alt

ক্যাম্পাস

মৃত্যুবার্ষিকীতে হাকিম চত্বরে হাকিম ভাইকে স্মরণ করেনি কেউ

ঢাবি প্রতিনিধি : শনিবার, ০৪ ডিসেম্বর ২০২১

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় এক জীবন্ত স্বত্বার প্রতিচ্ছবি। শত চড়াই-উৎরাই পেরিয়ে শতবর্ষ উদযাপন করছে বিশ্ববিদ্যালয়টি। এখানকার অফুরন্ত প্রাণসঞ্চার কখনো নিঃশেষ হয় না। কত আড্ডা-গল্প, হাঁসি-কান্না, আনন্দ-বেদনার স্মৃতি জড়িত হয়ে আছে এ ক্যাম্পাসের প্রতিটি ফরতে ফরতে। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের এমনি একটি স্মৃতি বিজড়িত স্থান হচ্ছে ‘হাকিম চত্বর’।

১৯৬৭ সালের কথা, বয়স তখন মাত্র ১৫ বছর। এই ১৫ বছরেই জীবনটাকে যেন নতুন করে আবিষ্কার করেছিলেন। বলছি, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ষাটের দশকের চা বিক্রেতা হাকিম ভাইয়ের কথা। সংসারে অভাব থাকায় কাজের সন্ধানে সেই কৈশোরেই বাবার হাত ধরে দোহার থেকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যাম্পাসে পাড়ি জমিয়েছিলেন তিনি।

ষাটের দশকে এই হাকিম ভাইয়ের চা’ই ছিল আড্ডার ফাঁকে গলা ভেজানোর একমাত্র রসদ। তাইতো শত ব্যস্ততার মাঝেও এক কাপ চা খেতে অনেকেই ছুটে যেতেন এই হাকিম চত্বরে। হাকিম ভাই-এর চায়ের দোকানে সবসময় ভিড় জমে থাকতো। তবে ভিড়টা বড় বেশি হতো সকাল এবং সন্ধ্যাবেলাতে। অজস্রজন হাকিম ভাইয়ের চা পান করতে করতে নানা আলোচনায় মাতোয়ারা হয়ে উঠতেন। সেই আলোচনায় রাজনীতি, সাহিত্য, নাটক, গল্প, প্রেম-ভালবাসা কোনো কিছুই বাদ যেত না। আশির দশকে স্বৈরাচার এরশাদ বিরোধী আন্দোলনে ‘হাকিম চত্বর’ ছিল আন্দোলনকামী ছাত্র ও সাংস্কৃতিক কর্মীদের সবচেয়ে প্রিয় এক স্থান।

বর্তমানে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় লাইব্রেরি থেকে রোকেয়া হল পর্যন্ত এলাকাকে হাকিম চত্বর বলে ধরা হয়ে থাকে। পুরোনো স্মৃতিকে মনে করতে এখনও সেসময়ের ছাত্রছাত্রীদের অনেকেই সময় পেলে হাকিম চত্বরে হাজির হন। তবে এখন আর গল্পের ফাঁকে খাওয়া হয় না হাকিম ভাইয়ের সেই বিখ্যাত চা।

২০০০ সালের ডিসেম্বর মাসের আজকের এই দিনে ‘হাকিম ভাই’ আকস্মিক মৃত্যুবরণ করেন। আজ থেকে ২১ বছর আগে ‘হাকিম ভাই’ চিরবিদায় নিলেও এখনও তিনি ক্যাম্পাসে অবিনশ্বর এক নাম। এখনও পুরনোদের অনেকেই হাকিম চত্বরে গিয়ে স্মৃতি হাতড়ান।

প্রতিবছর ব্যক্তি উদ্যোগে হাকিম ভাইয়ের স্মৃতিকে স্মরণীয় করে রাখার জন্য আলোচনা সভা ও আড্ডার আয়োজন করা হতো। কিন্তু এবার সেটিও হয়নি। এভাবেই হয়তো আস্তে আস্তে ব্যক্তি হাকিম ভাইয়ের স্মৃতি সকলে ভুলে যাবে। কিন্তু যুগের পর যুগ সকলের মুখে মুখে থাকবে হাকিম ভাইয়ের নাম। হাকিমের স্মৃতি বিজড়িত হাকিম চত্বরের বড় বড় বৃক্ষগুলোর গায়ে টিনের পাতে লিখা হাকিম চত্বর নামফলকটি তারই জানান দেয়।

