alt

ক্যাম্পাস

অকেজো ঢাবির সাইবার সেন্টার

অধিকাংশ কম্পিউটার অকার্যকর

ঢাবি প্রতিনিধি : রোববার, ১৭ অক্টোবর ২০২১

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের গ্রন্থাগারের অধীনে ২০০৮ সালের ১ সেপ্টেম্বর চালু করা হয় বিশ্ববিদ্যালয়ের সাইবার সেন্টার। যাত্রাকালে ৬০ টাকার বিনিময়ে ৫ ঘণ্টা ব্রাউজিংসহ নিজেদের প্রয়োজনীয় কাজ করতে পারতেন শিক্ষার্থীরা। কিন্তু কয়েক বছর পর থেকেই সমস্যা দেখা দেয় এগুলোতে। এরপর বিভিন্ন সময়ে দু`একটি করে নতুন কম্পিউটার সংযোজন করার পর সর্বশেষ ২০১৬ সালে কোরিয়ান অ্যাম্বাসির সহযোগিতায় একসঙ্গে ত্রিশটি কম্পিউটার সংযোজন করা হয়। শুরুর দিকে এবং সর্বশেষ ২০১৬-১৭ সালের দিকে শিক্ষার্থীরা সাইবার সেন্টারটি মোটামুটি ব্যবহার করতে পারলেও পর্যাপ্ত সুযোগ-সুবিধার অভাব ও অব্যবস্থাপনার কারণে ব্যবহারকারীর সংখ্যা বর্তমানে শূন্যের কোটায় নেমে এসেছে। বর্তমানে এটি প্রায় ব্যবহার অনুপযোগী হয়ে আছে।

সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, সেখানে মাত্র ৫টি কম্পিউটার সচল আছে। পাওয়া যায়নি একজন ব্যবহারকারীও। ১৫-২০ টি কম্পিউটার অকার্যকর অবস্থায় মেঝেতে পড়ে আছে। তবে একটি কম্পিউটারেও নেটওয়ার্ক কানেকশন পাওয়া যায়নি। বসার চেয়ার ও কম্পিউটার টেবিলেও ময়লার আবরণ জমে আছে।

হার্ডওয়্যার টেকনিশিয়ানের দায়িত্বে থাকা জাফর হাওলাদার সংবাদকে বলেন, সাইবার সেন্টারটির প্রতি কর্তৃপক্ষের সুনজর প্রয়োজন। চার-পাঁচ বছর যাবৎ ভগ্নদশা অবস্থায় চলছে এ সেন্টারটি। ফি বন্ধ করে দেওয়ার পরেও শিক্ষার্থীরা আসছেন না। পর্যাপ্ত কম্পিউটারের অভাবসহ আছে দক্ষ লোকবলের সংকটও।

শিক্ষার্থীরা বলছেন, সাইবার সেন্টারটিতে শিক্ষার্থীদের তুলনায় কম্পিউটারের সংখ্যা খুবই কম। তাছাড়া প্রিন্টার, নেটওয়ার্ক কানেকশনসহ আধুনিক সুবিধাবলিও অনুপস্থিত। পর্যাপ্ত সুযোগ-সুবিধা পেলে শিক্ষার্থীরা অবশ্যই এটি ব্যবহার করতো।

ব্যবস্থাপনা বিভাগের শিক্ষার্থী অনামিকা চক্রবর্তী বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের শতবর্ষে এসেও এখানে একটি আধুনিক সুবিধা সংবলিত সাইবার সেন্টার নেই। এটা খুবই দুঃখজনক। আমরা র‍্যাংকিং নিয়ে সমালোচনা করছি। অথচ র‍্যাংকিংয়ে উন্নয়নের জন্য যে বিষয়গুলো অনুঘটক হিসেবে কাজ করে সেগুলো বিশ্ববিদ্যালয়ে অনুপস্থিত।

অপরিচ্ছন্নতার বিষয়ে জানতে চাইলে বিশ্ববিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত গ্রন্থাগারিক অধ্যাপক ড. মোঃ নাসিরউদ্দিন মুন্সী সিস্টেম অ্যানালিস্ট মোঃ মনিরুজ্জামানের সাথে কথা বলার পরামর্শ দেন। তবে মনিরুজ্জামান এ বিষয়ে কোনো সদুত্তর দিতে পারে নি।

