অধিকাংশ কম্পিউটার অকার্যকর
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের গ্রন্থাগারের অধীনে ২০০৮ সালের ১ সেপ্টেম্বর চালু করা হয় বিশ্ববিদ্যালয়ের সাইবার সেন্টার। যাত্রাকালে ৬০ টাকার বিনিময়ে ৫ ঘণ্টা ব্রাউজিংসহ নিজেদের প্রয়োজনীয় কাজ করতে পারতেন শিক্ষার্থীরা। কিন্তু কয়েক বছর পর থেকেই সমস্যা দেখা দেয় এগুলোতে। এরপর বিভিন্ন সময়ে দু`একটি করে নতুন কম্পিউটার সংযোজন করার পর সর্বশেষ ২০১৬ সালে কোরিয়ান অ্যাম্বাসির সহযোগিতায় একসঙ্গে ত্রিশটি কম্পিউটার সংযোজন করা হয়। শুরুর দিকে এবং সর্বশেষ ২০১৬-১৭ সালের দিকে শিক্ষার্থীরা সাইবার সেন্টারটি মোটামুটি ব্যবহার করতে পারলেও পর্যাপ্ত সুযোগ-সুবিধার অভাব ও অব্যবস্থাপনার কারণে ব্যবহারকারীর সংখ্যা বর্তমানে শূন্যের কোটায় নেমে এসেছে। বর্তমানে এটি প্রায় ব্যবহার অনুপযোগী হয়ে আছে।
সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, সেখানে মাত্র ৫টি কম্পিউটার সচল আছে। পাওয়া যায়নি একজন ব্যবহারকারীও। ১৫-২০ টি কম্পিউটার অকার্যকর অবস্থায় মেঝেতে পড়ে আছে। তবে একটি কম্পিউটারেও নেটওয়ার্ক কানেকশন পাওয়া যায়নি। বসার চেয়ার ও কম্পিউটার টেবিলেও ময়লার আবরণ জমে আছে।
হার্ডওয়্যার টেকনিশিয়ানের দায়িত্বে থাকা জাফর হাওলাদার সংবাদকে বলেন, সাইবার সেন্টারটির প্রতি কর্তৃপক্ষের সুনজর প্রয়োজন। চার-পাঁচ বছর যাবৎ ভগ্নদশা অবস্থায় চলছে এ সেন্টারটি। ফি বন্ধ করে দেওয়ার পরেও শিক্ষার্থীরা আসছেন না। পর্যাপ্ত কম্পিউটারের অভাবসহ আছে দক্ষ লোকবলের সংকটও।
শিক্ষার্থীরা বলছেন, সাইবার সেন্টারটিতে শিক্ষার্থীদের তুলনায় কম্পিউটারের সংখ্যা খুবই কম। তাছাড়া প্রিন্টার, নেটওয়ার্ক কানেকশনসহ আধুনিক সুবিধাবলিও অনুপস্থিত। পর্যাপ্ত সুযোগ-সুবিধা পেলে শিক্ষার্থীরা অবশ্যই এটি ব্যবহার করতো।
ব্যবস্থাপনা বিভাগের শিক্ষার্থী অনামিকা চক্রবর্তী বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের শতবর্ষে এসেও এখানে একটি আধুনিক সুবিধা সংবলিত সাইবার সেন্টার নেই। এটা খুবই দুঃখজনক। আমরা র্যাংকিং নিয়ে সমালোচনা করছি। অথচ র্যাংকিংয়ে উন্নয়নের জন্য যে বিষয়গুলো অনুঘটক হিসেবে কাজ করে সেগুলো বিশ্ববিদ্যালয়ে অনুপস্থিত।
অপরিচ্ছন্নতার বিষয়ে জানতে চাইলে বিশ্ববিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত গ্রন্থাগারিক অধ্যাপক ড. মোঃ নাসিরউদ্দিন মুন্সী সিস্টেম অ্যানালিস্ট মোঃ মনিরুজ্জামানের সাথে কথা বলার পরামর্শ দেন। তবে মনিরুজ্জামান এ বিষয়ে কোনো সদুত্তর দিতে পারে নি।
শিক্ষার্থীদের না আসার বিষয়ে গ্রন্থগারিক বলেন, ওয়াইফাই ও স্মার্টফোন সুবিধা আসার পর থেকে শিক্ষার্থীরা আর সাইবার সেন্টার ব্যবহার করতে চাচ্ছে না। মোবাইলে এখন সবকিছু করা যায়। এছাড়া প্রতিটি বিভাগে আইটি সেন্টার আছে। তাই হয়তো তাদের অনীহা।
তিনি আরো বলেন, আমরা এখানে আরো সুযোগ-সুবিধা সংযোজন করে ই-রিসোর্স জোন হিসেবে গড়ে তুলবো। সেখানে পর্যাপ্ত কম্পিউটার ও অন্যান্য সুবিধাও থাকবে। নির্দিষ্ট কিছু ফি’র বিনিময়ে আমরা শিক্ষার্থীদের বিভিন্ন বেসিক কোর্সও করাবো। এছাড়া নবীন শিক্ষার্থীরা কীভাবে সর্বোত্তম ভাবে গ্রন্থাগার ব্যবহার করবে সেটিও এখান থেকে শেখানো হবে। আমাদের সকল প্রক্রিয়া চলমান আছে।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. আখতারুজ্জামান সংবাদকে বলেন, বিষয়টি নিয়ে আমি গ্রন্থাগারিকের সাথে কথা বলে সেই অনুযায়ী ব্যবস্থা গ্রহণ করবো।