ছবি

বিকল্প ছাড়া বের করে দিলে যাব কোথায়’—হলে অনাবাসিকদের প্রশ্ন

ছবি

গাজার যুদ্ধবিধ্বস্ত ২০০ পরিবারে খাদ্যসামগ্রী পৌঁছে দিল জবি শিক্ষার্থীরা

ছবি

জাবিতে উপড়ে ফেলা হলো অর্ধশতাধিক গাছ

ছবি

বিচার না হওয়া ও ‘স্বচ্ছতার অভাব’—জাকসু নির্বাচন পেছানোর পেছনে নানা ব্যাখ্যা

রাবিতে প্রেমঘটিত হতাশায় শিক্ষার্থীর ‘আত্মহত্যা প্রচেষ্টা’

ডাকসু নির্বাচন নিয়ে কমিশন গঠনের আশ্বাস, ঘোষণা আসতে পারে সোমবার

ছবি

জুলাই গণ-অভ্যুত্থানে নিহত ও আহতদের পরিবারের সদস্যদের জন্য ঢাবিতে বিশেষ ভর্তি সুবিধা

ছবি

সাম্য হত্যা: তদন্ত প্রতিবেদন জমা দিল ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কমিটি

ছবি

রাবির বঙ্গবন্ধু হলের নাম এখন ‘বিজয়-২৪’

ছবি

চবিতে ক্লাস করতে আসা বহিষ্কৃত ছাত্রলীগ কর্মীকে মারধর, মুচলেকা নিয়ে ছাড়

পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে উপাচার্য নিয়োগে সার্চ কমিটি গঠন

ছবি

সরকারি সাত কলেজ নিয়ে প্রস্তাবিত বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসক অধ্যাপক ইলিয়াস

ছবি

রায় বাতিলসহ ৬ দফা দাবিতে হাইকোর্টে পলিটেকনিক শিক্ষার্থীদের অবস্থান

দাবি মানার প্রতিশ্রুতিতে আন্দোলন স্থগিত করেন জবির শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা

ছবি

যমুনার উদ্দেশে জবি শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের লং মার্চ শুরু

ছবি

ছুরিকাঘাতে ঢাবি ছাত্রদল নেতা সাম্যের মৃত্যু, বিক্ষোভ

ছবি

বুধবার জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের সকল পরীক্ষা স্থগিত

ছবি

প্রধান উপদেষ্টার বাসভবন অভিমুখে জবি শিক্ষার্থীদের ‘লং মার্চ’ ঘোষণা

ছবি

চায়ের দোকানের মালিকানা নিয়ে ঝামেলা, তালা ঝুলিয়ে ‘দিলেন জবি ছাত্রদল নেতা’

আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধের খবরে ঢাবিতে স্লোগানে মুখর রাত

আবু সাঈদের জীবন দান দেশের ইতিহাসে গুরুত্বপূর্ণ রাজনৈতিক দার্শনিক ঘটনা: ফরহাদ মজহার

ছবি

কুয়েট উপাচার্যের দায়িত্বে হযরত আলী

ছবি

রাকসু নির্বাচন: ধীরগতি, ঝুলে আছে বিধিমালা ও ভোটার তালিকা

ছবি

রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়: গভীর রাতে রেজিস্ট্রারের বাড়িতে ককটেল বিস্ফোরণ

ছবি

৩৩ বছর পর জাকসু নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা, ভোট ৩১ জুলাই

জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়: চার মাসে চারজনের আত্মহত্যা, প্রবণতা কি বাড়ছে? কী করছে কাউন্সেলিং সেন্টার?

ছবি

গলায় ফাঁস দিয়ে জবি শিক্ষার্থীর আত্মহত্যা, পুলিশ হেফাজতে ১

ছবি

অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ হলো ইউআইইউ

ছবি

কুবির দুই শিক্ষার্থী বহিষ্কার

ছবি

জবির কেন্দ্রীয় লাইব্রেরিতে ছাত্রদলের পক্ষ থেকে বুকশেলফ প্রদান

ছবি

পিএসসি সংস্কারে ৮ দফা দাবি জবি শিক্ষার্থীদের

ছবি

জবি রেজিস্ট্রারের পদত্যাগ দাবি: ২৪ ঘন্টার আল্টিমেটাম, কুশপুত্তলিকা দাহ

ছবি

‘এলাকার কলেজে পড়লে পারতে, … গেট আউট’, জবি শিক্ষার্থীকে রেজিস্ট্রার

ছবি

কুয়েট শিক্ষার্থীদের অনশন কর্মসূচি প্রত্যাহারের অনুরোধ শিক্ষা উপদেষ্টার

ছবি

বাউবিতে ‘উন্মুক্ত ও দূরশিক্ষণের জন্য মিডিয়া ও ডিজিটাল প্রোডাকশন কৌশল’ বিষয়ক প্রশিক্ষণ