শিক্ষার্থীদের না আসার বিষয়ে গ্রন্থগারিক বলেন, ওয়াইফাই ও স্মার্টফোন সুবিধা আসার পর থেকে শিক্ষার্থীরা আর সাইবার সেন্টার ব্যবহার করতে চাচ্ছে না। মোবাইলে এখন সবকিছু করা যায়। এছাড়া প্রতিটি বিভাগে আইটি সেন্টার আছে। তাই হয়তো তাদের অনীহা।

তিনি আরো বলেন, আমরা এখানে আরো সুযোগ-সুবিধা সংযোজন করে ই-রিসোর্স জোন হিসেবে গড়ে তুলবো। সেখানে পর্যাপ্ত কম্পিউটার ও অন্যান্য সুবিধাও থাকবে। নির্দিষ্ট কিছু ফি’র বিনিময়ে আমরা শিক্ষার্থীদের বিভিন্ন বেসিক কোর্সও করাবো। এছাড়া নবীন শিক্ষার্থীরা কীভাবে সর্বোত্তম ভাবে গ্রন্থাগার ব্যবহার করবে সেটিও এখান থেকে শেখানো হবে। আমাদের সকল প্রক্রিয়া চলমান আছে।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. আখতারুজ্জামান সংবাদকে বলেন, বিষয়টি নিয়ে আমি গ্রন্থাগারিকের সাথে কথা বলে সেই অনুযায়ী ব্যবস্থা গ্রহণ করবো।

ছবি

জাবিতে উপড়ে ফেলা হলো অর্ধশতাধিক গাছ

ছবি

বিচার না হওয়া ও ‘স্বচ্ছতার অভাব’—জাকসু নির্বাচন পেছানোর পেছনে নানা ব্যাখ্যা

রাবিতে প্রেমঘটিত হতাশায় শিক্ষার্থীর ‘আত্মহত্যা প্রচেষ্টা’

ডাকসু নির্বাচন নিয়ে কমিশন গঠনের আশ্বাস, ঘোষণা আসতে পারে সোমবার

ছবি

জুলাই গণ-অভ্যুত্থানে নিহত ও আহতদের পরিবারের সদস্যদের জন্য ঢাবিতে বিশেষ ভর্তি সুবিধা

ছবি

সাম্য হত্যা: তদন্ত প্রতিবেদন জমা দিল ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কমিটি

ছবি

রাবির বঙ্গবন্ধু হলের নাম এখন ‘বিজয়-২৪’

ছবি

চবিতে ক্লাস করতে আসা বহিষ্কৃত ছাত্রলীগ কর্মীকে মারধর, মুচলেকা নিয়ে ছাড়

পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে উপাচার্য নিয়োগে সার্চ কমিটি গঠন

ছবি

সরকারি সাত কলেজ নিয়ে প্রস্তাবিত বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসক অধ্যাপক ইলিয়াস

ছবি

রায় বাতিলসহ ৬ দফা দাবিতে হাইকোর্টে পলিটেকনিক শিক্ষার্থীদের অবস্থান

দাবি মানার প্রতিশ্রুতিতে আন্দোলন স্থগিত করেন জবির শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা

ছবি

যমুনার উদ্দেশে জবি শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের লং মার্চ শুরু

ছবি

ছুরিকাঘাতে ঢাবি ছাত্রদল নেতা সাম্যের মৃত্যু, বিক্ষোভ

ছবি

বুধবার জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের সকল পরীক্ষা স্থগিত

ছবি

প্রধান উপদেষ্টার বাসভবন অভিমুখে জবি শিক্ষার্থীদের ‘লং মার্চ’ ঘোষণা

ছবি

চায়ের দোকানের মালিকানা নিয়ে ঝামেলা, তালা ঝুলিয়ে ‘দিলেন জবি ছাত্রদল নেতা’

আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধের খবরে ঢাবিতে স্লোগানে মুখর রাত