অধিকাংশ কম্পিউটার অকার্যকর
রোববার, ১৭ অক্টোবর ২০২১
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের গ্রন্থাগারের অধীনে ২০০৮ সালের ১ সেপ্টেম্বর চালু করা হয় বিশ্ববিদ্যালয়ের সাইবার সেন্টার। যাত্রাকালে ৬০ টাকার বিনিময়ে ৫ ঘণ্টা ব্রাউজিংসহ নিজেদের প্রয়োজনীয় কাজ করতে পারতেন শিক্ষার্থীরা। কিন্তু কয়েক বছর পর থেকেই সমস্যা দেখা দেয় এগুলোতে। এরপর বিভিন্ন সময়ে দু`একটি করে নতুন কম্পিউটার সংযোজন করার পর সর্বশেষ ২০১৬ সালে কোরিয়ান অ্যাম্বাসির সহযোগিতায় একসঙ্গে ত্রিশটি কম্পিউটার সংযোজন করা হয়। শুরুর দিকে এবং সর্বশেষ ২০১৬-১৭ সালের দিকে শিক্ষার্থীরা সাইবার সেন্টারটি মোটামুটি ব্যবহার করতে পারলেও পর্যাপ্ত সুযোগ-সুবিধার অভাব ও অব্যবস্থাপনার কারণে ব্যবহারকারীর সংখ্যা বর্তমানে শূন্যের কোটায় নেমে এসেছে। বর্তমানে এটি প্রায় ব্যবহার অনুপযোগী হয়ে আছে।
সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, সেখানে মাত্র ৫টি কম্পিউটার সচল আছে। পাওয়া যায়নি একজন ব্যবহারকারীও। ১৫-২০ টি কম্পিউটার অকার্যকর অবস্থায় মেঝেতে পড়ে আছে। তবে একটি কম্পিউটারেও নেটওয়ার্ক কানেকশন পাওয়া যায়নি। বসার চেয়ার ও কম্পিউটার টেবিলেও ময়লার আবরণ জমে আছে।
হার্ডওয়্যার টেকনিশিয়ানের দায়িত্বে থাকা জাফর হাওলাদার সংবাদকে বলেন, সাইবার সেন্টারটির প্রতি কর্তৃপক্ষের সুনজর প্রয়োজন। চার-পাঁচ বছর যাবৎ ভগ্নদশা অবস্থায় চলছে এ সেন্টারটি। ফি বন্ধ করে দেওয়ার পরেও শিক্ষার্থীরা আসছেন না। পর্যাপ্ত কম্পিউটারের অভাবসহ আছে দক্ষ লোকবলের সংকটও।
শিক্ষার্থীরা বলছেন, সাইবার সেন্টারটিতে শিক্ষার্থীদের তুলনায় কম্পিউটারের সংখ্যা খুবই কম। তাছাড়া প্রিন্টার, নেটওয়ার্ক কানেকশনসহ আধুনিক সুবিধাবলিও অনুপস্থিত। পর্যাপ্ত সুযোগ-সুবিধা পেলে শিক্ষার্থীরা অবশ্যই এটি ব্যবহার করতো।
ব্যবস্থাপনা বিভাগের শিক্ষার্থী অনামিকা চক্রবর্তী বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের শতবর্ষে এসেও এখানে একটি আধুনিক সুবিধা সংবলিত সাইবার সেন্টার নেই। এটা খুবই দুঃখজনক। আমরা র্যাংকিং নিয়ে সমালোচনা করছি। অথচ র্যাংকিংয়ে উন্নয়নের জন্য যে বিষয়গুলো অনুঘটক হিসেবে কাজ করে সেগুলো বিশ্ববিদ্যালয়ে অনুপস্থিত।
অপরিচ্ছন্নতার বিষয়ে জানতে চাইলে বিশ্ববিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত গ্রন্থাগারিক অধ্যাপক ড. মোঃ নাসিরউদ্দিন মুন্সী সিস্টেম অ্যানালিস্ট মোঃ মনিরুজ্জামানের সাথে কথা বলার পরামর্শ দেন। তবে মনিরুজ্জামান এ বিষয়ে কোনো সদুত্তর দিতে পারে নি।
শিক্ষার্থীদের না আসার বিষয়ে গ্রন্থগারিক বলেন, ওয়াইফাই ও স্মার্টফোন সুবিধা আসার পর থেকে শিক্ষার্থীরা আর সাইবার সেন্টার ব্যবহার করতে চাচ্ছে না। মোবাইলে এখন সবকিছু করা যায়। এছাড়া প্রতিটি বিভাগে আইটি সেন্টার আছে। তাই হয়তো তাদের অনীহা।
তিনি আরো বলেন, আমরা এখানে আরো সুযোগ-সুবিধা সংযোজন করে ই-রিসোর্স জোন হিসেবে গড়ে তুলবো। সেখানে পর্যাপ্ত কম্পিউটার ও অন্যান্য সুবিধাও থাকবে। নির্দিষ্ট কিছু ফি’র বিনিময়ে আমরা শিক্ষার্থীদের বিভিন্ন বেসিক কোর্সও করাবো। এছাড়া নবীন শিক্ষার্থীরা কীভাবে সর্বোত্তম ভাবে গ্রন্থাগার ব্যবহার করবে সেটিও এখান থেকে শেখানো হবে। আমাদের সকল প্রক্রিয়া চলমান আছে।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. আখতারুজ্জামান সংবাদকে বলেন, বিষয়টি নিয়ে আমি গ্রন্থাগারিকের সাথে কথা বলে সেই অনুযায়ী ব্যবস্থা গ্রহণ করবো।