ছবি

‎জবি শিক্ষার্থীদের কাঁথা-বালিশ কর্মসূচি ঘোষণা

tab

ক্যাম্পাস

মৃত্যুবার্ষিকীতে হাকিম চত্বরে হাকিম ভাইকে স্মরণ করেনি কেউ

ঢাবি প্রতিনিধি

শনিবার, ০৪ ডিসেম্বর ২০২১

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় এক জীবন্ত স্বত্বার প্রতিচ্ছবি। শত চড়াই-উৎরাই পেরিয়ে শতবর্ষ উদযাপন করছে বিশ্ববিদ্যালয়টি। এখানকার অফুরন্ত প্রাণসঞ্চার কখনো নিঃশেষ হয় না। কত আড্ডা-গল্প, হাঁসি-কান্না, আনন্দ-বেদনার স্মৃতি জড়িত হয়ে আছে এ ক্যাম্পাসের প্রতিটি ফরতে ফরতে। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের এমনি একটি স্মৃতি বিজড়িত স্থান হচ্ছে ‘হাকিম চত্বর’।

১৯৬৭ সালের কথা, বয়স তখন মাত্র ১৫ বছর। এই ১৫ বছরেই জীবনটাকে যেন নতুন করে আবিষ্কার করেছিলেন। বলছি, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ষাটের দশকের চা বিক্রেতা হাকিম ভাইয়ের কথা। সংসারে অভাব থাকায় কাজের সন্ধানে সেই কৈশোরেই বাবার হাত ধরে দোহার থেকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যাম্পাসে পাড়ি জমিয়েছিলেন তিনি।

ষাটের দশকে এই হাকিম ভাইয়ের চা’ই ছিল আড্ডার ফাঁকে গলা ভেজানোর একমাত্র রসদ। তাইতো শত ব্যস্ততার মাঝেও এক কাপ চা খেতে অনেকেই ছুটে যেতেন এই হাকিম চত্বরে। হাকিম ভাই-এর চায়ের দোকানে সবসময় ভিড় জমে থাকতো। তবে ভিড়টা বড় বেশি হতো সকাল এবং সন্ধ্যাবেলাতে। অজস্রজন হাকিম ভাইয়ের চা পান করতে করতে নানা আলোচনায় মাতোয়ারা হয়ে উঠতেন। সেই আলোচনায় রাজনীতি, সাহিত্য, নাটক, গল্প, প্রেম-ভালবাসা কোনো কিছুই বাদ যেত না। আশির দশকে স্বৈরাচার এরশাদ বিরোধী আন্দোলনে ‘হাকিম চত্বর’ ছিল আন্দোলনকামী ছাত্র ও সাংস্কৃতিক কর্মীদের সবচেয়ে প্রিয় এক স্থান।

বর্তমানে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় লাইব্রেরি থেকে রোকেয়া হল পর্যন্ত এলাকাকে হাকিম চত্বর বলে ধরা হয়ে থাকে। পুরোনো স্মৃতিকে মনে করতে এখনও সেসময়ের ছাত্রছাত্রীদের অনেকেই সময় পেলে হাকিম চত্বরে হাজির হন। তবে এখন আর গল্পের ফাঁকে খাওয়া হয় না হাকিম ভাইয়ের সেই বিখ্যাত চা।

২০০০ সালের ডিসেম্বর মাসের আজকের এই দিনে ‘হাকিম ভাই’ আকস্মিক মৃত্যুবরণ করেন। আজ থেকে ২১ বছর আগে ‘হাকিম ভাই’ চিরবিদায় নিলেও এখনও তিনি ক্যাম্পাসে অবিনশ্বর এক নাম। এখনও পুরনোদের অনেকেই হাকিম চত্বরে গিয়ে স্মৃতি হাতড়ান।

প্রতিবছর ব্যক্তি উদ্যোগে হাকিম ভাইয়ের স্মৃতিকে স্মরণীয় করে রাখার জন্য আলোচনা সভা ও আড্ডার আয়োজন করা হতো। কিন্তু এবার সেটিও হয়নি। এভাবেই হয়তো আস্তে আস্তে ব্যক্তি হাকিম ভাইয়ের স্মৃতি সকলে ভুলে যাবে। কিন্তু যুগের পর যুগ সকলের মুখে মুখে থাকবে হাকিম ভাইয়ের নাম। হাকিমের স্মৃতি বিজড়িত হাকিম চত্বরের বড় বড় বৃক্ষগুলোর গায়ে টিনের পাতে লিখা হাকিম চত্বর নামফলকটি তারই জানান দেয়।

back to top