ছবি: সংগৃহীত
শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে (শাবিপ্রবি) অসদাচরণের অভিযোগে হল প্রভোস্ট কমিটির পদত্যাগসহ তিন দফা দাবিতে আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের ওপর হামলা করেছে পুলিশ। শিক্ষার্থীদের ছত্রভঙ্গ করে উপাচার্য ফরিদ উদ্দিন আহমেদকে মুক্ত করেছে তারা। পুলিশ উপাচার্যকে তাঁর নিজ বাসভবনে নিয়ে গেছে।
রোববার (১৬ জানুয়ারি) সন্ধ্যায় আইসিটি ভবনের সামনে অবস্থান নেওয়া শিক্ষার্থীদের ছত্রভঙ্গ করতে ব্যাপক লাঠিচার্জ ও টিয়ারশেল নিক্ষেপ করে পুলিশ। এতে বেশ কয়েকজন শিক্ষার্থী আহত হয়েছে। প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায়, প্রায় ২০-২৫ রাউন্ড টিয়ারশেল নিক্ষেপ করেছে পুলিশ।
জানা যায়, পুলিশ সদস্যরা বিশ্ববিদ্যালয়ের আইসিটি ভবনে প্রবেশ করে অবরুদ্ধ উপাচার্যকে মুক্ত করতে যান। এ সময় আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীরা পুলিশকে ভেতরে ঢুকতে বাধা দেন। এর জেরে ধাক্কাধাক্কির একপর্যায়ে পুলিশ সদস্যরা আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীদের লাঠিপেটা করেন। তখন শিক্ষার্থীরা পুলিশকে লক্ষ্য করে ইটপাটকেল ছোড়েন। এতে কিছু সময়ের জন্য পুলিশ পিছু হটলেও একটু পরই সাউন্ড গ্রেনেড ছুড়ে শিক্ষার্থীদের ছত্রভঙ্গ করে দেয়। এরপর পুলিশ আইসিটি ভবনে প্রবেশ করে উপাচার্যকে উদ্ধার করে তাঁর বাসভবনে নিয়ে যায়।
এর আগে তিন দফা দাবি মেনে না নেওয়া পর্যন্ত অনির্দিষ্টকালের জন্য সব বিভাগের ক্লাস-পরীক্ষা বর্জন করেন শিক্ষার্থীরা।
আজ বিকেল পৌনে ৩টায় আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের সঙ্গে কথা বলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র উপদেষ্টা ও নির্দেশনা পরিচালক অধ্যাপক জহীর উদ্দিন আহমেদ এবং শিক্ষক সমিতির সভাপতি অধ্যাপক ড. তুলসী কুমার দাস। এ সময় তাঁরা বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের ডিন, বিভাগীয় প্রধান এবং শিক্ষকদের সঙ্গে সব সমস্যা নিয়ে আলোচনা করেছেন উপাচার্য। উপাচার্য শিক্ষার্থীদের সব দাবি মেনে নিয়ে এক সপ্তাহের সময় চেয়েছেন।
এ সময় শিক্ষার্থীরা সময় চাওয়ার প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করে কঠোর আন্দোলনের হুঁশিয়ারি দেন। পরে উপাচার্য অধ্যাপক ফরিদ উদ্দিন আহমেদ উপাচার্য ভবন থেকে বের হয়ে নিজ বাসভবনে যেতে চাইলে বাধা দেন আন্দোলনকারীরা। একপর্যায়ে উপাচার্যকে বিশ্ববিদ্যালয়ের আইসিটি ভবনে অবরুদ্ধ করেন শিক্ষার্থীরা। এরপর ভবনের সব বহির্গমন পথে তালা ঝুলিয়ে দেন। এরপর কোষাধ্যক্ষ, ছাত্র উপদেষ্টা, প্রক্টর এবং অন্য শিক্ষকেরা ভেতরে ঢুকতে চাইলে তাঁদেরও বাইরে আটকে রাখা হয়।
উপাচার্য অধ্যাপক ফরিদ উদ্দিন আহমেদ সাংবাদিকদের বলেন, ‘আমি কল্পনা করতে পারিনি আমার ওপরও হামলা করা হবে। শিক্ষার্থীদের এমন আচরণে ভীষণভাবে কষ্ট পেয়েছি।’
উল্লেখ্য, অসদাচরণের অভিযোগে হল প্রভোস্ট কমিটির পদত্যাগসহ তিন দফা দাবিতে গত বৃহস্পতিবার রাত ৯টা থেকে আড়াইটা পর্যন্ত উপাচার্যের বাসভবনের সামনে অবস্থান নিয়ে বিক্ষোভ করেন বেগম সিরাজুন্নেসা চৌধুরী ছাত্রী হলের শিক্ষার্থীরা। এ নিয়ে প্রশাসনের সঙ্গে বৈঠক হলেও দাবি পূরণ না হওয়ায় আন্দোলন চালিয়ে যাচ্ছেন তাঁরা।
ছবি: সংগৃহীত
