যাতিত লিয়াজো অফিস অথবা অন্য কোন নামে অফিস করা/ রাখা যাবেনা। বিশ্ববিদ্যালয়ের স্থায়ী ক্যাম্পাস/ ঠিকানায় বিশ্ববিদ্যালয়ের যাবতীয় প্রশাসনিক ও একাডেমিক কার্যক্রম পরিচালনা করতে হবে। এ নির্দেশ জারির পরেও উপাচার্য তার বানানো লিয়াজো অফিসকে সকল কর্মকান্ডের কেন্দ্র বিন্দু বানিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনিক ও একাডেমিক কর্মকান্ড সহ সকল কাজ করা হচ্ছে।
এ ব্যাপারে রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক নাজমুল আহসান কলিম উল্লাহর সাথে তার মোবাইল ফোনে অসংখ্যবার ফোন করা হলেও তিনি ফোন রিসিভ করেননি। তবে নাম প্রকাশে অনিশ্চুক এক কর্মকর্তা জানান ২০১৭ সালের ১ জুন তারিখে কলিম উল্লাহ উপাচার্য হিসেবে নিয়োগ পান। সে হিসেবে ৩১ মে তার চার বছর মেয়াদ শেষ হলেও উনি দাবি করছেন ২০১৭ সালের ১৪ জুন তিনি উপাচার্য হিসেবে যোগদান করেছেন সে কারনে চলতি মাসের ১৪ জুন পর্যন্ত তিনি উপাচার্য হিসেবে বহাল আছেন। তবে ইউজিসির নির্দেশনা তিনি কেন মানছেননা সেটা তিনি বলতে পারেবন।
এদিকে রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের বঙ্গবন্ধু পরিষদের সাধারন সম্পাদক মশিউর রহমান জানান ৩১ মে উপাচার্যের মেয়াদ শেষ হয়ে গেছে। এখন তিনি যে সব কর্মকান্ড করছেরন তা সম্পুর্ন বেআইনী। ১ জুনের পরে উপাচার্যের দেয়া সকল আদেশ নির্দেশ আমরা মানিনা। বিষয়টি লিখিত আকারে শিক্ষা মন্ত্রীর কাছে জানানো হয়েছে। তিনি আরো বলেন উপাচার্যের বিরুদ্ধে দুর্নিতী নিয়োগ বানিজ্য ক্ষমতার অপব্যাহারের অভিযোগ ইউজিসি কর্তৃক প্রমানিত। ইউজিসির তদন্ত কমিটি ইতিমধ্যে তদন্ত প্রতিবেদন মন্ত্রনালয়ে দাখিল করেছে। যে ব্যাক্তি ইউজিসির নির্দেশনা অমান্য করে নিলজ্যের মতো ঢাকার গেষ্ট হাউজকে লিয়াজো অফিস বানিয়ে অবস্থান করে অবৈধ নির্দেশনা দিচ্ছেন তার বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্তা নেয়ার দাবি জানান।
অন্যদিকে অধিকার সুরক্ষা পরিষদের আহবায়ক অধ্যাপক মতিউর রহমান বলেন উপাচার্যের সকল কর্মকান্ড বেআইনী। তিনি বলেন লজ্জা থাকলে তিনি ইউজিসির নির্দেশনা মানতেন। তিনি আর উপাচার্য নন তাকে আমরা মানিনা।
এ ব্যাপারে ইউজিসির পরিচালক শাহ আলমের সাথে তার মোবাইল ফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি কোন মন্তব্য করতে রাজি হননি।
বেরোবির উপাচার্য কলিম উল্লাহ
মঙ্গলবার, ০৮ জুন ২০২১
বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরী কমিশন (ইউজিসি)র নির্দেশ অমান্য করে এখনও রংপুর বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের ঢাকাস্থ লিয়াজো অফিসে সকল দাপ্তরিক কর্মকান্ড চালিয়ে যাচ্ছেন মেয়াদ শেষ হওয়া উপাচার্য অধ্যাপক নাজমুল আহসান কলিম উল্লাহ। শুধু ত্ইা নয় পছন্দের ব্যাক্তিদের বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন গুরুত্বপুর্ন পদে বদলী নতুন নিয়োগ সহ বিভিন্ন কর্মকান্ড অব্যাহত রাখা হচ্ছে বলে অভিযোগ উঠেছে।