আবু সাঈদের জীবন দান দেশের ইতিহাসে গুরুত্বপূর্ণ রাজনৈতিক দার্শনিক ঘটনা: ফরহাদ মজহার

ছবি

কুয়েট উপাচার্যের দায়িত্বে হযরত আলী

ছবি

রাকসু নির্বাচন: ধীরগতি, ঝুলে আছে বিধিমালা ও ভোটার তালিকা

ছবি

রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়: গভীর রাতে রেজিস্ট্রারের বাড়িতে ককটেল বিস্ফোরণ

ছবি

৩৩ বছর পর জাকসু নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা, ভোট ৩১ জুলাই

জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়: চার মাসে চারজনের আত্মহত্যা, প্রবণতা কি বাড়ছে? কী করছে কাউন্সেলিং সেন্টার?

ছবি

গলায় ফাঁস দিয়ে জবি শিক্ষার্থীর আত্মহত্যা, পুলিশ হেফাজতে ১

ছবি

অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ হলো ইউআইইউ

ছবি

কুবির দুই শিক্ষার্থী বহিষ্কার

ছবি

জবির কেন্দ্রীয় লাইব্রেরিতে ছাত্রদলের পক্ষ থেকে বুকশেলফ প্রদান

ছবি

পিএসসি সংস্কারে ৮ দফা দাবি জবি শিক্ষার্থীদের

ছবি

জবি রেজিস্ট্রারের পদত্যাগ দাবি: ২৪ ঘন্টার আল্টিমেটাম, কুশপুত্তলিকা দাহ

ছবি

‘এলাকার কলেজে পড়লে পারতে, … গেট আউট’, জবি শিক্ষার্থীকে রেজিস্ট্রার

ছবি

কুয়েট শিক্ষার্থীদের অনশন কর্মসূচি প্রত্যাহারের অনুরোধ শিক্ষা উপদেষ্টার

ছবি

বাউবিতে ‘উন্মুক্ত ও দূরশিক্ষণের জন্য মিডিয়া ও ডিজিটাল প্রোডাকশন কৌশল’ বিষয়ক প্রশিক্ষণ

ছবি

‎জবি শিক্ষার্থীদের কাঁথা-বালিশ কর্মসূচি ঘোষণা

কুয়েট উপাচার্যের অপসারণের দাবিতে শিক্ষার্থীদের মশাল মিছিল

ছবি

খাগড়াছড়িতে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের পাঁচ শিক্ষার্থী অপহরণ, ইউপিডিএফের বিরুদ্ধে অভিযোগ

tab

ক্যাম্পাস

অকেজো ঢাবির সাইবার সেন্টার

অধিকাংশ কম্পিউটার অকার্যকর

ঢাবি প্রতিনিধি

রোববার, ১৭ অক্টোবর ২০২১

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের গ্রন্থাগারের অধীনে ২০০৮ সালের ১ সেপ্টেম্বর চালু করা হয় বিশ্ববিদ্যালয়ের সাইবার সেন্টার। যাত্রাকালে ৬০ টাকার বিনিময়ে ৫ ঘণ্টা ব্রাউজিংসহ নিজেদের প্রয়োজনীয় কাজ করতে পারতেন শিক্ষার্থীরা। কিন্তু কয়েক বছর পর থেকেই সমস্যা দেখা দেয় এগুলোতে। এরপর বিভিন্ন সময়ে দু`একটি করে নতুন কম্পিউটার সংযোজন করার পর সর্বশেষ ২০১৬ সালে কোরিয়ান অ্যাম্বাসির সহযোগিতায় একসঙ্গে ত্রিশটি কম্পিউটার সংযোজন করা হয়। শুরুর দিকে এবং সর্বশেষ ২০১৬-১৭ সালের দিকে শিক্ষার্থীরা সাইবার সেন্টারটি মোটামুটি ব্যবহার করতে পারলেও পর্যাপ্ত সুযোগ-সুবিধার অভাব ও অব্যবস্থাপনার কারণে ব্যবহারকারীর সংখ্যা বর্তমানে শূন্যের কোটায় নেমে এসেছে। বর্তমানে এটি প্রায় ব্যবহার অনুপযোগী হয়ে আছে।

সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, সেখানে মাত্র ৫টি কম্পিউটার সচল আছে। পাওয়া যায়নি একজন ব্যবহারকারীও। ১৫-২০ টি কম্পিউটার অকার্যকর অবস্থায় মেঝেতে পড়ে আছে। তবে একটি কম্পিউটারেও নেটওয়ার্ক কানেকশন পাওয়া যায়নি। বসার চেয়ার ও কম্পিউটার টেবিলেও ময়লার আবরণ জমে আছে।

হার্ডওয়্যার টেকনিশিয়ানের দায়িত্বে থাকা জাফর হাওলাদার সংবাদকে বলেন, সাইবার সেন্টারটির প্রতি কর্তৃপক্ষের সুনজর প্রয়োজন। চার-পাঁচ বছর যাবৎ ভগ্নদশা অবস্থায় চলছে এ সেন্টারটি। ফি বন্ধ করে দেওয়ার পরেও শিক্ষার্থীরা আসছেন না। পর্যাপ্ত কম্পিউটারের অভাবসহ আছে দক্ষ লোকবলের সংকটও।

শিক্ষার্থীরা বলছেন, সাইবার সেন্টারটিতে শিক্ষার্থীদের তুলনায় কম্পিউটারের সংখ্যা খুবই কম। তাছাড়া প্রিন্টার, নেটওয়ার্ক কানেকশনসহ আধুনিক সুবিধাবলিও অনুপস্থিত। পর্যাপ্ত সুযোগ-সুবিধা পেলে শিক্ষার্থীরা অবশ্যই এটি ব্যবহার করতো।

ব্যবস্থাপনা বিভাগের শিক্ষার্থী অনামিকা চক্রবর্তী বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের শতবর্ষে এসেও এখানে একটি আধুনিক সুবিধা সংবলিত সাইবার সেন্টার নেই। এটা খুবই দুঃখজনক। আমরা র‍্যাংকিং নিয়ে সমালোচনা করছি। অথচ র‍্যাংকিংয়ে উন্নয়নের জন্য যে বিষয়গুলো অনুঘটক হিসেবে কাজ করে সেগুলো বিশ্ববিদ্যালয়ে অনুপস্থিত।

অপরিচ্ছন্নতার বিষয়ে জানতে চাইলে বিশ্ববিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত গ্রন্থাগারিক অধ্যাপক ড. মোঃ নাসিরউদ্দিন মুন্সী সিস্টেম অ্যানালিস্ট মোঃ মনিরুজ্জামানের সাথে কথা বলার পরামর্শ দেন। তবে মনিরুজ্জামান এ বিষয়ে কোনো সদুত্তর দিতে পারে নি।

শিক্ষার্থীদের না আসার বিষয়ে গ্রন্থগারিক বলেন, ওয়াইফাই ও স্মার্টফোন সুবিধা আসার পর থেকে শিক্ষার্থীরা আর সাইবার সেন্টার ব্যবহার করতে চাচ্ছে না। মোবাইলে এখন সবকিছু করা যায়। এছাড়া প্রতিটি বিভাগে আইটি সেন্টার আছে। তাই হয়তো তাদের অনীহা।

তিনি আরো বলেন, আমরা এখানে আরো সুযোগ-সুবিধা সংযোজন করে ই-রিসোর্স জোন হিসেবে গড়ে তুলবো। সেখানে পর্যাপ্ত কম্পিউটার ও অন্যান্য সুবিধাও থাকবে। নির্দিষ্ট কিছু ফি’র বিনিময়ে আমরা শিক্ষার্থীদের বিভিন্ন বেসিক কোর্সও করাবো। এছাড়া নবীন শিক্ষার্থীরা কীভাবে সর্বোত্তম ভাবে গ্রন্থাগার ব্যবহার করবে সেটিও এখান থেকে শেখানো হবে। আমাদের সকল প্রক্রিয়া চলমান আছে।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. আখতারুজ্জামান সংবাদকে বলেন, বিষয়টি নিয়ে আমি গ্রন্থাগারিকের সাথে কথা বলে সেই অনুযায়ী ব্যবস্থা গ্রহণ করবো।

back to top