রোববার, ১৬ জানুয়ারী ২০২২
শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে (শাবিপ্রবি) অসদাচরণের অভিযোগে হল প্রভোস্ট কমিটির পদত্যাগসহ তিন দফা দাবিতে আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের ওপর হামলা করেছে পুলিশ। শিক্ষার্থীদের ছত্রভঙ্গ করে উপাচার্য ফরিদ উদ্দিন আহমেদকে মুক্ত করেছে তারা। পুলিশ উপাচার্যকে তাঁর নিজ বাসভবনে নিয়ে গেছে।
রোববার (১৬ জানুয়ারি) সন্ধ্যায় আইসিটি ভবনের সামনে অবস্থান নেওয়া শিক্ষার্থীদের ছত্রভঙ্গ করতে ব্যাপক লাঠিচার্জ ও টিয়ারশেল নিক্ষেপ করে পুলিশ। এতে বেশ কয়েকজন শিক্ষার্থী আহত হয়েছে। প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায়, প্রায় ২০-২৫ রাউন্ড টিয়ারশেল নিক্ষেপ করেছে পুলিশ।
জানা যায়, পুলিশ সদস্যরা বিশ্ববিদ্যালয়ের আইসিটি ভবনে প্রবেশ করে অবরুদ্ধ উপাচার্যকে মুক্ত করতে যান। এ সময় আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীরা পুলিশকে ভেতরে ঢুকতে বাধা দেন। এর জেরে ধাক্কাধাক্কির একপর্যায়ে পুলিশ সদস্যরা আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীদের লাঠিপেটা করেন। তখন শিক্ষার্থীরা পুলিশকে লক্ষ্য করে ইটপাটকেল ছোড়েন। এতে কিছু সময়ের জন্য পুলিশ পিছু হটলেও একটু পরই সাউন্ড গ্রেনেড ছুড়ে শিক্ষার্থীদের ছত্রভঙ্গ করে দেয়। এরপর পুলিশ আইসিটি ভবনে প্রবেশ করে উপাচার্যকে উদ্ধার করে তাঁর বাসভবনে নিয়ে যায়।
এর আগে তিন দফা দাবি মেনে না নেওয়া পর্যন্ত অনির্দিষ্টকালের জন্য সব বিভাগের ক্লাস-পরীক্ষা বর্জন করেন শিক্ষার্থীরা।
আজ বিকেল পৌনে ৩টায় আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের সঙ্গে কথা বলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র উপদেষ্টা ও নির্দেশনা পরিচালক অধ্যাপক জহীর উদ্দিন আহমেদ এবং শিক্ষক সমিতির সভাপতি অধ্যাপক ড. তুলসী কুমার দাস। এ সময় তাঁরা বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের ডিন, বিভাগীয় প্রধান এবং শিক্ষকদের সঙ্গে সব সমস্যা নিয়ে আলোচনা করেছেন উপাচার্য। উপাচার্য শিক্ষার্থীদের সব দাবি মেনে নিয়ে এক সপ্তাহের সময় চেয়েছেন।
এ সময় শিক্ষার্থীরা সময় চাওয়ার প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করে কঠোর আন্দোলনের হুঁশিয়ারি দেন। পরে উপাচার্য অধ্যাপক ফরিদ উদ্দিন আহমেদ উপাচার্য ভবন থেকে বের হয়ে নিজ বাসভবনে যেতে চাইলে বাধা দেন আন্দোলনকারীরা। একপর্যায়ে উপাচার্যকে বিশ্ববিদ্যালয়ের আইসিটি ভবনে অবরুদ্ধ করেন শিক্ষার্থীরা। এরপর ভবনের সব বহির্গমন পথে তালা ঝুলিয়ে দেন। এরপর কোষাধ্যক্ষ, ছাত্র উপদেষ্টা, প্রক্টর এবং অন্য শিক্ষকেরা ভেতরে ঢুকতে চাইলে তাঁদেরও বাইরে আটকে রাখা হয়।
উপাচার্য অধ্যাপক ফরিদ উদ্দিন আহমেদ সাংবাদিকদের বলেন, ‘আমি কল্পনা করতে পারিনি আমার ওপরও হামলা করা হবে। শিক্ষার্থীদের এমন আচরণে ভীষণভাবে কষ্ট পেয়েছি।’
উল্লেখ্য, অসদাচরণের অভিযোগে হল প্রভোস্ট কমিটির পদত্যাগসহ তিন দফা দাবিতে গত বৃহস্পতিবার রাত ৯টা থেকে আড়াইটা পর্যন্ত উপাচার্যের বাসভবনের সামনে অবস্থান নিয়ে বিক্ষোভ করেন বেগম সিরাজুন্নেসা চৌধুরী ছাত্রী হলের শিক্ষার্থীরা। এ নিয়ে প্রশাসনের সঙ্গে বৈঠক হলেও দাবি পূরণ না হওয়ায় আন্দোলন চালিয়ে যাচ্ছেন তাঁরা।