উল্লেখ্য ইউজিসি গত ২৩ মে স্মারক নম্বর ২০১৭ তারিখ ২৩.০৫.২১ইং এক পরিপত্র জারি করেছে। সেখানে বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের ২০২০-২১ অর্থবছরের মুল বাজেট পরিচালন বরাদ্দ ব্যায়ের ক্ষেত্রে গাইড লাইন প্রদান করা হয়েছে। ওই পরিপত্রে রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের জন্য ঢাকায় রেষ্ট হাউজ ব্যাতিত লিয়াজো অফিস অথবা অন্য কোন নামে অফিস করা/ রাখা যাবেনা। বিশ্ববিদ্যালয়ের স্থায়ী ক্যাম্পাস/ ঠিকানায় বিশ্ববিদ্যালয়ের যাবতীয় প্রশাসনিক ও একাডেমিক কার্যক্রম পরিচালনা করতে হবে। এ নির্দেশ জারির পরেও উপাচার্য তার বানানো লিয়াজো অফিসকে সকল কর্মকান্ডের কেন্দ্র বিন্দু বানিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনিক ও একাডেমিক কর্মকান্ড সহ সকল কাজ করা হচ্ছে।
এ ব্যাপারে রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক নাজমুল আহসান কলিম উল্লাহর সাথে তার মোবাইল ফোনে অসংখ্যবার ফোন করা হলেও তিনি ফোন রিসিভ করেননি। তবে নাম প্রকাশে অনিশ্চুক এক কর্মকর্তা জানান ২০১৭ সালের ১ জুন তারিখে কলিম উল্লাহ উপাচার্য হিসেবে নিয়োগ পান। সে হিসেবে ৩১ মে তার চার বছর মেয়াদ শেষ হলেও উনি দাবি করছেন ২০১৭ সালের ১৪ জুন তিনি উপাচার্য হিসেবে যোগদান করেছেন সে কারনে চলতি মাসের ১৪ জুন পর্যন্ত তিনি উপাচার্য হিসেবে বহাল আছেন। তবে ইউজিসির নির্দেশনা তিনি কেন মানছেননা সেটা তিনি বলতে পারেবন।
এদিকে রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের বঙ্গবন্ধু পরিষদের সাধারন সম্পাদক মশিউর রহমান জানান ৩১ মে উপাচার্যের মেয়াদ শেষ হয়ে গেছে। এখন তিনি যে সব কর্মকান্ড করছেরন তা সম্পুর্ন বেআইনী। ১ জুনের পরে উপাচার্যের দেয়া সকল আদেশ নির্দেশ আমরা মানিনা। বিষয়টি লিখিত আকারে শিক্ষা মন্ত্রীর কাছে জানানো হয়েছে। তিনি আরো বলেন উপাচার্যের বিরুদ্ধে দুর্নিতী নিয়োগ বানিজ্য ক্ষমতার অপব্যাহারের অভিযোগ ইউজিসি কর্তৃক প্রমানিত। ইউজিসির তদন্ত কমিটি ইতিমধ্যে তদন্ত প্রতিবেদন মন্ত্রনালয়ে দাখিল করেছে। যে ব্যাক্তি ইউজিসির নির্দেশনা অমান্য করে নিলজ্যের মতো ঢাকার গেষ্ট হাউজকে লিয়াজো অফিস বানিয়ে অবস্থান করে অবৈধ নির্দেশনা দিচ্ছেন তার বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্তা নেয়ার দাবি জানান।
অন্যদিকে অধিকার সুরক্ষা পরিষদের আহবায়ক অধ্যাপক মতিউর রহমান বলেন উপাচার্যের সকল কর্মকান্ড বেআইনী। তিনি বলেন লজ্জা থাকলে তিনি ইউজিসির নির্দেশনা মানতেন। তিনি আর উপাচার্য নন তাকে আমরা মানিনা।
এ ব্যাপারে ইউজিসির পরিচালক শাহ আলমের সাথে তার মোবাইল ফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি কোন মন্তব্য করতে রাজি হননি।