ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) মাস্টারদা সূর্যসেন হলের প্রাধ্যক্ষ অধ্যাপক মোহাম্মদ মকবুল হোসেন ভুঁইয়া ‘নিখোঁজ’ এমন একটি বিজ্ঞপ্তিতে ছেয়ে গেছে পুরো ক্যাম্পাস।
রোববার (২৮ নভেম্বর) বিশ্ববিদ্যালয়ের সূর্যসেন হল সংলগ্ন দেয়াল, স্যাডু (ঢাবির একটি স্থানের নাম), মধুর ক্যান্টিন, টিএসসি চত্বরসহ বেশ কয়েকটি জায়গায় এ বিজ্ঞপ্তি দেখা যায়।
জানা যায় , প্রকৃতপক্ষে নিখোঁজ হননি অধ্যাপক মকবুল হোসেন। শিক্ষার্থীদের ‘যৌক্তিক’ দাবিতে কর্ণপাত না করা, হলের সমস্যা সমাধানে উদ্যোগ না নেওয়া এবং বেশিরভাগ সময় অফিসে না থাকায় বিক্ষুব্ধ একদল শিক্ষার্থী এ বিজ্ঞপ্তি ক্যাম্পাসে লাগিয়ে দেন।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে সূর্যসেন হলের এক শিক্ষার্থী সংবাদকে বলেন, কিছুদিন আগে হলে শিক্ষার্থী মারধরের ঘটনায় প্রভোস্ট তেমন কোনো সমাধান দিতে পারেনি। ক্যান্টিনের খাবারের মান খারাপ, আমরা মশায় যন্ত্রণায় অতিষ্ঠ কিন্তু মশা নিধনে কোনো উদ্যোগ নেই; এমন নানা সমস্যা লেগেই আছে কিন্তু প্রভোস্ট কোনো পদক্ষেপ নিচ্ছেন না। আমরা নিজেরা জানালেও তোয়াক্কা করছেন না। তাই ক্ষুব্ধ হয়ে শিক্ষার্থীরা এমন নিখোঁজ বিজ্ঞপ্তি লাগিয়েছে। কারণ আমরা প্রভোস্টের কাছ থেকে কোনো সহযোগিতা পাচ্ছি না।
আরেক শিক্ষার্থী বলেন, আমাদের হলের বর্তমান যে প্রভোস্ট আছেন, তিনি কাজ কম করেন। হলের কিছু কাজ করা খুবই প্রয়োজন কিন্তু তিনি করছেন না। হলের মসজিদের মাইক্রোফোন নষ্ট হওয়ায় জুমআর নামাজ পড়তে সমস্যা হচ্ছে, টেনিস কোর্ট হচ্ছে না, হলের গেমস রুমে গেমস সামগ্রী নেই, পানির টেপগুলো প্রায় নষ্ট, ওয়াশরুমগুলো ঠিকমতো পরিষ্কার করা হচ্ছে না।
তিনি আরও বলেন, মূলত শিক্ষার্থীদের সমস্যা সমাধানে প্রভোস্ট অনীহা প্রকাশ করছেন। তাই শিক্ষার্থীরা নিখোঁজ বিজ্ঞপ্তি দিয়ে প্রতিবাদ করছে।
এ বিষয়ে মন্তব্য জানতে সূর্যসেন হলের প্রভোস্ট অধ্যাপক মকবুল হোসেনকে সেলফোনে একাধিকবার কল দেওয়া হলেও তিনি তা রিসিভ করেননি।
তবে নিখোঁজ না হওয়ার বিষয়টি সংবাদকে নিশ্চিত করেছেন প্রভোস্ট স্ট্যান্ডিং কমিটির সদস্য সচিব ও প্রক্টর অধ্যাপক ড. একেএম গোলাম রব্বানী। তিনি বলেন, যেই করুক না কেন, এটা একটা অরুচিকর কাজ।
সোমবার, ২৯ নভেম্বর ২০২১
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) মাস্টারদা সূর্যসেন হলের প্রাধ্যক্ষ অধ্যাপক মোহাম্মদ মকবুল হোসেন ভুঁইয়া ‘নিখোঁজ’ এমন একটি বিজ্ঞপ্তিতে ছেয়ে গেছে পুরো ক্যাম্পাস।
রোববার (২৮ নভেম্বর) বিশ্ববিদ্যালয়ের সূর্যসেন হল সংলগ্ন দেয়াল, স্যাডু (ঢাবির একটি স্থানের নাম), মধুর ক্যান্টিন, টিএসসি চত্বরসহ বেশ কয়েকটি জায়গায় এ বিজ্ঞপ্তি দেখা যায়।
জানা যায় , প্রকৃতপক্ষে নিখোঁজ হননি অধ্যাপক মকবুল হোসেন। শিক্ষার্থীদের ‘যৌক্তিক’ দাবিতে কর্ণপাত না করা, হলের সমস্যা সমাধানে উদ্যোগ না নেওয়া এবং বেশিরভাগ সময় অফিসে না থাকায় বিক্ষুব্ধ একদল শিক্ষার্থী এ বিজ্ঞপ্তি ক্যাম্পাসে লাগিয়ে দেন।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে সূর্যসেন হলের এক শিক্ষার্থী সংবাদকে বলেন, কিছুদিন আগে হলে শিক্ষার্থী মারধরের ঘটনায় প্রভোস্ট তেমন কোনো সমাধান দিতে পারেনি। ক্যান্টিনের খাবারের মান খারাপ, আমরা মশায় যন্ত্রণায় অতিষ্ঠ কিন্তু মশা নিধনে কোনো উদ্যোগ নেই; এমন নানা সমস্যা লেগেই আছে কিন্তু প্রভোস্ট কোনো পদক্ষেপ নিচ্ছেন না। আমরা নিজেরা জানালেও তোয়াক্কা করছেন না। তাই ক্ষুব্ধ হয়ে শিক্ষার্থীরা এমন নিখোঁজ বিজ্ঞপ্তি লাগিয়েছে। কারণ আমরা প্রভোস্টের কাছ থেকে কোনো সহযোগিতা পাচ্ছি না।
আরেক শিক্ষার্থী বলেন, আমাদের হলের বর্তমান যে প্রভোস্ট আছেন, তিনি কাজ কম করেন। হলের কিছু কাজ করা খুবই প্রয়োজন কিন্তু তিনি করছেন না। হলের মসজিদের মাইক্রোফোন নষ্ট হওয়ায় জুমআর নামাজ পড়তে সমস্যা হচ্ছে, টেনিস কোর্ট হচ্ছে না, হলের গেমস রুমে গেমস সামগ্রী নেই, পানির টেপগুলো প্রায় নষ্ট, ওয়াশরুমগুলো ঠিকমতো পরিষ্কার করা হচ্ছে না।
তিনি আরও বলেন, মূলত শিক্ষার্থীদের সমস্যা সমাধানে প্রভোস্ট অনীহা প্রকাশ করছেন। তাই শিক্ষার্থীরা নিখোঁজ বিজ্ঞপ্তি দিয়ে প্রতিবাদ করছে।
এ বিষয়ে মন্তব্য জানতে সূর্যসেন হলের প্রভোস্ট অধ্যাপক মকবুল হোসেনকে সেলফোনে একাধিকবার কল দেওয়া হলেও তিনি তা রিসিভ করেননি।
তবে নিখোঁজ না হওয়ার বিষয়টি সংবাদকে নিশ্চিত করেছেন প্রভোস্ট স্ট্যান্ডিং কমিটির সদস্য সচিব ও প্রক্টর অধ্যাপক ড. একেএম গোলাম রব্বানী। তিনি বলেন, যেই করুক না কেন, এটা একটা অরুচিকর কাজ।